উপন্যাস       :         তোমায় ঘিরে
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

৩৫তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৩৬)

আরাফঃ নবনিপাখি। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো। সব ঠিক হয়ে যাবে।
নবনিঃ কি করে ঠিক হবে!! আরাফ! কি করবো আমরা।
আরাফঃ যা করতে হয় করবো।আমার বাচ্চাদের একটা চুলও বাকা করতে দিবো না আমি।
নবনিঃ আমার বাবুরা মানুষ হবে। আরাফ। ওদের জ্বিন এর শক্তি লাগবে না।আমি এটা চাই না।কখনোই না।
আরাফঃ হবে না এমন কিছু। 
নবনি আরাফকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কাদতে লাগলো।আরাফ নবনির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। নবনির এখনও কান্না থামছে না।
~আম্মু কেদো না প্লিজ। তুমি যা বলবা আমরা তাই করবো।তবুও কেদোনা।
~আব্বু আম্মুকে বলো না কাদতে মানা।
বাচ্চারাও কাদতে লাগলো।আরাফ অবাক হয়ে দেখছে।যারা দুনিয়াতে না এসেই মায়ের কান্নায় কেদে ফেলে।এরা দুনিয়া আসলে কতই না মায়াবি হবে।
আরাফঃতোমরা যদি কান্না না থামাও তাহলে আমিও কেদে দিবো।
নবনি আর বাবুরা হেসে দিলো।


আরাফঃওদের নাম দাও। এভাবে বাবু ডাকতে ভালো লাগে না তো।
নবনিঃছেলের নাম হবে মেহরাব চৌধুরী ।কারন মেহরাব এর জন্যই বাবু আমার কাছে আছে।
আরাফঃঠিক আসে। তাহলে আমার প্রিন্সেস এর নাম আমি রাখবো।আমার প্রিন্সেস এর নাম হলো~আদরিতা চৌধুরী। 
আরাফ+নবনিতা।
আদ্রিতা চৌধুরী। 
বাবুরা খিল খিল করে হেসে দিলো।
আরাফঃনাম পচ্ছন্দ হয়েছে বুঝি!
~হ্যা।আব্বু।আমারটা বেশি সুন্দর।
~না আমারটা।
~বললাম না আমারটা।
নবনিঃতোমরা এতো ঝগড়া করো কেন!!
আমি না ভাইয়া করে। 
আরাফঃআচ্ছা। আমার কথা শুনো।কখনো কাউকে এই শক্তির কথা বলবে না।আর মানুষের সামনে একদম স্বাভাবিক থাকবে। 
মেহরাবঃহুম।
আদ্রিতাঃঅকে আব্বু।
আরাফঃআমি আসছি।তোমরা তোমার মায়ের সাথে কথা বলো।
আরাফ কথাটা বলে বেরিয়ে পরলো।


আরাফ বাইরে এসে ভাবছে কি করবে।বের হওয়ার পথে আদর চৌধুরীর সাথে দেখা হয়।আদর চৌধুরী আরাফকে দেখে বুঝে গেলেন তার হাস্যমুখ ছেলেটার মুখটা মলিন হয়েছে।কপালে সূক্ষ ভাজ। শান্ত চোখগুলো ছটপট করছে।
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে আরাফ।তুমি এতো চিন্তিত কেন।
আরাফ তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে।
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে মাই বয়।তুমি এতো টেনশনে কেন?!!
আরাফ তার বাবাকে দেখে যেন ভরসার আশ্রয় খুজে পেল।তার মন জানে তার বাবা তার সাথে যতই ঝগড়া করুক না কেন!ইনিই একমাত্র মানুষ যে ওকে সবার থেকে ভালো বুঝে। যাকে সবকিছু বলতে পারবে।
বাবারাতো হয়ই এমন।সন্তান যত বড়ই হউক না কেন!তাদের কাধে সব চিন্তার ভার সপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম দিতে পারে।বাবার কাধ যতোই বৃদ্ধ হউক না কেন!!কখনো দুর্বল হয় না।
বাবার পর নিলয়কেও বিশ্বাস করা যায়।কিন্তু ওয়ারদার ঘটনাগুলোর পর নিলয়ের প্রতি বিশ্বাসটুকু নড়ে গিয়েছে।
আরাফঃবাবা। আমার কিছু কথা আছে তোমার সাথে।কিন্তু এখানে বলা যাবে না।
আদর চৌধুরীঃচলে তাহলে সিকরেট রুমে।
আরাফঃচলো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...


৩৭তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন