উপন্যাস : কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান |
11111111111111111111111111111111111
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ৩৪)
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ৩৫)
রেগে ল্যাপটপের শাট ডাউন করে মিসেস চৈতি। এই অতুলকে সে কত ভালো ভেবেছিল। যথেষ্ট স্নেহ করতেন তিনি ছেলেটাকে। ছেলেটার বাবা-মা নেই, বোনের সাথে থাকে এগুলো শুনে তার মায়া হয়েছিল ছেলেটার জন্য। দুদিন আগে যখন অতুলের বোন হসপিটালের ছিল, সে শত ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে তাকে দেখতে গিয়েছিল। আর সেই ছেলে কি না, তার মেয়েকে চিরকুট বিলি করছে! জ্বরের ঘোরে মেয়ের মুখে বার কয়েক অস্পষ্ট সুরে অতুলের নাম শুনে প্রথমে ভেবেছিলা, হয়তো মেয়ে অজ্ঞান হওয়ার আগে অতুলের কাছে পড়ছিল বলেই তার নাম নিচ্ছি। কিন্তু সন্দেহ কোন ভাবেই মন থেকে দূর করতে পারে না। প্রথম দিন অতুলকে দেখেই সে রাখতে চায়নি। এতো সুদর্শন ছেলে যে কেউ একনজর দেখলে দ্বিতীয় বার তাকাবেই। তার পঁতাল্লিশ বছর বয়সেও সে এতো সুদর্শন ছেলে দেখেনি। তার টিনএজ মেয়ে যদি এই ছেলের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু ছেলেটা অনেক নম্র, ভদ্র, বুদ্ধিমান, দায়িত্ববার সাথে অনেক ভালো স্টুডেন্ট। তাই তার উপর দোলার আগের স্যার বলেছে ছেলেটা অনেক ভালো। তাই সে সাহস করে রেখেছে। দোলার স্টাডি রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন লাগানো আছে। যেটা মিসেস চৈতি মেয়ের থেকে লুকিয়ে লাগিয়েছে, মেয়ের উপর নজর রাখার জন্য। সে ব্যস্ত মানুষ। পুরো একটা গার্মেন্টস এর দ্বায়িত্ব তার উপর। তার পক্ষে তো আর মেয়ের স্যাররা আসলে বাসায় বসে তাদের উপর নজর রাখা সম্ভব না। তাই এই ব্যবস্থা। সেই সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডই সে আজকে সকাল থেকে এই রাত পর্যন্ত দেখেছে। অনেক আগেই অবশ্য প্রথম দিনের প্রথম একঘন্টার ভিডিও দেখেছিল সে। কিন্তু তেমন কিছু চোখে পরেনি বলে, বাকিটা আর দেখেনি। এখন তার মনে হচ্ছে খুব বড় ভুল করেছে সে সেদিন পুরো ভিডিও না দেখে।
গায়ে লাল বেনারসি শাড়ি। গা ভর্তি সোনার গহনা পরে বউ সেজে, স্ট্রেজের উপর বর বউয়ের জন্য রাখা রাজকীয় দুটো চেয়ারের একটায় বসে আছে চন্দ্রা। দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও মুখটা মলিন করে বসে আছে সে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে কষ্টটা তত বাড়ছে তার। তার পাশে কোকাকোলার বোতল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শুভ্র বললো
- তোর গল্পের শিরোনামটা "ভার্সিটির সিনিয়র যখন বর" থেকে চেন্স হয়ে, হয়ে গেল "ক্রাশ যখন দেবর।" নট ব্যাড। প্রথম শিরোনাম থেকে দ্বিতীয়টা বেশি সুন্দর। আর মাএ কিছুক্ষণ। তারপর থেকে তোর ব্যা ব্যা করা ভেড়া তোর পিছন ঘুরবে আর ভাবি ভাবি করে ডাকবে। সিনটা বেশ সুন্দর হবে।
চন্দ্রা বিরক্ত নিয়ে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে ধমকে বললো
- চুপ করবি তুই। আমার কষ্ট হচ্ছে কোথায় আমাকে সান্তনা দিবি তা না করে, ফাজলামি করছিস।
দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে না দেখে পাশে বরের জন্য বরাদ্দকৃত চেয়ারে ধপাস করে বসে দীপ্তি বললো
- তো করিস না বিয়ে। তোকে তো কেউ আমার মতো ধরে বেঁধে বিয়ে দিচ্ছে না।
কাঁদো কাঁদো চোখে দীপ্তির দিকে তাকিয়ে চন্দ্রা বললো
- আমি কি ওনার ভাইকে খুশির ঠেলায় বিয়ে করছি না কি? উনি প্রমাণ চাইছে তাই আমি প্রমাণ দিচ্ছি।
তখনই চন্দ্রাদের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে কয়েকটা গাড়ি এসে থামার শব্দ এলো। কিছু মানুষ চিল্লিয়ে বললো
- বর এসেছে, বর এসেছে।
শুভ্র চন্দ্রার উদ্দেশ্য দুষ্ট হাসি হেসে বললো
- আজকে তোর ব্যা ব্যা করা ভেড়াকে ফকির বানায়ে ছাড়বো।
কথাটা বলেই শুভ্র গেইটের দিকে যায়। দীপ্তি দাত কেলিয়ে শুভ্রর পিছু পিছু যায়। চন্দ্রা মাথা তুলে সামনের গেইটের দিকে তাকায়। গেইটে অনেক মানুষের ভীড়। নিশ্চয়ই এখানে শুভ্র আর দীপ্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করছে। এমনই তো তাদের প্ল্যান ছিল, তার আর আহানের বিয়ে নিয়ে। সবই ঠিক আগের মতনই হচ্ছে শুধু বরটা চেন্স হয়ে গিয়েছে। আচ্ছা আহান না হয় তাকে নাই ভালোবাসে, কিন্তু তার জন্য কি আহানের একটু মায়াও নেই। কিভাবে তাকে এতো কষ্ট দিচ্ছে। আচ্ছা তাকে তার ভাইয়ের বউ হতে দেখে তার কি একটু মন খারাপও হবে না। মাথা নিচু করে নেয় চন্দ্রা। চোখ তার ছলছল। দীপ্তিদের দাবি অনুযায়ী আহান তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে, হৈ হুল্লোড় করে গেইট খুলে দেয় তারা। বর এসে বসে চন্দ্রার পাশে তার জন্য বরাদ্দ করা চেয়ারে। কিন্তু চন্দ্রা আর মুখ তুলে তাকায় না। অনেকে এসে তাদের ছবি তুলছে। ক্যামেরাম্যান ভিডিও করছে। কিন্তু চন্দ্রা বরের দিকে একবারও তাকায় না। তার আহানকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। চন্দ্রা আড় চোখে আসেপাশে তাকিয়ে আহানকে খুঁজছে। তখনি তার পাশের চেয়ারে বসা ব্যক্তিটি বললো
- আমাকে খুঁজছো।
আহানের কন্ঠ এমন প্রশ্ন শুনে অবাক হয় চন্দ্রা। আহান কি করে জানলো যে সে তাকে খুঁজছে। অবাক হয়ে পাশে তাকিয়ে দ্বীগুন অবাক হয়। কারণ তার পাশে বর ভেসে বসে আছে আহান। মনে মনে সে ভাবে, "এখানে তো আহানের বড় ভাই আয়ানের থাকার কথা, সে কোথায়। আর এখানে আহান কেন?" কথাগুলো মনে মনে ভেবে সে প্রশ্ন করল
- আপনি এখানে কেন?
আহান অবাক হওয়ার ভাণ করে জিজ্ঞেস করল
- এমা, বউয়ের পাশে বর থাকবে না তো কি বরের ভাই থাকবে।
তখন স্টেজে উঠে মিষ্টার মুস্তাফা, মিষ্টার আফরান, মিষ্টার আব্রাহাম আর কাজী। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করেন। চন্দ্রা আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে এবার আয়ানকে খুঁজতে থাকে। বিয়ে পড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে অথচ আয়ানকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না! এরই মাঝে কাজী বরকে উদ্দেশ্য করে বললো
- বলুন কবুল
আয়ান স্বাভাবিক ভাবেই বললো
- কবুল।
তা শুনে চন্দ্রা আবাক হয়ে আয়ানের দিকে তাকায়। এদিকে কাজী আহানকে তিন কবুল পড়িয়ে, এবার চন্দ্রার উদ্দেশ্যে বললো
- বল মা কবুল।
চন্দ্রার মুখে কোন কথা নেই। সে আগের মতোই হা করে আহানের দিকে তাকিয়ে আছে। কাজী সাহের পুনরায় বললো
- বল মা কবুল।
এখনো চন্দ্রার অবস্থা একই। চন্দ্রার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দীপ্তি, একটু ঝুকে চন্দ্রা কানে কানে নিচু স্বরে বললো
- আমাদের মান সম্মান সব দেখছি তুই ধুলোয় মিশিয়ে দিবি। বিয়ের আসরে বসে বরের দিকে কেউ এভাবে তাকিয়ে থাকে!
চন্দ্রা দীপ্তির দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- তিরিং বিরিং আমার সাথে কার বিয়ে হচ্ছে?
দীপ্তি মিষ্টি হেসে উত্তর দিল
- আহান ভাইয়ার।
চন্দ্রা পুনরায় প্রশ্ন করল
- আয়ান না কি, আহান এটা?
পাশ থেকে শুভ্র বললো
- এমা চান্দ্রের বুড়ি তুই তোর ক্রাশের চেহারা ভুলে গেলি।
চন্দ্রা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
- কিন্তু আমার সাথে তো আয়ান ভাইয়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল?
দীপ্তি চন্দ্রার গালে স্নেহের হাত রেখে বললো
- তুই ভাবলি কেমন করে, আমরা থাকতে তোর বিয়ে আয়ান ভাইয়ার সাথে হবে না। কিডন্যাপ করে হলেও আহান ভাইয়ার সাথে তোর বিয়ে দিতাম।
চন্দ্রা দীপ্তির কোমর জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। পাশ থেকে আয়ান অপরাধীর কন্ঠে বললো
- এই চন্দ্রা কান্না করে না। আমি কিন্তু শুধু তোমাকে একটু ভয় দেখাতে এগুলো করেছিলাম। তবে বাবা-মা কিন্তু সত্যি সত্যি তোমাকে ভাইয়া জন্য পছন্দ করেছে।
মিষ্টার আব্রাহাম কপালে ভাঁজ ফেলে বললো
- আমরা কি জানতাম নাকি যে তুই পছন্দের চন্দ্রাকে পছন্দ করিস।
শুভ্র পাশ থেকে বললো
- এই কান্না থামা। এখন এতো কান্না করলে বিদায়ের সময় কি করবি! কিছু কান্না এখন স্টোর করে রাখ। না হয় বেচারা আহান ভাইকে সবাই বলবে, কেমন বউ বিয়ে করেছ। বিদায়ের সময় কান্না করেনি।
শুভ্র কথা শুনে সবাই হেসে দেয়। চন্দ্রা কান্না থামিয়ে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে হেসে দেয়।
বুফে লাউঞ্জ এ চলছে আয়ান আর তিথির বিয়ের অনুষ্ঠান। ফর্সা গায়ে সাদা সোনালী ছোট ছোট পাথরের কাজ করা টকটকে লাল রঙের জর্জেট শাড়ি পরা। মুখে হালকা মেকআপ, চোখে কাজল, ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক। কোমর পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো সোনার ঝুমকা দিয়ে সাজিয়ে খোপা করা। তার উপর শাড়ির সাথে মিলানো ওড়না দেওয়া। মাথার সামনের অংশে টায়রা লাগানো। গলায় ঝুলছে পর পর তিনটা হার। শেষের শীতাহারটা পেট পর্যন্ত লম্বা। কানে ঝুলছে বড় বড় এক জোড়া দুল। চিকন লম্বা নাকে টানা নথ। দুই হাতে সোনার চুড়ির পাশাপাশি ঝুলছে বড় সাইজের ঝুমকার ঝুমকো চুড়ি। কোমরে বিছা আর লাল হালকা উঁচু জুতার সাথে সোনার নুপুর। তিথি এমনিই অনেক সুন্দরী, তার উপর এই সাজ, তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। আয়ান তো প্রথম তিথি এই রুপে দেখে মিনিট দশেক হা করে তাকিয়ে ছিল। বন্ধুদের খোঁচাতেই তার হুস ফিরে। অতুল কাজের ফাঁকে ফাঁকে বোনকে দেখছে। তার বাবা-মা'র বড় ইচ্ছে ছিল। তিথিকে অনেক গহনা দিয়ে সাজিয়ে বিয়ে দেওয়ার। তাই তো জমি বিক্রি করতে গিয়েছিল সেই গহনা কিনার জন্য। কিন্তু ,,,,,, যাক তার বাবার ইচ্ছেটা তো পূরণ হয়েছে। তার মেয়ের গা ভর্তি সোনার গহনা পরে বিয়ের পিরিতে বসেছে। যদিও এই সব কিছু আয়ানরাই দিয়েছে। সব কিছুর খরচই আয়ান দিতে চেয়েছিল। কিন্তু অতুল না করে। বাবার তার বোনের জন্য যে টাকা রেখে গিয়েছিল তার থেকে সে অর্ধেক টাকা খরচ করে বোনের বিয়েতে। তার পুরো টাকাই খরচ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু টাকা যেহেতু বোনের নামে তাই সে ইচ্ছে মতন তুলতে পারে না, বোনকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে অর্ধেক টাকা তুলে। তা দিয়ে মেহমানদের খাওয়ার ব্যবস্থা আর আয়ানের জন্য বিয়ের পোশাক সাথে একটা হিরের অংটি কিনে। বোনকে সে তার মায়ের সব জিনিস দিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তার বোন তাও নেয় না। বলে মায়ের একমাত্র ছেলের বউয়ের জন্য রেখে দিতে। অনেক জোড়াজুড়ি করলে তার মা যে সবসময় পরতো সেই চুড়ি জোড়া শুধু নেয়। কাজী নিয়ে সেখানে এসে পৌঁছায় মিষ্টার আব্রাহাম। ছোট ছেলের বিয়ে পড়ানো হলে, মিষ্টি খেয়ে মিষ্টার আব্রাহাম কাজী নিয়ে বড় ছেলের এখানে চলে এসেছে। চন্দ্রা বাবা-মা আছে, কিন্তু তিথি ছোট ভাইটা ছাড়া কেউ নেই। বাবা-মা'র মৃত্যুর পর থেকে আত্নীয় স্বজনও তাদের তেমন খোঁজ নেয় না। তাই মিষ্টার আব্রাহাম মনে করেন তার ছোট ছেলের থেকে বড় ছেলের এখানে থাকা বেশি প্রয়োজন। বাকিরাও তাই চায়। তাই তিনি তাড়াতাড়ি ছোট ছেলে বিয়েটা দিয়েই এখানে এসে পড়ে। এখানে থেকে ছেলের বিয়ে দিয়ে, ছেলে আর ছেলের বউকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন তিনি।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ৩৬)
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন