উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
১১তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১২)
নিলয়ঃওয়ারদা আমরা আসতেসি দরজা আটকাও।
বলেই গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে গেল আরাফ আর নিলয়।
ওয়ারদাঃএত রাতে আবার কই গেল এরা।ধুর আমি রেডি হই যেয়ে।
তিশাঃআপু ভাইয়া কই গেলো?
ওয়ারদাঃআরে তৈরী হয়ে নে।আরাফ ভাইয়া আর নবনির বিয়েতে যাবো।
তিশাঃএতো রাতে বিয়ে।
ওয়ারদাঃহ্যা। চল রেডি হতে হতে তোকে বলি।
রাজ খান নিজ হাতে বোনের জন্য বাসাটা টুকটাক সাজালো।যখন ঘুম থেকে উঠে শুনলো বোনের বিয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করলো না।পরে বাবার কাছে সব শুনে উঠে পরে লাগলো।মা যাওয়ার পর এই বোনই তাকে আগলে রেখেছে। কখনো বুঝতেই দেয়নি। যে মা নেই।আর আজকে তার বিয়ে। এরপর হয়তো আর একসাথে সময় কাটানো হবে না।এসব ভাবতেই চোখে পানি এসে পরলো।
রাজ খানঃনা না। মেয়েদের মতো কান্না করা যাবে না।AV এসে পরবে। তার আগে সব কাজ শেষ করতে হবে।Oh No.আমিই তো ভুলেই গিয়েছি।
আসাদ খানঃকি হয়েছে!!কি ভুলে গেছ?
(আসাদ খান ও রাজ এর সাথে বাসা সাজাতে সাহায্য করছিল।)
রাজ খানঃআপুই মেহেদি লাগায় নেই।নিজের বিয়েতে মেহেদি পরবে না।এ কী করে হতে পারে।
আসাদ খানঃতাই তো।কিন্তু এতো রাতে মেহেদী কই পাবো?!!
রাজ খানঃমেহেদী তো আপুর রুমেই আছে। তুমি আপুকে নিয়ে এসো।আমি মেহেদী নিয়ে আসছি।
আসাদ খান নবনির কাছে গেল।
আসাদ খানঃনবনি রান্না হয়ে গিয়েছে?
নবনিঃহ্যা আব্বু। আলহামদুলিল্লাহ সব কাজ শেষ।😊
আসাদ খান নবনিকে টেনে বাইরে নিয়ে আসলো।
নবনিঃআব্বু কই নিয়ে যাচ্ছো?!!
রাজঃআব্বু মেহেদি নিয়ে এসে পরেছি।
নবনি একবার রাজের দিকে তাকাচ্ছে তো আর একবার বাবার দিকে।
নবনিঃকি হচ্ছেটা কি?!!!
রাজঃতুমি বিয়েতে মেহেদি দিবে না বুঝি।
নবনিঃকিন্তু এটাতো লাল হবে না এখন।রেডি হতে হবে। কত কাজ আছে।
আসাদ খানঃসব কাজ হবে।আগে মেহেদী লাগাবা তারপর তুমি সাজতে যাবা। Thats Final . Now sit here quietly.
নবনি বাবার মুখের উপর কথা বলতে পারবে না।তাই বসে গেল।দুইজনে দুই হাত নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে মেহেদী লাগাচ্ছে।দেখে মনে হবে ইনারা পাক্কা আর্টিস্ট। কিন্তু পারছে ঘোড়ার ডিমটাও না।তাও যে যার মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।সাথে আবার ফোন ও আসে।ডিজাইন দেখে দেখে লাগাচ্ছে।নবনি প্রাণ ভরে হাসছে এদের কান্ড দেখে।হাসতে হাসতে আম্মুর কথা মনে পরে গেল।ছোটকালে নবনি মেহেদি লাগাতে পারতো না বলে তার আম্মু হাত পেতে দিয়ে বলতো~
তুই তোর ইচ্ছে মতো লাগা।আর লাগাতে লাগাতেই তো মানুষ শিখে।তুই ও একদিন শিখে যাবি।
এখন নবনি শিখে গেছে কিন্তু লাগানোর জন্য ওই হাতটা নেই।চোখে জল আসার আগেই নবনি নিজেকে সামলে নিল।কিছু জল কাউকে দেখানো যায় না।
রাজঃআপুই তাকাও দেখো আমি লাগিয়ে ফেলেছি।নবনি মেহেদি দেখে হা হয়ে গেল।মেহেদি ঠিক আসে সেটা কথা না কিন্তু কথা হলো মেহেদীতে ARAFS Queen লিখা।নবনির খুব লজ্জা পেল।তারপরই নবনির বাবা বলল আমার টাও শেষ।নবনি এই বার আর এক দফা অবাক হলো।এইখানে হাতে লিখে Arafs Oxygen.
নবনিঃআব্বু মানুষ আবার অক্সিজেন কিভাবে হয়?!!!
আসাদ খানঃআরাফ বলসে। আরাফ বললে সব হয়।
নাবনিঃতুমি একটু বেশি আরাফ আরাফ করছো না???
আসাদ খানঃতুই রেডি হতে যা।আরাফ এসে পরবে।
আমরা এসে পরেছি।নবনি তাকিয়ে দেখলো আদর চৌধুরী আর নীলিমা চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছেন।সাথে অনেক গুলা চাকর আর তাদের হাতে অনেক কিছু।
আসাদ খানঃআরে বিয়াই। আসেন আসেন।
নবনিঃআসালামু আলাইকুম।Uncle.
আদর চৌধুরীঃওয়ালাইকুম আসসালাম।আর uncle কি!! তুমি জানো আরাফ যে দ্বিতীয় একমাত্র বাবা পাতাইসে।আর তুমি এখনও Uncle এই আটকে আসো।
নবনিঃSorry বাবা।
আদর চৌধুরীঃমা তোমার জন্য সব নিয়ে এসেছি। তুমি তৈরী হয়ে নাও।
নবনিঃএতো রাতে এগুলা কই পেলেন?
নিলীমা চৌধুরীঃআর বইলো না।
আমরা যখন বের হলাম তখন ইনি আমাকে নিয়ে শোরুমে গেল।আর শোরুম ইনি ম্যানেজারকে ধমকিয়ে খুলিয়েছেন।না খুললে নাকি ওই শোরুম ই উড়িয়ে দিবেন।
আদর চৌধুরীঃআমার ছেলে বউ যেখান থেকে বিয়ের দিন পড়ার কাপড় পাবে না।আমি সেই শোরুমই বোম মেরে উড়িয়ে দিবো।
আসাদ খান আরা রাজ একসাথে হেসে দিল।
নবনিঃএইজন্যই আরাফ এমন হয়েছে।
আদর চৌধুরীঃরাজ নবনিকে নিয়ে রেডী করে নিয়ে আসো।আরাফ এসে পরবে।
নবনি উপরে গিয়ে সব দেখতে লাগলো।সব কালারের বিয়ের লেহেঙ্গা আছে।নবনি বুঝতেই পারছে না।কোনটা পরবে।পরে হোয়াইট কালারের লেহেঙ্গাটা পরলো।তারপর সাজগোছ জিনিস দেখে হা করে চেয়ে থাকলো।Half Mall ই এখানে আছে।জুতা চুড়ি গয়না লিপষ্টিক কাজল ব্যাগ সহ মেয়েদের যাবতীয় সব কিছুই আছে।কোনটা ছেড়ে কোনটা পরবে সেটাই বুঝছে না।
নিলীমা চৌধুরীঃআমি সাজিয়ে দিচ্ছি।
নবনিঃমা আপনি!?
নিলীমা চৌধুরীঃহুম। আমি আজকে আমার মেয়েকে সাজিয়ে দিবো।~বলে তিনি যত্ন সহকারে সাজানো শুরু করলেন।
নবনি ভাবসে আম্মু যাওয়ার পর যে কষ্ট পেয়েছি আল্লাহ তায়ালা সেই কষ্টের প্রতিদান এভাবে দিবে কখনো ভাবতেও পারি নেই।
আরাফঃনিলয় আমরা কোথায় যাচ্ছি?
নিলয়ঃআর কই কাজীর বাড়ি। বেটারে আজকে Kidnap করবো।কত বড় সাহস কল ধরেনা।
আরাফঃতুই চিনোস!!
নিলয়ঃচিনবো না কেন?!!নাম এসে পরছি।
আরাফ আর নিলয় কলিংবেল দিলো কেউ খুললো না।
নিলয়ঃচল ভেঙে ফেলি।🤨
আরাফঃ😒আর মানুষ চোর মনে করে আমাদের দৌড়ানি দিক।রাতের ১ঃ২০ বাজে।
নিলয়ঃতো কি করবো। বেটা খুলছে না তো।
আরাফ আরো কতক্ষন কলিংবেল বাজালো৷
কিন্তু কেউই খুলছে না।
আরাফঃদোস্ত।যা হবে দেখা যাবে।চল ভাংগি।
১ ২ ৩ বলে যেই ভাংবে তখনই একটা মোটা লোক এসে গেট খুললো।
আরাফ আর নিলয় মোটা লোকটার উপর পরতে পরতে বাচলো।
নিলয়ঃএইটাই কাজী।
আরাফঃএটা দেখি বিয়ের খাবার খাইতে খাইতে বেলুনের মতো ফুলে গেসে।
নিলয়ঃ☺️চলুন।আপনার আমার বন্ধুর বিয়ে পরাতে হবে।
কাজীঃএত রাতে কিসের বিয়ে।তোমরা পাগলাগারাদ থেকে ছুটে এসেছ নাকি।আমি এখন ঘুমাবো।যাও তোমরা।বলেই যেই গেট লাগাতে যাবে নিলয় আর আরাফ ভিতরে ঢুকে পরলো।
নিলয়ঃআমাদের কাছে সময় নেই। যাবেন কি না বলেন?!!!
কাজীঃনা।
নিলয় সাথে সাথে বন্দুক বের করে মাথায় ঠেকালো।
নিলয়ঃযাবি না। মানে!! তুই না করিস কি করে। তোর আর বিয়েই পরাতে হবে না।এখনি তোকে মেরে গুম করে দিবো।কেউ খুজেও পাবে না।
কাজী ভয়ে কাপতে লাগলো।
আরাফঃকি করছিসটা কি!!
নিলয়কে টেনে সাইডে নিয়ে আসলো।
আরাফঃনিলয় পাগলামি করিস না। কখনো কি দেখেছিস ডাক্তারকে ধমকায়া চিকিৎসা করাতে। পরে পেটে কিছু রেখে সেলাই করে দেয়ার ভয় থাকে।
নিলয়ঃকি বলছিস ডাক্তার আসলো কোথা থেকে?
আরাফঃবলদ। তুই যে কাজীকে ধমকাচ্ছিস পরে উল্টা পাল্টা বিয়ে পরিয়ে দিলে।পরে এই দুনিয়া ওই দুনিয়ে দুটোতেই নবনিকে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
নিলয়ঃআর কিছুই হবে না।এই বেটার এতো সাহস নেই। তুই চল।
আরাফঃতুই চুপ থাক।আমি দেখছি।
নিলয় চুপ করে দাঁড়িয়ে আসে।
আরাফঃদেখেন খুব দরকার না হলে এমনটা করতাম না। প্লিজ চলুন।আপনাকে এতো টাকা দিবো যে আপনি একমাস ঘুমাতে পারবেন।প্লিজ চলুন।
নিলয় আরাফের নেকামি দেখে রাগে ফুসছে।আর কাজী আরাফের বিনম্রতা দেখে আরো বেকে বসলো।
কাজীঃনা। আমার ঘুম আগে আমি যাবো না। আপনারা চলে যান।
আরাফ এইবার নিজের ডান পকেট থেকে বন্দুক বের করে কাজী পেটে ধরলো।আর নিলয়তো এই সুযোগেই ছিল।সে ও দেরি না করে বন্দুকটি মাথায় ঠেকালো।
নিলয়ঃআজকে তোর খুলি উড়িয়ে দিবো।🤬
আরাফঃপেটে অনেক চর্বি জমছে না।আজকে সব চর্বি বের করে ফেলবো।😡
কাজী বেচারা আর কি করবে।এ যে রাতারাতি কাজী ডাকাতী হচ্ছে।
কাজীঃ চলুন।কোথায় যেতে হবে।
আরাফ আর নিলয় স্বস্তি পেল।
কাজিকে গাড়িতে নিয়ে তারা নিলয়ের বাসায় গেল।তারপর ওয়ারদা আর তিশাকে নিয়ে নবনির বাসার কাছে এসে পৌছালো।
নিলয়ঃআরাফ তুই ভিতরে যা। আমরা আসছি।
আরাফঃএই যে কাজী আপনি ঠিকমতো বিয়ে পরাবেন।না হলে আপনাকে আজকেই জাহান্নামে পাঠিয়ে দিব।
কাজীঃজী জী।
আরাফ ভিতরে গিয়ে সবাইকে দেখতে পেল।
আসাদ খানঃকাজী কই?!!
আরাফঃআসতাসে।
সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো কাজী আড়াইমনের শরীর নিয়ে আস্তে আস্তে আসছে।
আদর চৌধুরীঃদেশে কি কাজীর অভাব পরছে।এটা কারে নিয়ে আসলি?!!
আরাফঃ😒
আসাদ খানঃএখন তুমিও রেডি হয়ে আসো আরাফ।
আরাফঃকাপড় তো আনতে ভুলেই গেসি।এখন আমার কি হবে।আমার বাপেরও তো ক্ষমতা নাই এখন কাপড় এনে দেয়ার।🥺
আদর চৌধুরীঃকে বলছে তোর বাপের ক্ষমতা নাই।আদর চৌধুরীর ক্ষমতায় কখনো Doubt করতে হয় না।কাপড় আমি নিয়ে এসেছি।😏
নিলীমা চৌধুরীঃএই নাও।তোমার কাপড়। যাও রেডি হয়ে এসো।
আরাফঃThank you আম্মু।তুমি কতো ভালো। তুমি না থাকলে আমার কি হতো।
আদর চৌধুরীঃহ্যা।আমিতো খালি শত্রু।বাকি সবাই ভালো।
আরাফ তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো।you are best Father ever.
রাজঃ AV আমার সাথে আসো।আমার রুমে রেডি হও।
নিলয়ঃকাজী সাহেব।আপনি বসে সব রেডী করেন।আমি আরাফকে নিয়ে আসছি।আর হ্যা যদি কোনো উল্টা পাল্টা করছেন তাহলে মনে আছোতো?!!
কাজীঃজি আমি সব করছি।আপনি যান।
(লেখিকাঃজান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান)
আরাফঃআমাকে কেমন লাগছে?শালা সাহেব।White Sherwani তে আরাফকে হিরো থেকে কম লাগছে না।
রাজঃমাশাআল্লাহ Av. You are looking damn handsome.
নিলয়ঃবুঝতে হবে।বন্ধুটা কার!!😎
আরাফঃরাজ তুমি আমাকে AV বলছো কেন?!!
রাজঃAv means Araf Vaiya😎😍
আরাফঃIts cool.কিন্তু এখন তাড়াতাড়ি চলো।আমার বিয়ে আমাকে ছাড়া হবে না।জলদি চল তোমরা।
রাজঃহা হা হা।নিলয় ভাইয়া তুমি AV কে নিয়ে নামো।আমি আপুইকে নিয়ে আসছি।
নবনি ও হোয়াইট কালারের লেহেঙ্গা মেচিং অরনামেন্টস পরেছে।অনেক সুন্দর লাগছে তাকে।
ওয়ারদাঃআজকে তো ভাইয়া তোকে দেখে পুরা ফিদা হয়ে যাবে।
রাজঃআপুই চল।ভাইয়া রেডি।
রাজ নবনির এক হাত ধরে নিচে নিয়ে যাচ্ছে।
নিলয়ঃআরাফ তুই আজকে শেষ।
আরাফঃকার এতো সাহস আরাফ চৌধুরিকে শেষ করবে।
নিলয়ঃমিসেস নবনি চৌধুরী।
আরাফঃকই কই কই!!কত বছর ধরে দেখি না। 🥹নিলয়ঃসিড়িতে তাকা।
আরাফ সিড়ির দিকে তাকালো।নবনি নামছে।নবনিকে একদম পরীর মতো লাগছে।
আরাফঃহায়।
আরাফ বুকে হাত দিয়ে পরে যেতে নিল।নিলয় ধরলো।
আরাফকে নিলয় একটা গিটার দিল।দোস্ত আমি আসার সময় নিয়ে এসেছিলাম।আজকে ভাবীকে গানের প্রতিভাটা দেখিয়ে দে।
আরাফ গিটারে সুর তুলে~
Tere Duriya Mujhpe Gunah hai
Dil chahat iski gawah hai
Mere duniya teri fana hai
Yeh isq ne mujhse kaha hai
Kuch mujhme tu aisa basa hai
Koi mujhme na meri jaga hai
Kuch dekhu tu tu dekhta hai
Mere akho mai teri nigah hai
আরাফ নবনির হাত ধরে সিড়ি দিয়ে নিচে নামালো।
Tujhse bichar ke ba khuda mai yaha
Zina sakunga Ek lamha.
আরাফ হাটু গেড়ে বসে নবনি রিং ফিংগারে রিং পরালো।
Aram ata hai dedar se tere.
Met jata hai sare gam
Hay ye dua ki tujhe dekte dektehi hi nekal jaye dam.
নবনির বাবা নবনিকে রিং দিলো।নবনিও নিচে বসে আরাফকে রিং পরিয়ে দিলো।
তারপর নবনি গান ধরলো~
Sukrana chahe mai kitna vi karlu ki
Phir bhi rahega wo kam
tera tasavur mujhe deke mowlane mujhpe kiya hai karam.
(বাকি লাইন নিজ দায়িত্বে শুনে নিয়েন।)
সবাই হাত তালি দিতে শুরু করলো।
আরাফ নবনিকে বসানো হলো।তারপর কাজী আরাফ নবনিকে কবুল বলতে বলে।
নবনি কিছু বলছে না।কেন জানি ওর চোখ উপড়ে কান্না পাচ্ছে।সে তার বাবার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে।আরাফের খুব অভিমান হলো সে কি খেয়ে ফেলবে নাকি নবনি বিয়ে করে।আরাফ রেগে বললো
আরাফঃনবনি আমি কি চলে যাবো।
নবনি বুঝতে পারে যে আরাফ রেগে যাচ্ছে।
নবনি বলল~
কবুল কবুল কবুল।❤️
আরাফকে বলতে বলায় সে এক নিশ্বাসে কবুল বলছে তো বলতেই আছে আর থামছে না।
আরাফঃকবুল কবুল কবুল কবুল কবুল কবুল কবুল
নিলয় আরাফের মুখ চেপে ধরলো।
নিলয়ঃহইসেতো।এইবার থাম।
কাজী এখন সিগনেচার করেন।
নবনি সিগনেচার করতে নিলে আরাফের বাবা বলে~
আদর চৌধুরীঃমা।আর একবার ভেবে নাও।তুমি এই হতচ্ছারাকেই বিয়ে করবে?!!ভালো ছেলে খোজার অফার টা কিন্তু এখনো আছে।
নবনিঃবাবা কবুল যখন বলসি রিস্কটাও নিয়ে দেখি কেমন?এটাকে ভালো করার দায়িত্ব সম্পুর্ণ আমার।
আরাফঃশশুর Father তুমি কিছু বলছো না কেন??!!😒
আসাদ খানঃ নবনি আমার ছেলে লাখে একটা। এমন ছেলে মোমবাতি নিয়ে খুজলেও আর পাবা না।
সবাই হেসে দিল।
নবনি সিগনেচার করে দিল।নবনির সিগনেচারের পরই আরাফ সাথে সাথে সিগনেচার করে দিল।
নিলয় এই সময়টার ছবি তুলে নিল।
আরাফঃCongratulation Mrs Nobonita Chowdhury. ❤️😍
নবনিঃCongratulations you to Mr Arafat Chowdhury. 🥰☺️
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
১৩তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন