উপন্যাস : অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111111111111
১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১১)
মিষ্টি আপু আমার থেকে বিদায় নিলো।
আমি শুধু উনাকে একটা কথাই বলতে পারলাম।
তোমার দেবর আমার উপর রেগে আছে আপুনি।কেনো রেগে আছে জানি না।রাতের খাবারটা তুমি বেড়ে দিয়ো। না হয় না খেয়েই ঘুমিয়ে পরবে।তুমি একটু জোর করে খাবারটা খেতে বইলো।
মিষ্টিঃআচ্ছা।আমি দেখছি।তুই একা যেতে পারবি?
সিমরানঃহুম পারবো।
আহসান আরো একবার ডাক দিলো আপুকে। আপু রিকশা উঠে চলে গেলো।রিকশাটার দিকে যতদূর চোখ যায় চেয়েছিলাম তারপর চোখটা ঝাপসা হয়ে আসতেই নামিয়ে নিলাম।
কথাতো ছিলো আপনি আমাকে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যাবেন। আর আপনি এভাবে নির্দয়য়ের মতো চলে যেতে পারলেন?
আমি একাই হেটে হেটে বাসায় চলে আসলাম।এসে দেখি এখানে পুরষ্কার বিতরণ হয়ে গিয়েছে।আমার প্রাইজগুলো আম্মু আব্বু নিয়েছে।আম্মুর চেহারাটা মলিন হয়ে আছে।খুব রেগে আছেন আমার উপর বোঝাই যাচ্ছে।
আমি আমার রুমে যেয়ে বসে পড়লাম।জানি না আমার সাথেই এমন কেন হয়!কেন আমি এক নদী পরিমান সুখ পেলে এক সমুদ্র সমান কষ্ট আমার দিকে ধেয়ে আসে।যার জন্য এতকিছু অবহেলা করে ছুটে গিয়েছিলাম।সেই আজ আমাকে অবহেলা করে রাগ নিয়ে ছুটে পালালো।পেছনে তাকানোর প্রয়োজনবোধ ও করলো না।
আম্মু রেগে আমার সাথে আর কথা বলে নেই।আমিও ক্লান্ত চোখগুলো বুঝে নিলাম। অভিমান গুলো বুক ভারী করে রেখেছে।ভারের ওজনে ঘুমটাও আসতে চাচ্ছে না।এই অশান্তির একটা মাত্র ওষুধ আহসান নামক ব্যাক্তি।
আমরা সবসময় এমন কাউকেই ভালোবেসে ফেলি যাদের কাছে আমাদের ভালোবাসার মূল্য নিজের উৎকৃষ্ট রাগ এর চেয়ে এক কাঠি পরিমান উপরেও না।কতটা তাচ্ছিল্যপূর্ণই নয় আমাদের ভালোবাসা তাদের কাছে।হাস্যকর!
সকালবেলা ফোনের রিংটোন এর শব্দে ঘুম ভাংগে।রিসিভ করতেই ওই পাশ এর ব্যাক্তির কোমল কন্ঠ শুনতে পাই।
_একটু আসবে আমাদের বাসায়?
_কেন?
_কথা ছিলো।
_ফোনেই বলেন।বাসায় কেন আসতে হবে?
_আসো প্লিজ।
_বাসার মানুষ মাইন্ড করবে না?
_মা বাবাতো এখন ও গ্রাম থেকে ফিরে নেই।ভাইয়া ভাবী আছে।উনারাতো তুমি আসলেই খুশিই হবে।
_আচ্ছা আসছি।
আমি কখনো উনাকে অগ্রাহ্য করতে পারি না।কেন পারি না তা জানা নেই আমার। শুধু এতটুকুই জানি যে পারি না তাকে না নামক শব্দের উচ্চারণটা শুনিয়ে দিতে।রেডি হয়ে বের হয়ে আসলাম।আম্মুকে বললাম স্কুলে যাচ্ছি।তাই কিছু বলে নেই।
উনার বাসার গলির মুখে রিকশা নামিয়ে দিলো।তারপর উনাকে কল করলাম।উনি আমাকে নিতে আসলেন।
চুলগুলো উশখুশকো। পরিপাটি ছেলেটাকে একদম অগোছালো দেখাচ্ছে।চশমার আড়ালে থাকা
চোখগুলো অসম্ভব ফুলে আছে।সারা রাত কেদেছেন উনি?কিন্তু কেন?নাকি ঘুমের কারনে এমন মনে হচ্ছে।
উনি আমাকে বাসায় নিয়ে আসলেন।
_ভাইয়া ভাবী এখনও উঠে নাই। তুমি আমার রুমে বসো।আমি পানি নিয়ে আসছি।
আমি উনার রুমটা দেখতে লাগলাম।খুব পরিপাটি একটা রুম।একটা খাট আর একটা পড়ার টেবিল ছাড়া তেমন কিছু নেই।
উনি পানির গ্লাসটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন।আমি তিন ঢোক পানি পান করলাম।তারপর গ্লাসটা পাশে থাকা টেবিলে রেখে দিলাম।
_কি হয়েছে আপনার?এমন দেখাচ্ছে কেন?
_জানি না।কালকে রাতে খেয়েছিলে?
_না। আপনি?
_না।
_কেনো খান নেই।আমিতো মিষ্টি আপুকে বলেছিলাম আপনাকে জোর করে খাওয়াতে।
_ভাবী বলেছিলো।আমি খাই নাই।আমাকে জোর করে কোনো কিছু করানের সাধ্য কারো নেই।
_ওহ।
আহসান আমার কোলে মাথা রেখে বিছানায় শুয়ে পড়লেন।তারপর পেটে মুখ গুজে দিলেন।
_কি হয়েছে?এমন করছেন কেন?
আহসান দুই হাত দিয়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরলেন।
_তুমি আমার। শুধুই আমার।বুঝছো।অন্য কারো হতে যাবে না।আমি মরে যাবো।
আমি অনুভব করছি আহসান কান্না করছেন।আমি প্রথম আজ আহসানকে কান্না করতে দেখলাম।কারনটা আমার এখনো অজানা।কি এমন উনাকে এতোটাই পুড়াচ্ছে যে এভাবে কান্না করে দিলেন।
_আমিতো আপনারই। কিন্তু আপনি আমাকে যে হারে রাগ দেখান। এমন রাগী মানুষ এর সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।
_আই এম সরি।আমাকে ক্ষমা করে দাও।শেষবার এর মতো ক্ষমা করে দাও।আর রাগ করবো না।প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না।প্লিজ।
_আচ্ছা যাবো না।শান্ত হোন।
আমি আহসান এর মাথায় হাত বুলাতেই সে কিছুটা শান্ত হলো।
_এখন বলেনতো কি হয়েছে?
_থাক বাদ দাও।তুমিতো আমাকে ক্ষমা করেই দিয়েছো।এখন এসব বাদ।
আমি আহসানকে উঠিয়ে আমার মুখোমুখি বসালাম।এখন বলেন কি হয়েছে?
আহসান এখন ও চুপ।
আমি কিন্তু ক্ষমা করবো না।না বললে।
তুমি শান্তর সুনাম করেছো কেন?জানো ও তোমার দিকে কেমন কেমন করে যেনো তাকায়।ও তোমাকে পচ্ছন্দ করে।
_উনি আমার চেহারাও দেখেন নাই কখনো। আর উনি আমাকে পচ্ছন্দ করেন।কি যে বলেন না আপনি।
_হ্যা।তুমি ওর থেকে দূরে থাকবে।তুমি ওর প্রশংসা কেনো করেছো?ও কি আমার থেকেও বেশি সুন্দর?
_আমি কবে বললাম উনি আপনার থেকে বেশি সুন্দর?আমি তো শুধু বলেছিলাম উনি ভালো নাচতে পারেন।
_কেন বলবে?
আহসান হুট করে আবার রেগে গেলেন।লম্বা কপালটায় তিনটা ভাজ পরে গেলো।
_আপনি জানেন রাগলে আপনার কপালে চুমু খেতে ইচ্ছে করে।
_কিহ??
উনার রাগ নিমিষেই পুরো ঠান্ডা হয়ে গেলো
আমি হাসলাম।
_আচ্ছা ঠিক আছে।আর কখনো উনার সুনাম করবো না।ওকে?
_না।আশেপাশেও ঘেষবে না ওর।আমার বউ শুধুই আমার।
_বিয়েটা কবে করছেন?
_খুবই তাড়াতাড়ি।
আমি তার চশমাটা খুলে ফেললাম।
আপনি জানেন চশমার আড়ালে থাকা চোখগুলো কতো সুন্দর।সব সময় চশমা পড়ে থাকতে হয়?
_চশমা ছাড়া দূর এর জিনিস ঘোলা দেখি।
_কাছের টা তো দেখেন?এভাবে সব সময় পড়ে থাকলে তো কাছের গুলো ও ঘোলাই দেখতে শুরু করবেন।আর আমার বড্ড ডিস্টার্ব হয় আপনার চোখগুলো দেখতে।
_এটা কি করছো বউ।তুমি জানো আমি ঘুমাতেই যাওয়ার আগেই শুধু চশমা খুলে রাখি।তাছাড়া সবসময় চশমা পড়ে থাকাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
_অভ্যাস বদলে ফেলেন না হয় আমাকে।এতো দিন আমি ছিলাম না বলে যা ইচ্ছা করেছেন। এখন থেকে আর না।নিজের যত্ন নিন বুঝলেন।আপনি কিন্তু মানুষটা আমার।আমার হবু স্বামীকে আপনার কাছে আমানত রেখেছি।সময় হলে ঠিকই বুঝে নিবো।আমার আমানত এর খেয়ানত করবেন না।
_তাহলে যে তুমিও আমার আমানত।ঠিকমতন খাওয়া দাওয়া করবে বুঝলে।তুমি আমার আমানত এর খেয়ানত করবে না আমি ও তোমার আমানতকে যত্ন করে রাখবো।
_আমি তো খাই ঠিকমতন।
_হ্যা খাও তো।তিন ঢোক পানি। একটা গ্লাস পানিও তুমি খাও না।
_পানি খেতে আমার ভাল লাগে না।তবুও তিন ঢোক পানি খেলাম। তিন ঢোক বুঝেন। কত বেশি!! তিনটা বার গিলতে হয়।
_পানি গিলতে আপনার এতো কষ্ট! পানিটাকি আমি গিলে দিবো?ম্যাম।
_হি হি হি।অনেক উপকার হয়।
_এটা কোনো কথা।তুমি জানো মানুষের শরীর এর জন্য কত উপকারী।পানি
শিসসসসস।আমি জানি আমাকে আর শিখাতে হবে না।ভাইয়া কি চলে গিয়েছেন?মিষ্টি আপুর সাথে দেখা করবো।
_হুম। চলে গিয়েছেন এতোক্ষনে।চলো।
আমি আর মিষ্টি আপুর সারপ্রাইজ দিলাম। বেচারী হা হয়ে গেলো।
মিষ্টিঃতুই কবে আসলি?
সিমরানঃএই মাত্রই আসলাম।সারপ্রাইজ কেমন লাগলো?
মিষ্টিঃঅনেক ভালো।বোরখা খুলে ফেল। এখনতো কেউ নেই বাসায়।তোর ভাইয়া ও আসবে না আর।
সিমরানঃআচ্ছা।
আমি বোরখাটা খুলে ফেললাম।
মিষ্টিঃতুই লাল জামা পরে এসেছিস রে!তোকে একদম নতুন বউয়ের মতো লাগছে।যাক ভালোই হয়েছে।প্রথমবার এই বাসায় তুই লাল রং পড়ে এসেছিস।
সিমরানঃআমি তো বাসার জামাই পড়ে এসেছি।আর তুমি তিল থেকে তাল বানিয়ে দিলা।ধুর।একটু বেশিই ভাবো তুমি।
মিষ্টিঃহা হা হা।থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।তুই বসে টিভি দেখ আমি তোর জন্য কিছু রান্না করে নিয়ে আসি।
সিমরানঃআরে কোথাও যাচ্ছো।আমি কিছুই খাবো না। বসো গল্প করি।
কথার মাঝখানে আহসান ফোড়ন কেটে বলে উঠলেন।
আহসানঃআরে না ভাবী যাও তো। আমাদের বাসায় মেহমানকে খালি মুখে বিদায় করি না আমরা।
সিমরানঃআমি কাউকে বলবো না যে আপনারা না খাওয়ায় পাঠিয়েছেন আমাকে।শুধু আপুকে খাটাচ্ছেন।
আহসানঃনা তোমাকে দিয়ে বিশ্বাস নেই।আরে তুমি যাও তো ভাবি।
আপু আমার কোনো কথা না শুনেই চলে গেলো।আমি টিভি ছাড়লাম।কালকে ব্রাজিল জামার্নির সাথে সাত গোলে হেরে গিয়েছে সেটা দেখাচ্ছে।আমি চ্যানেলটা পালটে দিলাম।আহসান আমার হাত থেকে রিমোটটা কেড়ে নিলেন।
_কি করছেন?রিমোট দেন।
_আরে মজার নিউজ দেখাচ্ছে দেখো না?ব্রাজিল সেভেন আপ খেয়েছে।
কথাটা বলে হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।আমি রেগে লাল হয়ে গেলাম।
_গোল দিলো জার্মানি তাতে আপনার কি?
_আমার কি মানে!!তোমার এতো লাগছে কেন?ওয়েট তুমি কি ব্রাজিল এর সাপোর্টার?
_হ্যা। তো?
_হা হা হা।সব ছেড়ে ব্রাজিল। লাইক সিরিয়াসলি?
_দেখেন আমি হারলেও ব্রাজিল জিতলেও ব্রাজিল।ভুইলেন না ব্রাজিল এক বার সাতটা গোল খেয়েছে তো কি হয়েছে?ব্রাজিল কিন্তু পাচ বার কাপ জিতেছে।
_ওই পারো তো একটাই।কাপ দেখে দল সাপোর্ট করো।
_আর আপনারা কি করেন?দুই বার জিতে ধেই ধেই করে ব্রাজিল এর থেকে নিজেদেরকে ভালো ভাবতে শুরু করেন।
_আমরা অবশ্যই ভালো। এখানে ভাবা ভাবির কি আছে।
_বলছে আপনাকে!!ওই টা শুনেন নাই?
_ওইটা আবার কোনটা?
ঢেইলা গেলো মেরাডোনা রাইখা গেলো ফ্যান।
মায়া করে দয়া করে একটা কাপ ভিক্ষা দেন।
হি হি হি।হি হি হি।
_ইউ সেভেন আপ
আহসান ঢাস করে টিভিটা বন্ধ করে দিলো।
_টিভি বন্ধ করছেন কেনো রিমোট দেন।
_এই রিমোট তুমি আর পাচ্ছো না।এই তুমি না আমাকে ভালোবাসো?তাহলে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করো না কেন?কেমন ভালো বাসো?
_আপনিও তো আমাকে ভালোবাসেন।কই ব্রাজিল এর পিছনেই তো লেগে থাকেন।আচ্ছা আপনি ব্রাজিল হয়ে যান। আমি কাউকে বলবো না আপনি আজেন্টিনা ছিলেন।
_কখনো না।
_না হলে নাই। রিমোট দেন।
_না দিবো না।
আহসান হাতটা উচু করে ফেলেন।আহসান আমার থেকে অনেক লম্বা।আমি কোনো মতেই রিমোট টাচ করতে পারছি না।আমি লাফ দিতে লাগলাম।আহসান আরো উচু করে দিলেন।এইবার আমি আহসানকে ক্যাতুকুতু দিতে লাগলাম।আহসান আমাকে আটকাতে গেলে দুইজনই বিছানার উপর পড়ে যাই।আমি নিচে আহসান আমার উপরে।
_উফফ। দিলেন তো ফেলে। হইসে শান্তি? আজেন্টিনার সাপোর্টাররা এমন হয়?ছি ছি।
_তবে দাঁড়াও তোমাকে দেখাচ্ছি কি হয়।
আহসান তার দাড়িগুলো আমার গালে ঘষে দিলেন। খোচা খোচা দাড়ির আঘাতে আমার গাল জ্বলতে লাগলো।
_কি করছেন।উঠুন।
এমন সময় মিষ্টি আপু এসে পরে।আহসান এখন খেয়াল করে নেই।আমি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম মিষ্টি আপু।এই বার আহসান তাকিয়ে লজ্জা পেয়ে চলে গেলেন।আর আমার ইচ্ছা করছে মাটি ফাক হয়ে যা আমি ঢুকে পড়ি।লজ্জায় আমি চোখ উঠাতে পারছি না।আল্লাহই জানে উনি কি ভাবছেন।
_আপু আসো না। দাঁড়িয়ে আছো কেন?
_হুম।
_আমি একটু পানি খেয়ে আসি।
বলে মিষ্টি আপুর নজর এর বাইরে এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।বাইরে এসে দেখি মহাশয় আরামসে পায়ের উপর পা তুলে মোবাইল ঘাটছেন। মনে হয় কিছু হয়ই নেই।ইচ্ছেতো করছে গ্লাস দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে দুই ভাগ করে দেই।বদ লোক।মেন্ডাক একটা।বেশি বেশি করে।আল্লাহই জানে মিষ্টি আপু আমার ব্যাপারে কি ভাবছে।
[সিমরান জানেও না এই ঘটনা তার জীবন এর কালো অধ্যায় এর মতো ছাপা হয়ে যাবে।এমন এক অধ্যায় যা চাইলে ও আর মুছা যাবে না।আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
১২তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন