উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১১)
লোকটাঃএরপর চাইলেও কিন্তু মেয়ে দিবো না।
আরাফঃদেখেন বাবা।Actually আপনাকে একবার বাবা বলে ফেলেছি তাই বাবাই ডাকছি।If U dont mind!!
লোকটাঃ Its ok. বল কি বলছিলে।
আরাফঃজি।আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি।ঠিক ভালোবাসি বললে ভুল হবে। মেয়েটা বরং আমার Oxygen হয়ে গিয়েছে।ওকে ছাড়া বাচা আমার পক্ষে সম্ভব না।তাই আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে পারছি না।
লোকটাঃ Oh I See. তা সমস্যা কোথায়? ভালোবাসো বিয়ে করে ফেলো।
আরাফঃসমস্যারইতো শেষ নেই।একটার পর একটা হয়েই যাচ্ছে।আমার কপালে যে আল্লাহ কি লিখসে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন।আমি শশুর Father এর সাথেই দেখা করতে যাচ্ছিলাম।আর রাস্তায় এসব হলো।আমার শশুর Father নাকি Time Conscious। এখন আমিতো টাইম মতো যেতে পারিনি।আর কি এমন পাত্রর কাছে তিনি মেয়ে দিবেন।
লোকটাঃহুম।তাও ঠিক।এক কাজ কর তুমি এখন চলে যাও।তাকে বুঝিয়ে বলবা। ভদ্রলোক অবশ্যই বুঝবে।
আরাফঃএখন কিভাবে যাবো।অবস্থা দেখেন আমার।রক্ত দিয়ে সাদা শাট পুরোটা নষ্ট হয়ে গেছে।স্টাইল করা চুল গুলোও চুপসে গেছে।আমাকে এভাবে দেখলে উনিতো কি কোন বাবাই মেয়ে দিবেনা। 😞
লোকটাঃআমি দিবো।
আরাফঃআপনি দিলেই কি আর হবে। আপনিতো আর নবনির বাবা না।ইস আপনি নবনির বাবা হলে কত ভালো হতো।
আচ্ছা একটা কাজ করো আমাকে তুমি নবনিদের বাসায় নিয়ে চল।তারপর আমি সবটা দেখছি।
আরাফঃতা অবশ্য করা যায়। কিন্তু আপনিতো সুস্থ নয়।আপনাকে আমি এভাবে নিয়ে যেতে পারি না।
লোকটাঃআমাকে এখনই যেতে হবে।আর আমি মাথায় ব্যাথা পেয়েছি। পায়ে না।তুমি আমাকে না নিয়ে গেলে আমি একাই বাসায় চলে যাবো।
আরাফঃনা না।চলেন। আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি।আস্তে ধীরে উঠুন।
আরাফ লোকটাকে নবনির বাসায় নিয়ে গেল।নবনি দরজা খুলে হা করে তাকিয়ে আছে।নবনি ছুটে এসে লোকটাকে ভিতরে নিয়ে গেল।আরাফ অবাক হলো নবনির বিনা বাক্যে লোকটাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে। তারপর ভাবলো হয়তো মানবিকতার জন্য এমনটা করছে।নবনি আবারো রান্নাঘরের দিকে ছুটলো।তারপর দুই গ্লাস পানি নিয়ে আসলো।একটা আরাফকে দিলো আর একটা লোকটাকে।তারপর লোকটার পাশে বসলো।
নবনিঃআব্বু কি করে হলো এগুলা।
আরাফ লাফ মেরে দাঁড়িয়ে গেল।যেন সে ভুত দেখেছে।
আরাফঃকে আপনি?লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো।
লোকটাঃযদি বলি আমি নবনির বাবা।
আরাফঃকিহ!!
লোকটাঃআমি নবনিতা খান এর বাবা আসাদ খান।
আরাফ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলো।কিছু বলার ভাষা পাচ্ছে না।
আসাদ খানঃআমিও তোমার সাথে দেখা করার জন্য অফিস থেকে বাসায় আসছিলাম। আর রাস্তায় এক্সিডেন্ট করি।আর তারপরতো তুমি সবকিছু জানোই।
আরাফ ধপ করে সোফায় বসে পরে।
আসাদ খানঃনবনি তুমি রুমে যাও।আমার আরাফের সাথে কথা আসে।
নবনি উঠে চলে গেল।
আসাদ খানঃআরাফ আমি কিন্তু তোমার ব্যবহারের যথেষ্ট Impress হয়েছি।আমি প্রথমেই তোমাকে চিনতে পারি কিন্তু বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।
আরাফঃআপনি আমাকে কিভাবে চিনলেন?
আসাদ খানঃআমি তোমাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম।তুমি শুয়ে ছিলা তাই হয়তো জানো না।তখনই তোমাকে আমি দেখেছিলাম।আজকের মতোই রক্তাক্ত সাদা শার্ট পরে ছিলা।আর হ্যা চুল গুলো ও কিন্তু চুপসে যাওয়া ছিল।হা হা হা।
আরাফঃ🙂আমার সব খাটনী বেকার।
আসাদ খানঃহা হা হা।না খাটনী বেকার হয়নি।কারন আমি তোমার বাইরের নয় ভিতরে সৌন্দয্য দেখতে চেয়েছিলাম।যা আজকে আমি স্পষ্ট অনুভব করেছি।যখন তুমি একজন অপরিচিত লোককে এভাবে যত্ন করতে পারো। তাহলে আমার মেয়েকেতো তুমি ভালোবাসো।তাকে তো তুমি মাথায় করে রাখবে।
আরাফঃধন্যবাদ।স্যার।
আসাদ খানঃতুমি কিন্তু আমাকে বাবা বলে ডাকতে পারো।
আরাফঃOk বাবা।
আসাদ খানঃকিন্তু নবনিকেতো আমি তোমার কাছে বিয়ে দিতে পারব না।
আরাফঃকেন!!??
আসাদ খানঃকারণ তুমিই বলছো আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না।
আরাফঃকরবো তো। কে বলছে করবেনা।আমিই করবো।এখনি করবো।🥺🥺
আসাদ খানঃতা আর হচ্ছে না😒।আমি কিন্তু তোমাকে বলছিলাম আর চাইলেও মেয়ে দিবো না।
আরাফঃবাবা তুমি কিন্তু ভুলতেসো তুমি এখানে আসাদ খান হয়ে না আমার বাবা হয়ে এসেছো।আর আমার বাবা আজকে নবনি খান এর সাথে আমার বিয়ে দিয়েই ছাড়বে যে করেই হউক।আর যদি না দাও তাহলে কিন্তু তুমি হেরে যাবে।শশুর Father জিতে যাবে।
আসাদ খানঃনা না। আমি হারতে পারি না।তোমার নবনির সাথেই বিয়ে হবে।হা হা হা।
আরাফঃএইবার চট করে যেয়ে আসাদ খান এর পা ধরে বসে গেল।
আসাদ খানঃএই তুমি কি করছো।ছাড়ো তুমি আমার মেয়ে জামাই।পায়ে হাত দিচ্ছো কেন?!!!
আরাফঃআরে রাখো তোমার মেয়ে জামাই।এখন আমি তোমার ছেলে। আমি নবনিকে আজকে এখনই বিয়ে করতে চাই।
আরাফ এমনভাবে তার শশুড়ের কাছে আবদার করছে যেন কোনো বাচ্চা খেলনার জন্য বাবার কাছে জিদ করে।
আসাদ খানঃআরাফ তুমি পাগল হয়েছো।এখন রাত ১১ টা বাজে।এই সময় কাজী কই পাবো!!!?আর আমার একটা মাত্র মেয়েকে আমি এভাবে বিয়ে দিতে পারবোনা।
আরাফ খানঃবাবা। আমি যতটুকু জানি আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই বিয়ে সর্বউত্তম যে বিয়েতে মেয়ের বাবার খরচ সবনিম্ন।আমি আমাদের বিয়েটা আল্লাহর সব থেকে প্রিয়ভাবেই করতে চাচ্ছি। আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না।প্লিজ বাবা।আপনি যদি না মানেন তাহলে আমি পা ধরে বসে থাকবো।
আসাদ খানঃআচ্ছা ঠিক আছে। তুমি যদি কাজী খুজে পাও।তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
আরাফ কথাটা শোনা মাত্র আসাদ খানের হাতে চুমু দিল।আমি সত্যি খুবই লাকি আপনার মতো বাবা পেয়ে।বলেই দৌড় দিল।
আসাদ খানঃসাবধানে যাও আরাফ।
কে শুনে কার কথা।আরাফতো এতক্ষণে দরজা পার করলো।আসাদ খান উঠে মেয়ের রুমে গেলেন।
আসাদ খানঃনবনি।
নবনিঃহ্যা আব্বু।এসো।
আসাদ খানঃনবনি তুমি কেমন ভাবে বিয়ে করতে চাও।আমি তোমার বিয়ে ধুমধামে দিতে চাচ্ছি। আমার একটা মাত্র মেয়ে তুমি।
নবনিঃআব্বু। আমি যে এতে খুশি হতে পারছি না।
আসাদ খানঃকেন মা?
নবনিঃআব্বু আম্মু যে বিয়েতে নেই সেই বিয়ে ধুমধামে কিভাবে করি।তুমি জানো আম্মুর কত স্বপ্ন ছিল আমার বিয়ে নিয়ে।আমি আম্মুকে ছাড়া সেগুলো পূরণ করার কথা ভাবতেও পারি না।
আসাদ খানঃতোমার মা নেই তো কি হয়েছে।জীবনতো আর থেমে থাকেনা মা।বিয়েতো তোমাকে করতে হবেই তাহলে শখ কেন পূরণ করবে না।
নবনিঃহ্যা আব্বু।বিয়ে আমি করবো।কিন্তু খুবই সাদাসিধে ভাবে।এটাই আমার শখ।আর তুমি জানো আল্লাহর নিকট সেই বিয়ে অধিক বরকতময় হয় যে বিয়েতে মেয়ের বাবার খরচ থাকে খুবই সীমিত।
আসাদ খানঃরেডি হও মা।তোমার হবু বর বরযাত্রী নিয়ে আসছে।
নবনিঃকিহ!!এখন??রাতের ১১টা ৪০বাজে।
আসাদ খানঃএখন কপাল করে মেয়ে জামাই পেয়েছি যে রাত দিন সব এক করে তোমাকে ভালোবাসে।
নবনি ভীষণ লজ্জা পেল।
আসাদ খানঃ কি আর করার। তুমি রেডি হও।
বলে তিনি ছেলে রাজকে উঠাতে চলে গেলেন।নবনী ভাবছে কি পরবে।বিয়েতে কি পরা যায়।ঘরের কাপড়তো আর বিয়েতে পরা যায় না।তারপর মনে পরলো আরাফ তার জন্যও সকালে কাপড় কিনেছিল।সেখান থেকে একটা পড়ে নিল।তারপর রান্নাঘরে গেল।বরযাত্রীর খাবার রান্না করতে। ইতিহাসে এমন প্রথম বউ যে কি না নিজের বিয়েতে নিজেই বরযাত্রীর খাবার রান্না করছে।কি আর করার এতো রাতেতো আর কিছু খোলা পাবেনা।
আরাফ তার বাবা আদর চৌধুরীকে কল দিলেন।
আদর চৌধুরীঃআরাফ।তুই এতো রাতে কল কেন করছিস।কাচা ঘুমটা নষ্ট করে দিলি।বেশি দরকার হলে আমার রুমেই তো আসতে পারতি।
আরাফঃবাসায় থাকলে তো আসবো। ছেলের বিয়ে না দিয়ে তুমিই ঘুমাও কিভাবে!! কেমন বাবা তুমি??
আদর চৌধুরীঃনবনি মার যোগ্য হলেই তো বিয়েটা দিতে পারি।
আরাফঃতোমার বিয়ে দিতে হবে না।এখন বিয়ে খেতে হলে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নবনির বাসায় আসো।তোমাকে তোমার ছেলের বিয়ের দাওয়াত জানালাম।সপরিবার means আমার মাকে নিয়ে এখনি রাওনা দাও।আর মনে রেখো তুমি আরাফ চৌধুরির প্রথম একমাত্র বাবা তাই তেমনভাবে তৈরী হ্য়ে এসো বলে কট করে ফোন টা রেখে দিল।
আদর চৌধুরী আরাফের মা নীলিমা চৌধুরীকে জাগিয়ে তুললেন।
নীলিমা চৌধুরীঃকি হইসে টা কি তোমার। এতো রাতে ঘুম ভাংলে কেন??(নীলিমা চৌধুরী খুব রেগে আছেন।)
আদর চৌধুরীঃনীলি একটা কথা বলো একমাত্র ছেলে কথাটা শুনে ছিলাম।আবার প্রথম ছেলে কথা টাও শুনেছি। কিন্তু প্রথম একমাত্র বাবা কিভাবে হয়?
নীলিমা চৌধুরীঃএই তুমি কি জাগনা থেকে স্বপ্ন দেখছো? কি আবলতাবল বলছো!!??
আদর চৌধুরীঃআমার কি দোষ!!তোমার ছেলেই আমাকে এসব বলছে।
নীলিমা চৌধুরীঃযেমন তুমি তেমনি তোমার ছেলে।ওর কথা মানে তো এটাই বোঝায়। তুমি ছাড়াও ওর দ্বিতীয় একমাত্র বাবা আসে।
আদর চৌধুরীঃকিহ!!কে সে??
নীলিমা চৌধুরীঃএটা তুমি ওকেই কল করে জিজ্ঞেস করো।বলেই ঘুমিয়ে পরলেন।
আদর চৌধুরীঃতোমার ছেলের কিছুক্ষণ পর বিয়ে। এই ঘুম তুমি পরে ঘুমাও।
নীলিমা চৌধুরীঃকিহ!!!
আদর চৌধুরীঃফোন দিয়ে রেডি হতে বলছে।তোমার তো সাজগোছ করতে সময় লাগবে তাই যা করার তাড়াতাড়ি কর।পরে তোমার প্রথম একটা আর একটাই মাত্র ছেলের বিয়ে খেতে পারবে না।
নীলিমা এটা শোনার পরই উঠে ভো দৌড় দিলেন।তিনি জানেন তার ছেলে বলছে মানে করবেই। আর তার ছেলের দ্বারা সব সম্ভব।
আদর চৌধুরী আরাফ কে কল লাগালেন।
আরাফঃআবার কি হইসে?
আদর চৌধুরীঃতোর দ্বিতীয় দুই মাত্র বাপ টা কে?
আরাফঃআসাদ খান। বলেই কট করে কলটা কেটে দিল।
আদর চৌধুরীর লম্বা শ্বাস নিলেন।যেন অনেক বড় বাচা বাচলেন।ছেলে তার এমন এমন কথা বলে না জানি কোনদিন Heart Attack করেন।
আদর চৌধুরীঃএইবার নবনী এসে যদি একে শুধরাতে পারে।বলে রেডী হতে চলে গেলেন।তার একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা।
(আপনারাও রেডি হন। আরাফ নবনীর বিয়ে বলে কথা)আর আমি গল্প কোনো গ্রুপে পোস্ট করবো না।কারন গ্রুপে রিপোর্ট মারা হয়।যার জন্য আমার পেজে রিচ কমে যাচ্ছে।তাই যারা পড়তে চান।আমার আইডিতে ডুকে পেজ এ যেয়ে পরে আসবেন।ধন্যবাদ।
আরাফ নিলয় এর বাসায় গেল।কলিংবেল বাজায় তিশা এসে দরজা খুলল।তিশা খুব খুশি হলো আরাফকে দেখে।কিন্তু আরাফ তিশার সাথে কথা বলা দূর তাকালো পর্যন্ত না।সে নিলয়ের রুমের দিকে হাটা ধরলো।
নিলয়ঃওয়ারদা আরাফের ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া সব কাপড় গুছানো শেষ।এখন বেডও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।~বলেই ওয়ারদার কোমর ধরে নিজের কাছে টান দিল।যেই ওয়ারদার ঠোঁট স্পষ্ট করবে _
আরাফঃনিলয় নিলয়। কি করছিস। দরজা খুল।
নিলয় আর ওয়ারদা ছিটকে সরে গেল।ওয়ারদার এখনো ঘোর কাটে নেই।সে বুঝতেই পারছে না।কি হচ্ছে।আর নিলয় দেয়ালে মাথা বাড়ী দিচ্ছে।
নিলয়ঃকোন কুসময়ে যে তোর সাথে বন্ধুত্ব করলাম।আমার সহ আমার বাচ্চাকাচ্চার জীবনে শেষ।কিন্তু বাচ্চাকাচ্চাতো হতেই দিবে না যা দেখছি।(বিড়বিড় করতে করতেই দরজা খুললো)
আরাফঃকি বিড়বিড় করছিস?!!!আর দরজা খুলতে এতক্ষণ লাগে?!!!
নিলয়ঃএকটা বিবাহিত দম্পতি রাতে ১২ টা বাজে কি করে তুই জানোস না।আর তুই এখানে কি করস!!??
আরাফ বুঝতে পারলো নিলিয় খুব খেপে গিয়েছে।
আরাফঃআমিতো আর তোর মতো না।যে বন্ধুকে না বলেই চুপচুপে বিয়ে করে নেই।আমার একটু পর বিয়ে তাই তোকে দাওয়ার করতে আসলাম।
ওয়ারদাঃকিহ!! আপনার বিয়ে এতো রাতে।কার সাথে?!!
আরাফঃকার সাথে আবার তোমার একমাত্র বান্ধুবির সাথে।যাও রেডি হও।না হলে নিজের একমাত্র বান্ধুবির বিয়েতে তোমাকে পেত্নী লাগবে।
ওয়ারদাঃহ্যা। আমি আসছি। বলে রেডি হতে চলে গেল।
আরাফঃদোস্ত। একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে।
নিলয়ঃতা তো আমি জানি।কারণ সমস্যা ছাড়াতো আর তুই আমার কাছে আসিস না।এখন বল কি হয়েছে।
আরাফঃকাজীতো নেই।এখন বিয়ে কি করে হবে।
নিলয়ঃসবাইকে রেডী হতে বলে এখন বলছিস কাজী নেই।তুই আদো কি সুস্থ মানুষ?!!
আরাফঃদোস্ত। তুই না ভালো।কিছু কর।
নিলয়ঃতোর কালকে সকাল পর্যন্ত তর সইলো না??
আরাফঃআর এ তুই জানোস না। কত কষ্ট করে সব ম্যানেজ করেছি।বাপ মেয়েকে পটিয়েছি।যদি সকাল হইতে হইতে বাপ মেয়ে পল্টি মারে।তাই যা হবে এখনই।
নিলয়ঃবুঝলাম।আর আমিও যে করেই হউক এখনই তোর বিয়ে দিবো।
আরাফঃদোস্ত তুই একমাত্র আমাকে বুঝিস।
নিলয়ঃতোরেতো বিয়ে দিতেই হবে।কারণ যতক্ষন না তুই আর নবনী ভাবী এক হচ্ছিস ততদিন আমার আর ওয়ারদার এক হওয়া হবে না।(মনে মনে)
নিলয় কাজীকে কল দিচ্ছে।কিন্তু ধরছে না।
আরাফঃতোর বিয়েতেতো এই কাজী কল দেয়ার সাথে সাথে উড়ে এসে পরেছিল।এখন আমার সময় কলই ধরছে না।সব আমার সাথেই হয়।
নিলয়ঃআমি রাত ৮ টায় কাজী আনাই।এখন রাত ১ টা বাজে।এই সময় সাধারণ মানুষ ঘুমায়। তাই কল ধরে না।
আরাফঃতুই অসাধারণ কাকে বলতে চাচ্ছিস।
নিলয়ঃযে রাত ১ টায় বিয়ে করার জন্য মাতামাতি করে।বলে নিলয় বের হয়ে গেল।
আরাফ ও পিছু পিছু ছুটলো।
আরাফঃআমাকে অসাধারণ বলছিস।অবশ্যই আরাফ চৌধুরি তো অসাধারণই।আর আরাফ চৌধুরির বিয়েও হবে অসাধারণ।
চলবে ...
১২তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন