উপন্যাস : শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত
লেখিকা : মানদা দেবী
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল : ১৯২৯ ইং
রচনাকাল :
লেখিকা মানদা দেবীর ‘শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত’ গ্রন্থটি মূলত আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ। তিনি তার ব্যক্তিজীবনের চড়াই উৎরাইকে উপজীব্য করে এটি লিখেছেন। এই গ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার পর পরই তৎকালিন উচ্চবিত্ত সমাজে ব্যপক সোরগোল শুরু হয়ে যায়। এমনকি যা আদালত অবদি গড়ায়। মানদা দেবীর বিখ্যাত এই আত্মজীবনীটি ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল।
![]() |
শিক্ষিতা পতিতার আত্ম-চরিত || মানদা দেবী |
1111111111111111111111111111
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত || মানদা দেবী (ভূমিকা পর্ব)
আমার কৈফিয়ৎ
পুস্তকের নাম দেখিয়া অনেকেই হয়ত মনে করিবেন যে এই প্রকার জীবনী লিখিবার উদ্দেশ্য কি! মহৎ জীবনীর উদ্দেশ্য মহৎ হইলেও তাহা সমাজের পূর্ণ চিত্র নহে। আমার জীবন মোটেই মহৎ নহে, অধিকন্তু ঠিক তাহার বিপরীত; কিন্তু পুস্তকের উদ্দেশ্য মহৎ। আমি পাপী, কলঙ্কিনী, যশের প্রার্থী নহি―সুতরাং আমার জীবনের খাঁটি কথাগুলি আমি যেমন অকপটে বলিতে পারিব, কোন মহৎই তাঁহার জীবনের ঘটনা তেমন অকপটে বলেন নাই। বলিতে পারেন না। পাপের স্বরূপ চিনিয়া রাখা প্রয়োজন। পাপ জিনিষটা যে কি কৈশোরে তাহা বুঝিতে পারি নাই বলিয়াই আজ আমি―আমি কেন―আমার মত সহস্র সহস্র নারী পতিতা।
বারবনিতা-জীবনে যে দুঃখ কষ্ট এবং অনুতাপ ভোগ করিয়াছি তাহারই স্মৃতি লইয়া এই পুস্তক রচিত হইয়াছে। যাঁহারা আমাদের জীবনকে সুখময় মনে করেন―আমাদের সংস্পর্শে আসিতে আগ্রহান্বিত তাঁহারা বুঝবেন এ পৃথিবীতে যদি নরক থাকে তবে তাহা আমাদের জীবন।
আমি সমাজের ঘৃণীতা, অস্পৃশ্যা―সমাজে আমার স্থান নাই, স্থান থাকাও উচিত নহে, কিন্তু যে সকল সাধু-বেশী লম্পট আমাদের সংস্পর্শে থাকিয়াও সমাজের উচ্চস্থান অধিকার করিয়া আছেন, আমার জীবনীতে তাহাদেরও কতিপয় চিত্র দেখিয়া সমাজটাকে চিনিয়া রাখিতে পারিবেন। এই ভণ্ডের দল কি প্রকারে অবোধ বালিকার সর্বনাশ করে, তাহার চিত্র দেখিয়া স্তম্ভিত হইবেন।
আমার এই আত্ম জীবনীতে শিবনাথ শাস্ত্রী, স্যার সুরেন্দ্র নাথ, দেশবন্ধু দাশ, ব্যোমকেশ চক্রবর্ত্তী, অশ্বিনীকুমার দত্ত, পূজনীয়া শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী, সন্তোষ কুমারী গুপ্তা, উর্ম্মিলা দেবী, সুনিতী দেবী, মোহিনী দেবী, সরলা দেবী, হেমপ্রভা মজুমদার, বগলা সোম, লেডী অবলা বসু, কামিনী রায়, জ্যোতির্ম্ময়ী গাঙ্গুলী, মিসেস্ বি. এল. চৌধুরী, রমলা গুপ্তা, লীলাবতী দাশ, শ্রীযুক্ত হেরম্ব চন্দ্র মৈত্র, কৃষ্ণকুমার মিত্র, মহেশচন্দ্র আতর্থী; কাজি নজরুল ইছলাম ও তৎপত্নী, মতিলাল নেহরু ও তৎকন্যা এবং সৈয়দ হুসেন, কুমার গোপীকারমণ রায়, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, আক্রাম খাঁ, আবদুল রহিম, ডাঃ বিমলচন্দ্র ঘোষ, আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, বীরেন শাসমল, জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সরকার, প্রতাপ গুহরায়, বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়, অমৃতলাল বসু, দীনবন্ধু মিত্র, দ্বিজেন্দ্র লাল, শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ নরেশ চন্দ্র সেনগুপ্ত, স্বামী সত্যানন্দ, স্বামী বিশ্বানন্দ, স্বামী সচ্চিদানন্দ, তারকেশ্বরের মোহান্ত প্রভৃতি মহোদয় ও মহোদয়ার নাম প্রয়োজন বশতঃ উল্লিখিত হইয়াছে। আমার মত নূতন লেখিকার অক্ষমতার দোষে যদি তাঁহাদের সুনামের কোন হানি হইয়া থাকে এজন্য তাঁহাদের প্রত্যেকের নিকট এবং মৃত ব্যক্তিদিগের আত্মার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।
এই জীবনীতে আমার ফটো চিত্র দিতে ইচ্ছা করিয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু আমার ভূতপূর্ব্ব শিক্ষক মুকুলচন্দ্র বানার্জ্জি, উকিল মহাশয়ের বিশেষ অনুরোধে তাহা দেওয়া হইল না।
বিনিতা
- শ্রীমতী মানদা দেবী
দ্বিতীয় সংস্করণের বিজ্ঞাপন
বিশ্বনাথের কৃপায় কয়েক দিনের মধ্যে পুস্তকের দ্বিতীয়বার মুদ্রনের প্রয়োজন হইল। এই সংস্করণে সামান্য পরিবর্ত্তন ও পরিবর্দ্ধন হইয়াছে।
আমার এই জীবনীতে ইঞ্জিনীয়ার কন্যা সুরুচীর সম্বন্ধে কয়েকটি কথা আছে। সুরুচীর ভ্রাতা এজন্য পুস্তকের প্রকাশক এবং আমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনয়নের উদ্দেশ্যে, উকিল দ্বারা এক নোটীশ দিয়াছেন। নোটীশে বলা হইয়াছে― “সুরুচী পতিতা নহে, সে আমার বাড়ী যাইত না, আমি ভদ্রলোকের কন্যা জানিয়া গৃহস্থ হইয়াও সে আমাকে তাহার বাড়ীতে যাইয়া তাহার সঙ্গে মিশিবার সুযোগ দিয়াছিল। সুরুচী কৃষ্ণকুমার বাবুর জামাতার ঘড়ি চুরি করে নাই ইত্যাদি ইত্যাদি।”
নোটীশের কোন জবাব আমি দেই নাই এবং দিব না, মোকদ্দমার প্রতীক্ষায় রহিলাম, যদি মোকদ্দমা হয় তবে পতিতা সমাজের এমন ঘটনা বাহির হইবে যাহাতে দেশের মঙ্গল হইতে পারে।
আমার এই জীবনী আমার নিজের লেখা কি অন্য পুরুষের লেখা, তাহা লইয়া একদল লোক মাথা ঘামাইতেছেন শুনিতেছি। নারী সম্বন্ধে পুরুষের নানা প্রকার হীন ধারণার জন্যই নারী আজ বিশ্বে সমানাধিকার দাবী না করিয়া পারিতেছেন না। যদি তাঁহারা কেবল ইহাই ভাবিয়া থাকেন যে―পতিতার কি বই লিখিবার ক্ষমতা আছে―ইহার উত্তরে বলা যাইতে পারে যে―পতিতগণ যদি বই লিখিতে বা পত্রিকা সম্পাদন করিতে পারেন, তবে পতিতাগণ পারিবে না কেন? বিশেষতঃ পতিতাগণের লিখিত পুস্তকের যথেষ্ট আদর আছে শুনিতে পাওয়া যায়।
প্রতিভার পরিমাপ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিগ্রি দ্বারা হয় না। পূজনীয়া শ্রীযুক্তা অনুরূপা দেবী, নিরুপমা দেবীর কোন ডিগ্রি নাই, ইঁহারা হিন্দু ঘরের সেকেলে মেয়ে, রিয়েলিষ্টিক্ আর্টেরও কোন ধার ধারেন না, কিন্তু ইঁহাদের লেখনী হইতে যেমন লেখা বাহির হইয়াছে এ পর্যন্ত কোন উপাধিধারিনী তেমন সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর পুস্তক যে লিখিতে পারেন নাই; তাহা সর্ব্ববাদী সম্মত।
‘ভোটে পতিতার স্থান’ নামক একটি অধ্যায় এই পুস্তকের জন্য লিখিত হইয়াছিল কিন্তু তাহা কোন বিশিষ্ট রাজনৈতিকের মতামত গ্রহণ না করিতে পারায় এবারেও মুদ্রিত হইল না।
আমার জীবনীতে যাঁহাদের প্রতি সামান্য ইঙ্গিত আছে তাঁহাদের নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। কাহারও প্রাণে ব্যাথা দিবার জন্য এ পুস্তক লিখিত হয় নাই। বর্তমান সমাজের খাঁটি চিত্র দেখাইয়া সমাজপতিগণের মনোযোগ আকর্ষণই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। আমার পরিশ্রম সার্থক হইয়াছে—সমাজে সাড়া পড়িয়াছে।
নারী পতিতা হইলে তাহার নাকি কোন মূল্যই থাকে না। তাহাকে অপমান করিলেও আইন অনুসারে ‘মান হানীর’ দাবী চলে না, কিন্তু ‘পতিত’ পুরুষের বেলায় এই আইনই কার্যকারী―কারণ, আইন প্রণেতা পুরুষ। আমার উকিল বলেন―আইনের এই ত্রুটির জন্যই, সুরুচী পতিতা নহে―এই মিথ্যা কথা বলিতে বাধ্য হইয়াছে। কংগ্রেস কাউন্সিলে যাঁহারা নারী পুরুষের সমানাধিকার দাবী করেন তাঁহারা কি আইন সভায় ইহার প্রতিকার প্রার্থী হইতে পারেন না? প্রকাশ্যে পতিতাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাইলে নিন্দার কোন নূতন কারণ উপস্থিত হইবে না। কারণ কংগ্রেস ও কাউন্সিলের এই সকল মার্কামারা সদস্যদিগকে দেশের লোক ভাল করিয়াই জানে। যদি আগামী কংগ্রেস ও কাউন্সিলে আমাদের এই দাবী কেহ উপস্থিত না করেন তবে মনে করিব যাহারা সমানাধিকারের জন্য চিৎকার করেন তাঁহারা নিছক মিথ্যাবাদী। হয় আমাদের দাবী পূরণ কর―না হয় ‘পতিত’ দিগকে ও কংগ্রেস কাউন্সিল অথবা অন্য কোন কার্য্য হইতে বহিষ্কৃত করিবার জন্য আইন কর।
চতুর্থ সংস্করণের ভূমিকা
অযাচিত অনুকূল ও প্রতিকূল সমালোচনার ফলে একমাস মধ্যে তৃতীয় সংস্করণের চারি হাজার পুস্তক নিঃশেষিত হওয়ায় চতুর্থ সংস্করণ মুদ্রিত হইল। এ সংস্করণেও সামান্য পরিবর্তন হইয়াছে।
কয়েকটী সুনীতিবাদী কাগজ এই পুস্তকে অশ্লীলতার গন্ধ পাইয়াছেন এবং তদনুরূপ সমালোচনাও করিয়াছেন; পক্ষান্তরে দেশ বরেণ্য ও শ্রদ্ধেয় বহু সমাজনেতা ও সাহিত্য-রথী এই পুস্তক সম্বন্ধে উক্ত সুনীতিবাদিগণের বিরুদ্ধ মত সমালোচনা করিয়াছেন ও আমাদিগকে জানাইয়াছেন। তাহা হইতে কয়েকখানি পুস্তকের সঙ্গে মুদ্রিত হইল।
প্রভুপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় পুস্তক সম্বন্ধে লিখিয়াছেন “জননীর স্তন হইতে শিশু দুগ্ধই গ্রহণ করে কিন্তু জলৌকা বা জোঁক সেই স্তন হইতেই রুধির ভিন্ন আর কিছুই বাহির করিতে পারে না।”
উপরোক্ত সুনীতি বাগীশদিগের সম্বন্ধে আমাকে কয়েকটী কথা বলিতে হইতেছে।
“ছোট বউর বাঁট দুখানির আস্বাদন” যে খবরের কাগজ ভদ্রসমাজে পরিবেশন করিয়াছেন এবং যে শ্রেণীর সাধুবেশী লম্পট এবং ‘ম’ কারের উপাসক নারীকে প্রগতি প্রাপ্তা করাইতে অঙ্গহীন হইয়াছেন তাঁহারাই মাত্র গন্ধ পাইয়াছেন। দুঃখ হয় এই ভাবিয়া যে এঁরা বিশ্ব-সাহিত্য ত দূরের কথা সংস্কৃত কুমারসম্ভব খানিও যেন পড়েন নাই। পড়িলে ‘কুমার সম্ভব’ আজ বি, এ, ক্লাসের পাঠ্যতালিকায় স্থান না পাইয়া ইহাদের মানবহিতকর উপদেশে গবর্ণমেন্ট কর্ত্তৃক ‘প্রোষ্ক্রাইবড্’ পুস্তক শ্রেণীর অঙ্গীভূত হইত।
ছাগ মনস্তত্ব বিশ্লেষণের অত্যুগ্র পলাণ্ডু গন্ধী গো-শূকর মাংস যে সকল সাহিত্যরথিগণের অনায়াসে হজম হইয়াছে হরিণ মাংসে তাঁহাদের সহসা এবম্প্রকার অরুচি কি করিয়া সম্ভব হইল তৎসম্বন্ধে কোন লব্ধপ্রতিষ্ঠ কাগজ লিখিয়াছেন···পুস্তকে অনেক অপ্রিয় সত্য আলোচিত হইয়াছে।...
যাঁহাদের হাঁড়ি আজিও হাটে ফাটে নাই, তাঁহারাও বুঝিবা এই ফাটে ভয়ে চিৎকার করিতেছেন।”
সুরুচির একনিষ্ঠ উপাসক, লব্ধপ্রতিষ্ঠ কোন এক মাসিকের পৌষ সংখ্যায় শ্লীলতার পরাকাষ্ঠার এক চিত্র বাহির হইয়াছে। উহাতে আছে তিন জোড়া যুবতীর স্তনের ছড়াছড়ি মাত্র। সুরুচি বাগীশ সম্পাদক মহাশয় শ্লীলতার মাপ কাঠি খানি কোথায় লাভ করিয়াছেন জানিতে কৌতুহল হয়। ইতিহাসের দোহাই দিয়া হয়ত সম্পাদক মহাশয় আত্মরক্ষা করিতে চাহিবেন; কিন্তু চিত্রে ইতিহাস টিকিবে কি?
রাজাও নহেন ঋষিও নহেন এমন কোন সমাজ সংস্কারক (?) যৎকালে যবন উপপত্নীর সঙ্গে উভয়ে উলঙ্গ অবস্থায় মদ্য পানে রত, ইহাদের তৎকালীন চিত্র সম্ভবতঃ উপরি উক্ত সম্পাদক মহাশয়ের চক্ষে অশ্লীল দেখাইবে; কিন্তু কেহ ত আজি পর্যন্ত তৎসম্বন্ধে কোন চিত্র প্রকাশ করিয়া ঐতিহাসিক তত্ত্ব আবিষ্কার অথবা রুচি জ্ঞানের পরিচয় দেন নাই।
যে সমাজের সিদ্ধ মহাপুরুষকে এরূপ অবমাননাকর চিত্রে অঙ্কিত করা হইয়াছে বাঙ্গালায় তাঁহাদের লোক সংখ্যা অতি নগন্য। নতুবা এই স্পর্দ্ধা সম্ভব হইত কি? পতিতার পক্ষেও কথা বলিবার কেহ নাই বলিয়াই কি সুরুচিবাগীশের দল অমন লম্বা চওড়া স্পীচ্ ঝাড়িতে শুরু করিয়াছেন? এ চাল বাজিতে দেশের লোক আর ভুলিবে বলিয়া মনে হইতেছে না।
দৈনিক বঙ্গবাণী ইঙ্গিত করিয়াছেন যে পণ্ডিত শ্যাম সুন্দর চক্রবর্ত্তী এই পুস্তকের লেখক এবং মনস্বী জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায় পুস্তকের লভ্যাংশ পাইয়া থাকেন। পতিতা সমাজে যদি ইচ্ছাপূর্ব্বক কাহারও উপর মিথ্যা দোষারোপ করে―তাহার বিচার হয় সন্মার্জ্জনী দ্বারা―এই লেখক মহাশয় ‘পতিত’ কিনা না জানায় তাঁহাদের দলপতির উপর এই মিথ্যা উক্তির বিচারের ভার অর্পণ করিলাম।
আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে.....
১ম পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন
লেখক সংক্ষেপ :
১৯০০ সালে কোলকাতার ধনী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মানদা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বাবা ছিলেন শহরের নামকরা উকিল। মাত্র দশ বছর বয়সে মাকে হারান মানদা দেবী। এরপর তার বাবা কন্যাসম এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন। এতে বাবার মনোযোগ হারান তিনি।
ধনী পরিবারের কণ্যা হওয়া সত্ত্বেও জীবনের এক পর্যায়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন মানদা। সেসব কথাই তুলে ধরেছেন ‘শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত’ নামের আত্মজীবনীকা মূলক গ্রন্থে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন