উপন্যাস       :         অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০৯)

সিমরান এর রাগ সর্ম্পকে আহসান জানে না।আজ তিন দিন যাবত তাদের যোগাযোগ হয়নি। গ্রামে নেট নাই তাই আহসান কোনভাবেই একটা টেক্সট ও করতে পারছে না।
এখানে সিমরান এর রাগ আরো বেড়ে যায়।
সিমরানঃগ্রামে যেয়ে ভাইয়ের বিয়ে না দিয়ে নিজেই বিয়ে করে নিলো নাকি।পঁচা ব্যাক্তি। একটা কল মেসেজ ও করে নাই।এইবার আসুক খালি খবরই আছে।
আহসানঃমা।আমি আজকেই ঢাকায় ব্যাক করবো।
দিয়া আহসানঃকেন রে? ঢাকায় কি বউ রেখে এসেছিস?আসার পর থেকে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিস?
আহসানঃএখন তোমারে আমি কেমনে বলি মা।আমি সত্যিই বউ রেখে এসেছি বাসায়।(মনে মনে)।মা বিয়েতো শেষ। তাহলে এখানে থেকে কি হবে?চলো না ঢাকায় ব্যাক করি।
দিয়া আহসানঃবিয়ে শেষ হয়েছে তো কি হয়েছে?গ্রামের পরিবেশটা কত সুন্দর দেখেছিস?এমন কি ঢাকায় পাবি? তুই যা বাইরে থেকে ঘুরে আয়।
আহসান বের হয়ে গেলো।
আহসানঃএকটু যদি নেট পাইতাম।আমার কলিজাটা না জানি কত রেগে ফুলে বসে আছে।কেমনটা লাগে!
আহসান পুরো গ্রাম ঘুরে ঘুরে নেট খুজতে লাগলো।একটা জায়গায় একটু সিগনাল দেখা দেয়।আহসান দেরি না করে সাথে সাথেই কল দেয়।
আহসানঃআসসালামু আলাইকুম।জানপাখি।কেমন আছো?
সিমরানঃওয়ালাইকুম আসসালাম।কে?
আহসানঃআমিই। আবার কে?
সিমরানঃকোন আমি?আমিতো কোনো আমিকে চিনি না।
আহসানঃজানপাখি রাগ করে না।এখানে একটুও নেট নাই।সত্যিই। অনেক কষ্ট করে একটু নেট পেয়েছি।সেটা দিয়ে কথা বলছি।এম বি কিনে এসেছিলাম।পুরোটাই র‍য়ে গেলো।নেটই পায় না আবার ডাটা কি পাবে।
সিমরানঃকেমন আছেন?
আহসানঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুমি?
সিমরানঃআমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।কবে আসবেন?
আহসানঃআরো ২ / ৩ দিন থাকবো।
সিমরানঃথেকেই যান।আর আসার দরকার নাই।
বিয়ে করে সেটেল হয়ে যান।
আহসানঃহ্যা।মা তো মেয়ে ও দেখছে।ঠিক আছে সেটেল হয়ে যাই।সকাল সকাল এখান এর বাতাস খুব ভালো লাগে।
সিমরানঃলাগবেই তো।মেয়ে দেখবেন।বিয়াইনরা বুকে হাত রেখে ছবি তুলবে।এসবইতো ভালো লাগে।
আহসানঃকিহ!!কোন মেয়ে আমার বুকে হাত রেখে ছবি তুললো?
সিমরানঃআপনার ভাবীর মামাতো বোন।মেসেঞ্জার এ পিক দিয়েছি দেখেন।
আহসান ডাটা অন করে চেক করলো।
আহসানঃআর এ এটাতো আমি খেয়াল ও করি নাই।আর ও হাত রাখসে সেটাতো আমার কি দোষ?
সিমরানঃমানা করতে পারলেন না?কেনো হাত রাখবে? হা?
আহসানঃএতো জেলাস হচ্ছো কেন?
সিমরানঃআমার জেলাস হতে বয়েই গিয়েছে।থাকেন আপনি।
সিমরান কট করে কল রেখে দিলো।
আহসান মুচকি হাসলো।
আহসানঃতুমিতো আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছো সিমরান।আসতেছি ঢাকায়।এখন হবু বউয়ের রাগ ভাংগাতে হলেও যে আমার আসতে হবে।
আহসান তার বাবাকে কল দিলো।
আহসানঃবাবা তুমি কবে আসছো গ্রামে?
সজীব আহসানঃএইতো ছুটি পেলেই এসে পরবো।
আহসানঃতুমি আজকেই আসো।মা তোমাকে অনেক মনে করছে।একা একা মায়ের ভালো লাগছে না।তুমি ও এসে ঘুরে যাও।
সজীব আহসানঃতাই নাকি!আমিতো তোর মাকে আগেই বলেছিলাম যাতে না যায়।না সে যাবে।এখন বুঝুক ঠেলা। ৩ দিন ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে নাই।কি আর করার তাহলে আমি আজকেই আসছি।
আহসানঃঠিক আছে আসো।
আহসান এবার ফুরফুরে মনে তার মার কাছে গেলো।
আহসানঃমা। আমি ব্যাগ গুছাচ্ছি।আজকেই ঢাকায় ব্যাক করবো।
দিয়া আহসানঃতুই চলে গেলে আমি কার সাথে যাবো?আর আমি একা থাকবো?
আহসানঃএকা থাকবে কেন?বাবা তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছে না একা।তাই এসে পরছে।বাবা আসলেই আমি চলে যাবো। তুমি বাবার সাথে কিছুদিন ঘুরে ফিরে তারপর ঢাকায় চলে আসবে।
দিয়া আহসানঃতোর বাবা আসছে?আহারে মানুষটা তিন দিন ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না।আচ্ছা তুই ব্যাগ গোছা।
আহসানঃবায়াহহ।জামাই আসতাছে শুনে আমাকে ভাগিয়ে দিচ্ছো।
দিয়া আহসান চোখ চোখ বড় বড় করে তাকালো।
দিয়া আহসানঃআমি বলছি যেতে?তুই না যাচ্ছিস।থাক তাহলে তুইও যাইস কথাটা শেষ করার আগেই আহসান বলে উঠলো।
আহসানঃমা আমার ব্যাগ গোছানো হয়ে গিয়েছে।চলো ভাত খেতে যাই।খুদা লাগছে আমার।
দিয়া আহসানঃআচ্ছা চল।
আহসানঃকত কিছু যে করতে হয় তোমার রাগ ভাংগাতে কলিজা। তুমি কি আর তা বুঝো।পারোতো খালি ফুলে পেকে বসে থাকতে।(মনে মনে)
আহসান মুচকি হেসে খেতে চলে গেলো।
সিমরান ছাদে একা বসে আছে।বিকি ছাদে এসে তাকে এমন মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে।
বিকিঃকি হয়েছে তোর?সব সময় মানুষকে ঝারানয়ালী মেয়েটা এমন জামাই মরা শোক পালন করছে কেন?
সিমরানঃউফফফ।উলটা পালটা বলো না তো।আমার জামাই মরতে যাবে কেন?মরুক আমার জামাইয়ের দুশমন।
বিকিঃয়েহ।এখন থেকে এতো ভালোবাসা উতলায়া পরতেসে।ঠিক করা হয়ে গিয়েছে নাকি?ফুপ্পি কে বলবো?
সিমরান বিকির চুল গুলো ধরে টেনে দিলো।
বিকিঃআহহহ।জল্লাদনী। চুল ছাড়।
সিমরানঃএরপর আজাইরা জ্বালাইলে চুল গুলোতে চুইংগাম লাগায় দিবো।
বিকিঃআর আমি তোর সব চুল কেটে দিবো।
সিমরান ভেংচি দিলো।
বিকিঃআচ্ছা এখন খাইতে চল।ফুপ্পি ভাত বেড়ে বসে আছে। 
সিমরানঃতুমি খাবা না?
বিকিঃতুই যা।আমি আসতেসি।
সিমরানঃসিগারেট খাইতে আসছিলে না?
বিকিঃযা তো পাকনামী করিস না।
সিমরানঃকি মজা যে পাও এগুলো খেয়ে।
বিকিঃতোর জামাই ও খাবে দেখিস।
সিমরানঃজীবনেও না।
সিমরান নিচে নেমে আসলো।সিমরান এর আম্মু মিসেস পারভীন রেগে আছেন খুব।সিমরান কেয়া মনি পিছনে যেয়ে লুকালো।
সিমরানঃকেয়া মনি আমারে বাচাও।আম্মু আমাকে কাচা চিবিয়ে খাবে।
কেয়াঃঠিকই আসে।এক ঘন্টা ধরে ডাকছিলো।কই যেয়ে প্রেম করছিলি?
সিমরানঃছাদে।
কেয়াঃযা এখন মার খা।
সিমরানঃবইন না ভালো।আমারে বাচাও।
কেয়াঃসিমরান পড়া গুলো শেষ হয়েছে?খালি পড়লেই হবে খাওয়া দাওয়া করতে হবে না?(কথাটা জোরে বললো যাতে মিসেস পারভীন শুনেন)
পারভীনঃপড়তেছিলি?
সিমরানঃহুম।
পারভীনঃআচ্ছা। আয় ভাত খাওয়া দেই।
সিমরানঃThank you কেয়া মনি।You are the best.
কেয়াঃএখন যা তাড়াতাড়ি। 
সিমরানঃআচ্ছা।
সিমরান খাওয়া দাওয়া করে লম্বা ঘুম দিলো।ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখে ৩১ টা কল।ফোন সাইলেন্ট থাকায় টের পায় নেই।
কল ব্যাক করতেই ওপাশের মানুষ এর বিচলিত কন্ঠ শোনা গেলো।
আহসানঃতুমি ঠিক আছো?কোনো সমস্যা হয় নেই তো।কোনো কিছু করো নাই তো নিজেকে?রেগে কেউ এমন করে? কতগুলো কল দিলাম খবর আছে?আমার জান বের হয়ে যাচ্ছিলো টেনশনে।সেই ৪ ঘন্টা বাস জার্নি করে এসে তোমাকে কল দিয়েই যাচ্ছি।তোমার কোনো খবর নাই। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি।
সিমরানঃআমার কি হবে?আমিতো ঘুমিয়ে ছিলাম।আর আপনি না ২ / ৩ দিন পর আসেন। এখনই চলে আসলেন যে?
আহসানঃএতক্ষন কেউ ঘুমায়?আর ঘুমানের আগে আমাকে মেসেজ দিতেতো পারতে যে ঘুমাচ্ছো?
সিমরানঃঘুমানের আগে কে মেসেজ দেয়?
আহসানঃতুমি দিবা।
সিমরানঃআজীব।আচ্ছা আপনি আজকে আসছেন কীভাবে? 
আহসানঃবাবা গিয়েছে মায়ের কাছে তাই আমি চলে আসছি।
সিমরানঃওহ। তাহলে আমার জন্য আসে নাই।উনার বাবা না গেলে এখন ও আসতো না।আমিই একটু বেশি এক্সপেক্ট করে ফেলি।( মনে মনে)
আহসানঃকি হলো? কথা বলছো না কেন?
সিমরানঃহ্যা।বলেন?
আহসানঃরেগে আছো?
সিমরানঃনা কেন রেগে থাকবো।আপনার যা খুশি করেন।
আহসানঃআচ্ছা আর কোনো দিন ও কাউকে আমার আশেপাশেও ঘেষতে দিবো না। সত্যিই।
সিমরানঃহুম।
আহসানঃহাসবে না?
সিমরানঃহুম।
আহসানঃজানো আমার এখন খাওয়ার কষ্ট করতে হবে।
সিমরানঃকেন?
আহসানঃভাবীতো বাপের বাড়ি। রান্না করবে কে?
সিমরানঃওহ।আপনি রান্না করতে পারেন?
আহসানঃকিছুটা।
সিমরানঃআমিতো একদমই পারি না।হি হি হি।আপনি রান্না করবেন আর আমি খাবো।
আহসানঃআমার আম্মু কিন্তু গুনী মেয়ে চায়।রান্না করতে না পারলে আম্মুকে খুশি করবে কিভাবে?
সিমরানঃআমি রান্না করলে উল্টা পালটা রান্না করবো।
আহসানঃ চলবে।তুমি যা রান্না করবে আমি তাই মুখ বন্ধ করে চুপ চাপ খেয়ে নিবো।তাও রান্না কইরো।
সিমরানঃআচ্ছা।
আহসানঃহুম।আমার লক্ষী বউটা।
সিমরানঃবউ এখনও হই নাই।
আহসানঃ হয়ে যাবে।
সিমরানঃরাখি।
আহসানঃআচ্ছা শুনো।
সিমরানঃহুম।
আহসানঃআই লাভ ইউ।
সিমরানঃজানি।
সিমরান হেসে কলটা রেখে দিলো।
সিমরান কল কেটে কেয়ার কাছে চলে গেলো।
কেয়াঃকি হলো?
সিমরানঃরান্না করবো। চলো।
কেয়াঃকি রান্না করবি?আমি তো পারি না তুই জানিসই।
সিমরানঃপারি না শিখে নিবো।চলো আমরা দুইজন মিলে মুরগী রান্না করি। 
কেয়াঃআমি কিন্তু পারি না।
সিমরানঃআমি আছিতো। চলো।
কেয়া আর সিমরান ফ্রিজ থেকে মুরগী বের করে পানিতে ভিজিয়ে রাখলো।
সিমরানঃআম্মু নিষেধ করছে কেন?আমরা কি বাচ্চা!!
কেয়াঃহ্যা।আমরা রান্না করে দেখিয়ে দিবো।
পারভীনঃকোনো দরকার নেই। আমি পারবো।তোরা যা তো। আমার কাজ বাড়াবি না।
(মামীর কিডনীর রোগ ধরা পড়েছে।উনার ডায়লিসি করতে হয় প্রত্যেক সপ্তাহে।তাই সব কাজ আম্মু করে।আমরা সবাই এক সাথেই খাওয়া দাওয়া করি।)
আম্মু আমাদের বারন করছে তার মধ্যে মামার আগমন।
সিমরানঃমাম্মা দেখো না।আম্মু রান্না করতে দিচ্ছে না। মুরগী নাকি নষ্ট করে ফেলবো। 
মামাঃকেন নিষেধ করছিস ওদেরকে। নষ্ট করলে আবার কিনে আনবো। না রান্না করলে শিখবে কি করে।করতে দে ওদেরকে যা করছে।
মামার আদেশ পেয়ে আম্মু চলে গেলো রান্না ঘর থেকে। আমি আর কেয়া মনি High Five দিলাম।
সিমরানঃইয়েস। এখন আমরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সব করতে পারবো।
কেয়াঃইউটুব এ ঢুক তাড়াতাড়ি।
সিমরানঃআচ্ছা আচ্ছা।
আমরা দুই জন রান্না করতে লাগলাম।সমস্যাতো তখন হলো যখন কাচা মরিচ কাটতে হবে। আমি কাচা মরিচ কাটতে ভয় পাচ্ছি। হাত জ্বলবে তাই। কেয়া মনিও কাটবে না।কেমনটা লাগে।
মামা দেখতে এসেছিলো আমরা কি করছি। এসে দেখে কাচা মরিচ নিয়ে বসে আছি।পরে ভিতরে চলে গেলো।
আমি ভাবসিলাম মাম্মা আমাদের সাহায্যে করবে।কিন্তু এমন কিছুই হলো না।
তখনই আমাকে অবাক করে দিয়ে মাম্মা কেচি নিয়ে আসলো।
মামাঃএই নাও কেচি দিয়ে কাচা মরিচ ধনেপাতা কাটো।তাড়াতাড়ি ও হবে আর হাত ও জ্বলবে না।
এইবার এই এক কেচি নিয়ে মারামারি লেগে গেলো।আমরা দুইজনই চাচ্ছি কেচি দিয়ে কাচা মরিচ কাটতে। এতক্ষন যে কাচা মরিচকে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম এখন সেটা নিয়েই মারামারি বেধে গেলো।মাম্মা পরে আরো একটা কেচি এনে দিলো।পরে দুইজন দুইটা দিয়ে কাটতে লাগলাম।হি হি হি।
সবশেষে আমাদের রান্না শেষ হলো।সবই ঠিক আসে কিন্তু মুরগীর ঝোল পানি পানি হয়ে গিয়েছে।ভাত এর মার গালতে যেয়ে হাত এ পড়ে গিয়েছে।আর ডাল এর যে কি হয়েছে আল্লাহই জানে।
মাম্মা এসে কি জানি ম্যাজিক করে সব ঠিক করে দিলো।তারপর খেতে বসলাম আমরা।আম্মুতো খাবার দেখে খাবে কি খাবে না দ্বিধায় আছে।
আমি আর কেয়ামনি ফটাফট কয়টা ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দিলাম। আর আমি কয়েকটা আহসানকেও পাঠিয়ে দিলাম।তার জন্যইতো আজ আমাকে এই রান্নাটা করতে হলো।নাহলেকি আমাকে ভুতে কিলায় রান্নাঘরে যাবো।
সবার আগে মাম্মা খাবার টেস্ট করলো।
মামাঃঅনেক মজা হয়েছে।বাহ!প্রথমদিনেই আমার মেয়েরা এতো ভালো রান্না করেছে।অসাধারণ। 
মাম্মার কথা শুনে খবু গর্বিত ফিল হচ্ছে।মাম্মার দেখা দেখি আমি আর কেয়া মনিও টেস্ট করলাম। খুব একটা খারাপ হয় নেই।খাওয়া যায় আরকি।
আমরা রান্না করছিতো তাই আমাদের কাছে বেশ ভালোই লাগছে খাবারটা।খাওয়া দাওয়া শেষে চা নিয়ে বারান্দায় চলে আসলাম।
বারান্দায় এসে আহসান এর মেসেজ চেক করলাম।উনি খাবার এর প্রশংসা করেছেন।
আহসানঃদেখতেতো খুব মজার লাগছে।ইসস মিস করলাম!!
সিমরানঃআপনার রান্না ছবি পাঠান।
আহসানঃআমারটা এতো ভালো হয় নেই গো।
সিমরানঃউফফ।দিনতো আমি দেখে বলছি হয়েছে কি হয় নেই।
আহসানঃআচ্ছা। দাড়াও দিচ্ছি।
আহসান উনার রান্নার ছবি তুলে পাঠালেন।উনিও আলু দিয়ে মুরগির ঝোল রান্না করেছে।আমারটার থেকে অনেক অনেক অনেক গুন ভালো রান্না করেছেন।দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
সিমরানঃএটাকে ভালো হয় নেই বলে?আমিতো এটার কাছাকাছি ও যেতে পারি নেই।
আহসানঃচেষ্টাতো করেছেন।এটাই অনেক।আস্তে আস্তে শিখে ফেলবেন।একবার এই তো শিখার কিছু নেই।
সিমরানঃআপনি এতো ভালো কেন?
আহসানঃআপনি এতো ভাল যে তাই।
সিমরানঃ১৬ই ডিসেম্বর এ কোথায় যাবেন?কি প্লান আছে?
আহসানঃআমার কোনো প্লান নাই।ভাইয়া ভাবী যেতে  পারে।তাদের সাথে যেতে পারি। 
সিমরানঃওহ।আচ্ছা।
আহসানঃহুম। কালকের পর এর দিনই তো বিজয় দিবস তাই না?
সিমরানঃহুম।
আহসানঃআচ্ছা। এখন রাখি। তুমিও ঘুমিয়ে পরো।
সিমরানঃআচ্ছা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...


১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন