উপন্যাস : কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান |
11111111111111111111111111111111111
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ২৪)
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ২৫)
বাবার রাগারাগি আর মায়ের বকবকানিতে শেষমেশ আজকে অফিসে যাচ্ছে দীপক। শ্যামলা গায়ে সাদা শার্টের উপর ধূসর রঙের কোড, ধূসর রঙের প্যান্ট, গলায় ধূসর টাই, ডান হাতের কব্জিতে দামী ব্যান্ডের ঘড়ি। চুল গুলো বেক ব্রাশ করা। চোখে মুখে বিরক্তের ছাপ। এসেই নিজের কেবিনে ঢুকে পরলো দীপক। মাস্টার্স এ পড়ার সময় সপ্তাহে একদিন অফিসে বসতো সে। তাই এখানে তার নিজের কেবিন আছে। আর এখন যেহেতু সে প্রতিদিন অফিস করবে, তাই তার জন্য পিএ ঠিক করা হয়েছে। নিজের কেবিনে ঢুকতেই মেজাজটা আরও গরম হয়ে যায় দীপকের। কেবিনের সব ফাইল টেবিলের উপরে ছড়ানো। রুমের ফ্লোরেও কিছু মোড়ানো পেইজ পড়ে আছে। রাগে চিৎকার করে দীপক ম্যানেজার কে ডাকলো
- ম্যানেজার সাহেব।
মধ্যে বয়স্ক হালকা ভুড়িওয়ালা ম্যানেজার দৌড়ে এসে বললো
- জ্বি স্যার।
দীপক রাগী চোখে ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- আমার কেবিনের এই অবস্থা কেন?
ম্যানেজার পুরো রুমের অবস্থা দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো। দিপক আবার চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল
- কি হলো চুপ করে আছেন কেন? এন্সার মি?
ধমক খেয়ে ম্যানেজার সাহেব ভয়ে মাথা নিচু করে আমতা-আমতা করে বললো
- স্যার আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না।
ম্যানেজারের কথা কর্ণপাত হতেই, দীপক এর মাথায় যেন এবার রাগে আগুন জ্বলে উঠলো। অবাক হয়ে চিল্লিয়ে জিজ্ঞেস করল
- হোয়াট! আপনি জানেন না তো কে জানে?
ম্যানেজার সাহেব ভয়ে-ভয়ে উত্তর দিল
- আপনার পিএ। উনি সকালে এই রুমে এসেছিল।
দীপক রাগী কন্ঠে বললো
- কোথায় সে? এক্ষুণি ডাকুন তাকে।
ম্যানেজার সাহেব মাথা নেড়ে বললো
- ওকে স্যার।
ম্যানেজার সাহেব বের হয়ে যায় পিএকে ডাকতে। আর এদিকে দীপক রাগে ফুসতে ফুসতে সামনের দিকে যায়।
কিছুক্ষণ পর,
কেবিনের দরজা সটান খোলা ছিল বলে, দীপকের পিএ কেবিনে ঢুকে বললো
- হ্যালো স্যার। আমি আপনার পিএ ,,,,,,
দীপক উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল। পিএর কতোটুকু কথা কানে যেতেই না ঘুরে বলে উঠলো
- হ্যালো ইন মাই ফুট। আপনি কেবিনে এর কি অবস্থা করে ,,,,,,,,,,,
কথা বলতে বলতে পিছনে ঘুরে তাকাতেই অবাক হয়ে যায় দীপক। আর কোনো কিছু বলতে পারে না। বলার শক্তিও পায় না। স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে। মনে মনে ভাবতে থাকে সে, কি স্বপ্ন দেখছে? যাকে সে গত কয়েক মাস ধরে পাগলের মতো পুরো চট্টগ্রাম খুঁজছে। সে তার শহরে, তার অফিসে, তারই পিএ হয়ে বসে আছে! একেই বলে কপাল। দীপককে স্থীর হয়ে তার দিকে তাকিয়ে, দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়েটা বললো
- আসলে, স্যার আমি ফাইলগুলো গোছাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো আমার ফোনটা আমার কেবিনে ফেলে আসেছি, তাই আনতে গিয়েছিলাম।
কিন্তু দীপকের কোনো হেলদুল নেই, দেখে তার মেয়েটি তাকে বললো
- হ্যালো স্যার শুনছেন।
দীপক এখনো ঠিক আগের মতো স্থির হয়ে, তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার অস্বস্তি আর বিরক্ত লাগতে লাগলো। সে এসেই তাকে হ্যালো বলেছে। কিন্তু সে হ্যালোর পরিবর্তে এক ঝুড়ি বকা উপহার দিতে গিয়ে, এমন স্থীর হয়ে তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে? মেয়ে দেখে বেটার কি হুস উড়ে গিয়েছে নাকি? বেটা লুচু কোথাকার। দাড়া একে তো মজা দেখাতেই হবে। কিন্তু কি করে মজা দেখানো যায়। আশেপাশে তাকাতেই তার চোখ পরে টেবিলের উপর রাখা পানির গ্লাসটাতে। ঠোঁটের কোনে একটা দুষ্ট হাসি ফুটিয়ে, স্বচ্ছ কাচের গ্লাসটা হাতে নিয়েই গ্লাসে থাকা পানি দিল দীপকের মুখে ছুড়ে। হঠাৎ দীপকের মুখে পানি এসে পড়াতে সে চমকে উঠলো। চমকে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- এটা কি হলো?
মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিল
- পানি ছুড়লাম। যদিও আপনার মতো লুচু লোকের মুখে তো বিশুদ্ধ পানি না নর্দমার পানি ছুড়া উচিৎ।
দীপক অবাক হয়ে বললো
- লুচু লোক আর আমি!
- তা নয়তো কি? অচেনা একটা মেয়ের দিকে যে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে, তাকে আর কি বলা যায়।
- অচেনা মেয়ে! তোমার সাথে আমার ট্রেনে দেখা হয়েছিল।
নীলা কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- ট্রেনে! কবে?
- সাতমাস আগে ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনে। তুমি আমার পিছনের সীটে বসেছিলে।
- আপনার কি মনে হয়। আমি আপনার মতো লুচু? যে ট্রেনের লোকদের দেখবো বসে বসে।
দীপক একটা দৃর্ঘনিশ্বাস ফেললো। সে যতটা ভেবেছিল তার থেকেও বেশি কাঠখড় পুরাতে হবে তাকে। এই মেয়ের মন জয় করার জন্য। দীপক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- তোমার নাম কি?
- কেন? আপনার মতো লুচু লোককে কেন আমি আমার নাম বলল?
- কজ আই আম ইউর বস।
রাগে এতোক্ষণ ভুলেই ছিল যে ও দীপকের পিএ। মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবে বলল
- নৌশিন জাহান নীলা।
- বাসা কোথায়?
নীলা বিরক্ত হয়ে বললো
- আমার সম্পর্কে যা যা আপনার জানা প্রয়োজন সব কিছু আমার সিভিতে দেওয়া আছে।
নীলাকে খুঁজে পাওয়ার খুশিতে। সিভির কথা এতোক্ষণ তার মাথাতেই ছিল না। নীলা মনে করিয়ে দিতেই, গিয়ে চেয়ারে বসে টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপটা অন করে নীলার সিভি দেখতে থাকে। আর নীলা বিরবির করে দীপককে বকতে বকতে ফাইলগুলো গুছাতে থাকে।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সুবোধ বালিকার মতো সুন্দর করে দীপ্তি জিজ্ঞেস করল
- আসবো বাবা?
ইজি চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে থাকা মিষ্টার আফরান উত্তর দিল
- এসো।
দীপ্তি আস্তে আস্তে হেটে ইজি চেয়ারের পাশে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। পৃথিবীতে একমাত্র বাবাকেই ভয় পায় সে। মিষ্টার আফরান শান্ত কন্ঠে প্রশ্ন করলো
- শুভ্রর সাথে তোমার সম্পর্ক কি?
হঠাৎ তার বাবা শুভ্রর সম্পর্কে প্রশ্ন কেন? কারণ খুঁজে পেল না সে। নম্র কন্ঠে উত্তর দিল
- ও আমার বন্ধু হয় বাবা।
মিষ্টার আফরান পুনরায় প্রশ্ন করল
- শুধু বন্ধু?
দীপ্তির শান্ত কন্ঠে উত্তর
- হ্যাঁ বাবা।
মিষ্টার আফরান কৌতুহলি হয়ে জিজ্ঞেস করল
- তাহলে, শুভ তোমার বিয়ে ভাঙে কেন?
দীপ্তি চিন্তায় পড়ে যায়। শুভ্র তার বিয়ে ভাঙে সে খবর তার বাবা জানলো কিভাবে? তাহলে কি রোদ তার বাবাকে সেই ভিডিওটা দেখিয়েছে? এর তো একটা ক্লাস নিতেই হবে দেখছি। দীপ্তিকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, মিষ্টার আফরান গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- কি হলো বলছো না কেন?
দীপ্তি নিচু কন্ঠে উত্তর
- আ,,,,,আমি বলেছি তাই।
- কেন?
দীপ্তি উত্তর দেওয়ার সাথে সাথেই মিষ্টার আফরান প্রশ্ন করে। যেন সে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন দীপ্তি উত্তর দিলেই সে এই প্রশ্নটা করবে। দীপ্তি নম্র কন্ঠে উত্তর দিল
- বাবা আমি এখনো বিয়ে করতে চাই না।
মিষ্টার আফরান পুনরায় প্রশ্ন করল
- কেন?
- বাবা আমি লেখাপড়া শেষ করে জব করতে চাই।
- তো? করবে তোমাকে না করেছে কে? কেউ কি তোমাকে বলেছে যে বিয়ে করলে তুমি লেখাপড়া আর চাকরি করতে পারবে না। আসলে, তোমার লেখাপড়া আর চাকরি নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো বিয়ে হলে তুমি আর বাঁদরামিগুলো করতে পারবে না।
দীপ্তি কোন কথা বলে না। মাথা নিচু করে মুখটা কালো করে দাঁড়িয়ে থাকে। মিষ্টার আফরান একটু থেমে আবার বললো
- শুনো, আমার বিজনেস ফ্রেন্ড আছে না। তোমাদের ভার্সিটির চেয়ারম্যান যে, মিষ্টার সালমান। তার ছেলে
রোদকে চিন তুমি?
দীপ্তি এবার হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিউর রোদ তার বাবাকে সেই ছেলে ভাগানোর ভিডিওটা দেখিয়েছে। খুব রাগ হয় তার রোদের উপর। এখন রোদকে সামনে ফেলে কচুকাটা করতো। ছোত করে মিষ্টার আফরানকে উত্তর দিল
- হে চিনি।
- খুব ভালো। রোদের সাথে আমি তোমার বিয়ে ঠিক করেছি।
রোদের সাথে তার বিয়ে কথাটা শুনেই অবাক হয়ে বললো
- কি! ইম্পসিবল!
মিষ্টার আফরান শক্ত কন্ঠে বললো
- কি বললে তুমি?
দীপ্তি নম্র কন্ঠে বললো
- বাবা প্লিজ। আমি অন্য যে কোন ছেলেকে বিয়ে করবো। তোমার সব কথা শুনবো। প্লিজ, তুমি এই ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিও না।
মিষ্টার আফরান কাঠকাঠ কন্ঠে বললো
- আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না। তোমার বিয়ে এই ছেলের সাথেই হবে আর আগামীমাসেই হবে। এখন তুমি রুমে যাও।
দীপ্তি অসহায় কন্ঠে বললো
- বাবা!
মিষ্টার আফরান দৃঢ় কন্ঠে বললো
- আমি তোমাকে যেতে বলেছি।
দীপ্তি আর কোন কথা না বলে। রাগে হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
ফর্সা চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গিয়েছে। হাতের লাল রঙের কলমটা দিয়ে খাতার বাম পাশের কর্ণারের উপরে দশ আর নিচে পঞ্চাশ লিখে, তার চারপাশে গোল করে। খাতাটা ছুড়ে দোলার সামনে দেয় সে। রাগী কন্ঠে বললো
- আগে কতোবার করে এই ম্যাথগুলো। করতে দিয়েছি। করতে পেরেছ। কিন্তু এখন!
একটু থেমে আবার বললো
- এতোদিন পড়ালেখা কিছু করোনি না। কলেজ ফাকি দিয়ে শুধু টইটই করে ঘুড়ে বেড়িয়েছ।
দোলা ক্ষীণ সরে বললো
- আমি কলেজ ফাকি দেইনি। ওইদিনও কলেজের পর আপুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
অতুল আরও রেগে যায়। রাগী কন্ঠে বললো
- আবার মুখে মুখে কথা বলছো।
দোলা মুখটা ছোট করে চুপ করে থাকলো। অতুল দৃঢ় কন্ঠে বললো
- দাঁড়াও।
দোলা অবাক চোখে অতুলের দিকে তাকায়। অতুল ধমকের সুরে আবার বললো
- আই সেইড স্ট্যান্ড আপ।
দোলা ভয়ে পেয়ে উঠে দাঁড়ায়। অতুল কন্ঠ স্বাভাবিক করে বললো
- দাঁড়িয়ে, দাঁড়িয়ে তুমি এখন সব ম্যাথ দেখবে। তারপর আবার করতে দিব।
বলেই অতুল হোমওয়ার্কের খাতায় ম্যাথ কোশ্চেন লিখতে থাকে। একগাদা ম্যাথ কোশ্চেন লেখা হলে, অতুল দোলার দিকে না তাকিয়েই বললো
- আর দেখতে হবে না। ওই ম্যাথগুলোই আবার কর।
কিন্তু দোলা খাতা না নেওয়ায়, বা কোন কথা না বলায়। অতুল দোলার দিকে তাকিয়ে বললো
- কি হল নে ,,,,,
অতুল কথা না শেষ করেই থেমে যায়। দোলার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। কেমন জানি দুলছে মেয়েটা। অতুল শান্ত কন্ঠে ডাক দিল
- দোলা!
দোলার কোন উত্তর নেই। হঠাৎ দোলা পড়ে যেতে নেয়। অতুল দ্রুত দাঁড়িয়ে তাকে নিজের বাহুদ্বয়ে আবদ্ধ করে ফেলে। দোলার গায়ে হাত দিলে সে অনুভব করে, দোলার গা গরম। সে এতক্ষণ ভেবেছিল দোলাকে বকেছে বলে তার মুখ এমন লাল হয়ে আছে। কিন্তু সে ভুল ছিল। দোলাকে চেয়ারে বসিয়ে গালে হালকা চাপড় মেরে, চিন্তিত কন্ঠে দোলাকে ডাকল
- দোলা, এই দোলা। চোখ খোল, দোলা। এই দোলা।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ২৬)
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন