উপন্যাস        :         নিবেদিতা
লেখিকা        :          মুন্নি আক্তার প্রিয়া
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১০ই মে, ২০২৪ ইং

লেখিকা মুন্নি আক্তার প্রিয়ার “নিবেদিতা” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি  ২০২৪ সালের ১০ই মে থেকে লেখা শুরু করেছেন। 
নিবেদিতা || মুন্নি আক্তার প্রিয়া
নিবেদিতা || মুন্নি আক্তার প্রিয়া

২৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

নিবেদিতা || মুন্নি আক্তার প্রিয়া (পর্ব - ২৪)

রাত্রির মধ্যভাগ। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকার বিরাজ করছে রুমের মাঝেও। অদূরে কোথাও থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝি পোকার ডাক। রুমে থাকা সবার চোখে ঘুম। শুধু ঘুম নেই সূবর্ণলতার চোখে। বারবার তার মিদহাদের কথা মনে পড়ছে। মনে পড়ে যাচ্ছে মিদহাদের বলা ভালোবাসি কথাটি। আচ্ছা মিদহাদ কি আসলেই ভালোবাসে? কই সে তো মিদহাদের চোখেমুখে কখনো তার জন্য ভালোবাসা দেখেনি! নাকি সে কখনো লক্ষ করেনি? বরং যতবার সে মিদহাদকে দেখেছে ততবার তার মনে হয়েছে এই ছেলের অন্তঃকোণে অন্য কেউ রয়েছে। যাকে সে দেখেছে অথবা দেখেনি।
সূবর্ণলতার ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটল। কেউ একজন তার ওপর হাত-পা তুলে দিয়েছে। তার ডানপাশে শুয়েছে মৌটুসী। বামপাশে শুয়েছে তুবা। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই সে দেখেছে তুবা ফোন নিয়ে বারান্দায় গিয়েছে। হয়তো হবু বরের ফোনকল এসেছিল। তাহলে এখন কে তার গায়ের ওপর হাত-পা তুলে দিল? সে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট অন করতেই দেখতে পেল ঘুমন্ত নিবেদিতাকে। চোখে আলো পড়তেই মেয়েটা চোখ-মুখ কুঁচকে ফেলেছে। আনমনে হাসল সূবর্ণলতা। নিবেদিতার কপালের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলোকে সরিয়ে কানের পিঠে গুঁজে দিল। আলতো করে ছুঁয়ে দিল গাল। একদম বাচ্চা লাগছে এখন নিবেদিতাকে। আচ্ছা কোনোভাবে কি মিদহাদের মনে সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকা মেয়েটি নিবেদিতা হতে পারে? কথাটা ভাবতেই তার বুকটা কেমন হুহু করে উঠল। সেই মুহূর্তে বারান্দার দরজাও খুলে গেল। তুবা এসেছে। নিবেদিতার এক হাত ও পা তখনো সূবর্ণলতার গায়ের ওপর।
তুবা খাটের ওপর উঠে ফিসফিস করে বলল,
"নিবু এমনই! ঘুমের মধ্যে হুঁশ থাকে না। কিছু মনে করবেন না প্লিজ!"
তারপর তুবা নিজেই নিবেদিতার হাত-পা সরিয়ে সূবর্ণলতার পাশে শুয়ে পড়ল। সূবর্ণলতা নিজেকে ধাতস্থ করে ফোনের লাইট অফ করে বলল,
"আমি কিছু মনে করিনি। ও তো আমার ছোটো বোনের মতোই।"
জবাবে মৃদু হাসল তুবা। সেই হাসি অবশ্য অন্ধকারে সূবর্ণলতা দেখল না। তবে তার মাথায় হঠাৎ করে ঢুকে যাওয়া প্রশ্নটি সে কিছুতেই বের করতে পারছিল না। তার সারা রাত কাটল নির্ঘুম।
পরেরদিন সবাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠল। বিয়ে বাড়ির অনেক কাজ। বাচ্চারা সব গান বাজিয়ে নাচানাচি করছে, লাফালাফি করছে। বড়োরা সবাই কাজে ব্যস্ত। বিকেলে তুবাকে পার্লারে নিয়ে যাবে সাজাতে। তারপর ওখান থেকেই নিয়ে যাবে বাজারের বড়ো কমিউনিটি সেন্টারে। এবার আর বিয়ের আয়োজন বাড়িতে করা হয়নি। এতে ঝামেলা হয় বেশি।
ছোটো মামি এসে মেয়েগুলোকে ঘুম থেকে তুলে সকালের নাস্তা করার জন্য তাড়া দিলেন। সবাই একসাথে ঘরেই সকালের খাবারটা খেল।
মিদহাদ নাস্তা না করে ঘরের বারান্দায় বসে ছিল চুপচাপ। নির্ণয় বাইরে ছিল। বাসায় এসে মিদহাদকে বারান্দায় উদাস হয়ে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল,
"কী ব্যাপার ব্রো? মুড অফ?"
মিদহাদ হাসার চেষ্টা করে বলল,
"না, ব্রো। মাথাব্যথা করছে। ঘুম হয়নি ঠিকমতো।"
"নাস্তা করেছ? নাস্তা না করলে করে নাও। তারপর একটা টাফনিল খেয়ে ঘুমাও কিছুক্ষণ।"
"আরে না! ঠিক হয়ে যাবে এমনিতেই।"
"তুমি আসো আমার সাথে।"
নির্ণয় মিদহাদকে নিয়ে জোরপূর্বক খেতে বসল। নয়ন ওদের দুজনকে একসাথে দেখে বলল,
"তোরা দুটোয় ছিলি কোথায়?"
মিদহাদ চেয়ার টেনে বসে বলল,
"ম'রা'র মতো ঘুমিয়ে থাকলে দেখবিই বা কীভাবে?"
নয়ন আহতকণ্ঠে বলল,
"কী সাংঘাতিক অপমান! আমি ম'রা'র মতো ঘুমাই?''
নির্ণয় হাসল। বড়ো মামি এসে ওদের খাবার দিয়ে গেল। নির্ণয় চোরাচোখে নিবেদিতাকে খুঁজছিল। বেলা গড়িয়ে এখন এগারোটা বাজে। সকাল থেকে মেয়েটার কোনো হদিস নেই। কল বা ম্যাসেজেরও কোনো রিপ্লাই দিচ্ছে না। এখনো কি ঘুম ভাঙেনি নাকি? উপায়ান্তর না পেয়ে নির্ণয় কৌশলে বড়ো মামিকে জিজ্ঞেস করল,
"তুবা ওরা কি এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি?"
মামি ব্যস্ত কণ্ঠে বললেন,
"ওরা আরো আগেই উঠেছে। রুমে সব কী নিয়ে যেন আলোচনা চলছে ওদের। তোরা তাড়াতাড়ি খেয়ে নে। এখনো বহুত কাজ বাকি পড়ে আছে।"
নয়ন খেতে খেতে বলল,
"তুমি এত চিন্তা কোরো না তো! আমরা তো আছি। সব কাজ সময়ের আগেই গুছিয়ে ফেলব। ছোটো মামা কোথায়? দেখছি না যে?"
"ও হাঁটে গেছে মিষ্টি আর দই আনতে। এখনো আসার নাম নেই। সকালে নাস্তাও করেনি। তোর খাওয়া হলে একটা ফোন করে দেখিস তো কতদূর আসছে।"
"আচ্ছা দেখব। এখন তোমার অন্য কাজ থাকলে করো গিয়ে। আমরা নিয়ে খেতে পারব।"
"তোরা তাহলে যা লাগে নিয়ে খাস, বাবা। আমি দেখি মেয়েগুলো কী করছে! এখনো একটাও গোসল করেনি। একটু পর শুরু করবে পাড়াপাড়ি।"
বড়ো মামি ব্যস্ততার সঙ্গেই চলে গেলেন। সবাইকে ঝাড়ি-ধমক দিয়ে তাড়াতাড়ি গোসল করে নিতে বললেন। মামি যেভাবে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন, সেভাবেই আবার ব্যস্ত ভঙ্গিতে বেরিয়ে রান্নাঘরে ছুটলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই মেয়েদের রুম থেকে নিবেদিতা, সূবর্ণলতা আর তুবা বেরিয়ে এলো। নির্ণয় আর মিদহাদও সেদিকেই তাকাল। নিবেদিতা ও তুবা কিছু নিয়ে হাসাহাসি করছিল। ওদের লক্ষ করে পরক্ষণে সূবর্ণলতা নির্ণয় ও মিদহাদের সূক্ষ্ম দৃষ্টির ভাষা বোঝার চেষ্টা করল।
.
.
বিকেলে তুবার সাথে যারা যারা পার্লারে সাজবে সবাই মিলে একসাথে রেডি হয়ে রওনা দিল। মিদহাদকে বসার ঘরে একা দেখে সূবর্ণলতা দাঁড়িয়ে পড়েছে। ফোনে কিছু দেখছিল মিদহাদ। সামনে সূবর্ণলতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল,
"কিছু বলবেন?"
সূবর্ণলতার খুব বলতে ইচ্ছে করল, 'আপনি কি আসলেই আমাকে ভালোবাসেন?' কিন্তু সে বলতে পারল না। জিজ্ঞেস করতে পারল না তাকে কুড়ে কুড়ে খাওয়া প্রশ্নটিও। কেউ যেন তার গলার স্বর রোধ করে রেখেছে। অদৃশ্য কিছু গতকাল থেকে তাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। কিন্তু কেন? তার মনেও কি তবে মিদহাদের জন্য অনুভূতি আছে?
মৌটুসী দৌঁড়ে ভেতরে এলো। হাঁপানো কণ্ঠে বলল,
"তুমি এখানে! সবাই তো চলে যাচ্ছ। চলো।"
মিদহাদ তখনো তাকিয়ে ছিল। সূবর্ণলতা গোপনে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কিছু না বলেই মৌটুসীর সাথে চলে গেল। সবাই মনের আনন্দে সাজছিল। কেবল যেন সূবর্ণলতাই কোনো আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে সে বাহির থেকে বাকি সবার মতোই হাসিখুশি ছিল। কেউই তার ভেতরে বয়ে চলা তাণ্ডব সম্পর্কে একটুও আঁচ করতে পারেনি।
সবার সাজগোজ শেষ হলে তুবাকে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে পৌঁছাল সবাই। মেয়েরা সবাই সবুজ এবং হলুদের কম্বিনেশনে শাড়ি পরেছে। আর ছেলেরা পরেছে সবুজ পাঞ্জাবি এবং সাদা প্যান্ট। পলও আজ সবুজ পাঞ্জাবি পরেছে। এরকম নতুন পোশাক পরে সে খুবই আনন্দিত। নিবেদিতা ও সাবিহাকে আসতে দেখে সে এগিয়ে গেল। আনন্দে ঝলমল করছিল তার মুখ। সে গর্বিত ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল,
"আমাকে কেমন লাগছে নিঠা?"
নিবেদিতাও হেসে বলল,
"দারুণ হ্যান্ডসাম! তোমাকে খুবই সুন্দর লাগছে পল।"
প্রসংশা পেয়ে পলের আনন্দ যেন দ্বিগুন বেড়ে গেছে। এদিকে এটা যেন গায়ে আগুন ধরাচ্ছিল নির্ণয়ের। সেই আগুনে ঘি ঢালার জন্য পল আর কাউকে পেল না। নির্ণয়ের কাছে গিয়েই বলল,
"ব্রো, নিঠা বলেছে আমাকে এই পোশাকে হ্যান্ডসাম লাগছে। তোমাকে ধন্যবাদ আমায় এটা দেওয়ার জন্য।"
নির্ণয় ঠোঁটে মিথ্যা হাসি ঝুলিয়ে বলল,
"তোমায় আসলেই চমৎকার লাগছে।"
এবার আরেক দফা খুশি হয়ে গেল পল। সে বাচ্চাদের সাথে বাচ্চাদের মতোই গানের তালে তালে নাচছে এখন। কিছু উৎসুক মানুষজন আবার ভিড় জমিয়ে সেই নাচ দেখছে। নির্ণয় শুধু বাঁকা চোখে তখন নিবেদিতাকে দেখছিল। খুব উড়ছে মেয়েটা। নির্ণয় ভালোবাসা প্রকাশ করার পর থেকেই যেন আর পাত্তা দিতে চাচ্ছে না। কী অদ্ভুত!
হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলে সবাই একে একে গিয়ে তুবাকে হলুদ দিচ্ছিল। নিবেদিতার খুব ইচ্ছে সে এবং নির্ণয় একসাথে তুবাকে হলুদ দেবে এবং ছবি তুলবে। ভিড় ঠেলে এসে সে নির্ণয়কে তার আবদারের কথা বলতেই বিনাবাক্যে নির্ণয় রাজি হয়ে গেল। তবে মুখে কোনো কথা বলল না। বড্ড অভিমান হয়েছে কিনা তার!
নিবেদিতা ও নির্ণয় তুবাকে একসাথে হলুদ লাগিয়ে দিল। মিষ্টি খাইয়ে দিল। একসাথে তিনজনে ছবিও তুলল। নির্ণয়ের মুখ ভার দেখেই নিবেদিতা বুঝতে পেরেছে তার প্রেমিক পুরুষ তার ওপর অভিমান করেছে। অবশ্য অভিমান তো করারই কথা। সারাদিনে কোনো ফোন না, ম্যাসেজ না, কোনো কথা না বলা। উলটো তাকে দেখিয়ে পলের প্রসংশা করা। এসবই তো যথেষ্ট নির্ণয়ের অভিমানের জন্য। তবে এসবও নিবেদিতা ইচ্ছে করেই করছিল। সে আসলে দেখতে চাচ্ছিল, তার ক্ষেত্রে নির্ণয়ের ধৈর্য আসলে কতটুকু।
তবে এখন আর তা দেখতে ইচ্ছে করছে না। নির্ণয় হাসলেই তার ভালো লাগে। সে হলুদ নিয়ে আচানক নির্ণয়ের গালে মাখিয়ে দিল। হকচকিয়ে গিয়েও নিজেকে ধাতস্থ করে নিল নির্ণয়। সামনেই সব আত্মীয়-স্বজনরা আছে। ক্যামেরাম্যান আছে। তাই সে এখানে নিবেদিতাকে কিছুই বলল না। টিস্যু দিয়ে গালের হলুদ মুছতে মুছতে নিবেদিতার দিকে তাকিয়ে রহস্যজনকভাবে দুষ্টু হাসি দিল। যার অর্থ, 'একবার বাগে পাই শুধু।'
দুজনের এই খুনসুটিটুকু বাকি সবার মতো মিদহাদও দেখেছে। সে ওখান থেকে সরে যেতে চাইলে সূবর্ণলতা পেছন থেকে হাত টেনে ধরল। মিদহাদ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সূবর্ণলতা বলল,
"সবাই তুবাকে হলুদ দিচ্ছে। আপনি দেবেন না?''
মিদহাদ নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল,
"না। আপনি দিয়ে আসুন।"
"আমি একা যাব না।"
"মৌকে নিয়ে যান।"
"আমি আপনার সাথে তুবাকে হলুদ দিতে চাই।"
মিদহাদ অবাক হয়ে বলল,
"কেন?"
সূবর্ণলতা তখনো মিদহাদের হাত আলতো করে ধরে রেখেছিল। এবার সে হাত ছেড়ে মিদহাদের চোখে চোখ রেখে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
"আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাই।"
মিদহাদের বিস্ময় যেন ছাড়ছিল না। সে বলার মতো কোনো কথাই খুঁজে পাচ্ছে না। মেয়েটার কি মাথা ঠিক আছে? সে কবে বলল, সে সূবর্ণলতাকে ভালোবাসে? তবে এতকিছু সে বলতে পারল না। শুধু অস্ফুটস্বরে বলল,
"মানে?"
সূবর্ণলতা বলল,
"মানেটা কি আমি বলব? আমি তো উলটো এই কথাটার মানে জানতে চাই। আপনি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন?"
মিদহাদ আশেপাশে একবার তাকাল। অনেকেই এখানে আছে। তবে সবাই সবার মতো ব্যস্ত। তবুও সে কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,
"এসব আপনি কী বলছেন?"
"আমি তো বলিনি। আপনি বলেছেন। গতকাল ছাদে নির্ণয় ভাইয়াকে তো আপনিই বলেছিলেন, আপনি আমাকে ভালোবাসেন।"
মিদহাদ এবার সব বুঝতে পারল। সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভেবেছে নির্ণয়ই সূবর্ণলতাকে এই কথা বলে দিয়েছে। সূবর্ণলতা বুদ্ধিমতী মেয়ে। মিদহাদের চোখের ভাষা পড়তে অসুবিধা হলো না। সে বলল,
"নির্ণয় ভাইয়া আমাকে কিছু বলেনি। তার সাথে এই পর্যন্ত আমার একটা কথাও হয়নি। সামান্য হাই-হ্যালোও নয়। আমি তখন ছাদেই ছিলাম। সিঁড়িঘরের পেছনে। নিজের কানেই সব শুনেছি।"
মিদহাদ শান্তকণ্ঠে বলল,
"এখন এসব কথা বলার মতো সময় না। আমি আপনাকে পরে বিষয়টা ক্লিয়ার করব।"
এইটুকু বলে মিদহাদ চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতেই পেছন থেকে সূবর্ণলতা বলল,
"আপনি নিবেদিতাকে ভালোবাসেন তাই না?"
মিদহাদ সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাঁড়াল। চোখ রাঙিয়ে নিজের ঠোঁটের ওপর আঙুল রেখে বলল,
"চুপ!"

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

২৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
“মুন্নি আক্তার প্রিয়া” বাল্যকাল থেকেই কল্পনা ও সাহিত্য বিলাসী। লেখা লেখিটা মূলত শখের বশে শুরু করলেও, পরবর্তীতে তা একসময় নেশায় পরিণত হয় তার। লেখালেখির পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ফেসবুকের ফলোয়ারদের থেকে। তাদের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণাই তাকে সাহিত্য জগতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে অদম্য সাহস ও ইচ্ছে শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এইভাবেই সাহিত্য জগতে তার প্রথম “সাঁঝের কন্যা” বইটি প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমেই প্রকাশণা জগতে পদার্পন। 
তার লেখা প্রথম বইটি ব্যাপক সাড়া ও সফলতার ধারাবাহিকতায় তার দ্বিতীয় বইটি “চক্ষে আমার তৃষ্ণা” প্রকাশিত হয়। সফলতার পথে অগ্রসর হওয়া এই লেখিকার জন্ম শরিয়তপুর জেলায়, কিন্তু বেড়ে ওঠা ও সপরিবারে বাস করেন গাজীপুরে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন