গল্প               :        বৃষ্টিবন্দী
লেখক          :         নাজিম উদ দৌলা
গ্রন্থ              :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ২রা আগষ্ট, ২০১৪ ইং

লেখক নাজিম উদ দৌলার “বৃষ্টিবন্দী” শিরোনামের এই গল্পটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য এটি হুবহু প্রকাশিত হল। লেখক অনবদ্য এ গল্পটি ২০১৪ সালের ২রা আগষ্ট লিখেছেন।
বৃষ্টিবন্দী || নাজিম উদ দৌলা
বৃষ্টিবন্দী || নাজিম উদ দৌলা


বৃষ্টিবন্দী || নাজিম উদ দৌলা

মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে কালো শাড়ি পড়ে। লাল, নীল কিংবা বেগুনী নয়- কালো শাড়ি। আচমকা শুরু হওয়া বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজে গেছে, হাত দিয়ে চুল ঝেড়ে নিচ্ছে। প্রশংসার দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ দেখে চোখ সরিয়ে নিলাম। এত কাছে থেকে একজন তরুণীর দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকাটা ভাল দেখাচ্ছে না। নিজেকে মনে হচ্ছে যেন সৌন্দর্য্য ধারণে অক্ষম এক কবি!
আমি বাজি ধরে বলতে পারি আবহাওয়া অফিসও আজ বৃষ্টি হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করেনি! সকাল থেকে চারিদিক রৌদ্রকরোজ্জল ছিল। দুপুরের কটকটে রোদের মধ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ করে বিপুল বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করল। পথচারীদের সাবধান হওয়ার সুযোগ না দিয়েই অঝোর ধারায় নামল বৃষ্টি! ভিজে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে এসে একটা দোকানের শেডের নিচে আশ্রয় নিলাম। এখানেই দেখা হলো মেয়েটির সাথে।
দুজনে দাঁড়িয়ে আছি একটা সাটার ফেলে রাখা স্টেশনারি দোকানের সামনের কার্নিশের আশ্রয়ে। ঝুম বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। ভিজে গেলে অবশ্য কোনো ক্ষতি হবেনা, কিন্তু আমার হাতে ধরা এই পত্রিকাটিকে কিছুতেই ভিজতে দেয়া চলবেনা। অমূল্য কোহিনূর হীরার চেয়েও আমার কাছে এর মূল্য অনেক বেশি।
শহরের ব্যস্ত এই রাস্তার চিত্র অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ অনেকটাই ভিন্ন। রাস্তার মোড়ে দুটো চা-পানের দোকান আছে, যেখানে বসে ৬ টাকার মূল্যের চায়ের কাপে ছোট ছোট চুমুক দিয়ে দিব্যি বৃষ্টির সময়টা কাটিয়ে দেয়া যেত। কিন্তু আজ কোনো এক অদ্ভুত কারণে দুটো দোকানই বন্ধ। একটানা বৃষ্টিতে রাস্তায় এক-দেড় ইঞ্চি পানি জমে গেছে। জমে থাকা পানির ওপর বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ ঝর্ণার আমেজ সৃষ্টি করেছে। আর সেই সঙ্গে বাতাসের একটানা শোঁ শোঁ আওয়াজ তো চলছেই।
আরও একবার আড়চোখে দেখে নিলাম মেয়েটিকে। লম্বাটে মুখ, সুন্দর দুটো চোখ, আকর্ষণীয় দৈহিক গড়ন, মাঝারি উচ্চতা আর প্রায় কোমড় পর্যন্ত লম্বা চুল। খুব বেশি আহামরি সুন্দরী নয়, কিন্তু মেয়েটির মধ্যে আছে আশ্চর্য এক কমনীয়তা যা যেকোনো পুরুষকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। পড়নের কালো শাড়িটা এতটাই মানিয়ে গেছে, মনে হচ্ছে বুঝি ওটা তার জন্যই খুব যত্ন করে বুনেছে কেউ।
কংক্রিটের এই সামিয়ানার নিচে যায়গা কম, মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে একেবারে গা ঘেঁষে। আমার জীবনে সচরাচর এমন কারো সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয় না। দুজনেই আজ কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি-বন্দী। হঠাৎ আগমন দেখে বিরক্ত হয়ে, মনে মনে যে বৃষ্টিকে খানিক আগেও অভিসম্পাত দিচ্ছিলাম, এখন তো তাকে বরনডালা সাজিয়ে স্বাগতম জানাতে ইচ্ছে করছে!
মেয়েটি মাঝে মধ্যে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁয়ে দিচ্ছে। তার চোখে মুখে কি ভীষণ আগ্রহ! নিশ্চয়ই বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজে নিতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু ভেজা শাড়ি শরীরে লেপ্টে বাড়ি ফিরলে হয়তো বাবার চোখ রাঙ্গানি আর আম্মুর বকুনি খেতে হবে, এই ভেবে সাধটুকুকে গলা টিপে আঁটকে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
“এমন চমৎকার বৃষ্টিতে ভিজতে না পারলে নিজেকে বড় অতৃপ্ত লাগে”। মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে নয়, অনেকটা স্বগতোক্তির মতো আমার মুখ থেকে কথাটা বেরিয়ে এলো।
“ঠিক বলেছেন। একদম পারফেক্ট বৃষ্টি। খুব জোরেও পড়ছে না, আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও নয়। অপূর্ব!”
মেয়েটির কাছ থেকে সাড়া পাওয়াটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম তার দিকে। মেয়েটি অবশ্য আমার দিকে তাকায়নি। বৃষ্টির দিকে তার পূর্ণ মনোযোগ। কোনো মানবীর ঠোঁটে এমন চমৎকার হাসি আগে কখনও দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। মুখ থেকে কথাটা ফসকে বেরিয়ে পড়ল, আটকানোর সুযোগ পেলাম না।
“ভিজবেন কি?”
মেয়ে মুখে হাসি ধরে রেখেই বলল, “নাহ! শাড়ি ভিজে গেলে সমস্যা হবে”।
“একদিন না হয় সমস্যা হলোই! এমন বৃষ্টি তো প্রতিদিন পাবেন না!”কথা বলছি আর আমার বিস্ময়ের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অজানা অচেনা একটা মেয়ের সাথে এমন সুরে কথা বলছি যেন কত্ত দিনের চেনা।
মেয়েটি দোটানায় পরে গেছে মনে হচ্ছে। মন চাইছে ভিজতে, কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সম্মত হতে পারছে না। এই দোটানা ভেঙে দেয়ার পদ্ধতি আমার জানা। কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। আমার হাতের এই খবরের কাগজটি ভেজানো চলবে না কিছুতেই। নগদ ৮ টাকা খরচ করে কিনে এনেছি।
আরও মিনিট পাঁচেক কেটে গেছে। আর কোনো কথা হয়নি। দুজনের কথোপকথন যেমন আচমকা শুরু হয়েছিল, তেমন হঠাৎ করেই থেমে গেলো। চাইলে এই সুযোগে মেয়েটির নাম, কোথায় থাকে, কি করে- সব জেনে নেয়ার একটা চেষ্টা চালানো যেত। কিন্তু মেয়েটিকে মনে হচ্ছে যেন শহরের বুকে এমন অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে গভীর ভাবনায় ডুবে গেছে! কথা বলার চেয়ে এই অতি-প্রাকৃতিক চিত্র উপভোগ করার মাঝেই তার আগ্রহ বেশি!
আমি বোঝার চেষ্টা করছি কেন মেয়েটি এই সময়ে বাসা থেকে বেরিয়েছে? সাজগোজ দেখে মনে হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে তৈরি হয়েছে। হয়তো বাসা থেকে আজ বের হওয়ার কোন প্ল্যান ছিল না তার। ছোট ভাইটার কাছ থেকে সারাদিন টিভির রিমোটটা লুকিয়ে রেখেছিল সন্ধ্যার সময় পছন্দের কোনো নাটক দেখবে বলে। কিন্তু হঠাৎ করেই কোন বান্ধবী ডেকেছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য! বান্ধবী নাকি বয়ফ্রেন্ড? ঘুরতে যাচ্ছে নাকি ঘোরার পর এখন বাড়ি ফিরছে? অনেকগুলো ভাবনা মাথায় এসে জড়ো হল আমার। কিন্তু সব ভাবনা ছাপিয়ে একটি চিন্তা উঁকি দিচ্ছে মাথায়- এই মুহূর্তে শহরের রাস্তায় শাড়ি পড়ে একটি মেয়ে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরছে এমন দৃশ্য দেখতে খুব ইচ্ছে করছে!
আমি সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরি করলাম না। হাত থেকে খবরের কাগজটা ছুড়ে ফেলে এগিয়ে গেলাম। ভুলেই গেলাম ঐ কাগজটিতে ছাপানো কিছু খবর আমার জন্য কতটা মূল্যবান! সমস্ত শরীরে জড়িয়ে নিলাম বৃষ্টির স্বাদ! সবচেয়ে অরাধ্য বস্তু যখন হাতের কাছে তখন পার্থিব সম্পদের প্রতি এত টান কেন?
আহ! কি অপূর্ব অনুভূতি! আমি বলে উঠলাম, “হাজার বছর সাধনা করতে রাজি আছি যদি এমন একটি দিনের নিশ্চয়তা পাই।”
মেয়েটি খিল খিল শব্দে হেসে উঠল। আসলেই হেসেছে নাকি আমার কল্পনা? বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে এক সুমধুর ঐকতান আমার কানে স্পন্দন জাগাল।
আমি জড়তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলাম। পেছন ফিরে ডাকলাম, “কই আসুন?”
“ন... নাহ!” কন্যার দ্বিধাদ্বন্দ্ব মেশানো উত্তর।
“কিছু সাধ অপূর্ণ থাকতে নেই”। বৃষ্টির শব্দের কারণে প্রায় চিৎকার করে কথা বলতে হচ্ছে। “কিছু সাধ অপূর্ণ থাকা মানে আজীবনের অতৃপ্তি”।
মেয়ে আরও কয়েক মুহূর্ত কিছু একটা ভাবল। তারপর হঠাৎ করেই সব লোক লজ্জা ভুলে এগিয়ে এলো। দু হাত প্রসারিত করে সমস্ত শরীরে গ্রহণ করে নিচ্ছে বৃষ্টির অনবরত চুম্বন।
আমি তাকিয়ে আছি। দেখছি শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজছে একজন শাড়ি পড়া তরুণী। তার চোখে মুখে আশ্চর্য সুখানুভূতির ছাপ। আজ আমার একটি ইচ্ছে পূরণ হলো! আমার খুব কম ইচ্ছেই পূরণ হয়! যেদিন ইচ্ছে পূরণ হয় তা আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। আমি ডায়েরীর পাতায় খুব যত্ন করে দিন তারিখ লিখে রাখি। প্রতিবছর ঐ দিনটি এলে মনের কোনে জমিয়ে রাখা ইচ্ছেপুরণের স্মৃতিগুলো হাতড়ে বেড়াই।
কিছু একটা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু আমার ভেতরে আবার সেই জড়তা ফিরে এসেছে। যদি মেয়েটি কিছু মনে করে? যদি আমাকে খারাপ ভেবে বসে? এমন আরও নানান “কিন্তু” “যদি” “অথবা” এসে আমার চিন্তার গতিরোধ করছে!
দুজনে নীরবে দাঁড়িয়ে ভিজছি। রাস্তায় মানুষ জন খুব একটা নেই। মাঝেমধ্যে ছাতা মাথায় দেয়া দুই একজন লোক হেঁটে যাওয়ার সময় অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে মেয়েটির দিকে। কিন্তু মেয়েটি তাতে দমে যাচ্ছেনা, আজ তার দ্বিধার বাধ ভেঙেছে, বৃষ্টিতে ভেজা থেকে কেউ আর আঁটকে রাখতে পারবে না। যেন এক শতাব্দীর অতৃপ্তি আজ এক মুহূর্তেই ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে অবিরাম বৃষ্টি।
বৃষ্টির প্রকোপ কমে আসছে মনে হয়। এখন আর আগের মত গতি নেই। আমি কি কথাটা বলব? আমাকে খারাপ ভাবলে ভাবুক না! একটা অচেনা মেয়ে যদি আজীবন আমাকে খারাপ ভেবে বসে থাকে তাতে আমার কিই বা আসে যায়?
আমি প্রত্যেকটা শব্দের ওপর জোর দিয়ে উচ্চারণ করলাম, “তুমি কি আমার হবে?”
মেয়েটি ঝট করে আমার দিকে তাকাল। তার চোখে মুখে প্রশ্ন। আমি জানি- যেকথা বলেছি তা সে স্পষ্ট শুনতে পেয়েছে! তবুও স্বভাবজাত না বোঝার ভান!
আবার বললাম, “যদি আমার হও তবে কথা দিচ্ছি, আজকের পর থেকে এই শহরের বুকে যতবার বৃষ্টি হবে প্রত্যেকবার তোমার হাত ধরে ভিজব!”
আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। মেয়ে মোটেও রাগ দেখাল না, বরং হেসে উঠল। কৌতুকপূর্ণ কণ্ঠে বলল, “যদি আপনি কখনও অসুস্থ থাকেন? ধরেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লেগেছে, ডাক্তার বৃষ্টিতে ভেজা বারণ করেছে? তখন?”
“যদি আমি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে তোমাকে একলা ভেজার অনুমতি দেয়া থাকল”। আমি উত্তর দিলাম। “কখনও নিষেধ করব না। তোমার বাবার মত করে চোখ রাঙাবো না, মায়ের মত বকাবকি করব না!”
মেয়েটি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করল আমি কি কথা গুলো দুষ্টুমি করে বলছি কি না। যখন বুঝল প্রত্যেকটি শব্দ আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উচ্চারিত হয়েছে তখন দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। ঠোঁটের কোনে অদ্ভুত এক সলাজ হাসি।
বৃষ্টি কমে আসছে, আর বেশিক্ষণ দুজনে একসাথে থাকব না। আমি তাগাদা দেয়ার সুরে প্রশ্ন করলাম, “কিছু বলবে না মেয়ে?”
মেয়েটি লাজুক দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইল। মুখের হাসিটা ধরে রেখেছে! এই চাহনির অর্থ আমি জানি। আমার মুখে আরও একটি ইচ্ছেপুরনেণের হাসি ফুটল আজ...
হঠাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে ওঠায় সংবিৎ ফিরে পেলাম। পকেট থেকে মোবাইল বের করলাম! জামিলের মিসড কল। এই হতচ্ছাড়া ফোন দেয়ার আর সময় পেল না? কি চমৎকার একটা কল্পনার জগতে ডুব দিয়েছিলাম! স্বপ্নে অপূর্ব সুন্দর একজন মানুষের সান্নিধ্যে ছিলাম... আবারও সেই স্বপ্নে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে...
আর আমার স্বপ্নে ফেরা হলো না। বৃষ্টি থেমে গেছে। মেয়েটি একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়ল। ধানমন্ডি লেকে যাবে। সম্ভবত প্রিয় মানুষটির সাথে দেখা করতে যাচ্ছে! নামটাও জানা হলো না তার! দ্বিধা করলাম কেন? কথা বলার চেষ্টা করে দেখলেই তো পারতাম! কি ভাবত আমাকে? বখাটে ছেলে? একজন অচেনা তরুণীর চোখে না হয় বখাটে হিসেবেই বেঁচে থাকতাম! কি আসে যায়? জীবনে আর কখনও দেখা হবে কি? কি জানি!
আমি হাতে ধরা পত্রিকার পাতায় মনযোগী হলাম। চাকুরীর বিজ্ঞাপনগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। নগদ ৮ টাকা দিয়ে কিনেছি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পত্রিকাটি, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেলে খুব মুশকিলে পড়ে যেতাম! একজন বেকার যুবকের জীবনে এর চেয়ে মূল্যবান আর কি হতে পারে?

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


....সমাপ্ত....


লেখক সংক্ষেপ:
নাজিম উদ দৌলার জন্ম ১৯৯০ সালের ৪ নভেম্বর নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জে। পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলায় হলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকার আলো বাতাসের মাঝে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ‘অ্যানালাইজেন’-এ কর্মরত আছেন। লেখালেখির চর্চা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে লিখছেন ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। ২০১২ সালে প্রথম গল্প ‘কবি’ প্রকাশিত হয় কালান্তর সাহিত্য সাময়িকীতে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয় তার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস ‘ইনকারনেশন’। একই বছর আগস্টে প্রকাশিত হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার ‘ব্লাডস্টোন’ তাকে এনে দেয় বিপুল পাঠকপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত ৬টি থ্রিলার উপন্যাস ও ১টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী চরিত্র ‘মাসুদরানা’ নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিনি। এছাড়াও ‘শান’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সহ বেশ কিছু বড় বাজেটের বাংলা চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। অবসর সময় কাটে বই পড়ে, মুভি দেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। সদালাপী, হাসি খুশি আর মিশুক স্বভাবের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের, যেখানে প্রত্যেকটি মানুষ এক হয়ে দেশ গড়ার কাজে মন দেবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন