উপন্যাস        :         ভিলেন
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
ভিলেন || মনা হোসাইন Bangla Golpo - Kobiyal কবিয়াল
ভিলেন || মনা হোসাইন

1111111111111111111111

ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ০৬)

আকাশঃ আচ্ছা বাবা আমার ভুল হয়েছে তুই পাগলি না এবার চল...
মেঘলাঃ আচ্ছা এবারের মত ছেড়ে দিলাম। আর যেন এমন ভুল না হয়
আকাশঃ ঠিক আছে ম্যাডাম 
মেঘলাঃ শোন...
আকাশঃ বল
মেঘলাঃ বার্থডে পার্টিতে আইস্ক্রিম অবশ্যই রাখবি আর আমার জন্য অনেক চকলেট...অনেক বেলুন আনবি আর যদি ডেকোরেশন পছন্দ না হয় আমি কিন্তু সাথে সাথে চলে আসব,কিরে শোনছিস?
আকাশঃ আমারে ঘাড়ে কয়টা মাথা যে আপনার কথা শুনব না...আমি তো পিচ্চি বাচ্চা বেলুন দিয়েই সাজাব....
কি ব্যাপার ম্যাডাম হটাৎ চুপ হয়ে গেল কেন?
আকাশ মেঘলার সাড়াশব্দ না পেয়ে পিছনে তাকাল...
আর অবাক হল,মেঘলা আবার শপিংমলের ভিতরে গিয়েছে আর একটা মেয়ের সাথে ঝগড়া করছে...

আকাশ তাড়াতাড়ি সেখানে গেল....
আকাশঃ কি হয়েছে এখানে...??
মেঘলাঃ এই মেয়েটাকে একটা থাপ্পড় মার...
আকাশঃ মানে কি? আমি কেন উনাকে মারব?
মেঘলাঃ আমি বল্লাম তাই...দেখতে পাচ্ছিস না আমার ড্রেসটা পছন্দ হয়েছে তাও দিচ্ছে না।
আকাশঃ আপু ওর ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত বলছিলাম যে ড্রেসটা কি আপনার লাগবেই? খুব বেশি দরকার না হলে যদি দিয়ে দিতেন ভাল হত ছোট বোন মনে করে দিয়ে দিন না অনুরোধ করছি...

মেয়েটাঃ দেখো এটা আমি আগে নিয়েছি আমি তো এটা কিছুতেই দিব না আর এই মেয়ে আমাকে বয়ফ্রেন্ডের ভয় দেখায় এত সাহস? আমার কি বয়ফ্রেন্ড নেই নাকি?বলেই কাকে মেয়েটা যেন ডাকলো সাথে সাথে একটা ছেলে আসলো।
আকাশঃ মেঘলা চল এখান থেকে
মেঘলাঃ আমার ড্রেসটা পছন্দ হয়েছে
আকাশ রাগি লুক নিয়ে বলল মেঘলা তোকে যেতে বল্লাম না? বলে মেঘলার হাত ধরে হাঁটতে লাগল।
মেয়েটা পিছন থেকে বলে উঠল,কি দম ফুরিয়ে গেল? এমন পাগলি নিয়ে বাইরে বের হও কেন পায়ে শিকল দিয়ে রাখতে পারোন না...বলেই সবাই হাসতে লাগল।
কথাটা শুনে আকাশ একবার পিছন ফিরে তাকাল তারপর মেঘলাকে নিয়ে বাইরে চলে গেল।
মেঘলাঃ তুই কি আদো শুনতে পেলি মেয়েটা আমাকে পাগল বলল...
আকাশঃ পাগলামি করলে পাগল বলবে এটাই স্বাভাবিক।বাসায় যা...
মেঘলাঃ কি বললি আমি পাগল...?? ঠিক আছে মনে রাখিস ড্রেসটাও নিয়ে দিলি না আবার পাগলিও বললি...

আজ থেকে তোর সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ। তোকে আমি চিনি না না না... কথা গুলি বলে মেঘলা একা একাই চলে যেতে চাইল।
মেঘলা কিছুটা দুরে গিয়ে আবার ফিরে আসল,
মেঘলাঃ আমি চলে যাচ্ছি দেখতে পাচ্ছিস না? ফিরাবি না?
আকাশঃ ভাল লাগছে না বিরক্ত করিস না যা এখান থেকে...
মেঘলা এবার কেঁদে দিল...
আকাশঃ যাবি এখান থেকে...??
মেঘলা এবার সত্যি সত্যি চলে গেল।
আকাশ মলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে...
অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর সেই মেয়েটা আর ছেলেটা বাইরে আসল....
আকাশঃ এক্সিকিউজ মি আপু...
মেয়েটাঃ আবার কি চাই?
আকাশঃ ড্রেস টা দিন

মেয়েটাঃ এতক্ষন তো ভেবেছিলাম মেয়েটাই শুধু পাগল এখন ত দেখছি দুটোই।
আকাশঃ আপু আমি বেশি কথা বলি না ভালই ভালই বলছি ড্রেস টা দিন।
মেয়েটার সাথে থাকা ছেলেটা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল এই তুই আমার সামনে আমার জিএফকে ভয় দেখাস? দাঁড়া তোর মজা দেখাচ্ছি বলেই আকাশের কলার টেনে ধরল, 
আকাশ ছেলেটার হাত ছাড়িয়ে দিয়ে বলল ভালই হল আপু মেয়ে তাই কিছু বলতে পারছিলাম না এখন আপনি এসেছেন,চলুন দেখি কার কত দম যদি আমি জিতি ড্রেস টা আমার,আর আপনি জিতলে আপুর।ব্যাপারটা যদিও হাস্যকর একটা ড্রেসের জন্য মারামারি...!!!
কথা বলা শেষ না করেই  আকাশ ছেলেটাকে মারতে শুরু করল ছেলেটা উল্টে মারার কোন সুযোগেই পেল না। 

ছেলেটার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে তখন আকাশ  ছেলেটাকে ছেড়ে দিল।আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে।
ততক্ষনে মেয়েটা ফোন করে আরো কয়েকটা ছেলেকে ডেকে আনল।
কিন্তু ডেকে আনা ছেলেগুলির মধ্য থেকে একজন এগিয়ে এসে অবাক হয়ে বলল আকাশ তুই...???  নামটা শুনে মার খাওয়া ছেলেটা চমকে উঠল।
আকাশঃ........
মার খাওয়া ছেলেটা ভয়ে ভয়ে বলল,ভাই তুই উনার কি নাম বললি?
লোকটিঃ দুনিয়ায় আর কাউকে পেলি না?আমি তো ভাবতেই পারছি না আকাশকে মারার জন্য তোরা আমাদের ডেকে এনেছিস আরে আকাশ ছোট ত কি হয়েছে এই আকাশকে ত সিনিয়র জুনিয়র সবাই ভয় পেয়ে চলে.
পুচকে ছেলের যে তেজ সবাই তো তার নাম শুনেই সরে পরে তুই মারামারি করছিস আজব ব্যাপার।
ছেলেটাঃ উনিই তাহলে সেই আকাশ... 
আকাশঃ না এই আকাশ সেই আকাশ...আমি কোন আকাশেই না।আমার এজস্ট্রা কোন পরিচয় নেই বলেই মেয়েটার হাত থেকে ড্রেস টা একটানে নিয়ে নিল আর বলল,যানি এটা অন্যায় কিন্তু আমার সাথে যে মেয়েটা ছিল ওর কোন ইচ্ছা আমি আজ পর্যন্ত অপূর্ন রাখি নি তাই এটাও রাখতে পারব না ক্ষমা করবেন আপু।আর আপনারা বাড়াবাড়ি করলেন বলেই ভাই মার খেল তা না হলে আকাশ সবার সামনে মারামারি করে না বলেই চলে গেল আকাশ।
মেয়েটাঃ কে এই ছেলেটা?
ছেলেটিঃ অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। ।আকাশ সচারাচর কারো সামনে রাগ দেখায় না লোকের সামনে ওকে কেউ অপমান করলেও চুপচাপ সহ্য করে নেয় কিন্তু তারপর তাকে হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যায় কিভাবে কি হয়েছিল সেটা বলার অবস্থাতেও থাকে না।আকাশ কাউকে মারলে ছয় মাসেও বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না..


আকাশ বাসায় আসতেই তার মা বলল,
আকাশ পার্টি তে কতজন আসবে বললি না তো..আমি ম্যানু করে ফেলেছি আর তোর ফেবারিট চকলেট কেক ও  অর্ডার করে দিয়েছি..
আকাশঃ উফফ মা চকলেট কেক কেন? মেঘলা চকলেট কেকে পছন্দ করে না যানো না? ভেনিলা কেক অর্ডার করো বলেই  নিজের ঘরে চলে গেল।
আকাশের মাঃ দেখেছো রাবিয়া আমার ছেলেটাকে কিভাবে হাত করেছে?চকলেট কেক তার এত পছন্দ তাও নিজের পছন্দের কথা না ভেবে মেঘলা কি খাবে সেটা ভাবছে।মাথা টা পুরো চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে নীলু ত এটাই চেয়েছিল তাই মেয়েটাকে আকাশের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে।

নাবিলঃ আহ বড় মা কিসব বলছো? এইটুকু একটা মেয়েকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে মুখে বাঁধে না?বলে নাবিল আকাশের ঘরে গেল...
আকাশ নাবিলকে আসতে দেখেই বলল,মেঘলা নালিশ করেছে তাই না?
নাবিলঃ হুম... ওকে নাকি অপমান করেছিস? একটা ড্রেস চেয়েছিল সেটাও নাকি দিস নি।
আকাশঃ ওই যে ড্রেস টা...
নাবিলঃ বাহ এনেছিস তাহলে ফোন করে বলে দেই...
আকাশঃ না ওটা ওকে দিব না।
নাবিলঃ মানে কি? দিবি না তো আনলি কেন?
আকাশঃ ওর পছন্দের জিনিস গুলি আমার কাছে রাখব তাই এনেছি ওকে বলিস না আমি এটা এনেছি।
নাবিলঃ তুই একটা আজব মানুষ।তুই ওকে ভালবাসিস না?
আকাশঃ কোন সন্দেহ আছে?
নাবিলঃ বলিস না কেন?
আকাশঃ মেঘলা এমনেতেই বিগড়ে গেছে ও যদি জানতে পারে আমি ওর প্রতি দুর্বল ও কোনোদিনও  ঠিক হবে না ও আদর পেতে পেতে গোল্লায় যায় যতটুকু ঠিক আছে আমার ভয়ে আছে যদি জানে আমি ওকে ভালবাসি ও খুন করতেও ভয় পাবে না।
নাবিলঃতা অবশ্য ঠিকি বলেছিস কিন্তু আমি ভাবছি এই ভাল করার চক্করে কবে যে দেখবি ও  অন্যকারো হয়ে গেছে।
আকাশঃ হোক না সমস্যা কি আমার যখন সময় আমার কাছে  ঠিকি নিয়ে আসব।
নাবিলঃ সময় টা  কবে হবে? ২ বাচ্চার মা হওয়ার পরে?
আকাশঃ হোক আমার আপত্তি নেই বউ এর সাথে বাচ্চা ফ্রি পাব ভালই হবে বলেই হেসে উঠল আকাশ সাথে নাবিলো।



সারাদিন চলে গেছে মেঘলা আকাশকে ফোন করে নি। আকাশ নাবিল ২ জনেই অনেকবার ফোন করেছে কিন্তু ফোন সুইচ অফ। 
সন্ধ্যায় আকাশ নিজেই হোস্টেলে গেল কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারল মেঘলা সারাদিন হোস্টেলে ফিরে নি কথাটা শুনে আকাশের মাথা খারাপ হয়ে গেল।
যত জায়গায় খোঁজা সম্ভব সব জায়গায় খুঁজেও মেঘলাকে পাওয়া গেল না....!!
রাত ১১ টা বাজে মেঘলার কোন পাত্তা নেই।

আকাশঃ এখন কি করব নাবিল? বাসায় জানাব পুলিশে খবর দিতে হবে তো
নাবিলঃকিন্তু ফুফিমনি জানালে তো সমস্যা মেঘলাকে এমনেতেই এখানে রাখতে চায় না আর পুলিশে খবর দিবি পরে দেখবি কোন বান্ধবীর বাসায় তিনি।
আকাশঃ বান্ধবীদের তো চিনিও না কি যে করব?এত প্যারা দেয় আর ভাল লাগে না... যেদিন আমি থাকব না সেদিন বুঝবে...
কিছুক্ষন পর মেঘলার ফোন থেকে ফোন আসল...
আকাশ ফোন ধরেই বলল কই তুই?
মেঘলাঃ ভাইয়া তাড়াতাড়ি কলেজের পিছনে নদীর পাড়ে আয়...আমি এখানেই আছি
আকাশঃ এত রাতে তুই ওখানে কি করছিস? 
মেঘলাঃ তুই তাড়াতাড়ি আয় বলেই ফোন কেটে দিল...
আকাশ তাড়াতাড়ি সেখানে গেল কিন্তু আশে-পাশে  কেউ নেই চারদিক অন্ধকার দূরে একটা মোমবাতি মিটমিট করে জ্বলছে আকাশ সেদিকে গেল।
গিয়ে অবাক হল ঘুটঘুটে অন্ধকারে মেঘলা একটা মোমবাতি জ্বেলে বসে আছে মোমবাতি যেন না নিভে তার জন্য প্রানপন চেষ্টা করছে।একটা কেকও আছে পাশে।
আকাশঃ এসব কি মেঘলা?
মেঘলাঃ দেখ তোর ফেবারিট চকলেট কেক।
আকাশঃ আমি জিজ্ঞাস করলাম এত রাতে তুই এখানে কেন?
মেঘলাঃ আজ তোর জন্মদিন তাই...
আকাশ এসে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল মেঘলাকে। 
কিন্তু মেঘলা কাঁদলো না মিষ্টি করে হেসে বলল ১২ টা বাজে আগে কেকটা কাট তারপর যত ইচ্ছা মারিস...

আকাশঃ যতসব ঢং বলতে বলতে কেক কাটলো তারপর মেঘলার মুখে কেক দিতে গিয়ে থেমে গেল...
মেঘলাঃ কি হল..?? 
আকাশঃ চকলেট কেক তো তোর পছন্দ না...
মেঘলা তোর তো পছন্দ বলেই খেয়ে নিল আর আকাশকেও খায়িয়ে দিল।
এবার ২ জন পাশাপাশি বসলো।
আকাশঃ তুই জানিস এখানে তোর সাথে কি কি হতে পারতো? এত রাতে এখানে কেন আসলি?
মেঘলাঃ তুই থাকতে আমার সাথে খারাপ কিছু হবে না আমি জানি...
আকাশঃ এমন পাগলামি আর কতদিন করবি মেঘলা? আমি সারাজীবন থাকব না তোর ভালমন্দ তোর নিজেকেই বুঝতে হবে...
মেঘলাঃ চুপ তুই কোথাও যাবি না আমাকে ছেড়ে তুই কখনো যাবি না।
এসব ছাড় এবার বল প্রেম করবি আমার সাথে..??
আকাশঃ আবার শুরু করলি..??
মেঘলাঃ আমি সত্যি তোকে ভালবাসি...
আকাশঃ আমি বাসি না....
মেঘলাঃ কেন বাসিস না একটু বাসলে কি হয়?
আকাশঃ সত্যি প্রেম করতে চাস?
মেঘলাঃ হুম হুম
আকাশঃ আচ্ছা কাল তোকে ভালবাসা শিখাব ঠিক আছে? এবার চল যাই...রাত বেশি হওয়ায় মেঘলাকে নিয়ে  নিজের বাসায় গেল।
আকাশ মেঘলাকে নিয়ে এত রাতে বাসায় এসেছে দেখে আকাশের মা আকাশের দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করল। আকাশ ব্যাপার টা বুঝতে পারল।
আকাশঃ মেঘলা তুই উপড়ে যা আমি আসছি...
মেঘলাঃ তুই ও চলনা...

আকাশ নাবিলের দিকে তাকাতেই নাবিল মেঘলাকে এটা ওটা বলে নিয়ে চলে গেল। 
আকাশের মাঃ এসব তুমি কি শুরু করেছো আকাশ? যখন তখন মেঘলাকে নিয়ে হাজির হচ্ছো মাঝে মাঝে তোমাকে দেখে তো আমার মনে হয় তুমি মেঘলার বডিগার্ড।একটা কথা কান খুলে শুনে নাও আমার নাতো মেঘলাকে পছন্দ নাতো ওর মাকে আর তুমি আমার একমাত্র ছেলে তাই আমি চাই না তুমি কোন ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ো। তুমি নিজে থেকে দুরত্ব বজায় না রাখলে দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা আমি করব মাইন্ড ইট বলে তার মা চলে গেল।
আকাশ মন খারাপ করে ঘরে আসল 
তার মধ্যেই মেঘলাও আকাশের ঘরে আসল,
আকাশঃ মেঘলা অনেম রাত হয়েছে এখানে কি করছিস অন্য রুমে যা...
মেঘলাঃ কেন এখানে থাকলে কি হবে?
আকাশঃ অনেক খারাপ কিছু ঘটবে...
মেঘলাঃ কি ঘটবে..???
আকাশঃ দেখতে চাস..?? আচ্ছা দেখাচ্ছি বলেই মেঘলার হাত ২ টি চেপে ধরে আকাশ মেঘলাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিল।তারপর মেঘলার ঠোঁটে নিজেত ঠোঁট মিলিয়ে দিল।
মেঘলা এসবের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না আকাশ তার সাথে এমন করতে পারে এটা মেঘলা ভাবতেও পারে নি।
মেঘলা আকাশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগল কিন্তু কোন কাজ হল না মেঘলা আকাশের সাথে পেরে উঠল না। বেশ অনেক্ষন পর আকাশ মেঘলাকে ছাড়ল।
মেঘলার প্রায় কাঁদোকাঁদো অবস্থা। 

আকাশঃ এখন থেকে আমার কাছ থেকে দুরুত্ব বজায় রাখবি তানাহলে এমনটাই হবে অথবা এর চেয়েও খারাপ কিছু ঘটবে। 
মেঘলাঃ ছি ছি ছি তুই এত নীচ, এত খারাপ?আমার সাথে তুই এটা করতে পারলি?
মেঘলা এটা বলার সাথে সাথেই আকাশ আবার এসে মেঘলা কে জড়িয়ে ধরল...
মেঘলাঃ ছাড় আমাকে কি করছিস এসব...?? ভাইয়া ছাড় প্লিজ...
আকাশ আবার মেঘলার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে দিল।আর এবার ব্যাথা দেয়ার উদ্দেশ্যেই আকাশ মেঘলাকে কিস করতে লাগল 
অনেক্ষন পর আকাশ মেঘলাকে ছাড়ল।ছেড়ে দিয়ে বলল,
আকাশঃ আশা করি বুঝাতে পেরেছি...
মেঘলার আর কিছু না বলেই চলে যেতে চাইল,
আকাশঃ দাঁড়া মেঘলা, কয়েকটা কথা শুনে যা। তুই যে সারাদিন প্রেম করবি প্রেম করবি বলে বেড়াস যদি বিয়ের আগে মা হতে পারিস তাহলে আমাকে বলিস তোর সাথে প্রেম করব...
কথাটা শুনে মেঘলা ঠাস করে আকাশের গালে থাপ্পর বসিয়ে দিল।
আকাশঃ আমাকে মেরে লাভ কি? এটাই ট্রেন্ড।এবার বলতে পারিস তাহলে তুই এতগুলি প্রেম করেও কেন এই পরিস্থিতির স্বীকার হস নি তাই না? তার কারনটাও বলে দেই কারন তুই আকাশের বোন তাই কেউ সাহস পায় নি তোর সাথে এমন করার আর যখন এমন কিছু করতে পারে নি তখন সবাই ব্রেকাপ করে চলে গেয়েছে বুঝেছিস?
মেঘলা কিছু না বলে এক দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেল।
আকাশঃ আমি জানি,এই একটা ধাক্কা তোকে অনেক বদলে দিবে মেঘলা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৭ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন