উপন্যাস : ভিলেন (সিজন ২)
লেখিকা : মনা হোসাইন
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। এই উপন্যাসের প্রথম সিজনটি প্রচুর জনপ্রিয়তা পাওয়ায় লেখিকা এর দ্বিতীয় সিজন লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
ভিলেন (সিজন ২) || মনা হোসাইন |
ভিলেন (সিজন ২) || মনা হোসাইন (পর্ব - ০১)
আকাশের মা তড়িঘড়ি করে ঘরে ঢুকেই থমকে দাঁড়ালেন। নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে বেশ বিরক্তিও প্রকাশ করলেন কিন্তু আকাশ তা টের পেল না কারন তার মন বইয়ের পাতায় নিমগ্ন কিছুদিন পরেই পরীক্ষা আজকাল তাই বইয়ের সাথে ভাব জমিয়েছে বেশ। আকাশ বরাবরই সিরিয়াস টাইপের ছেলে যখন যখন যা করতে বসে সেটা ছাড়া অন্য কোনদিকে খেয়াল থাকেনা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে রেহানা বেগম কর্কশ কন্ঠে বললেন,
-"মেঘলা তুই নিজের ঘরে যা তো আকাশের সাথে আমার একটু কথা আছে।
মেঘলা আপত্তি জানাল না বিছানা ছেড়ে উঠে বসল। সে এতক্ষন শুয়ে শুয়ে আকাশের ফোনে গেম খেলছিল। মামীর কথায় ফোনটা রেখে বলল,
-"ভাইয়া ফোনটা চার্জে লাগিয়ে দিব..?
আকাশ বইয়ের দিকে চোখ রেখেই বলল,
-"লাগবে না নিয়ে যা রুমে গিয়ে খেল। আমি পরে নিয়ে আসব।
মেঘলা খুশিমনে গুন গুন করতে করতে চলে গেল। মেঘলা যেতেই রেহানা বেগম কটমট করে বলে উঠলেন,
-"আকাশ এই মেয়ের সারাদিন তোর ঘরে কী কাজ? সারাক্ষন তোর ঘরে কী করে?
-"খেলে,খায়,ঘুমায় মাঝে মাঝে গান টানও গায় শুনি..
ছেলের এমন গা ছাড়া জবাবে গাঁ জ্বলে গেল রেহানা বেগমের।
-" আমি কি বুঝাতে চেয়েছি না বুঝার মত ছোট তুই না আকাশ।
-"অর্ধেক কথায় বুঝে নেয়াতে ঝামেলা আছে ভুল বুঝার সম্ভবনা বেশি তাই যা বলার পুরোটা বল...
-"মেঘলা সারাক্ষন এখানে থাকবে কেন? বাড়িতে তো আরও দুইটা মেয়ে আছে কই তারা তো সারাদিন তোর পিছু পিছু ঘুরে না। এ ঘরেও আসে না।
-"সবাই কী সব পারে মা..? আমার ঘরে মেঘলা ব্যাতিত অন্য কোন মেয়ের আসা নিষেধ তুমি সেটা জানো..
-"তা মেঘলার জন্য সেই নিষেধাজ্ঞা নেই কেন?
-"ও ছোট থেকে এই ঘরে আমার সাথে বড় হয়েছে তাই আমার কি পছন্দ কি অপছন্দ সেটা ও জানে। মেঘলা আমার ঘরে এমন কিছু করবে না যেটা আমার খারাপ লাগবে তাছাড়া ওর প্রতি আমার বিশেষ এক প্রকার মায়া আছে তাই ওর ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সে যাইহোক তুমি হটাৎ মেঘলাকে নিয়ে পড়লে কেন?
-"ওর যন্ত্রনায় তো এখন পাড়ায় বের হওয়া মুসকিল হয়ে গিয়েছে..
-"কেন ও কী তোমাকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেছে?
-"ফাযলামি টা বন্ধ করবি তুই?
আকাশ এবার বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে মায়ের দিকে তাকাল..
-"এবার বলো তো কি সমস্যা?
-"তুই বড় হয়েছিস আকাশ মেঘলাও ছোট বাচ্চা না তোদের এত মেলামেশা চোখে লাগে..মহল্লার লোকেদেরো ব্যাপারটা চোখে পড়েছে।
-"যখন ওকে কোলে করে নিয়ে সারা পাড়া ঘুরতাম তখন চোখে পড়ত না? এই মেলামেশা তো নতুন কিছু না।
-"আমি এত কিছু জানি না তোরা এখন বড় হয়েছিস তাই দুজন এবার থেকে দূরে দূরে থাকবি। এত বড় মেয়ে ঢং দেখলে মনে হয় দুধের বাচ্চা...
-"মা...!!
-"এই আমার সাথে গলা উঁচু করে কথা বলবি না। আমি চাইনা কোন অঘটন ঘটুক। তোর বয়সটা ভাল না এই বয়সে ছেলেরা নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারেনা।কোন অঘটন ঘটলে তার দায় কে নিবে? আজকেই নীলুর সাথে কথা বলতে হবে।
-"নাহ তুমি ফুফিকে এই ব্যাপারে কিছু বলবে না। মেঘলাকে তোমার বড় মনে হলেও ও এখনো বাচ্চা এগুলো শোনলে ওর খারাপ লাগবে।
-"খারাপ লাগুক আর ভাল লাগুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না।যে মেয়ের বাপের ঠিক নেই সেই মেয়েকে আমি আমার ছেলের ঘাড়ে চাপতে দিব না।
-"মা তোমার মাথা ঠিক আছে? কিসব বলছো..? মেঘলা আমার ছোট বোন আর তুমি ছি ছি ছিঃ কিভাবে ভাবতে পারছো এসব..?
-"আমাকে ছিঃ ছিঃ করতে হবে না. এভাবেই প্রেম শুরু হয় অস্বীকার করতে পারবি মেঘলাকে তোর ভাল লাগেনা? আর মেঘলা তোর চেয়ে আহামরি ছোট না মাত্র চার বছরের ছোট। নীলুটাও হয়েছে তেমনি বুঝিতো আমি সবি বুঝি, নীলু ইচ্ছে করে মেয়েটাকে তোর উপড় লেলিয়ে দিয়েছে যাতে সারাজীবন এই বাসাতেই থাকতে পারে।
-"মা প্লিজ চুপ করো তুমি। তোমার এসব কথা শুনতেও রুচিতে লাগছে।ছোট একটা মেয়ে, কখনো মা বাবার আদর পায়নি তাই আমি একটু আদর করি আর তুমি তাতে কালি লাগিয়ে দিচ্ছো..?
-"ছোট..? আর কত বড় হলে তোর কাছে ওকে বড় মনে হবে একটু বলবি প্লিজ? আমার তো মনে হয় তোর কাছে তো কখনো বড় হবে না।
-"ঠিক বলেছো যাকে ছোট থেকে বড় করেছি সে কখনো বড় হবে না। অন্তত আমার কাছে হবে না। তাই যেসব ভুলভাল চিন্তা করছো সেগুলো বাদ দাও মেঘলাকে আমি ওই চোখে দেখিনা।
-"তুই দেখিস না তো কি হয়েছে মেঘলা তো দেখতে পারে..গায়ে পড়া মেয়ে একটা, এতটুকু লাজ লজ্জা নেই। কি না কি ভাইয়ার হাতে খেতে হবে,ভাইয়ার সাথে ঘুরতে হবে এমন কি ঘুমাতেও হবে ভাইয়ার সাথে।
-"মেঘলা গায়ে পড়া না বরং আমিই ওকে শিখাই নি তাই দোষ যদি কারো থেকে থাকে সেটা আমার, মেঘলার না। বুঝ হওয়ার পর থেকে যার হাতে খাচ্ছে যার কোলে ঘুমাচ্ছে এখন তার কাছে আসা যাবে না কি করে জানবে..?
-"কি বলতে চাইছিস তুই..?
-"ফুফি যখন মেঘলাকে রেখে অফিসে যেত তখন যদি তোমরা ওর একটু খেয়াল রাখতে তাহলে মেঘলার দায়িত্ব আমাকে নিতে হত না। এখন তাহলে আমার হাতে খেতে চাইত না তোমাদের হাতেই খেত। কিন্তু তোমাদের কি সময় আছে? দুধের বাচ্চাটা সারাদিন না খেয়ে পড়ে থাকত একটা বার খুঁজ নিতে না।
-"যখন ছোট ছিল আদর যত্ন করতি ঠিক আছে এখন তো বড় হয়েছে...এখন ওকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া,খায়িয়ে দেওয়া এগুলা মানায় না। ও কি বুঝে না একটা ছেলের এত কাছাকাছি আসা যায় না।
-"মা প্লিজ মেঘলাকে টেনে এতটা নিচে নামিও না। ও অন্য মেয়েদের মত এত দূরদর্শী না।
-"আমি তোর সাথে তর্ক করতে আসিনি যা বললাম তার বীপরিত যেন না হয়. মেঘলার সাথে একদম মেলামেশা করবি না। যদি করিস তাহলে আমাকে অন্য ব্যাবস্থা নিতে হবে।
বলে আকাশকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রেহানা বেরিয়ে গেলেন আকাশ কিছুক্ষন ঝিম ধরে বসে রইল। আকাশের মন মূহুর্তেই খারাপ হয়ে গিয়েছে সে চিন্তা করছে মেঘলাকে কি করে নিষেধ করবে..যে মেয়ের তাকে ছাড়া একমিনিট চলে না সে কি পারবে তাকে ছাড়া থাকতে?
আসলে মেঘলা আকাশের ফুফাত বোন। তার ফুফু নীলা বেগম ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে এই বাসায় কেউ তাদের মেনে নেয় নি।তাই বিয়ের পর মেঘলার মায়ের এই বাসায় আসা নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু মেঘলা পেটে আসার পর হুট করে তার বাবা উধাও হয়ে যায় কোথায় গিয়েছে কেন গিয়েছে কাউকে বলে যায়নি তখন নীলা বেগম বাধ্য হয়েই বাসায় ফিরে আসে কিন্তু কেউ তাকে মন থেকে মানতে পারে না। তাই নিজেদের খরচ চালানোর জন্য মেঘলার একটু বড় হওয়ার পর নীলা বেগম চাকরিতে জয়েন করেন । ফলে মেঘলাকে বাসায় কাজের লোকের কাছে রেখে যেতেন। একদিন আকাশ নিজের একটা খেলনা খুঁজতে খুঁজতে মেঘলার ঘরে যায় আর দেখে কাজের মেয়েটা মেঘলাকে মারতে মারতে খাওয়াচ্ছে। মেঘলা কাঁদছে কিন্তু কাজের মেয়েটা তাকে মেরেই যাচ্ছে সেই দৃশ্য দেখে আকাশ সেই যে মেঘলাকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছিল আর কখনো কারো কাছে দেয়নি। নিজের সাথে সাথেই রাখত সবসময়। আকাশ নিজেও তখন ছোট তবুও নিজে খাওয়ার সময় মেঘলাকেউ খায়িয়ে দিত এমনকি মেঘলা গোসল করানো, ঘুম পাড়ানো সব আকাশেই করত। মেঘলা সেই থেকেই ভাইয়া ভক্ত হয়ে যায়। আসলে তাকে এই বাসায় কেউ তেমন পছন্দ করে না তাই অন্য কারো কাছে যায় না।সারাদিন আকাশের পিছু পিছু ঘুরে। আকাশ পড়তে বসলেও তার পাশে বসে থাকে৷ বাইরে গেলে মেঘলাকে সাথে নিয়ে যেতে হয় তার ব্যাতিক্রম হলেই কান্না জুড়ে। ছোটবেলার কোন অভ্যাসই মেঘলার বদলায় নি। এখনো আকাশের হাতে খেতে হবে,আকাশকে তার চুল বেঁধে দিতে হবে,জুতার ফিতে সেটাও আকাশকে বেঁধে হবে, শরীর খারাপ হলে আকাশের কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে হবে। এর উল্টো হলেই কান্না শুরু করে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। তার ছোট্ট পৃথিবীতে আকাশ ছাড়া কারো কোন অস্বিত্ব নেই। সারাক্ষন ভাইয়া ভাইয়া করতেই থাকে।
আকাশ ভাবছিল তখন কারোর গলায় ধ্যান ভাংগল,
-"আসব..?
আকাশ চোখ তুলে তাকাল দরজার দিকে।
-"ভালই হয়েছে তুই এসেছিস আয়...
-"মন খারাপ মনে হচ্ছে..?
-"না তেমন কিছু না আসলে
-"আরে কি হয়েছে বল না..
আকাশ চিন্তিত গলায় বলতে শুরু করল,
-"আচ্ছা নাবিল এই যে আমি মেঘলাকে আদর করি তোর কি মনে হয় এটা ভুল..?
-"পা*গল হলি নাকি? কিসব বলছিস কিসের ভুল?
-"না তবুও...
-"মেঘলার আর কে আছে বল তো..? বাসার কেউ ওদের তেমন পছন্দ করে না তারউপড় ফুফি সারাদিন ব্যাস্ত থাকে। বাবাকে তো জন্মের পর কোনদিন দেখেই নি আদর পাওয়া দূরের কথা ওকে আদর করবি না তো কাকে করবি?
-"কিন্তু ও বড় হচ্ছে..
-"তো কি ছোট থাকবে সারাজীবন? বড় হওয়ার সাথে ভালবাসার কি সম্পর্ক?
-"তুই ওকে ভালবাসিস?
-"অবশ্যই বাসি এত মিষ্টি একটা মেয়েকে ভাল না বেসে পারা যায়...
-"তাহলে তোকে নিয়ে কথা হয় না কেন? সবাই বলে আমিই শুধু নাকি মেঘলাকে ভালবাসি..
-"আমরা তো আগে এই বাসায় থাকতাম না এসেছি কিছুদিন হয় তাই এতটা চোখে পড়েনি নি কিন্তু তোর সাথে তো ছোটবেলা থেকে থাকে তাই বেশি চোখে পড়ে।
-"তারমানে আমাদের মেলামেশাটা সত্যিই চোখে পড়ে?
-"মানে?
-"কিছু না।
আকাশের কথা শুনে হা হা করে হেসে উঠল নাবিল।
-"এবার বুঝলাম স্যার কি বুঝাতে চাইছেন। আরে ধুর কে কি বলল বাদ দে তো আর যদি বেশি কিছু বলে তখন নাহয় বিয়ে করে ফেলবি ব্যাস সমস্যা মিটে গেল।
-"বিয়ে..?আমি মেঘলাকে?
নাবিল আবার হাসল,
-"আপত্তি থাকলে আমায় বলিস আমি করব নি।
নাবিলের কথা শেষ হতে না হতেই মেঘলার আগমন ঘটল,
-"কি হচ্ছে এখানে..? আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে মনে হচ্ছে?
বলতে বলতে মেঘলা এসে নাবিলের পাশে বসল..
-"নাবিল ভাইয়া কি নিয়ে কথা বলছিস?
কথাটা বলেই আকাশের দিকে তাকাল মেঘলা।
-"ক ক কি হয়েছে ভাইয়া এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
-"কোন সেন্সে তুই নাবিলের এত কাছে বসলি..?
আকাশের কথায় মেঘলা বেশ অবাক হল,
-"মানে..?
-"সরে বস ছেলে মেয়ের মাঝে মিনিমাম ডিস্টেন্স রাখা উচিত।
মেঘলা বেশ অবাক হল আকাশের কথায় সাথে সাথে নাবিল বলল,
-"আহ কি হচ্ছে কি আকাশ মেঘলা তুই বস তো আকাশের কথায় কান দিস না।
-"তোরা যে কি বলছিস কিছুই বুঝতে পারছি না যাক গে এসব ছাড় এবার বল বড় মা কি বলল রে ভাইয়া..?
-"কিছু না..
-"কিছু না মানে? বল বল কি বলেছে তোর কী মনে হয় বড় মা আমার সামনে বলতে চায় নি বলে আমি না শোনে থাকব?বল কি বলেছে?
-"মেঘলা তুই এত পটর পটর করিস কেন?
-"বলবি না?
-"নাহ! সবকিছু শোনে তোর কাজ কী?
-"আমি এত পর হয়ে গেছি আমি যে তোদের কথা শোনতে পারব না?
বলেই মুখ কালো করল মেঘলা..
-"উফফ মেঘলা...
-"লাগবে না শোনা,আমি তো কেউ না মা ছেলের কথা শুনার কি অধিকার আছে আমার? শুনব না, শুনব না আমি চলে যাচ্ছি...
-"ওই দাঁড়া...
মেঘলা কথা শোনল না বেরিয়ে গেল।
-"হয়ে গেল...এই রাগ আর ভাংগবে না। সারাদিন বসে বসে কাঁদবে, আমি কি যে করব!
-"জানিসেই ছেলে মানুষী করবে তবুও ক্ষেপাস কেন?
-"তো কি করব? কোলে নিয়ে নাচব? এই মেয়েটা আমাকে পা*গল করে ছাড়বে।
-"ছাড়ত তুই ভাল করে একটু বললেই ঠিক হয়ে যাবে।
-"তা না হয় হবে কিন্তু নাবিল কে কি বলল সেটা বিষয় না তবে ও যে আমার ব্যাপারে সামান্য কিছুও মেনে নিতে পারেনা, উপড় ওয়ালা না করুক যদি কোনদিন পরিস্থিতি বদলায়? যদি আমি বদলাই ও কি মানতে পারবে..? কারোর উপড়ে এতটা দুর্বল হওয়া কি উচিত?
-"সেটা তো তুই ই বানিয়েছিস কি দরকার ছিল এত আদর করার?
-"আমি কি ইচ্ছে করে করেছি? আমার করতে ইচ্ছে হয়েছে বলেই করেছি। ওর জন্য আমার আলাদা মায়া কাজ করে আমি কি করব?
-"তাহলে এই সমস্যার সমাধান কী?
-"আছে আমি যেমন ওকে কাছে টেনেছি আমাকেই দূরে ঠেলে দিতে হবে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
০২-পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন
লেখক সংক্ষেপ :
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন