কবিতা : কুকুর গড়ার শিক্ষা
কবি : এফ এ শাহেদ
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
তরুণ লেখক এফ এ শাহেদের “কুকুর গড়ার শিক্ষা” শিরোনামের এই কবিতাটি তিনি নিজেই কবিয়ালে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছেন। তার এই কবিতাটির অবস্থান এবং প্রেক্ষাপট এখন অবদি জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবেনা।
![]() |
কুকুর গড়ার শিক্ষা || এফ এ শাহেদ |
কুকুর গড়ার শিক্ষা || এফ এ শাহেদ
সাহেব হবার নেশায় হয়েছি বাঙালি কেরানি,
গদবাধা পুস্তক নামক মাথা নোয়ানো বাণী পেটস্থ করে,
অর্জন করেছি সম্মান ডিগ্রী ।
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে ইঞ্জিনিয়ার পড়েছি.
গোয়ার নিচে রাখা মোটর বাইক বিকল হলে,
ধাক্কা মেরে কুত্তার মত জিব বের করে যে ম্যাকানিকের হাতে তুলে দিয়েছি,
সে ম্যাকানিক ইসকুল মাঠের ঘাসও মাড়াইনি কখনো।
আঠাঁশ বছর খাটাশের মত বিদ্যা অর্জনের যে সনদ হাতে,
তাতে থোড়াই কেয়ার করে, নতুন গিয়ারে বোকচোদ গারদের মত -
গপাগপ পেটস্থ শুরু।
নতুন কেরানি-চাকরির বাজারের নিজেকে নিলাম করতে-
পরিমিতি সূত্রের সাথে মূত্রের উপাদান পেটস্থ করে বমি করার প্রস্তুতি।
ভূগোল পড়ে, ইতিহাসের দাদাদের জন্ম-মৃত্য গিলে-উগ্রে
তুমি হবে ডাক বিভাগের মাস্টার বা অফিস পিওন।
রসায়নের সনদ হাতে পুলিশের লাইনে খাড়াই চলছে যাচাই-বাচাই।
উদ্ভট-উক্তট মাথা মোটা- পেট মোটারা- সোনার বাংলার, সোনাকাটা-বিচীবিহীন কুকুর ভক্ত শ্রেণী গড়ার নতুন নীতির নকশা বানায়।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এসব নকশাকারী রাজনৈতিক নিজেকে খাড়া করতে,
বিলাসী কাচে ঘেরা রেশমি চুলের অপশরীর স্পেন অলিভ মলিশে চলে বিশেষ মর্দন।
কালো কাচের শিতাতাপ নিয়ন্ত্রণ গাড়ির ভিতর থেকে চোখে পড়ে দেশের উন্নয়নের জোয়ার।
বাইশ বা বত্রিশ তলা ভবের চকচকে কাচের নিচে চাপা লাখো শ্রমিকের গায়ের ঘাম, কিংবা মাটিতে চাপা পড়া শ্রমিকের কান্না ভেদ করে না গাড়ির কালো কাচ।
বাজারের দাম কিংবা দুমুঠো ভাত যোগাতে যুবকের ঘাম কোনটাই ঠাই নেয় সেখানে।
বিদেশি শ্রমিকের মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে সোনার বংলার রেমিটেন্স বৃদ্ধি !
বাবুদের দেশের বাইরে পাচারের নতুন নতুন বুদ্ধি,
সাথে অভিজাত পরিবেশে লাল পানিতে আত্তশুদ্ধি।
ত্রিরিশ বছর বালমুখি পেটস্থ শিক্ষা নিয়ে কেরানী হবার স্বপ্ন বুকে,
স্বপ্ন ভঙ্গের শেষে এই দরবেশের দেশে-
সিলিং, কিংবা বিষের বোতলে বিসর্জন স্বপ্ন পরিবার, সমাজ ।
মৃতু্র পর বুড়ো খাটাশের শোক-প্রকাশ, আগের লেখাতে শুধু নামের পরিবর্তন।
ষাট কিংবা সত্তরে, কচি পাঠার মাংস খাওয়া কচি রাজনৈতিক মন্ত্রিত্ব পাবার তারুণ্য।
আশি বছরের পাঠা বাল পেকে সাদা, চুলে কালি মেরে দেশ চালায় মানুষকে ভাবে গাধা।
অন্যদিকে কুত্তার মত মেরুদন্ড বাকা করা ত্রিরিশ পেরনো,
শিক্ষা নিয়ে ভিক্ষা করতে না পারা যুবক অযোগ্য ঘোষণা।
সোনার বাংলার কেরানী বানানো পেটস্থ শিক্ষা নামে বধ্যভূমিতে ব্যাঙাচি তুমি।
শিক্ষার যে গদ বাধা পেটস্থ নীতী, মস্তকহীন, বিবেকহীন, চরিত্রহীনদের বমি করার সক্ষমতায় চাকুরি পাবার মাপকাঠি।
সক্ষমতার তুল্য সেখানে, অক্ষমতার সমতুল্য।
মাসিক চটি পুস্তক গিলে বমি করা যদি হয় যোগ্যতা ,
ইসকুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠান না রেখে চটি গলব্ধকরণ পাঠশালা খুলে দিলে বরং উন্নত বমি শ্রেণীর উপশি ফলন হত।
পোষ্য কুত্তার মত জি-হুজুর ধ্বনিতে, নিজেকে প্রমাণ করার নোংরা প্রতিযোগিতা!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মক্ষেত্রে।
শিক্ষার এ রীতি উন্নত কুকুর গড়ার উৎকৃষ্ট নীতি।
লেখক সংক্ষেপ :
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন