উপন্যাস        :        দোলনচাঁপার সুবাস
লেখিকা        :         তাসফিয়া হাসান তুরফা
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

লেখিকা তাসফিয়া হাসান তুরফার “দোলনচাঁপার সুবাস” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি  ২০২৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন। 
Bangla Golpo দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা
দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা

৪৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা (পর্ব - ৫০)


দোলনচাঁপা বরাবরই ধৈর্যশীল মেয়ে। হুটহাট রেগে যাওয়া কিংবা নিজের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো- এসব ওর স্বভাবে নেই। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন স্বয়ং চরিত্রের উপর তখন কি আর চুপ থাকা যায়? যায়না! দোলাও চুপ থাকতে পারলোনা। কিন্তু বিয়ের পরেরদিনই সে নতুন খালা শাশুড়ির সাথে বেয়াদবিও করতে পারবেনা। তাই কণ্ঠস্বর যথাসম্ভব নম্র রেখে বললো,
---উনি কি দেখে প্রেমে পড়েছেন এটা তো আমার চেয়ে ভালো আপনার ভাগ্নেই ভালো বলতে পারবেন, খালামনি! আর ভালোবাসা তো হৃদয় সংঘটিত ব্যাপার। আমরা তো আর এতকিছু ভেবে দেখিনি!
দোলার এত যোগ্য জবাবেও সালমা বেগম শান্ত হলেন না। উপরন্তু আবারো খোচা মেরে বললেন,
---একবার বিয়ে হয়ে গেলে এমন বড় বড় ডায়লোগ সবাই দেয়। বুঝলে, মেয়ে? তুমি মুখে বললে কি হবে! তোমার মনে যে কোন চালাকি ছিলো তা কি আমি বুঝিনা? সবাই তো আর আমার বোন আসমার মতোন বোকা নয়! তবে আমি অবাক না হয়ে পারছিনা! নিশীথ না হয় প্রেমে অন্ধ হয়েছে বুঝলাম, আয়মান কেন তোমায় বিয়ে করা নিয়ে কোনো আপত্তি করলোনা? ও কিভাবে এ বিয়ে হতে দিলো! আশ্চর্য ব্যাপার! ওকে আমিযতদূর চিনি, তোমার মতো মেয়েকে তো কখনোই ছেলের বউ হিসেবে এক্সেপ্ট করার কথা না! অবাক কাণ্ড।
দোলা মনে মনে ভীষণ আহত হলো। মানুষের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রকৃতির মানুষ তারাই, যাদের কথার দ্বারা ছো'ড়া বা'ণে অন্য মানুষ মনে আঘাত পায়! দোলার এ মুহুর্তে মনে পড়লো, সালমা বেগমও ঠিক তেমনি প্রকৃতির মানুষ। ওর মন চাইলো অনেক কিছু বলার কিন্তু বাড়ির বউ বলে কথা। না চাইতেও অনেক কিছুই চুপচাপ হজম করতে হলো ওকে। এমন সময় ওখানে এলেন ইউনুস সাহেব। রুমে ঢুকেই দোলার থমথমে চেহারাটা সবার আগে চোখে পড়লো তার! উনি এসে দোলার পাশে বসলেন। তাকে দেখে সালমা বেগমও সংযত হলেন, ভাবখানা এমন দেখালেন যেন এতক্ষণ তিনি কোনোকিছুই বলেননি অথবা করেননি! ইউনুস সাহেব আড়চোখে সালমাকে পর্যবেক্ষণ করলেন একবার। মহিলা ভদ্রমানুষের মতো পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। দোলা তখনো আধারে ঢাকা মুখে মাথা নিচু করে রেখেছে। প্রৌঢ় বৃদ্ধ সবটাই যেন বুঝলেন। সালমা বেগমকে আগে থেকে ভালোভাবে চেনার দরুন এখানে কি হয়েছে বা দোলার সাথে কি হয়েছে, কিছুটা হলেও তিনি আন্দাজ করতে পারলেন!
---তুমি কি দোলনচাঁপাকে কিছু বলেছো, সালমা?
ইউনুস সাহেব শান্তস্বরে প্রশ্ন করলেন। সালমা বেগম খানিকটা নড়েচড়ে বসলেন। যেন প্রশ্নটি শুনেও শুনতে পারেননি, এমন ভাব ধরে বললেন,
---জি? কিছু বলছিলেন, তাঐ সাহেব?
---যা শুনেছো তাই বলেছি। আবার শুনতে চাইলে আবারো বলছি। জিজ্ঞেস করছিলাম, তুমি আমার নাতবৌ দোলনচাঁপাকে কিছু বলেছো কিনা?
---ওমা! আমি আবার ওকে কিছু বলতে যাবো কেন? আর ওকে বলারই বা কি আছে? অদ্ভুত তো!
সালমা বেগম সুনিপুণ অভিনয়ে অস্বীকার করে গেলেন। ওনার কথায় দোলা পর্যন্ত বিস্ময়ে একবার মাথা উপরে তুলে তাকে দেখে নিলো। কিন্তু এতেও সালমা বেগমের কোনো ভাবমূর্তির পরিবর্তন হলোনা। ইউনুস সাহেব বুঝলেন সালমা মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়া সরাসরি মিথ্যে বলার অভিযোগও তুলতে পারছেন না তার উপর। তাই উনি দোলাকেই জিজ্ঞেস করলেন,
---তোর কি হয়েছে রে, দোলনচাঁপা? মন খারাপ করেছিস কেন?
---ক,কিছুই হয়নি দাদু! এমনিতেই।
দোলাও মিথ্যে বলে। যেখানে সালমা বেগম নিজেই অস্বীকার করলেন সবকিছু সেখানে ও সত্যি বললেও দেখা যাবে তাকে মিথ্যাবাদীর ট্যাগ লাগিয়ে দেবেন সবার সামনে। সংসার জীবনের শুরুতেই এসব ঝামেলা সে চায়না। তাই দাদুকেও মিথ্যে কথা বললো একপ্রকার বাধ্য হয়ে। ইউনুস সাহেব মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। নাতবৌ টাও হয়েছে একটা ননীর পুতুল, পুরাই নিশীথের বিপরীত। যেসব পরিস্থিতিতে নিশীথ উত্তাল, রণচণ্ডী, সেসব জায়গায় দোলা নিরব, ধীরস্থির! দোলাকে নিজের পক্ষে উত্তর দিতে দেখে সালমা বেগম হাফ ছেড়ে বাচলেন। সোফার সামনের সেন্টার টেবিলে রাখা বিস্কুটের বাটি থেকে বিস্কুট তুলতে তুলতে ইউনুস সাহেবকে বললেন,
---নতুন বউ বাড়ি এসেছে, বিয়ের দিন তো আসতে পারিনি। তাই এখন বসে বসে ওর ফ্যামিলি নিয়ে হালকা-পাতলা প্রশ্ন করছিলাম। বুঝলেন, তাঐ সাহেব? এই আরকি। তবে আমার মনে হচ্ছে মায়ের বাড়ির কথা মনে পড়ে দোলনচাঁপার মন খারাপ হয়ে গেছে। ঠিক বলেছি তো?
দোলার দিক তাকিয়ে মেকি হাসি দিয়ে প্রশ্ন করলেন সালমা বেগম। দোলার এ মুহুর্তে মনে হলো, ও কোনো নাটক দেখছে চোখের সামনে। সালমা বেগমকে ঠিক যেন বাংলা সিরিয়ালের ভিলেনগুলোর মতো মনে হচ্ছে ওর কাছে। উনার অভিনয় পারদর্শীতা দেখে দোলা মনে মনে অবাক না হয়ে পারছেনা! এত সুনিপুণ কিভাবে? আগে থেকে অভ্যেস আছে নিশ্চয়ই?
দোলার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হলো,
"না, আপনি মিথ্যে বলছেন। আপনার খোটা দেওয়া কথাগুলোর জন্যই আমার মন খারাপ"
কিন্তু মুখে তা বলতে পারলোনা। নিজেকে সামলে সালমা বেগমের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে মাথা নেড়ে "হ্যাঁ" জানালো শুধু।
---তুমি মন খারাপ করোনা। বিকেলে সময় পেলে একবার তোমার বাড়ি থেকে ঘুরে এসো! দেখবে ভালো লাগছে।
ইউনুস সাহেব দোলার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। তার কথায় দোলা হাসিমুখে মাথা নাড়ে। দাদু এত সুইট আর ভালো মানুষ, তাকে দেখলেই দোলার মন ভালো হয়ে যায়। ও বুঝে, কেন এত লোক থাকতেও এ বাড়িতে উনিই নিশীথের সবচেয়ে প্রিয়জন!
ইউনুস সাহেব ড্রয়িংরুম থেকে চলে যেতেই এবার দোলাও তার পিছু পিছু চলে যায়। সে আর সালমা বেগমের সামনে থাকতে চায়না। এমন কুৎসিত অন্তরের মানুষের চেহারা দেখারও কোনো ইচ্ছে নেই ওর। এর চেয়ে বরং নিজের শাশুড়ীর কাছে যাওয়া ভালো! যা ভাবা সেই কাজ। দোলা আসমা বেগমের কাছে চলে গেলো। উনি কাজের লোককে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন রান্নাঘরে। দোলাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এসে কথা বলতে লাগলেন ওর সাথে। শাশুড়ীর সাথে কথায় কথায় দোলা ব্যস্ত হয়ে গেলো!
______________________
ছুটির দিন হওয়ায় সবাই আজকে বাসায়। খাবার পর্ব শেষ করার পর থেকেই দোলা দেখছে নিশীথ বেশ চুপচাপ। গম্ভীর মুখে ড্রয়িংরুমে বাপ-চাচাদের সাথে বসে আছে। ওখানে সবাইকে চা দিতে যেয়ে দোলা এ দৃশ্য দেখলো। আয়মান সাহেব ও আরেফিন সাহেব নিজেদের মধ্যে কথা বললেও নিশীথ একা একা বসে ফোন ঘাটছে। ইউনুস সাহেব পেপার পড়ছেন। সবার হাতে চায়ের কাপ দিয়ে দোলা নিশীথের নিকট এগিয়ে গেলো। নিশীথ ফোন থেকে একপলক চোখ তুলে তাকালো সেদিকে। দোলা বুঝলোনা হঠাৎ ওর কি হলো। মেয়েটা দুই ভ্রু তুলে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো "কি?"
নিশীথ জবাব তো দিলোই না। উল্টো চোখ রাঙানি দিলো! দোলা অবাক হয়ে গেলো। তবু সবার সামনে কিছু না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। ওর যাবার কিছুক্ষণ পর সেখানে প্রবেশ করলেন সালমা বেগম। নিশীথের পাশে বসে টুকটাক গল্প করতে লাগলেন ওর সাথে। নিশীথ খুব একটা কথা না বল্লেও সালমা বেগম একা একাই কথাবার্তা চালিয়ে গেলেন। এক পর্যায়ে বললেন,
---খালা হিসেবে একটা কথা বলবো, নিশীথ? কিছু মনে করবিনা তো?
এতক্ষণ ফোনের দিক তাকিয়ে হু হা করলেও এবার নিশীথ ফোন অফ করে খালার দিকে তাকায়। ওর চাহনি বেশ তীর্যক। সালমা বেগম এক মুহুর্তের জন্য থমকে গেলেন। তবে নিজেকে সামলে নিতে সময় লাগলোনা উনার। মেকি হেসে আশেপাশে তাকিয়ে নিচু গলায় বললেন,
---এখন তোদের বয়স কম, যৌবনের তাড়নায় প্রেম করে বিয়ে করেছিস আমাদের চেয়ে নিচু ঘরের মেয়েকে। এসব পরিবারের মেয়েরা কিন্তু আবার অত সুবিধার হয়না। একটু দেখেশুনে রাখিস তোর বউকে। বয়স বাড়লে আবার...
---তুমি এক্সাক্টলি কি বলতে চাইছো, খালামনি? কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সরাসরি বলো তো?
---বলছিলাম যে এ ধরনের পরিবারের মেয়েরা স্বভাবগতই একটু লোভী হয়, বুঝলি তো? টাকার লোভে আজ তোর প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। কাল অন্য কারও প্রস্তাবেও...
---খালামনি! কথা বলার আগে কয়েকবার ভেবেচিন্তে কথা বলবে। তুমি কার সামনে কি নিয়ে বলছো তোমার আইডিয়া আছে?
নিশীথের উঁচু গলায় এবার ওর বাপ-চাচার দৃষ্টি আকর্ষণ হলো। সকলেই চোখ তুলে ওদের দিক তাকালেন। আয়মান সাহেব রে'গে বললেন,
---নিশীথ, বড়দের সাথে এটা কোন ধরনের ব্যবহার? তোমার মা এই শিক্ষা দিয়েছে তোমাকে?
---আমার মায়ের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে খালামনি কি বলছিলেন তা শুনে রাখুন..
---খালা হিসেবে ভালোমন্দ যা-ই বলুক সালমা বলতে পারে। ও তোমার ভালোই চায়। কিন্তু তুমি বড়দের সাথে কথা বলার ম্যানার্স ভুলে গেছো। আমার সাথে তো বেয়াদবি করোই এখন বাকিদের সাথেও শুরু করেছো! আব্বা, আপনি দেখেছেন আপনার প্রিয় নাতির আচরণ? বলুন কিছু ওকে।
ইউনুস সাহেবকে তেমন একটা উত্তেজিত মনে হলোনা। বরং তিনি বেশ স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলেন, যেন উনি আগে থেকেই জানতেন এমনটা হবে। তিনি স্বাভাবিকভাবেই বললেন,
---নিশীথ কেন এমন আচরণ করলো ওকে বলতে তো দে, আয়মান। কি বলছে না শুনেই কেন চিল্লাচ্ছিস ওর উপর!
---সিরিয়াসলি,আব্বা? তোমার এসব প্রশ্রয়ের জন্যই নিশীথ আজ এত বেয়াদব হয়ে গেছে।
আয়মান সাহেব অবিশ্বাস্য কণ্ঠে বললেন। তবে এতে ইউনুস সাহেবের পরিবর্তন হলোনা। তিনি আবারো বললেন,
---তুই আপাতত শান্ত হ। নিশীথকে কথা বলতে দে। শুনতে দে সালমা ওকে কি বলেছে!
এতক্ষণে সবার চেচামেচিতে পারভীন বেগম, নিশীথের চাচি, দোলাসহ কাজের মেয়েও ছুটে চলে এসেছে ড্রয়িংরুমে। তা দেখে নিশীথ কাজের মেয়েকে রুম থেকে চলে যেতে বললো। ও বেরিয়ে যেতেই মায়ের সামনে গিয়ে বললো,
---মা, তুমি জানো আমি কখনোই কারণ ছাড়া বড়দের সাথে বেয়াদবি করিনা। তুমি আমায় এ শিক্ষা দাওনি। কিন্তু আজ তোমার বোন আমায় এমন কিছু কথা বলেছে যার কারণে আমি বাধ্য হয়েছি তার সাথে উঁচু গলায় কথা বলতে!
আসমা বেগম পড়লেন দ্বিধায়। উনি নিজের বোনকে চেনেন, আবার ছেলেকেও চেনেন। সালমা বেগম কেমন কথা বলতে পারে তার কম বেশি ধারণা উনার আছে। কিন্তু নিজেরই বোন হয় তার, সবার সামনে তাকে নিয়ে কিভাবে খারাপ কথা শুনবেন? তাই কথাটা ঘুরাতে উনি বললেন,
---বাদ দে, বাবা। খালামনি হয়তো বুঝেনি তার কথায় তুই কষ্ট পাবি...
---উনি ইচ্ছা করে আমায় কষ্ট দেওয়ার জন্যই কথাগুলো বলেছে, মা।
---নিশীথ, এবার কিন্তু তুই বেশি কথা বলছিস। কিছু বলছিনা দেখে যা মন চায় বলবি নাকি? দুই দিনের বউয়ের জন্য তুই নিজের খালাকে অসম্মান করছিস?
নিশীথ বাকা চোখে তাকায় সালমা বেগমের দিকে। তাচ্ছিল্যের সাথে বলে,
---সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতেও হবে, খালামনি। এ কথা নিশ্চয়ই তোমার অজানা নয়!
---তোর বউ কি এমন এসে গেছে যে ওকে আমাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে?
সালমা বেগমের প্রত্যক্ষ অপমানে দোলার চোখে পানি আসে। নিশীথ তেলেবে'গুনে জ্ব'লে উঠলো! প্রচণ্ড ক্ষে'পে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়মান সাহেব অতীষ্ঠ ভংগিমায় বল্লেন,
---আমি আগেই জানতাম এ মেয়ের জন্য কোনো না কোনো সময় ফ্যামিলিতে গন্ডগোল লাগবে। বিয়ের দু'দিন হতে না হতেই আমার কথা সত্য প্রমাণ হলো। আব্বা, দেখেছো তোমার নাতির কথা মানার পরিণতি? এজন্যই আমি রাজি ছিলাম না!
দোলা শূন্য দৃষ্টিতে সবার কথা শুনলো। অশ্রুজলে চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে ক্রমশ। আসলে ও বুঝে উঠতে পারছেনা কেন ওর জন্য নিশীথের সাথে ওর পরিবারের এমন ঝগড়া হচ্ছে! কি এমন অপরাধ ওর? শুধু কি ওর বাপের বংশ এতটা সমৃদ্ধ নয় বলেই এমনটা হচ্ছে? অদ্ভুত! আচ্ছা, জন্মের উপর কি কারও হাত থাকে? থাকেনা তো!
তবে কেন এত ভেদাভেদ মানুষদের মাঝে?
দোলার প্রশ্নগুলো ওর মনেই থেকে যায়। বাহিরে চলমান ঝগড়া অব্যহত থাকে।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা তাসফিয়া হাসান তুরফা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন