উপন্যাস : বেশ্যা
কবি : অর্পিতা ঘোষ চক্রবর্তী
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : অক্টোবর ২০২০
পশ্চিমবঙ্গের তরুণ লেখিকা অর্পিতা ঘোষ চক্রবর্তীর “বেশ্যা” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২০ইং সালের ৩রা অক্টোবর থেকে লেখা শুরু করে শেষ করেছেন একই সালের ১০ই অক্টোবর।
![]() |
বেশ্যা || অর্পিতা ঘোষ চক্রবর্তী |
৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন
বেশ্যা || অর্পিতা ঘোষ চক্রবর্তী (পর্ব - ৫ ও শেষ পর্ব)
কথায় আছে পয়সায় করে কাম হয় মরদের নাম। চন্দ্রানীর রূপের বাহারেই এতদিনে প্রমাণ পাচ্ছিল সবাই যে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ফিরে এসেছে। অর্থাৎ সুখের সংসার তিন মা বোনের। ইন্দ্রানীর চিকিৎসা হচ্ছে মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে। এক একটা কেমোতে খরচ প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি। ইন্দ্রানী মোটামুটি সুস্থ, তবে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়েই যেতে হবে। চন্দ্রানীরা পাড়ার টিনের বাড়িটা ছেড়ে শহরের ফ্ল্যাটে চলে এসেছিল প্রায় এক বছরের মধ্যেই।
ইতোমধ্যে চন্দ্রানীর রুপে মুগ্ধ হয়ে শহরের এক বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট তাকে পার্মানেন্টলি ক্লাইন্টের মনোরঞ্জনের জন্য নিয়োগ করেছিল অনেক টাকার বিনিময়ে। টাকার আর কোনো অভাব ছিল না। শহরের নামকরা অঞ্চলে বিলাসবহুল সুসজ্জিত ফ্ল্যাট। খাওয়া পড়ার জন্য যাদের একদিন অনেক অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল, তারা তখন একশ জনকে খাওয়ানোর ক্ষমতা রাখে। চন্দ্রানীর মা সব কিছু বুঝতে পেরেও চুপ থাকত। তার কারণ ইন্দ্রানীর চিকিৎসা আর দারিদ্রতা থেকে মুক্তির একমাত্র পন্থা ছিল চন্দ্রানীর রোজগার।
জয়িতা একইভাবে চন্দ্রানীর সাথেই ছিল প্রতিটা কাজে, প্রতিটা ক্লাইন্টের কাছে পৌঁছানোর আগমুহূর্ত পর্যন্ত। তবে টাকার ভাগ নিতেও ভুলতো না কখনোই। চন্দ্রানী এতদিনে হায়ার সোসাইটিতে চলাফেরা করা শিখে গেছে। তার সাজগোজ চলাফেরাতে আমূল পরিবর্তন। দিন দিন রূপ যেন আরও বেড়ে যাচ্ছিল তার। পোশাকে পুরোপুরি আধুনিকতার ছোঁয়া। দামী দামী জিনিসের বহর তার আশেপাশে। সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে চন্দ্রানী দশভূজা। কিন্তু বেশ্যা যতই সুন্দরী, শিক্ষিত বা পেটের দায়ে হোক না কেন সমাজ তাকে খারাপ নজরেই দেখবে। একটা মানুষকে সমাজ কখনই তার ইতিহাস দিয়ে বিচার করে না, তার বর্তমান দিয়েই বিচার করে। সব অর্জন করার পরেও চন্দ্রানীর পরিচয় সে শহরের একজন নামকরা বেশ্যা।
প্রতিটা পুরুষ রুপী নরপিশাচ তাকে টাকার বিনিময়ে ভোগ করে। যত টাকা দেবে ঠিক ততটা উশুল করেও নেয়। যারা যৌনতা দিয়ে পারে না তারা খামচা খামচি, কামড়া কামড়ি করে উশুল করে। আমাদের সমাজে বেশ্যা দেখা যায়। আমরা আঙ্গুল তুলি বেশ্যা বলে। কিন্তু তার বেশ্যা হওয়ার পেছনের ইতিহাস গুলিয়ে দেখিনা। চন্দ্রানীর ইতিহাসও কেউ জানতে চায়নি, সে জানতেও চায়নি কাউকেই। চন্দ্ৰানী অনেক টাকা ইনকাম করত ঠিকই, কিন্তু কোথাও যেন খুব বেশি পরিমাণ একা। যদিও সে আগাগোড়াই একা, তবুও কোথাও যেন তপনের সাথে সংসার টাকে মিস করত।
মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে পাড়াতে এসে দূর থেকে তপনকে দেখে আবার চলেও যেত। তপনের শরীর আগের থেকে বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। তপন অনেকটাই বুড়ো হয়ে গেছে। সবই খেয়াল করত সে। প্রায় দিনই চন্দ্রানী তপনকে দেখতে আসতো তবে দূর থেকেই। একদিন হঠাৎ করেই রুপনের মুখোমুখি হয়ে যায়। রুপন গাড়ির সামনে এসে তাচ্ছিল্যপূর্ণভাবে হেসে বলেছিল, “আরে ম্যাডাম যে? এখানে কি করছো তুমি?” চন্দ্রানী কোনো কথা না বলে ড্রাইভার কে বলেছিল, “চলো এখানে আর দাঁড়ানো যাবে না।”
শহরের যে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের হয়ে চন্দ্রানী কাজ করত, একদিন তার অফিসে গিয়ে সে রুপন কে দেখতে পায়। রুপন চন্দ্রানীকে দেখে থতমত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যায়। চন্দ্রানী কোম্পানির মালিকের কাছে আর্জি জানায় যে রুপনকে এক্ষনি কাজ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। কোম্পানির মালিকও আর দেরি না করে রুপনকে ডেকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেয়। রুপনের স্ত্রী তখন সন্তান সম্ভবা। সেদিন চন্দ্রানী এক অপার্থিব শান্তি অনুভব করে নিজের মনের ভেতরে।
চন্দ্রানী নিজের মানসিক শান্তির জন্য বৃদ্ধাশ্রম, অনাথ আশ্রমে মাঝে মাঝেই যেত। তাদের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজ নিত। তাদেরকে সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করত। ওদের জন্য করে নিজের মনের পাপবোধটাকে হয়ত একটু কমানোর চেষ্টা করত সে। এদিকে টানা একবছর চিকিৎসার পরে ইন্দ্রানীর লাস্ট চেকআপের রেজাল্টে ডাক্তার বলে, ইন্দ্রানীকে কিছু মেডিসিন আজীবন চালিয়ে যেতে হবে আর ক্যান্সার আবার ঘুরেফিরে আসতেও পারে। ওদের মা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল, তবে বেশ ভালোই ছিল।
ইতিমধ্যেই এক নামকরা ব্যবসায়ী চন্দ্রানীকে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিল। চন্দ্রানী না করে দিয়েছিল পরিষ্কার ভাষায়। সে বলেছিল, “দেখুন স্যার, আমি একজন বেশ্যা। আমার সাথে আপনার শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া আর কিছুই সম্ভব না। আপনি যদি শরীর চান আমি দিতেই পারি, কিন্তু মন জিনিসটাইতো আমার নেই। সেটা আমি আপনাকে কিভাবে দেবো বলুন তো?” ব্যবসায়ী আর কোনো কথা বলতে পারেনি সেদিন।
একদিন পাড়ার মধ্যেকার বাড়িটা বিক্রি করতে এসেছিল চন্দ্রানী লোকজন নিয়ে। সেদিন দেখলো পাশের বাড়ির বিল্টু কত বড় হয়ে গেছে। বিল্টুকে কাছে ডেকে একটা চকলেট কিনে দিতে বিল্টুর মা তাকে যাচ্ছেতাই অপমান করেছিল। বিল্টু কিন্তু একটুও অসম্মান করেনি তাকে। বরং তার হাত থেকে চকলেটটা নিয়ে জড়িয়ে ধরেছিল। ঘরের ভেতর থেকে একজন বয়স্ক লোক উকি মারছে দেখতে পেয়েছিলো চন্দ্রানী। ভালো করে লক্ষ্য করতে সে বুঝতে পারল ওটা বিল্টুর বাবা। হাই সুগারে দুটো কিডনি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ডায়ালিসিস চলছে আর দিন গুনছে পরপারে যাবার।
সেদিন একটু খারাপ লাগলেও স্বস্তি পেয়েছিলো সে। মনে মনে ভেবেছিল এই জন্মের পাপের ফল জন্মেই পেতে হয়। বিল্টু ক্লাস সিক্সে পড়ে। ছোট বিল্টু চন্দ্রানীকে বলেছিল, “জানো আন্টি, মা বলে তুমি নাকি খারাপ, তুমি নাকি নোংরা মেয়েমানুষ, তুমি নাকি বেশ্যা, আচ্ছা আন্টি বেশ্যা মানে কি গো?”
সেদিন চন্দ্রানী বিল্টুকে কোনো জবাব দিতে পারেনি। শুধুমাত্র দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরেছিল। বিল্টু দুহাত দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলেছিল থাক আন্টি তোমাকে আর বলতে হবে না। চন্দ্রানী বলেছিল, “বিল্টু তুই আগে বড় হ তারপর তোকে আমি বলব বেশ্যা মানে কি!”
চন্দ্রানি তাদের পুরানো বাড়ি বিক্রির কথা বার্তা বলে বাড়িতে ফিরে এসেছে। স্নান সেরে নিয়ে এক কাপ কফি হাতে ব্যালকনিতে বসে বসে নীচের লোকজন দেখছে আর ভাবছে, কি আশ্চর্য এ সমাজ ব্যবস্থা। এই সমাজে একজন মেয়ে টাকার বিনিময়ে শরীর দিলে সে বেশ্যা হয়ে যায়, অথচ ভালোবেসে দিলে সতী। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটাও তো বিনিময় প্রথাতেই চলে। অর্থাৎ মেয়েরা শুধু ত্যাগ করবে, দিয়ে যাবে। যখনই বিনিময়ে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করবে, তখনই তার গায়ে বেশ্যার তকমা লাগিয়ে দেবে। এই নিষ্ঠুর সমাজ তাকে অস্পৃশ্য করে রাখবে সব কিছুর থেকে! সমাজের সো কল্ড ভদ্র বাড়ির লোকেরা তাদেরকে আড়চোখে দেখে ফিসফিস করে বলবে, ওই যে ওই মেয়েটা দেহব্যবসায়ী। কিন্তু দেহব্যবসায়ী বেশ্যা মেয়েটা যে তাদের সুন্দর মুখোশ পরা সমাজের কলঙ্ক নিজের মাথায় মেখে তাদেরকে শাপমোচন করছে তা ভাবার সময় আর মানসিকতা কোনোটাই সমাজে বসবাসকারী মানুষগুলোর নেই।
বেশ্যা বৃত্তির জন্যই সমাজে আজও হয়ত মেয়েরা টিকে আছে। তার কারণ হল সমাজের ভদ্র লোকগুলোর যৌনলালসা কিছুটা বেশ্যারা নিজেদের শরীরে বহন করে চলছে। সমাজে যদি বেশ্যারা না থাকত তাহলে হয়ত দিন দুপুরে আরও কত শত মেয়েকে ধর্ষিত হতে হত, তা শুধুমাত্র ভগবানই জানেন।
একাধিক যৌন সম্পর্ক করলে যদি কোনো মেয়ে বেশ্যা হয়ে যায়, তাহলে একাধিক যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া পুরুষরা কি? ঘরের মধ্যে, ঘরের বাইরে যখন মেয়েদেরকে একের পর এক যৌন হয়রানির স্বীকার হতে হয়! কেউ জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত করে! তখন সে কেন বেশ্যা হয় না? যখনই একটা মেয়ে নিজেরটুকু বুঝে নিতে চাইবে বিনিময়ে শরীর দেবে তখনই তাকে কেন বেশ্যা বলা হবে?
এসব প্রশ্ন চন্দ্রানীর মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় কলিংবেল বেজে উঠল। চন্দ্রানী হাতের কফির কাপটা রেখে দরজা খুলতেই দেখে, রুপন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে তার কাছে এসেছে। এসেই চন্দ্রানীর পা দুটো জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইছে। আর বলছে আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। আমার ওপর এখন কোনো প্রতিশোধ নিও না। দয়া কর আমাদের ওপরে একটুখানি। ঘরের ভেতর থেকে ইন্দ্রানী রুপনের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে বের হয়ে এসেছিল। ইন্দ্রানীর মাথায় একটাও চুল নেই। শরীর অসুখের সাথে যুদ্ধে প্রায় শেষ। বেঁচে আছে এটুকু টাকার জোরে। রুপন ইন্দ্রানীকে দেখে ইন্দ্রানীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইল। কিন্তু ইন্দ্রানী কোনো কথা বলতে পারল না। শুধু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল ইন্দ্রানীর। চন্দ্রানী রুপনের সাথে আর কোন কথা না বলে বাড়ি থেকে সোজা বেরিয়ে যেতে বলল। রুপনের কোন কথার কোন প্রতিক্রিয়া ওদের দুই বোনের মধ্যে দেখা গেল না। তার কারণ আজ সবকিছুর জন্য হয়তো ভাগ্যের সাথে সাথে রুপনই দায়ী। পুরনো সব কথা গুলো একের পর এক স্মৃতির মণিকোঠায় চারনা হতে থাকলো। চন্দ্রানী রুপনকে শাসিয়ে দিয়ে বলেছিল আর যেন কোনোদিন তাদেরকে ফ্ল্যাটের ত্রিসীমানায় দেখা না যায়।
ওদিকে তপনের প্রতি চন্দ্রানী শ্রদ্ধাশীল। তপনের ঋণ হয়তো চন্দ্রানী কোনদিন শোধ করতে পারবে না। তাই হঠাৎ সে তপনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিল একদিন। চন্দ্রানীকে দেখে তপন অবাক হয়েছিল এবং অপমান করতে যাবে এমন সময় চন্দ্রানী বলে উঠলো, “আমার তোমাকে আজও কিছু বলার আছে। সেদিন বলা হয়নি। তবে আজ হয়তো আমি বলতে পারবো! তপন সেদিন আমার কোন দোষ ছিলনা। আমি কোন অপরাধ করিনি। আমি অপরাধের শিকার হয়েছিলাম। আমি ভয় পেয়েছিলাম যদি তোমার আমার সম্পর্কটা ভেঙে যায়। তবে তোমার উপর আমার কোন ক্ষোভ নেই। তার কারণ তুমি যা চোখে দেখেছিলে তাই বিশ্বাস করেছিলে, কিন্তু আজও আমি একই কথা বলবো আমি অপরাধ করিনি আমি অপরাধের শিকার হয়েছিলাম।”
তপন হয়তো চন্দ্রানীর কথা বুঝতে পেরেছিল। হয়তো তপনের মনে মনে অনুশোচনা হচ্ছিল। চন্দ্রানী সব কথা বলে যখন বাড়ি থেকে বের হতে যাচ্ছিল তখন তপন বলেছিল, “না গেলে হয়না চন্দ্রানী? আমরা কি আবার আগের মতো সংসার করতে পারিনা? তুমি কি থেকে যেতে পারোনা এই বাড়িতেই আমার কাছে?” চন্দ্রানী বললো, “না, তা আর হয় না তপন। কারন আমি এখন শহরের নামকরা বেশ্যা। আমি আনন্দ দিতে পারি, সংসার করতে পারিনা। আমি রূপ দিয়ে মুগ্ধ করতে পারি, কিন্তু কারোর ঘর সাজাতে পারি না। আমি প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু নিজের মধ্যে বহন করতে পারি, কিন্তু কারও মা হতে পারি না। কারণ আমি বেশ্যা। তপন চিৎকার করে উঠে বলেছিল, “না না না, তুমি বেশ্যা নও তুমি পৃথিবীর সব থেকে পবিত্র নারী।
চন্দ্রানী হো হো করে উচ্চস্বরে হেসে উঠেছিল। তার এমন হাসি কেউ আর কোনদিনও দেখেনি, তার হাসির আওয়াজে যেন চারিদিক মুখরিত হচ্ছিল। তার হাসি যেন সমাজের মুখে একটা থাপ্পর। বেশ্যা কথাটা দুই অক্ষরের একটা শব্দ যার অন্তর্নিহিত অর্থ হয়ত ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। বেশ্যা কথাটার অর্থ শুধুই অনুভব করতে হয়। সমাজের কলঙ্কিত এক নারী, যে পরোক্ষ ভাবে সমাজের কাজই করছে। সমাজ সেবাতেই সে ব্রতী। অথচ কত তাচ্ছিল্য কত অপমান কত নোংরামো তাকে সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বেশ্যারা খারাপ নয়, যারা মানুষটাকে বেশ্যা বানাচ্ছে তাদের কে খারাপ বলতে শিখুন।
সমাপ্ত
লেখক সংক্ষেপ :
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন