উপন্যাস : ফাগুন ছোঁয়া
লেখিকা : সারা মেহেক
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
লেখিকা সারা মেহেকের “ফাগুন ছোঁয়া” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ঠিক কবে নাগাদ লেখা শুরু করেছেন তা এখনাব্দি জানা যায়নি। তবে তা জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
![]() |
ফাগুন ছোঁয়া || সারা মেহেক |
২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
ফাগুন ছোঁয়া || সারা মেহেক (পর্ব - ০৩)
জানুয়ারি মাসের হাড় কাঁপানো শীতে বাইরে বেরিয়ে ঠাণ্ডায় জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে মিম। রুমে পরা বড়সড় একটা শাল নিয়ে বেরিয়ে এসেছে সে। শালটা তুলনামূলক বেশ মোটাসোটা। তারপরও এতে তার শীত যাচ্ছে না। পা দুটো ধীরগতিতে অনবরত কাঁপছে। নিকাবের আড়ালে ঠোঁট দুটোও কাঁপছে। ঠাণ্ডায় মিমের এ অল্পবিস্তর কাঁপুনি দেখে আদ্রিশ খানিক চিন্তিত হলো। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
" খুব শীত করছে?"
মিম নত মস্তকে কাঁপতে কাঁপতে জবাব দিলো,
" মোটামুটি। কিছুক্ষণ বাইরের পরিবেশে থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। আজকে বেশ শীত পড়েছে।"
মিমের আশ্বস্তমূলক বাণী শুনেও আদ্রিশের উদ্বেগ কমলো না। সে পরনের জ্যাকেট খুলতে খুলতে বললো,
" এই জ্যাকেটটা আপাতত গায়ে দিয়ে রাখো। শীত কমে যাবে। "
" না না। আমার লাগবে না। আপনিই পরে থাকুন। আপনারাও তো শীত লাগছে। "
মিমের নিষেধাজ্ঞা বাণী প্রচার হতে হতেই আদ্রিশের জ্যাকেট খোলা শেষ হলো। সে চেয়ার ছেড়ে উঠে জ্যাকেটটা নিয়ে মিমের গায়ে জড়িয়ে দিলো। অতঃপর পুনরায় চেয়ারে বসে মুচকি হাসি দিয়ে বললো,
" আমার জ্যাকেটের নিচে একটা পাতলা সোয়েটার আছে, তার নিচে শার্ট আছে। এই রুমে এসে তেমন শীত করছে না বিধায় তোমাকে জ্যাকেটটা দিলাম। "
আদ্রিশের এ অমায়িক ব্যবহারে মিমের মন যেনো খানিকটা নরম হলো। তবে এতে সে কিঞ্চিৎ আড়ষ্ট বোধ করলোও বটে। আদ্রিশ আর সেদিকে খেয়াল করলো না। তবে সে উপলব্ধি করলো তাদের মধ্যকার পরিস্থিতিটা বেশ আড়ষ্টভাব নিয়ে আসছে মিমের মাঝে। এজন্যই সে মিমকে খানিক হাসানোর জন্য স্বগোতক্তি করে বললো,
" আশ্চর্য! আমাদের মধ্যে মাত্রই একটা সিনেম্যাটিক ঘটনা ঘটে গেলো। বেশ তো! এঞ্জয় করলাম মোমেন্টটা। "
আদ্রিশ মিমকে হাসানোর জন্য এমনটা বললেও মিম শুনে হাসলো না। বরং সে নিজের কাঁপুনি কমাতে ব্যস্ত হলো। আদ্রিশ হয়তো তার এ ভাবভঙ্গি বুঝতে পারলো। তাই তো কিছু না বলে নীরবে বসে রইলো সে। অতঃপর প্রায় মিনিট পাঁচেক পর মিম মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে এলো। ততক্ষণে আদ্রিশ কথা বলার প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। মিম তার দিকে তাকাতেই সে যথাসম্ভব নম্র গলায় বললো,
" তোমার যা সমস্যা আছে আমার সাথে শেয়ার করতে পারো। আমি আমার পক্ষ থেকে পুরোপুরি চেষ্টা করবো যেনো তোমার সমস্যার সমাধান করতে পারি। যদি আমার পক্ষে সেটা সম্ভব না হয় তাহলে কথা দিচ্ছি, আমি নিজ দায়িত্বে বিয়ে থেকে পিছিয়ে আসবো। আই থিংক এবার তুমি আমাকে নিজের সমস্যাটা বলবে?"
এই বলে সে তার প্রশ্নের জবাবা জানার জন্য জিজ্ঞাসু চাহনিতে মিমের দিকে চেয়ে রইলো।
এদিকে আদ্রিশের পক্ষ হতে অকস্মাৎ এমন আশ্বাসিত প্রতিশ্রুতি পেয়ে মিম ঈষৎ বিস্মিত হলো। ভাবলো, এই লোকটা এমন অদ্ভুত চরিত্রের মানুষ কেনো! আজ সন্ধ্যায় এমনকি কিছুক্ষণ পূর্বেও মনে হলো তার সামনে বসা এই মানুষটা তাকে বিয়ে করেই ছাড়বে। কিন্তু এখন এমন আশ্বাস দিচ্ছে কেনো সে! অদ্ভুত!
আদ্রিশ এখনও মিমের দিকে জিজ্ঞাসু চাহনিতে চেয়ে আছে। মিমের পক্ষ হতে এখন অব্দিও কোনো জবাব না পেয়ে আদ্রিশ ভ্রু উঁচিয়ে চোখের ইশারায় জবাব জানতে চাইলো। মিম এতে খানিক অপ্রস্তুত হলেও বললো,
" জি সমস্যা নেই। তবে আশা করবো আমার সমস্যা শুনে আপনি আপসেট হবেন না। "
আদ্রিশ মুহূর্তেই ভ্রুজোড়া কুঞ্চিত করে জিজ্ঞেস করলো,
" এমন কি আপসেট করার মতো কথা বলবে তুমি?"
" আছে কিছু কথা।"
" আচ্ছা। বলো, শুনছি তোমার কথা। "
মিম এবার খানিক নড়েচড়ে বসলো। নিমিষের জন্য আদ্রিশের দিকে চেয়ে সাথে সাথেই দৃষ্টি নত করলো। আঙুলগুলো দিয়ে শালের কোনা খুঁটতে খুঁটতে বললো,
" বিয়েতে 'না' করার প্রধান কারণ ট্রাস্ট ইশ্যু। আমি মানুষকে সহজে বিশ্বাস করতে পারি না। বিশেষ করে ছেলেদের। সাথে ভয়, ইনসিকিউরড ফিলিংসটা যেনো দিন দিন তীব্র হয়ে চলছে।"
আদ্রিশ মিমের জবান হতে এমন কিছু শুনবে তা সে আশা করেনি। তাই তো তার মুখশ্রীতে ঈষৎ আশ্চর্যান্বিত একটা ভাব ফুটে উঠেছে। সে অদ্ভুত কিছু শুনেছে এমন ভাব ধরে জিজ্ঞেস করলো,
" এসব কারণে বিয়ে করতে চাইছো না তুমি!"
মিম দৃষ্টি তুলে চেয়ে নিষ্প্রাণ গলায় বললো,
" আপনার কাছে এগুলো ছোট কারণ মনে হলেও একটা মেয়ের কাছে এসব কারণ অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট। আজকালকার যে পরিস্থিতি তাতে যেকোনো মেয়ের এমন ট্রাস্ট ইশ্যু হওয়া স্বাভাবিক। আমার এক বান্ধবীর ফ্যামিলি থেকে বিয়ে দিয়েছিলো। প্রথম প্রথম ওর স্বামী খুব ভালো হয়ে চললেও পরে ঠিকই তার আসল রূপ দেখায়। মা'রা, অক'থ্য ভাষায় গা'লা'গা'লি করা যেনো ওর স্বামীর নিত্যদিনের কাজ। কিন্তু এতো কিছুর পরও আমার বান্ধবী কিছু করতে পারে না। কারণ সে এখন এক বাচ্চার মা। ও জানে ও প্রতিবাদ করলে ওর সে মুহূর্তেই ঘরছাড়া হতে হবে। হয়তো ডি'ভো'র্সও হতে পারে। আর এই ডি'ভো'র্স ওর বাচ্চার ভবিষ্যতে কতোটা প্রভাব ফেলবে তা ও ভালোভাবেই জানে। আবার এক পরিচিত খালা আছে, তার প্রেমের বিয়ে। কিন্তু তারপরও সে সুখী না। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি। মাঝে তো সেই খালু পর'কী'য়া করতে গিয়েও ধরা পড়ে। এখন তাদের ডি'ভো'র্সের কথা চলছে। এখন আপনিই বলুন, কাছের মানুষগুলোর এতো অশান্তিময় সংসার জীবনের কথা শুনে কার ইচ্ছা করবে বিয়ে করতে? আর কার-ই বা ট্রাস্ট ইশ্যু হবে না?"
মিমের সম্পূর্ণ যুক্তি শুনে আদ্রিশ অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার যুক্তির পক্ষে দাঁড়ালো। সত্যিই তো, একটা মেয়ে তার আশেপাশে এতো কিছু দেখলে মানসিকভাবে এর খারাপ প্রভাব পড়াটা অযৌক্তিক নয়।
মিম কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে পুনরায় বললো,
" শুধু যে অন্যের জীবনের কাহিনি শুনে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা নয়। আমার নিজের সাথেও এমন কিছু ঘটেছে।"
আদ্রিশ চমকিত হলো, বিস্মিত হলো। সে উদ্বিগ্ন চাহনিতে চেয়ে বিস্ময়ের সহিত জিজ্ঞেস করলো,
" কি হয়েছে তোমার সাথে? কে কি করেছে?"
মিম প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,
" আমি কখনো রিলেশনশিপে বিশ্বাসী ছিলাম না। মানে বিয়ের আগে কখনো রিলেশনশিপে জড়াতে চাইনি। সবসময় এসব এড়িয়ে চলেছি। সেবারও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলেছিলাম। এজন্যই বোধহয় বেঁচে গিয়েছিলাম।
আমারই এক সিনিয়র, নাম বলবো না তার। তবে সে এবার ইন্টার্নি করে বেড়িয়ে গিয়েছে। এই তো ছয় মাস আগের কথা। ঐ ভাইয়ার সাথে আমার ফেসবুকে এড ছিলো। একদিন আমার এক স্টোরিতে রিপ্লাইয়ের মাধ্যমে আমাদের টুকটাক কথা শুরু হয়। তবে প্রয়োজনীয় যেমন পড়ালেখা, ডিউটি এসব বাদে কোনো কথা হতো না। আমিও ভালো বুঝে মাঝে মাঝে পড়া বুঝে নেওয়ার জন্য নক দিতাম। হঠাৎ একদিন উনি ইনবক্সেই আমাকে প্রপোজ করে বসেন। আমি তখনই নানাভাবে রিজেক্ট করে দেই। কিন্তু এরপরও কয়েকটা দিন আমার পিছনে পড়ে থাকেন উনি। ওয়ার্ডে এসেও সরাসরি কথা বলেন উনি। তবুও আমি রাজি হইনা। উনার কথাবার্তা শুনলে মনে হতো উনি বোধহয় সত্যিই আমাকে পছন্দ করেন। কিছুক্ষণের জন্য এমনটা মেনেও নিয়েছিলাম আমি। কিন্তু পরে আমার ফ্রেন্ডদের সাথে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পর জানলাম উনার আগে থেকেই গার্লফ্রেন্ড আছে। সে অন্য মেডিকেলে পড়ে। আর আপনি শুনলে অবাক হবেন, ঐ ভাইয়া আমাকে প্রপোজ করার দু সপ্তাহের মাঝে উনার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে ফেলেন। পরে জানতে পারি, উনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ায় ব্রেকআপ করেছিলেন উনি। আর এজন্যই আমার সাথে টাইম পাস করার জন্য আমাকে প্রপোজ করে। উনার এ কাজে আমি যে শুধু অবাক হই তা নয়। বরং অনুভব করি, বুকের ক্ষুদ্র একটা অংশে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। কারণ জীবনে প্রথম এভাবে একজনের কাছ থেকে ধোঁকা খাই। হ্যাঁ, আমি উনাকে পছন্দ করতাম না। কিন্তু উনি তো আমায় প্রপোজ করেছিলেন। তবে কে জানতো, শুধু টাইম পাসের জন্য এমন করেছিলেন উনি। ঐ ঘটনার পর থেকে আমার বিশ্বাস আরো ঠুনকো হয়ে যায়। এবার আপনিই বলুন, কি করবো আমি? "
মিমের বাকি কথা শুনে আদ্রিশের আর বলার মতো কিছু রইলো না। সে নির্বাক চাহনিতে মিমের দিকে চেয়ে রইলো। আসলেই, বিয়েতে না করার পক্ষে মিমের সঠিক যুক্তি আছে।
আদ্রিশ হাসিমুখে বললো,
" দেখো, একজন দুজন এমন করেছে এর মানে এই না যে সবাই এমন হবে। তোমাকে কারোর না কারোর উপর ভরসা করতেই হবে। তা না হলে কাকে তুমি জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিবে? এমন সন্দেহের জের ধরে বসে থাকলে তোমাকে সারাজীবন কুমারী থাকতে হবে। আর নিশ্চয়ই তোমার ফ্যামিলি এমনটা চায় না। তুমি না হয় আরেকটু সময় নাও। চিন্তা করো এ ব্যাপারে। "
এই বলে আদ্রিশ চেয়ারটা সামান্য এগিয়ে নিয়ে বসলো। হালকা কাশি দিয়ে বললো,
" তোমার পক্ষের যুক্তি তো শুনলাম। এবার আমার বিয়ে করার পিছনে কারণটা কি তা শুনো। আমার বিয়ে করার পিছনে কারণটা আমার আম্মু। আমার আম্মু হার্টের পেশেন্ট। আর আম্মুর স্বভাবটা খানিকটা খুঁতখুঁতে প্রকৃতির। মানে সহজে কিছু পছন্দ হয় না তার। কিন্তু আমার সে আম্মুরই তোমাকে পছন্দ হলো। সেটাও একবার না দু বার। মানে ছবিতে দেখে তো পছন্দ করেছেই আবার সরাসরি দেখেও পছন্দ করেছে। সেদিন বিয়ের কথা পাকাপাকি করে এসে আম্মু খুশি মনে কাছের সব আত্মীয়, প্রতিবেশী সবাইকে বলে দিয়েছে যে সে ছেলের বউ ঠিক করে এসেছে। এমন অবস্থায় আমি কি করে না বলি তুমিই বলো। আর আমি এ কথাটা অস্বীকার করবো না যে তোমাকে আমার পছন্দ হয়নি। অবশ্যই তোমাকে সরাসরি দেখে পছন্দ করেছি বলেই আম্মুকে আর আটকাইনি। "
এই বলে আদ্রিশ ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছাড়লো। এখন বিয়ের ব্যাপারে দুজনের পক্ষ থেকে 'হ্যাঁ' এবং 'না' বলার সপক্ষের যুক্তি আছে। কেউই জানে না ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে। তবে আদ্রিশ উৎকণ্ঠায় আছে, আদৌ কি এ বিয়ে হবে?
মিম নত মস্তকে বসে আছে। তার মন মস্তিষ্কে হাজারো দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা, আড়ষ্টভাব বিরাজ করছে। সে জানে সে মস্ত বড় ইন্ট্রোভার্ট প্রকৃতির একজন মানুষ। কিন্তু আজ সে কি করে বসলো! আদ্রিশকে মনের মধ্যে চলা সকল চিন্তা, বি'ভ্রা'ন্তি, মনোভাব সকল বলে বসলো! কি আশ্চর্য! সে কখনো ভাবেনি এভাবে নিঃসংকোচে আদ্রিশকে সব বলে বসবে সে! নিজের এ কাজে সে নিজেই ভীষণ অবাক হলো।
বেশ খানিকক্ষণ দুজনের মাঝে কোনোপ্রকার কথাবার্তা চললো না। হঠাৎ আদ্রিশই নিজ হতে বললো,
" শুনো, তুমি এখন রুমে যাও। একটু রেস্ট নাও, খাওয়াদাওয়া করো। নিজেকে একটু সময় দাও। এ নিয়ে ভাবো। প্রয়োজন হলে কোনো ফ্রেন্ডের সাথে এ বিষয়ে কথা বলো। সবদিক বিবেচনায় যদি তোমার মনে হয়, আমাকে বিয়ে করা উচিত না, আমি তোমার জন্য ভালো স্বামী বলে বিবেচিত হবো না তাহলে আমাকে জানিয়ে দিও। আমি আম্মুকে বলে এ বিয়ে থেকে পিছিয়ে আসবো। আর তুমিও তোমার ফ্যামিলিকে বলে দিও যে তুমি আমায় বিয়ে করতে পারবে না। তবে আমি বলবো যে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঠাণ্ডা মাথায় সব দিক বিবেচনা করে নিজের এবং সবার পরিস্থিতি দেখে তবেই হ্যাঁ বা না করবে।
আজ থেকে বিয়ের জন্য তোমার উপর আমার পক্ষ থেকে আর কোনো জো'র'জ'ব'র'দ'স্তি হবে না। কারণ এখন আমি তোমার পক্ষের কারণটা জানি।"
এই বলে সে উঠে দাঁড়ালো। হাতের এপ্রোনটা গায়ে জড়িয়ে নিতে নিতে বললো,
" তুমি চাইলে আরো খোঁজখবর নিতে পারো আমার ব্যাপারে। তবে আমায় নিয়ে খারাপ কোনো খবর পাবে না আশা করি। আর হ্যাঁ, তোমাকে ছোট্ট করে একটা শিউরিটি দিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, তুমি আমাকে বিয়ে করলে কখনো ঠকবে না। আমি নিজের উপর এতটুকু বিশ্বাস রাখি যে আমি ওমন ছেলেদের মতো হবো না। আর ওমন হতে হলেও আমাকে হাজারবার ভাবতে হবে। কারণ আমার নিজেরও একটা ছোট বোন আছে। এ কারণে একটা মেয়ের কষ্ট বা ফিলিংস সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারণা আছে আমার৷ যাই হোক, অনেক লম্বা লম্বা ভাষণ দিলাম। এবার আমি আসি। অনেকক্ষণ এসেছি ডিউটি রেখে। বাই।"
এই বলে আদ্রিশ বেরিয়ে গেলো। তবে পিছে মিমকে চরম দ্বি'ধা'দ্ব'ন্দে ফেলে গেলো।
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা সারা মেহেকের মূল নাম সারা জাহান মেহেক। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে শর্ট নাম হিসেবে ‘সারা মেহেক’ নামটি বেছে নিয়েছেন। এই লেখিকার ব্যাপারে এর বেশি কিছু এখন অবদি জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন