জীবনানন্দ দাশ স্মরণে নাদিয়া জান্নাত
জীবনানন্দ দাশ স্মরণে নাদিয়া জান্নাত


 ট্রাম দূর্ঘটনার পর থেকে দুনিয়াতে যেভাবে শীতকাল আসে

- নাদিয়া জান্নাত


আজ ১৪ অক্টোবর। ফ্ল্যাশব্যাকে যদি ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবরে যাই তাহলে আজ বৃহষ্পতিবার। একটু পর, আরো বিকেলবেলার দিকটাতে জীবনানন্দ লেকের দিকে বেড়াতে বের হবেন। একা একা বেড়াবেন। ট্রামের নিচে পড়ে যাবেন। আজকের পর বিকেল/সন্ধ্যায় তিনি আর একলা বাড়ি ফিরবেন না। ২২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত তিনি শম্ভুনাথ হাসপাতালে থাকবেন। যন্ত্রণায় ছটফট করবেন। হাতে গোণা কয়েকটা কথা ছাড়া আর কোন কথা বলবেন না। একটা কমলালেবু খেতে চাইবেন তিনি। আচমকা একবার সুচরিতা দাশকে ডাকবেন। ভূমেন্দ্র গুহ তাকে ডেকে আনবেন। এরপর বোনের কাছে আমের আচার দিয়ে ভাত খেতে চাইবেন। তারপর নিস্তেজ হয়ে যাবেন। মৃত্যুটা আরো পরে ঘটবে। ২২ অক্টোবরে। সেদিন রাতে জীবনানন্দের পাশে সুজিতের থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকবেন না। দিলীপ থাকবেন। ঘাড়টা তার দিকে কাত করে স্পষ্ট ভাবে বলবেন, "ধূসর পাণ্ডুলিপির রং সারা আকাশ জুড়ে, ধূসর পাণ্ডুলিপি সারা আকাশ জুড়ে— "

এর পর পর-ই দিলীপ প্রথম জানবেন 'মানুষ কী করে ঠাণ্ডা হয়ে যায়।'


কবিয়াল

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন