উপন্যাস : শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত
লেখিকা : মানদা দেবী
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল : ১৯২৯ ইং
রচনাকাল :
লেখিকা মানদা দেবীর ‘শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত’ গ্রন্থটি মূলত আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ। তিনি তার ব্যক্তিজীবনের চড়াই উৎরাইকে উপজীব্য করে এটি লিখেছেন। এই গ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার পর পরই তৎকালিন উচ্চবিত্ত সমাজে ব্যপক সোরগোল শুরু হয়ে যায়। এমনকি যা আদালত অবদি গড়ায়। মানদা দেবীর বিখ্যাত এই আত্মজীবনীটি ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল।
![]() |
শিক্ষিতা পতিতার আত্ম-চরিত || মানদা দেবী |
1111111111111111111111111111
১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত || মানদা দেবী (পর্ব - ১৩)
গার্ডেন পার্টি
আমি নিজে পতিতা―তা’র উপর আবার সাজিয়াছি ভদ্রঘরের কুমারী, এই প্রকার জুয়াচুরী আর ভাল লাগিতেছে না। আমার হাতে হাজার কয়েক টাকা জমিয়াছে। এ হীন পাপ বৃত্তি আর করিব না কল্পনা করিতে ছিলাম, কিন্ত আমার দালাল দুইজন ইহাতে অসুখী হন দেখিয়া অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিপ্ত আছি।
দেহ বিক্রয় করিবার জন্য বার বার আমায় প্রলুব্ধ করিয়াছিল রাণীমাসী, সেজনা তা’কে ততটা দোষ দেওয়া হয়ত চলেনা, কারণ উহাই ছিল তাহার ব্যবসায়। কিন্তু আমার এই দালালদ্বয়, যাহারা ভদ্রলোকের ছেলে বলিয়া পরিচিত এবং উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রিও যাদের আছে, তা’দের এই প্রকার প্রবৃত্তির বিষয় যখন ভীবিতাম, তখন মনে হইত―হায় এ জগতের কি কল্যাণ আছে! যে জাতির মধ্যে উচ্চশিক্ষিত ভদ্রলোকের ছেলে বেশ্যার দালালি করে―দলালি করে কেন, বেশ্যাকে বেশ্যাবৃত্তি পরিত্যাগ করিতে দেখিলে তাহাকে এ পাপ বৃত্তি করিতে প্রলুব্ধ করে, তাহারাও ভদ্র এবং শিক্ষিত। আমি দেখিয়াছি, বারবনিতা সমাজেও কেহ এই বৃত্তি পরিত্যাগ করিতে চাহিলে, অনেক পতিতা তাহাকে সাহায্যই করিয়া থাকে, কিন্তু ভদ্র-নাম-ধারী লোকের একি প্রবৃত্তি! সেদিন রামবাগানের অবস্থাপন্ন পতিতা-নারী চুণী গলায় দড়ি দিয়া আত্মাহত্যা করিয়াছে; তাহার আত্মহত্যার কারণ সে এক চিঠিতে লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছিল―“পতিতার জীবনে আমার ধিক্কার জন্মিয়াছে।” সে অন্যান্য পতিতাকেও এই বৃত্তি পরিত্যাগ করিতে উপদেশ দিয়া গিয়াছে। যে পাপবৃত্তি করিতে প্রাণ আর চাহে না তাহাতে লিপ্ত থাকিতে যে কি কষ্ট, তাহা, কাহাকেও বুঝান যায় না। একদিন আমার উকিল দালালটি বলিলেন―দমদমায় ... বাবুর লাগানে একটা পার্টি দিব ঠিক করিয়াছি। আমি বলিলাম―দমদমায় আর কেন, যদি দিতেই হয় তবে বাড়ীতেই দাও। তিনি শুনিলেন না, বাগানেই ভাল লোক আসেন, ইহাই বুঝাইয়া বাগানে পাটির উদ্যোগ করিলেন। আমার নামে মুদ্রিত নিমন্ত্রণ পত্রও বিলি হইল, কিন্তু কাহারা যে নিমন্ত্রিত হইলেন সে খবর আমি নেই নাই। অনিচ্ছায় যে কাজ, তাহাতে তেমন উৎসাহ, উদ্দীপনা থাকে না। নির্দ্দিষ্ট দিনে আমার নিজের মোটরে দমদমায় গেলাম। মোটর চালাইলেন খোদ ব্যারিষ্টার সাহেব। আমি তাঁর বামদিকে বসিয়াছিলাম, উকিল বাবু ছিলেন আমদের পিছনে।
দমদমায় যাইয়া দেখি সেখানে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ২০।২৫ জন লোক বসিয়া আছেন। কয়েকটি খদ্দর পরিহিত যুবক নানা আয়োজনে ব্যস্ত। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম এরা কারা! উকিল বাবু বলিলেন, ইনি পার্টির খরচ দিচ্ছেন ... বাবু, এরা তাঁহারই লোক। যিনি খরচ বহন করিতেছেন তাঁহারও খদ্দরের জামা কাপড় এবং পায়ে স্যাণ্ডেল দেখিয়া মনে মনে বড় বিরক্ত হইলাম। কারণ নিন্দিত পল্লীতে থাকিতেও এই প্রকারের খদ্দর পরিহিত বহু যুবক, প্রৌঢ়ের সাক্ষাৎ ঘটিয়াছে, কিন্তু তাহাদের দ্বারা আয় হইয়াছে সামান্য। পুলিশগুলি যেমন ঐ সকল পল্লীতে তাহাদের পোষাকের দাপটে কাজ সারিয়া যায়, খদ্দর পরিহিত দেশকর্ম্মী ভলান্টিয়ার নামধারী অনেক যুবকও বলে―আমরা দেশের কাজে ব্রতী, পয়সা পাব কোথায়? অনেক কবি, এবং সাহিত্যিকের দলও রিয়েলিষ্টিক আর্টের খোঁজে নিন্দিত পল্লীতে যাইয়া মার্জ্জিত কথা বলে, এবং বিনা খরচায় আর্টের স্বরূপ বুঝিতে চেষ্টা করে, সুতরাং আমার বিরক্ত হওয়াটা যে খুব অন্যায় হইয়াছে তাহা অন্ততঃ কোন ব্যবসায়ী লোক মনে করিবেন না।
সেদিন শিষ্টতার খাতিরে একটা গান গাহিলাম। আমার পরে অন্য দুই একজনও গান ধরিলেন। গান শেষ হইলে নারী নিগ্রহের কথা উঠিল―সকলেই ইহার জন্য তীব্র মন্তব্য প্রকাশ করিলেন। মন্তব্য প্রকাশের প্রধান কারণ মুসলমান সমাজের নীরবতা। একজন মুসলমান ভদ্রলোক ইহার প্রতিবাদ করিয়া যাহা বলিলেন, তাহার সারমর্ম্ম এই―হিন্দু নারীগণই মুসলমানদের সঙ্গে যায়, ইহা মুসলমানদের দোষ নহে। মৌলবী আক্রাম খাঁ ও এই প্রকার কথাই তাঁহাদের আহুত প্রতিবাদ সভায় বলিয়াছিলেন। এই পার্টি যেদিন হইয়াছিল তাহার কয়েকদিন পূর্ব্বের কাগজেই ময়মনসিংহ সহরের ওভারসিয়ার শিক্ষিত মুসলমান আব্দুল রহিমের অবিবাহিতা কন্যা এবং কটিহাদি থানার গোলাম সাহেবের স্ত্রীর নির্য্যাতনের খবর দেখাইয়া বলিলাম, ইহারা কি হিন্দু ছিল―না―হিন্দু ইহাদের অপহরণ করিয়াছে! আক্রাম খাঁসাহেবকে একটু ভাবিয়া ইহার উত্তর দিতে বলিবেন কি? আব্দুল রহিম সাহেবের এই কন্যাকে উদ্ধার করিবার জন্য হিন্দুগণ যে প্রকার চেষ্টা করিয়াছিলেন তেমন প্রাণপণ চেষ্টা মুসলমানগণও করেন নাই। থানার দারোগা ঘোষাল মহাশয়ও হিন্দু, তিনি এজন্য আসমুদ্র হিমাচল মন্থনের আয়োজন করিয়াছিলেন। মৌলবী সাহেব এ বিষয়ে আব কোন জবাব দিতে না পারিয়া সৈনিক-কবি নজরুল ইছলমের বিবাহটা উল্লেখ করিয়া ফেলিলেন, এবং হিন্দুর দোষেই এ বিবাহটা হইয়াছে বলিলেন। তিনি আরও বলিলেন ‘নজরুল কি মেয়ের ভাইএর নিকট এ প্রস্তাব নিয়া প্রথমে যাইতে সাহসী হইত যদি সে’ ... আমি তাহাকে বাধা দিয়া বলিলাম, যাহাদের কোন শাস্ত্রানুসারে বিবাহ হইয়াছে, তাহাদের কথা উল্লেখ করা উচিত নয়, আপনি এ বিষয়ে কোন কথা বলিবেন না। তিনি বেশ একটু রাগের ভাব দেখাইয়া চুপ করিতে বাধ্য হইলেন। আমি মনে মনে বলিলাম ইহা এক মাত্র অবাধ মেলা মেশার পরিণাম, যদি বিবাহটা আরও কিছু দিন টিকিয়া যায় তবে হয়ত বা পাকা হইলেও হইতে পারে।
এই মৌলবী সাহেবটি এমনই নির্লজ্জ যে আবার বলিতে লাগিলেন―আজকাল রাস্তা ঘাটে যে সকল হিন্দুমেয়ে বে-আবরু চলা ফেরা করেন, তাঁহাদের অনেকের ডানদিকের অঙ্গ বিশেষের উপর ইচ্ছাপূর্ব্বক সাড়ী না দিবার কারণ কি? আমি লজ্জায় জিভ কাটিলাম। একথার কি উত্তর দিব। পতিতাগণও যে অঙ্গ রাস্তায় চলিতে সাবধানে ঢাকিয়া চলে, আজকাল গৃহস্থ কুমারী ও বিবাহিতা দিগের অনেকে উহা খোলা রাখা যেন ফ্যাসান মনে করেন। ইহার উত্তর নাই। বেশ একটু রুক্ষ মেজাজে তাঁহাকে বলিলাম―মহিলাদের সম্মান রাখিয়া যিনি কথা বলিতে পারেন না, তাঁহার কথা না বলাই উচিত।
আমার এই কথায় কয়েকজন বিশিষ্ট মুসলমান একসঙ্গে চলিয়া গেলেন, কিন্তু রহিলেন দুই এক জন। যিনি পার্টিদাতার অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং হিন্দু মুসলমান মিলনের বিশেষ কর্ম্মী বলিয়া আমার দালাল আমাকে তাঁহার নিকট পরিচয় করাইয়া দেন, তাঁহার মতলব আমার আর বুঝিতে বাকী রহিল না। আমি আমার দালালকে ঘৃণাভরে গোপনে বলিলাম; এ পাপবৃত্তি আজই শেষ, আর না। নিন্দিত পল্লীতেও যাহাদের গ্রহণ করি নাই আজ তুমি তাদের নিয়ে এসে হাজির! ধিক তোমাদের শিক্ষায়! দালালটি বলিল এ নাহ’লে যে হিন্দু-মুসলমান মিলন হয় না, তাই এদের বাদ দিয়ে পাটি দেওয়া ভাল নহে। তাহাদের প্রকাশ্যে কিছু বলিলাম না, লোকটার রুচি যেন মার্জ্জিত বলিয়াই মনে হইল।
এমন সময় কেহ কেহ সর্দ্দার বিলের বাদ প্রতিবাদ আরম্ভ করিলেন। আমার আর উহাতে যোগ দিবার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু গায় পড়ে যখন আমার মতামত জানিতে চাহিল তখন আর কি করি! আমি যে শিক্ষিতা উদার নারীর আবরণে নিজেকে ঢাকিয়া কথা কহিতে ছিলাম, তাহা ভুলিয়া গেলাম। আমাদের পতিতা সমাজে যে হাজার হাজার কুমারী মেয়ে প্রথম যৌবন উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে যৌনলিস্পা চরিতার্থ করিতে না পারিয়া প্রবৃত্তির তাড়নায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হইয়া অবৈধ প্রেমে মজিয়া নিন্দিত পল্লীতে আশ্রয় লইতে বাধ্য হইয়াছে―তাহাদের কথাই মনে হইল। মনে হইল যাহারা নিজেদের কলঙ্ক ঢাকিয়া রাখিতে পারে নাই তাহারাই ত এখানে আসিয়াছে, তাহারা ত সমাজের অতি সামান্য অংশ মাত্র। এ প্রকার গুপ্ত প্রেম কয়টা ধরা পড়ে? হাজারে দু-একটা বইত নয়?
প্রকাশ্যে বলিলাম―প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে রজোদর্শনের সঙ্গে সঙ্গেই যখন মেয়েদের প্রবৃত্তি জীগরিত হয়, তখন ইহার পুর্ব্বেই বিবাহ দেওয়া উচিত। মৌলবী সাহেব বলিলেন―মিস্ মুখার্জ্জির মুখে এমন উত্তরের আশা আমরা করি নাই। আমি বলিলাম―আমি কেন―ঐ সেদিন যে নারীবাহিনী সর্দ্দার বিল সমর্থন করিতে টাউনহলে গিয়াছিল, তাহাদের যাইয়া গোপনে জিজ্ঞাসা করুন, তাহারাও আমার মতেরই প্রতিধ্বনি করিবে। আমি আর নিজেকে সামলাইতে পারিলাম না―ঢাকার ছাত্রী নিবাসের ভ্রূণহত্যা, দাস, গুহ পরিবারের অবৈধ বিবাহ প্রভৃতি কতকগুলি বড় ঘরের দৃষ্টান্ত দেখাইয়া দিলাম। সৈয়দ হুসেনের সঙ্গে নেহরু কন্যার পলায়নের কথাটাও বলিয়া ফেলিলাম।
শাস্ত্র আমি জানি না, জানিতেও চাহি না, কিন্তু প্রাণে ক্ষুধা থাকিলে যদি সুধার পাত্র সম্মুখে পায় তবে এমন বীর নারী কয়জন আছে যে বৎসরের পর বৎসর তাহা গ্রহণ না করিয়া মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যায়? ইংলণ্ড, আমেরিকায় কি দেখিতেছি, সেখানে প্রতিশতে কুড়িটা ছাত্রী বিবাহের পূর্ব্বে সন্তান প্রসব করে; ইহাতে তাহাদের সমাজচ্যুত হইতে হয় না। যদি ভারতকে তোমরা আমেরিকা করিতে চাও, তবে সে ভিন্ন কথা।
মৌলবী সাহেব তখন আলবার্ট হলে মেয়েদের সর্দ্দার বিবাহ বিল সমর্থনের কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন―এই সে দিন ২।৩ শত মহিলা আলবার্ট হলে মিলিত হইয়া “তালাক” আইনটাও পাশ করিতে অনুরোধ জানাইয়াছেন। এর উত্তর আমি আর কি বলিব ভাবিয়া উঠিতে পারিলাম না। হায় হিন্দুনারী, আজ তোমার এ কি মনোবৃত্তি! তোমারা যে দেখ্ছি সারা ভারতটাকে সোণাগাছিতে পরিণত কর্তে পারলে পরিতৃপ্ত হও। একথার কোন জবাব না দিয়া বলিলাম―চতুর্দ্দশ বৎসরের পূর্ব্বে কন্যার বিবাহ দিবার জন্য অভিভাবককে কেহ যখন বাধ্য করে না, যদি উহা অকল্যাণ মনে করেন, তখন দেশকে বুঝাইয়া সেই ব্যবস্থা করা উচিত। তাহা না করিয়া পুলিশের হাতে হিন্দুর যৌন ব্যাপার যাহারা দিতে চেষ্টা করিতেছেন তাহারা দেশের ঘোর শত্রু। বিশেষতঃ আমরা যখন শীঘ্রই স্বরাজ পাইতেছি, তখন এ কয়টা মাস সবুর করিলে কি চলে না?
সেইদিন হইতে আমি প্রতিজ্ঞ করিলাম―এ পাপ ব্যবসায় আর করিব না। রিপু জয় করিতে পারি নাই বটে, চেষ্টা করিব। আমি এখন পাপ ব্যবসা পরিত্যাগ করিয়াছি। আমার যে টাকা আছে তাহার দ্বারা আমার জীবনের অবশিষ্ট সময় চলিতে পারে। কবে মরিব ঠিক নাই―হয়ত আমার ধন আমার নিজ কার্য্যে ব্যয় না ইইতেও পারে। দালালদ্বয় একটা উইল করিতে বলিলেন―আমি তাহাদের প্রস্তাবে স্বীকৃত হইয়া একটা খসড়া প্রস্তুত করিতে বলিলাম। খসড়া পড়িয়া দেখিলাম―আমার মৃত্যুর পর তাহারা আমার ত্যজ্য সম্পত্তির উত্তরাধিকারী―এই প্রকার লিখিয়াছেন। আমি বলিলাম―তাহা হইতে পারে না―আমার মৃত্যুর পর―পতিত ও অন্ত্যজ জাতির সেবায় আমার ত্যজ্য সম্পত্তি ব্যয় করিতে হইবে। পতিতার ত্যজ্য সম্পত্তি গবর্ণমেণ্ট নিয়া যান―তাহাতে পতিতার ইচ্ছানুরূপ কোন কার্য্যই হয় না―এজন্য কলিকাতার কয়েকটি পতিতা মৃত্যুর পূর্বে হিন্দু ধর্ম্মের যাঁহারা সংস্কারক এমন প্রতিষ্ঠানে দান করিয়া গিয়াছেন―আমিও তাহাই করিব স্থির করিয়াছি। হিন্দুসভা এবং হিন্দুমিশন, এই সকল কার্য্যে বিশেষ অগ্রণী।
আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
--সমাপ্ত--
লেখক সংক্ষেপ :
১৯০০ সালে কোলকাতার ধনী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মানদা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বাবা ছিলেন শহরের নামকরা উকিল। মাত্র দশ বছর বয়সে মাকে হারান মানদা দেবী। এরপর তার বাবা কন্যাসম এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন। এতে বাবার মনোযোগ হারান তিনি।
ধনী পরিবারের কণ্যা হওয়া সত্ত্বেও জীবনের এক পর্যায়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন মানদা। সেসব কথাই তুলে ধরেছেন ‘শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত’ নামের আত্মজীবনীকা মূলক গ্রন্থে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন