গল্প              :         ফাগুন ছোঁয়া
লেখিকা       :         সারা মেহেক
গ্রন্থ              :         
প্রকাশকাল  :         
রচনাকাল   :         ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা সারা মেহেকের “অভিষিক্ত বর্ষণ” শিরোনামের এই গল্পটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা অনবদ্য এই গল্পটি ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে লিখেছেন। এ গল্প সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটি অগোছালো একটা লেখা। মাঝে মাঝে একটু আধটু অগোছালো কিছু লিখতে মন চায়। এটা পড়ে আবার বিরক্ত হলে আমার কোনো দায় নেই। কারণ আমি মানুষটাই অগোছালো। সুতরাং এমন অগোছালো গল্প লিখাটা স্বাভাবিক বলেই ধরে নিয়েছি।
অভিষিক্ত বর্ষণ || সারা মেহেক
অভিষিক্ত বর্ষণ || সারা মেহেক

অভিষিক্ত বর্ষণ || সারা মেহেক


"বৃষ্টি আমার পছন্দ নয়। আপনার?"
চায়ের কাপে প্রথম চুমুক দিয়ে নিস্তরঙ্গ গলায় বললো নুহা। তার কণ্ঠে যেনো একরাশ হতাশা ও বিরক্তির দীপ্তি খুঁজে পেলো তালহা। মেয়েটির হাবভাব বুঝে না সে। প্রতিবার কথা বলার সময় নুহার অন্তঃস্থলের অবস্থা জানার তীব্র চেষ্টা করে সে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়। বোধহয় নুহা নামক মেয়েটি তার চারপাশ অদৃশ্য এক প্রহেলিকা দ্বারা নিজেকে আবৃত করে রেখেছে। যা ছোঁয়া বা বোধ করার সাধ্য কারোর নেই।

তালহা চায়ের কাপে তৃপ্তি সহকারে চুমুক বসিয়ে বললো, "বরাবরে মতো আপনার অপছন্দের বিষয়টি এবারও আমার পছন্দের তালিকায় যুক্ত হলো। অদ্ভুত না?"
নুহা জবাব দিলো না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে শ্রাবণের মন খারাপময় আকাশের দিকে চাইলো। ঈষৎ খিটখিটে গলায় বললো, "এই বৃষ্টি আসারও আর সময় পেলো না! অফিসে পৌঁছানোর পরই আসতো!"
তালহা নুহার এ অযাচিত অভিযোগে মৃদু হাসলো। বললো, "নিশ্চয়ই বৃষ্টি আপনার পারমিশন নিয়ে নামবে না কখনো। তার মনমর্জি মোতাবেকই চলবে সে।"
নুহা তেরছাভাবে একবার তালহার দিকে চাইলো। অতঃপর পুনরায় চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো, "আফসোস, বৃষ্টির মতোই সবাই নিজের মনমর্জি মোতাবেক চলে। এজন্য বোধহয় অপরপক্ষের মানুষটির জন্য ভালো মন্দ বিচার করার সময় তারা পায় না।"
এই বলে সে ছোট্ট নিঃশ্বাস ছাড়লো। তালহা বরাবরের মতোই তার এ কথায় রহস্য খুঁজে পেলো। কিন্তু তার শার্লক হোমসের ন্যায় চরিত্রটা নুহার সম্মুখে আনতে গিয়েও আনলো না সে। কারণ সে নুহার গলার স্বর ও কথা বলার ধরণ শুনে স্পষ্ট বলে দিতে পারে, নুহা কোনো ব্যক্তিগত কারণেই এমন খিটখিটে ও অপ্রীতিকর মেজাজে থাকে সবসময়। আর একজন অফিসের কলিগকে নিশ্চয়ই তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করা কাম্য নয়। এ কারণে অবশ্য তালহা নুহার সাথে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলো। কিন্তু ঐ যে, সবখানেই নুহার সেই অদৃশ্য প্রহেলিকার দেয়াল আছে যে!


ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সহিত এবার একঝাঁক দমকা হাওয়া বয়ে গেলো। রাস্তায় স্থির থাকা সিক্ত পাতাগুলো এদিক ওদিক উড়ে গেলো। তন্মধ্যে কিছু পাতা উড়ে এসে নুহার পায়ের সামনে পড়লো। সেই সাথে তৎক্ষণাৎ তার হাঁটু হতে পায়ের পাতা অব্দি ভিজে গেলো রাস্তার কর্দমাক্ত জলে। মাত্রই একটি গাড়ি রাস্তার গর্তের উপর দিয়ে চলে গেলো। তারই ফল হিসেবে নুহার সাদা ধবধবে সালোয়ারের নিচের পুরো অংশ কাঁদায় মাখামাখি হয়ে এলো। অকস্মাৎ এহেন কান্ড হওয়ায় সে তড়িতে উঠে দাঁড়ালো। অমনি অসাবধানতাবশত তার চায়ের কাপের বাকি চা-টুকু তার সাদা কামিজে পড়ে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে শুভ্ররাঙা কামিজখানা নতুন রঙে রাঙায়িত হলো। ধ্যা'ত, কি এক বিতিকিচ্ছিরি পরিস্থিতিতে পড়লো নুহা! অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার ফলে যারপরনাই বিরক্ত হলো সে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো সহজ ভাষার প্রচলিত দুটো গা''লি।

এদিকে কয়েক সেকেন্ডে নুহার সাথে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একগাল হেসে নিলো তালহা। যদিও মানুষের বিপদে হাসা বিশাল অপরাধের মধ্যে পড়ে। তবুও মানবজাতির সহজাত ধর্ম কি আর বদলায়! তালহা নিজেকে দমিত করলো না৷ বরং নুহার সামনেই খানিক উচ্চশব্দে হেসে নিলো। টিপ্পনী কেটে বললো, "আপনি মেয়েটা বড্ড অগোছালো নুহা!"

তালহার মুখ নিঃসৃত এ বাক্য নুহার কর্ণকুহরে প্রবেশ মাত্র ঝংকার তুললো। সেই সাথে তার কর্ণকুঠিরে যন্ত্রণার উদ্রেক ঘটালো। সে রাগত চাহনিতে তালহার দিকে চাইলো। কিন্তু তালহা তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে টঙ দোকানের মামার নিকট হতে এক গ্লাস পানি নিয়ে নুহার পানে সাহায্যের হাত বাড়ালো। কিন্তু নুহা তার হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে ঝেঁঝে উঠা গলায় বললো, "মানুষের বিপদ নিয়ে মজা করা যেনো আপনাদের মতো ছেলেদের রোজকার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। দেখি, যান আপনি। আমি ঠিক করে নিবো সব। "
এই বলে নুহা টঙ দোকানের মামার নিকট হতে আরেক গ্লাস পানি নিয়ে কামিজ পরিষ্কার করতে লাগলো। এদিকে নুহার অকস্মাৎ রেগে যাওয়া হাবভাব দেখে তালহা নিমিষের জন্য নির্বাক চাহনিতে চেয়ে রইলো। কিন্তু ক্ষণিকেই তার মস্তিষ্কে বিদ্যুতের ন্যায় যেনো কিছু খেলে গেলো। বিস্তৃত হাসলো সে। অতঃপর নিজের হাতে থাকা গ্লাসটা দোকানের বেঞ্চিতে রেখে নুহার হাতে থাকা গ্লাসটা কেড়ে নিয়ে সেটাও সেখানে রাখলো। এরপর সে নুহার সবচেয়ে অপছন্দের আরেকটি কাজ করে বসলো। বিনা অনুমতিতে নুহার ডান হাত চেপে ধরলো। তবে এ কাজের জন্য তখনই নুহার নিকট জড়তাবিহীন কণ্ঠে অনেকটা অপরাধবোধের সহিত বললো, "এ কাজটা করার জন্য একান্তই দুঃখিত মিস নুহা। তবে আজ আপনার অপছন্দের এ বৃষ্টিকে পছন্দসই করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।"
বলেই সে নুহার হাত চেপে টঙ দোকান হতে বেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ালো।


বৃষ্টির গতি পূর্বের তুলনায় পুনরায় বাড়ছে। মাথার উপরে খোলা অন্তরীক্ষ আধো আলোময় হয়ে আছে। বিস্তৃত এ অন্তরীক্ষে শ্রাবণের টুকরো টুকরো ধূসর মেঘমালা উড়ে বেড়াচ্ছে।
নুহা তালহার এ কাজে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিভ্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। ওদিকে ঘোর শ্রাবণের বর্ষার ছোঁয়ায় নিমিষের মাঝেই সে ভিজে একাকার হয়ে এলো। এ নিয়ে যখন তার বোধ হলো সে এক ঝটকায় তালহার হাত ছেড়ে দিয়ে ক্রুদ্ধ স্বরে বললো, "আপনার সমস্যা কি মিস্টার তালহা? এভাবে বিনা অনুমতিতে আমার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভেজানোর মানে কি!"

তালহা ভিজছে। বৃষ্টির তোড়ে সে ঠিকঠাক নুহাকে দেখতে পারছে না। এজন্য পিটপিট করে চেয়ে সিক্ত ওষ্ঠে বললো, "আমি আগেই আপনাকে সরি বলেছি। আর আপনার ঐ গরম মেজাজটা একটু ঠাণ্ডা করতেই এতো ভয়ানক একটা কাজ করে বসেছি। "
নুহা প্রত্যুত্তর করলো না। ক্ষুব্ধ মেজাজ নিয়ে পা বাড়িয়ে পুনরায় টঙে যেতে চাইলো। কিন্তু তালহা তার হাত ধরে পথ আলগে বললো, "আপনার আশেপাশে আমি বাদে কেউ নেই মিস নুহা। এক কাজ করুন, তুমুল এ বর্ষায় আপনার মনের সকল অভিযোগ, রাগ, বিতৃষ্ণা সব ঝেড়ে ফেলুন। রাস্তার ঐ কাঁদা পানির সাথে আপনার মনের সব নেতিবাচক দিকগুলোও ধুয়ে যেতে দিন। "

তালহার কথায় কি হলো জানে না নুহা। কিন্তু আচমকা কেঁদে উঠলো সে। নীরব অশ্রুতে রুদ্ধ হয়ে এলো তার দৃষ্টিজোড়া। পড়ন্ত বৃষ্টির ফোঁটার সাথে একাকার হয়ে এলো তার অশ্রু।
তালহা নুহার হাত ছেড়ে তার সম্মুখে গিয়ে দাঁড়ালো। তালহাকে দেখে নুহা কান্না থামালো না। বরং পূর্বের ন্যায় অন্তঃস্থলের চাপা কষ্টগুলো অশ্রু স্বরূপ বিসর্জন দিলো সে। বহুদিন কাঁদে না সে। আজ এই বৃষ্টির সাথেই তার কাঁদতে মন চাইলো।

তালহা স্পষ্ট লক্ষ্য করলে নুহার টানা টানা আঁখিজোড়ার কোল ঘেঁষে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। সে মৃদু হেসে বললো, "কাঁদুন মিস নুহা। আজ মনে খুলে কাঁদুন। মনের যত অভিযোগ সব নিঙরে ফেলে দিন। কি হবে এতো অভিমান ও অভিযোগ পুষে? অপর মানুষটা তো ঠিকই আপনাকে ছাড়া সুখে আছে। আপনি কেনো পারবেন না সুখে থাকতে? চেষ্টা করে দেখুন না একবার।"

নুহা চকিত দৃষ্টিতে তালহার দিকে চাইলো। তালহা বুঝলো কি করে তার মনে কোনো এক ব্যক্তিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিমান, অভিযোগ আছে! নিজের চারিধারে গড়ে তোলা সে অদৃশ্য দেয়াল আজ বর্ষার ছোঁয়ায় বুঝি এতোটাই ভঙ্গুর হয়ে পড়লো যে তালহা নামক ব্যক্তিটা সহজেই তার রহস্যের সমাধান করে ফেললো!
নুহা অনেকটা আশ্চর্যান্বিত কণ্ঠে শুধালো, " আপনি কি করে জানলেন এটা!"

তালহা বিস্তৃত হাসলো। বললো, " আপনার ঐ অভিমানী অশ্রুই বলে দিয়েছে সবটা। আর আমি কিন্তু এসব ব্যাপারে খুব ধারণা রাখি। প্রয়োজনে আমার কাছে টিপস নিতে পারেন। বলা যায় না, এ জ্যোতিষী টিপসের মাধ্যমেই আপনি কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন!"


তালহার কথায় নুহা হেসে উঠলো। সশব্দে হেসে উঠলো। বহুদিন পর এমনভাবে হাসছে সে। মন খুলে হাসছে। আহা কি অনুভূতি!
নুহা আঁখিজোড়া বন্ধ করে আকাশপানে চাইলো। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা অন্তঃস্থল দিয়ে অনুভব করলো। সকল অভিমান ও অভিযোগ হৃদয় হতে নিঙরে ফেলে দিলো। বহুদিন পর আজ সে হালকা অনুভব করছে। সে মনে মনে খুব করে চাইতো, এমন একটা দিন তার জীবনে আসবে যেদিন সে তার অতীতকে ভুলে প্রাণোচ্ছল অনুভূতি নিয়ে সামনে এগুবে। যেখানে থাকবে না কোনো পিছুটান ও অতীতের ছোঁয়া। আজ বোধহয় সে দিনটা এসেছে।

তালহা খুশিমনে নুহাকে দেখছে। অবশেষে সে তার পছন্দের সাথে নুহার পছন্দ বোধহয় মিলাতে পেরেছে। তাহলে কি সে সার্থক হলো?

খানিক বাদে বৃষ্টির গতি কমে যেতে লাগলো। নুহা ততক্ষণে আঁখি মেলে চাইলো। তালহা দিকে চেয়ে সৌজন্যজনক হাসি দিয়ে বললো,
" আজ মনে হচ্ছে হুট করেই সব ঠিক হয়ে আসছে। এটা কি বাস্তবেই ঘটছে, নাকি আমার মনের ভুল মিস্টার তালহা?"

" সব বাস্তবেই ঘটছে মিস নুহা। আজ বোধহয় আপনি মুক্ত হলেন। "

নুহা কৃতজ্ঞতা সূচক কণ্ঠে বললো,
" হ্যাঁ। আজ নিজেকে অতীতের জঞ্জাল হতে মুক্ত করলাম। "
এই বলে সে কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে পুনরায় বললো,
" এতোদিন পর আপনার পছন্দের সাথে আমার পছন্দ মিললো বুঝি!"

" হ্যাঁ। তা তো দেখতেই পাচ্ছি। কেননা এ সুযোগে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূচনা হোক?"
এই বলে তালহা করমর্দনের হাত বাড়িয়ে দিলো। নুহাও এক গাল হেসে তালহার হাতের সাথে নিজের হাত মিশিয়ে করমর্দন করলো।

হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজে চমকে তন্দ্রা হতে জেগে উঠলো তালহা। যেনো বহুক্ষণ পর ধরাধামে অবতীর্ণ হলো সে এমন দৃষ্টিতে সে চারপাশ দেখলো। ধ্যান ভাঙলো তার। অতি আশ্চর্যান্বিত দৃষ্টিতে সে দেখলো, সে এ মুহূর্তে অফিসের ডেস্কের সামনে বসে আছে এবং তারই পাশের ডেস্কে বসে কুঞ্চিত ভ্রুজুগলের সহিত কিবোর্ড চেপে যাচ্ছে নুহা। এ কি হচ্ছে! নুহা আর সে অফিসে বসে আছে! এর মানে সে এতোক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলো! কি আশ্চর্য, প্রতিটি ঘটনা বাস্তব মনে হলো তার! যেনো সে বাস্তবিক অর্থেই নুহাকে নিয়ে টঙে সময় কাটালো, বৃষ্টিতে ভিজলো।
কিছুক্ষণ সময় লাগলো তালহার, স্বপ্ন হতে বেরিয়ে আসতে। যখন সে উপলব্ধি করলো, এতোক্ষণ হয়ে যাওয়া প্রতিটি ঘটনা স্বপ্ন ব্যতিত কিছুই না তখন সে যারপরনাই হতাশ হলো। ইশ, এটা বাস্তবে হলে কি ক্ষতি হতো! অন্ততপক্ষে এই মেয়েটার খিটখিটে মেজাজের রহস্য তো জানা যেতো! কে জানে, স্বপ্নের ন্যায় রহস্যই মেয়েটার মনে দা'ফ'ন হয়ে আছে কি না!
তালহা মৃদু শব্দে হাসলো। তার এ হাসির শব্দ নুহার কানে বাড়ি খেলো। সে একরাশ বিরক্তি নিয়ে তালহা দিকে চেয়ে রুষ্ট কণ্ঠে বললো, " অনেক ঘুমিয়েছেন মিস্টার তালহা। এবার না কেলিয়ে কাজে নেমে পড়ুন। আপনার ঐ এবড়োখেবড়ো দাঁতের হাসি দেখতে কেউ ইচ্ছুক না এখন। এমনকি আমিও না। "
এই বলে নুহা পুনরায় কিবোর্ড চাপতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।


তালহা নুহার এ সুক্ষ্ম অপমানে ভীষণ অপমানিত বোধ করলো। ফলস্বরূপ তার মুখশ্রী হতে হাসি উবে গেলো। তবে কিয়ৎক্ষণের মাঝেই পূর্ণ উদ্যমে কাজে নেমে পড়লো সে। ফাঁকে নিজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত বললো,
" এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ না দিলে আমার নামও তালহা বিন মুর্তজা নয় মিস নুহা হোসেন। আপনার সকল অপছন্দের কাজকে আমি পছন্দসই করে তুলবোই। আপনার খিটখিটে মেজাজকে শান্ত মেজাজে পরিণত করবো আমি। এজন্য আপনার পিছনে শার্লক হোমসের মতো লেগে পড়লাম আজ থেকে। ইটস, তালহা শার্লক হোমস রিপোর্টিং....................।"

সমাপ্ত


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা সারা মেহেকের মূল নাম সারা জাহান মেহেক। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে শর্ট নাম হিসেবে ‘সারা মেহেক’ নামটি বেছে নিয়েছেন। এই লেখিকার ব্যাপারে এর বেশি কিছু এখন অবদি জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন