উপন্যাস : ভিলেন
লেখিকা : মনা হোসাইন
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
![]() |
ভিলেন || মনা হোসাইন |
1111111111111111111111
১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ১৮)
নাবিলঃ আমি তোকে নিয়ে এসেছি মানে এই না যে তোর জন্য আমার দরদ উতলে পড়ছে..!!!
মেঘলাঃ মানে...
নাবিলঃ মানে হল তোকে আমি সহ্য করতে পারি না কিন্তু তোকে চোখের সামনে রাখার একটা সুযোগ পেয়েছি তাই নিয়ে এসেছি...
মেঘলাঃ তারমানে আমি....
নাবিলঃ হ্যা তুই এই বাড়িতে একজন আশ্রিতা ছাড়া আর কিছু না...কথা টা বলেই নাবিল চলে গেল কিন্তু নাবিল কেন মেঘলাকে সহ্য করতে পারে না সেটা বলল না।
পরদিন সকালে,
রুবিনা বেগমের ডাকে মেঘলার ঘুম ভাংল।
মেঘলাঃ কিছু কি হয়েছে বড় মা এভাবে ডাকছো কেন...??
রুবিনা বেগমঃ নবাবজাদি এভাবে ঘুমালে এ বাসায় থাকা যাবে না যা সবার ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নিয়ে আয়...
মেঘলাঃ আমি কি করে বানাব আমিতো রান্না পারি না বড় মা..ছোট থেকে তো কোন কাজ করতে হয় নি আর বাবা বিয়ে করার পর নতুন মা যা যা কাজ করতে বলত সব তো মা করে দিত আমাকে করতে দেয়নি কিছু।
রুবিনা বেগমঃ এখন আর এসব চলবে না বলেই মেঘলার হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেল...
নাবিল ব্যাপারটা দেখল কিন্তু কিছু বলল না।
রুবিনা বেগম রান্না ঘরে নাবিলের মা কে গিয়ে ,শায়রা ওকে তুমি সব কাজ শিখিয়ে দিবে আজ থেকে বাসার সব কাজ ও করবে..বলেই মেঘলাকে ধাক্কা দিল।
মেঘলা গিয়ে নাবিলের মার উপড় পড়ল...
শায়রা বেগমঃ আহ ভাবি কি করছো সব কাজ ত আমি আর ফুলির মা করি তাহলে তোমার সমস্যা কি?যা তো মেঘলা তুই ঘরে যা..তোর এসব কিছু করতে হবে না।
রুবিনা বেগমঃ ফুলির মা কে আমি নিষেধ করে দিয়েছি ও আর আসবে না ওর বদলে মেঘলা কাজ করবে।
নাবিলের মা কিছু বলার আগেই,
নাবিল এসে বলল, বড় মা তো ঠিকি বলেছে বসে বসে অন্ন ধ্বংশ কেন করবে তারচেয়ে খাবার টা হালাল করে খাক..
নাবিলে কথাটা শুনে মেঘলার খারাপ লাগল।
শায়রা বেগম ধমক দিয়ে বলল নাবিল চুপ করো এমন বেয়াদবি আর যেন না দেখি ভুলে যেও না মেঘলা কোন রাস্তার মেয়ে না।ওকে তোমরা কেন যে সহ্য করতে পারোনা সেটাই বুঝি না।
মেঘলাঃ থাক না ছোট মা কেন কথা বাড়াচ্ছো তারচেয়ে তুমি আমাকে দেখিয়ে দাও আমি করে দিচ্ছি।
রুবিনা বেগমঃ ও আমার কাছ থেকে আমার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে আকাশ আমার কোন কথা শুনে না সব সময় মেঘলার কথায় উঠে বসে তাই ওকে আমার সহ্য হয় না আকাশ আসার আগেই আমি এই মেয়েকে বিদায় করব আকাশ একবার চলে আসলে হয়ত একেই বিয়ে করে নিবে তখন আমার কি হবে? আমি এটা কিছুতেই হতে দিব না আকাশের বিয়ে আমি নীলিমার সাথেই দিন (মনে মনে)
ভাবতে ভাবতে রুবিনা বেগম চলে গেল।
নাবিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেঘলার রান্না দেখছে।
বেশ কিছুক্ষন পর মেঘলা সব কাজ শেষ করে সবাইকে খেতে দিল।
সবাই খাচ্ছে রান্নায় কোন গন্ডগোল হয় নি কারন নাবিলের মা মেঘলাকে সব শিখিয়ে দিয়েছেন..
সবাই যখন খাচ্ছে নাবিল বলল মেঘলা বসছিস না কেন খেয়ে নে বাইরে যেতে হবে তো...
রুবিনা বেগমঃ ও কোথায় যাবে?
নাবিলঃ ওর জন্য কিছু জিনিস পত্র আনতে হবে..ও এখানে থাকবে কিন্তু ওই বাসা থেকে তো কিছুই নিয়ে আসে নি।
আপত্তি করেও লাভ নেই বুঝতে পেরে আকাশের মা চুপ হয়ে গেল।
মেঘলা নাবিলের কথাত সবার সাথে বসে খেয়ে নিল তারপর নাবিলের সাথে বাইরে গেল।
নাবিলঃ আমি এখানে আছি তুই গিয়ে যা যা লাগে নিয়ে নে...আমি বিল দিয়ে দিব।
মেঘলাঃ ঠিক আছে বলে গিয়ে প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে নিল সাথে কয়েকটা ড্রেসও নিল কিন্তু মেঘলার একটা ড্রেস পছন্দ হল যেটা সে নিতে পারল না কারন সেটা অন্য একজন নিয়ে নিয়েছে মেঘলা কয়েকবার তাকিয়ে ড্রেস টা দেখল কিন্তু নাবিল কে বলার সাহস পেল না।
নাবিল বিল দিয়ে মেঘলাকে নিয়ে চলে আসছিল।
রাস্তায় মেঘলা দেখল রাস্তার পাশে বসে একজন পাখি বিক্রি করছে দেখে মেঘলার খুব ইচ্ছা হল সে নাবিলকে বলল,
মেঘলাঃ ভাইয়া আমাকে কিনে দিবি প্লিজ..
নাবিলের ইচ্ছা না থাকলেও নিষেধ করতে পারল না গাড়ি থামিয়ে মেঘলাকে নিয়ে পাখিগুলির কাছে গেল মেঘলা শপিং গুলি গাড়িতেই রেখে গেল।
মেঘলা খুব সুন্দর ২ টা কবুতর কিনে ফিরে আসল।
নাবিল বাসার সামনে এসে মেঘলাকে নামিয়ে দিয়ে বাইরে চলে গেল...
মেঘলা নিজের ঘরে এসে সবগুলি জিনিস গুছাতে যাচ্ছিল তখন একটা প্যাকেট দেখে একটু বিচলিত হল ...
মেঘলাঃ এটা কিসের প্যাকেট আমি তো এটা নেই নি...মেঘলা প্যাকেট টা খুলে অবাক হয়ে গেল কারন এটাই সেই ড্রেস টা যেটা মেঘলার পছন্দ করেছিল।
মেঘলাঃ আমার তো স্পষ্ট মনে আছে আমি এটা নিই নি ভাইয়াকেও বলি নি তাহলে এটা কিভাবে আমার কাছে আসবে কিভাবে সম্ভব? ভেবে মেঘলা যেই ড্রেসটা বের করল প্যাকেয় থেকে একটা চিরকুট বেরিয়ে এলো যা দেখে মেঘলার চোখ কপালে উঠে গেল,তাতে স্পষ্ট অক্ষরে লিখা,
!!!..."নিজের পছন্দের জিনিস কখনো কাউকে দিতে নেই ভালভাবে না পেলে ছিনিয়ে নিতে হয় আমিও সেটাই করি তাই নিজে থেকে ঠিক হয়ে যাও তানাহলে এর ফল ভয়ানক হবে তুমি আমার খুব পছন্দের ভালভাবে না পেলে ছিনিয়ে নিতে বাধ্য হব"..."!!!
ইতি
৷৷ভিলেন ৷৷
মেঘলা চিরকুট টা পড়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেল।
মেঘলাঃ আমরা যখন পাখি আনতে গিয়েছিলাম তখন কেউ এই প্যাকেট টা আমাদের গাড়িতে রেখে গিয়েছে কিন্তু কে সেই ভিলেন যে কিনা আমায় পছন্দ করে আমি তো তেমন কাউকে চিনি না।
মেঘলাকে এই বাসার কেউ সহ্য করতে পারে না তাই সে এই বিষয় টা সবাইকে জানিয়ে তাদের অহেতুক দুশ্চিন্তায় ফেলতে চায় নি।তাই কাওকে বলল না।
তারপর কেটে গেছে আরো কয়েটা দিন..
এখানে এসে মেঘলার জীবন যেন আরোও নরকে পরিণত হল। নেহা মিলি তো সহ্যই করতে পারে না।আকাশের মা সারাবেলা ধরে সব কাজ করায় নাবিলো কোন প্রতিবাদ করে না...
আকাশের মা চাচ্ছেন মেঘলা যেন কাজের চাপে এখান থেকে চলে যায়...
প্রতিদিনের মত আজকেউ সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল মেঘলা...
মাঝরাতে মেঘলা হটাৎ অনুভব করল সে যেন হাওয়ায় ভাসছে...কেউ তাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে মনে হল,কিন্তু ক্লান্ত আর
চোখে ঘুম থাকায় তাকাতে ইচ্ছে করছে না
মেঘলা ওভাবেই শুয়ে থাকল। কিছুক্ষন পর হটাৎই পানির ছিটায় মেঘলার ঘুম ভেংগে গেল আর তাকিয়ে মেঘলার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল।
মেঘলা দেখল সে একটা জংগলের ভিতরে চারদিকে গাছ পালা ঘুটঘুটে অন্ধকার আর সেখানে বিভিন্ন রাতজাগা পাখি আর প্রানীর ভয়নক সব আওয়াজ হচ্ছে সামনে ছোট করে একটা ক্যাম্প ফায়ার জ্বালানো আছে।
মেঘলা চার পাশে ভাল করে চোখ বুলিয়ে নিয়ে দেখল আশে পাশে কেউ নেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে একা, ফায়ারের আবছা আলোয় চারদিক টা আরো ভয়ানক হয়ে উঠল ঠিক তখনী ঝারা পাতায় মড়মড় আওয়াজ তুলে কেউ মেঘলার দিকে এগিয়ে এলো মেঘলা ভয়ে চিৎকার করে উঠল।
ছায়াটা ক্রমশো এগিয়ে এসে মেঘলার সামনে দাঁড়ালো। অভয়াব দেখে বুঝা যাচ্ছে এটা ভুত নয় কোন একটা ছেলে যে বেশ লম্বা আর সুঠাম সাস্থ্যের অধিকারী।তবে সে হুডি পড়ে টুপি টেনে মুখ ডেকে রেখেছে...
মেঘলা ভয়ে ভয়ে বলল, কক ক কে আপনি...??আমাকে এখানে এনেছেন কেন?
ছেলেটা কোন কথা বলল না বরং একটা চিরকুট এগিয়ে দিল,
"তাতে লিখা প্রতিবাদ করা কি ভুলে গিয়েছো অন্যায় হলে প্রতিবাদ করতে শিখো আর আমি চাই না তুমি আমার চেয়ে বেশি সময় অন্য কিছুতে দাও তাই ফালতু কাজ কর্ম বাদ দাও সারাদিন যা যা করো সব বাদ দাও।
মেঘলা চিঠিটাই চোখ বুলিয়ে ব এসবের মানে কি? কে আপনি?
ছেলেটা অদ্ভুতভাবে হেসে উঠে বলল
ভিলেন তারপর কি ঘটেছে মেঘলার আর মনে নেই।
সকালে যখন ঘুম ভাংগল মেঘলা নিজেকে নিজের বিছানায় অবিষ্কার করে অবাক হল...
মেঘলাঃ আমি তো জংগলে ছিলাম এখানে কি করে আসলাম?তবে কি আমি স্বপ্ন দেখেছি...?? হবে হয়ত..কিন্তু সব কিছু তো স্পষ্ট মনে আছে তাহলে..???না এটা কি করে সম্ভব কেউ আমাকে বাসা থেকে কি করে নিয়ে যাবে এসব স্বপ্নই ছিল।
মেঘলা বিষয়টা গায়ে মাখল না তারপর আবার কিছুদিন কেটে গিয়েছে।
মেঘলার উপড় অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে আকাশের মা আকাশ ফিরে আসার আগেই মেঘলাকে বিদায় করে দিতে চায়...
মেঘলা দিন দিন ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে...সারাদিন কেউ তার সাথে কথা বলে না নাবিল নাবিলের মত ব্যাস্ত বাকিরা মেঘলা মেঘলাকে কিভাবে তাড়ানো যায় তাতে ব্যাস্থ।
মেঘলা কাজ বাদে যেটুকু সময় পায় তার কবুতর গুলির সাথে সময় কাটায়।ল খুব ভালবাসে সে কবুতরগুলি কে।
প্রতিদিন সকালে উঠে যে কবুতর গুলি কে খেতে দেয় তাই প্রতিদিনের মত আজও গেল কিন্তু ছাদে যাওয়ার পর মেঘলা না কেঁদে পারল না মেঘলা চিৎকার করে কেঁদে উঠল কারন ছাদে ছোপ ছোপ রক্তের ছাপ কেউ ইচ্ছে করে তার কবুতর ২ টিকে মেরে ফেলেছে কবুতরের শরীর আর মাথা আলাদা করে দেয়া হয়েছে।
বাসার সবাই কোন জন্তুর কাজ বলে ধরে নিলেও মেঘলা জানে এটা কোন জন্তু নয় বরং মানুষের কাজ কারন সেখানেও একটা চিরকুট ছিল আর তাতে লিখা ছিল বলেছিলাম না কোন কিছুকে আমার চেয়েবেশি ভাল বেসো না আমি চাই না আমাকে ছাড়া কোন কিছুতে মন দাও কেনো শুধু শুধু ঝামেলা পাঁকাও বলোতো...আমি তোমাকে কাঁদাতে চাই না তো বেবি... নিজের কপালে নিজে দুঃখ কেন ডেকে আনছো...???
ইতি
তোমার ভিলেন
মেঘলাঃ তাহলে সেদিন এটা স্বপ্ন নয় সত্যি ছিল? আমাকে কেউ নিয়ে গিয়েছিল আবার রেখেও গিয়েছিল কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব কার এত সাহস?আমার এই সমস্যাটার কথা কার কাছে বলব কে শুনবে আমার কথা? বলার পর যদি সবাই আমাকে দোষারোপ করে? অথবা এই ভিলেন যদি কোন ক্ষতি করে ?
এক দিকে বাসার সবার অত্যাচার অন্যদিকে ভিলেন আমি তো আর নিতে পারছি না,তুই কোথায় ভাইয়া তোর মেঘলাকে এত কষ্টে রেখে তুই কি করে ভাল আছিস? একবারো কি মনে পড়ে না আমার কথা? তুই কবে আসবি রে... প্লিজ তুই ফিরে আয় আমি জানি তুই এসব কিছুতেই মেনে নিবি না।
জানিস আমি দিন দিন হাসতেও ভুলে যাচ্ছি,নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়..নিজের ঘরে ঘুমাতে পর্যন্ত পারি না সবসময় একটা ভয় কাজ করে। আমিও সবার মত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই প্রাণ খুলে হাসতে চাই আমার হাসিটা এভাবে হারিয়ে যেতে দিস না ভাইয়া আমার শেষ ভরসা তুই।
তুই আসবি আর সব ঠিক করে দিবি এই একটা আশা নিয়েই আমি বেঁচে আছি প্লিজ তুই ফিরে আয়...
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন