উপন্যাস : কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান |
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ০৩)
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ০৪)
ফর্সা গায়ে হাতা গোটানো কালো রঙের শার্ট সাথে কালো প্যান্ট। মাথার চুলগুলো ব্রেক ব্রাশ করা। মুখে খোচা খোচা দাড়ি। বিরক্ত নিয়ে চোখমুখ কুঁচকে ফোনের উপর স্থির দৃষ্টি রেখে ডানহাতে ফোন টিপছে। আর বামহাতে ধরে থাকা টেবিলের উপরের কফির কাপটা কিছুক্ষণ পর পরই ঠোঁটে লাগিয়ে চুমুক দিচ্ছে তারপর আবার টেবিলে রাখছে শুভ্র। আর এই দৃশ্য হা করে দেখে যাচ্ছে ক্যানটিনে বসে থাকা প্রতিটি মেয়ে। সদ্য কলেজ শেষ করে ভার্সিটিতে উঠা মেয়েগুলো তো তাদের খাওয়া, ক্লাস ভুলে এই দৃশ্য দেখাতে মেতেছে। কিন্তু তারা কি জানে এই মিষ্টার পারফেক্ট শুভ্র একসময় ছিল ঘন্টায় ঘন্টায় সুখ টান দেওয়া দেবদাস। মুখে ছিল একগাদা দাড়ি-গোঁফে আর মাথাতে ছিল এলোমেলো একঝাঁক চুল। ক্লাস টাইম ছাড়া বাকি সব সময় যার হাতের দুই আঙুলে থাকতো জ্বলন্ত সিগারেট। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বাবার মতন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। সে তার সাধ্য মতন চেষ্টা করে। কিন্তু সরকারি ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায় না। তার বাবার একটা একাউন্ট ছিল। যেখানে তার বাবা ফ্লাট কেনার জন্য টাকা জমাতো। সেই একাউন্টে পাঁচ লাক্ষ ছিল। সেই টাকা তুলে ঢাকার একটা নামকরা প্রায়ভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয় সে। ক্লাস করা আর রাস্তায় রাস্তায় হেটে সিগারেট খাওয়া ছাড়া তার কোন কাজ ছিল না। ক্লাসে এসে চুপচাপ বসে ক্লাস করতো। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলতো না। ফার্স্ট সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সামের আগে তাদের একটা গ্রুপ প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়। এক গ্রুপে তিনজন করে স্টুডেন্ট থাকবে। সেদিন তার ক্লাসের দুই মেয়ে দীপ্তি আর চন্দ্রা তাকে না জিজ্ঞেস করে তাদের গ্রুপে তার নাম দিয়ে দেয়। সেই প্রেজেন্টেশন থেকেই বন্ধুত্ব শুরু হয়। দীপ্তি আর চন্দ্রা দুজনেই ছিল যেমন ভালো স্টুডেন্ট তেমনি দুষ্ট। প্রথম শুভ্রের ওদের পছন্দ না হলেও পরে তাদের কেয়ার, বন্ধু হিসেবে ভালোবাসা দেখে কখন যে তারা তার বেষ্ট ফ্রেন্ড হয়ে যায় সে নিজেও জানে না। শুধু বেস্ট ফ্রেন্ডই না। তারা দুজনই তার কাছে আরো বেশি কিছু। নিজের বোনের মতন। হঠাৎ কেউ এসে শুভ্রর পাশের চেয়ারটা টেনে ধপাস করে বসে পরে। শুভ্র ফোনের স্কিন থেকে চোখ সরিয়ে আগন্তুক এর দিকে এক নজর তাকিয়ে, আবার ফোনের স্কিনে তাকিয়ে বলল
- তোরা কি জীবনে টাইম মতো আসতে পারিস না। আধা ঘন্টা পর এসেছে একজন আর একজনের তো খবরই নেই।
দীপ্তি শুভ্রর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলল
- এমন একটা মনোরম পরিবেশে তুই ইনজয় না করে টাইম গুনছিস। আহা! কি সিন হিরো কফি খাচ্ছে আর ক্যানটিনে থাকা সব মেয়েরা তা হা করে দেখছে।
কথাটা বলে শুভ্রের দিকে একটু ঝুঁকি জিজ্ঞেস করল
- তা ধলা বাবু কোনোটাকে কি মনে ধরেছে?
শুভ্র আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিচের ঠোঁট উল্টে উত্তর দিল
- না রে তিরিং বিরিং সব ময়দা সুন্দরী।
তারপর দুইজনই হা হা করে হাসতে লাগলো। হাসি থামিয়ে শুভ্র এক ভ্রু উঁচু করে দীপ্তিকে বলল
- তা তোর না কি প্রানপাখি উড়ে যাওয়ার মতো কথা ছিল বল শুনি।
দীপ্তি একটা নিশ্বাস ফেলে বলল
- আমার বয়ফ্রেন্ড সাজার জন্য রেডি থাকিস।
- আবার তোর বাপ ছেলে ধরে নিয়ে এসেছে?
- হ্যাঁ
শুভ্র কফি কাপে শেষ চুমুকটা দিয়ে আবার জিজ্ঞেস করল
- তা প্ল্যান এ রেখে ডায়রেক্ট প্ল্যান বি কেন?
দীপ্তি উত্তর দিল
- বাবা এবার ছেলেকে রেস্টুরেন্টে ডেকেছে।
শুভ্র দাত কেলিয়ে বলল
- বাহ আংকেলের বেশ বুদ্ধি আছে তো। তা তুই বিয়ে কেন ভাঙিস বল তো? চান্দের বুড়ি না হয় ওই ব্যা ব্যা করা ভেড়ার জন্য বিয়ে ভাঙে । তুই কেন ভাঙিস?
কথাটুকু বলে শুভ্র থামে তারপর চোখ দুটো ছোট ছোট করে কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল
- ডুবে ডুবে কোথাও জল খাচ্ছিস না তো?
দীপ্তি মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে হাত নারিয়ে বলল
- কাম অন ধলা বাবু। এখন কি আমার বিয়ে করার বা ডুবে ডুবে জল খাওয়ার সময়! এখনো আমি স্টুডেন্ট। এখন লেখাপড়া করবো আর ক্রাশ খাব। তারপর একটা জব করবো, আর কলিকদের সাথে প্রেম করবো। তারপর একদিন ফট করে বস কে বিয়ে করবো।
- তোর এই প্ল্যান শুনলে, আমি সিউর তোর বাপের প্রান পাখি উড়ে যাওয়ার অবস্থা হবে।
তখনি চন্দ্রা কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে ধপাস করে চেয়ার টেনে বসে পড়ে। টেবিলের উপর নিজের কাধের ব্যাগটা রেখে। টেবিলের উপরে রাখা পানির জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে। ঢক ঢক করে নিমিষেই এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলল। শুভ্র আর দীপ্তি দুজনেই অবাক চোখে তাকিয়ে চন্দ্রার কান্ড দেখছিল। চন্দ্রা পানি খেয়ে খালি গ্লাসটা টেবিলের উপরে রাখতেই শুভ্র ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে চান্দের বুড়ি কাউকে খুন করে আসছিস নাকি এমন করে ঘামচ্ছিস আর হাপাচ্ছিস কেন?
চন্দ্রা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল
- তার থেকেও বেশি কিছু করে ফেলেছি দোস্ত।
দীপ্তি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
- কি করেছিস?
চন্দ্রা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল
- ক্রাশকে থাপ্পড় মেরেছি।
শুভ্র চোখ ভ্রু যুগল কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- ক্রাশ মানে তোর ওই ব্যা ব্যা করা ভেড়াকে?
চন্দ্রা রাগী চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলল
- এই, তোকে না কতদিন না করেছি ওকে ব্যা ব্যা করা ভেড়া বলবি না।
চন্দ্রা কথাটুকু বলতেই দীপ্তি ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল
- বাদ দে। তুই আগে বল তুই আহান ভাইয়াকে কোথায় পেলি? আর থাপ্পড়ই বা কেন মারলি?
চন্দ্রা শান্ত হয়ে বসে বলল
- বিয়ে নিয়ে আজকে সকালে আবার মা'র পকর পকর শুরু হয়। তাই মেজাজ সকাল থেকেই বিগড়ে ছিল। ভার্সিটি সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে গেইটের ভিতরে পা রাখতেই, মনে হলো কেউ আমার ওড়না টেনে ধরেছে। মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে গেল। তাই পিছনে ফিরে কিছু না দেখেই মারলার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটার গালে এক থাপ্পড়। থাপ্পড় মেরে তাকিয়ে দেখি আহান গালে হাত দিয়ে অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার হতচ্ছাড়া ওড়নাটার এক অংশ কলেজ গেইটে আটকে আছে। আমি কোন রকমে তাড়াতাড়ি করে ওড়নাটা ছাড়িয়ে "সরি ভাইয়া" বলেই এক দৌড়ে এখানে চলে আসি।
দীপ্তি কপালে হাত দিয়ে বলল
- হায় আল্লাহ যার জন্য এতো কিছু করলি। তাকেই শেষমেষ থাপ্পড় মারলি!
চন্দ্রা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলল
- আমি কি আর দেখে মেরেছি।
তখনি শুভ্র হাওয়ায় আঙুল নাড়িয়ে বলল
- দুই, পাঁচ, দশ, পনের, আঠারো। থার্টি সিক্স। হুম্ম দে থার্টি সিক্স থাউজেন্ড টাকা দে।
চন্দ্রা অবাক হয়ে কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- কেন?
শুভ্র কপালে ভাঁজ ফেলে বলল
- কেন মানে! এতো কষ্ট করে গত চার বছরে তোর আঠারোটা বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই ভেঙে দিলাম। যাতে তুই ওই ব্যা ব্যা করা ভেড়াকে বিয়ে করতে পারিস। আর তুই তাকে চড় মেরে সব কষ্ট বুড়িগঙ্গাতে ফেলে দিল। তুই কি ভাবছিস আমি তোকে কিছু বলব না? নে এখন টাকা বের কর বাকি শাস্তিগুলো পরে পাবি।
চন্দ্রা শুভ্রর দিয়ে তাকিয়ে বিরক্ত নিয়ে বলল
- এই কেমন ফ্রেন্ড তুই হে। কোথায় আমাকে বুঝাবি টেনশন না করতে, আইডিয়া দিবি। তা না উল্টো শাস্তি দিচ্ছিস
দীপ্তি চন্দ্রাকে বলল
- দোস্ত আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে।
চন্দ্রা উৎসাহ নিয়ে দীপ্তির দিকে তাকিয়ে বলল
- বল।
দীপ্তি জিজ্ঞেস করল
- তুই আহান ভাইয়ার এক গালে থাপ্পড় মেরেছিস না?
চন্দ্রা ছোট করে উত্তর দিল
- হ্যাঁ।
দীপ্তি সিরিয়াস ফেস করে বলল
- আমি শুনেছি একগালে থাপ্পড় দিলে নাকি বিয়ে হয় না। তুই এক কাজ কর, ভাইয়া তো এখনো মনে হয় ভার্সিটিতেই আছে। তুই ঝটপট গিয়ে ভাইয়ার আরেক গালে থাপ্পড় মেরে আয়। তাহলে ভাইয়ার তোর সাথে বিয়ে না হলেও, বিয়েটাতো হবে। নাহলে তো বেচারাকে তোর জন্য চিরকুমার থাকতে হবে।
বলেই শুভ্রের সাথে হাইফাই করে দুজনেই হেসে উঠে। চন্দ্রা উঠে দাড়িয়ে টেবিলের উপরে রাখা ব্যাগটা কাঁধে নিতেই শুভ্র জিজ্ঞেস করল
- কোথায় যাচ্ছিস? ভাইয়াকে চড় দিতে?
চন্দ্রা রাগে গজগজ করতে করতে বলল
- নাহ। বাসায় যাচ্ছি। আর তোদের মতো বান্দরদের সাথে আমার কথা নাই।
কথাটা বলেই চন্দ্রা হাটা লাগালো। পিছনে থেকে দীপ্তি ডেকে উঠলো
- এই চান্দের বুড়ি দাড়া।
কিন্তু চন্দ্রা না দাঁড়িয়ে হেটে যাচ্ছে। তা দেখে দীপ্তি আর শুভ্র দু'জন দু'জনের দিকে একনজর তাকিয়ে, হালকা হেসে চন্দ্রার পিছন পিছন হাটা ধরলো। এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য চান্দের বুড়ির রাগ ভাঙানো।
কথায় আছে না, সঙ্গদোষে লোহা ভাসে। দোলারও হয়েছে সেই অবস্থা। কলেজে সারাদিন দুই বান্ধুবির প্রেম কাহিনি শুনতে শুনতে এখন তার নিজেরও প্রেম করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সমস্যা হল সে প্রেম করবে কার সাথে। তার তো আর তূবার মতো খালাতো ভাই নেই। খালাতো কেন, চাচাতো, ফুফাতোও নেই। তার বাবা হচ্ছে তার দাদার একমাএ ছেলে। আর তার মা এক ভাই এক বোন। মানে তার একটা মামা আছে। তার একটা ছেলেও আছে। কিন্তু সে তার থেকে আট বছরের ছোট। এতো ছোট ছেলের সাথে তো আর সে প্রেম করতে পারে না। দুই-এক বছরের ছোট হলেও না হয় ভেবে দেখতো। আবার কুহুর মতো তাদের উপরের তালাতে থাকা তার বাবার বন্ধুর ছেলেও নেই। ছেলে থাকবে কি করে তাদের বাসার তো উপরের তালাই নেই। তাদের বিশাল বড় একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ির চারিদিকে উঁচু করে পাঁচিল দেওয়া। এ যেন এক বিলাসী জেলখানা। কলেজটাও হচ্ছে গার্লস কলেজ। দূর আর ভালো লাগে না। জীবনটা বিষাদময়। ঠিক যেন চিনি ছাড়া পায়েস। দোলা যখন টেবিলে বসে সামনে বই খুলে এসব ভাবছিল। ঠিক তখনি দশ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে রুমে ঢুকে বলল
- আপু তোমাকে মা ড্রয়িংরুমে ডাকছে।
দোলা দিশার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- কেনো?
দিশা উত্তর দিল
- তোমার নতুন টিচার এসেছে।
নতুন টিচারের আসার খবর শুনে মনে মনে খুব বিরক্ত হলো দোলা। তার আগের টিচারটা অনেক ভালো ছিল। ক্লাস সেভেন থেকে তাকে পড়াতো। কিন্তু স্যার রিটায়ার নিয়ে গ্রামে চলে গিয়েছে গত সপ্তাহে। যাওয়ার আগে তার জন্য এই নতুন টিচার ঠিক করে দিয়ে গিয়েছে। তারই ছাএ ছিল নাকি। খুব ভালো স্টুডেন্ট। বুয়েটে পড়ে। আচ্ছা, বুয়েটের এতো ভালো স্টুডেন্ট নিজের লেখাপড়া ছেড়ে তাকে পড়াতে এসেছে কেন? সে যাই হোক, তা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তার সমস্যা হলো নতুন স্যার নাকি খুব রাগী। রাগী টিচার তার মোটেও পছন্দ না। কিন্তু তার মা তো এই টিচারকেই রাখবে। কারণ ছেলে বুয়েটে পড়ে। ম্যাথে অনেক ভালো স্টুডেন্ট। যেহেতু সে ম্যাথে অতো বেশি ভালো না। তাই তার জন্য এই টিচারই বেস্ট। তাই মেয়ের কথা না শুনে এককথায় রাজি হয়ে যায় সে। বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিছানা থেকে ওড়নাটা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে, দিশাকে বলল
- চল।
দোলা দিশার সাথে রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখে, সোফাতে বসে আছে তার মা আর একটা লোক। মনে হয় এটাই তার নিউ টিচার। লোকটা তার উল্টো দিকে বসে আছে। তাই মুখটা দেখতে পারছে না সে। শুধু মাথায় একঝাঁক কালো চুল, ফর্সা ঘাড়, আর সাদা-কালো চেকের শার্ট পরা পিঠটা দেখতে পাচ্ছে। মেয়েদের দেখে মিসেস চৈতি দোলাকে উদ্দেশ্য করে বলল
- উনি তোমার নতুন স্যার, সালাম দেও।
দোলা গুটিগুটি পায়ে মায়ের পাশে এসে মাথা নিচু করে বলল
- আসসালামু আলাইকুম।
একটা গম্ভীর পুরুষালি কন্ঠ বলল
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমি তোমাকে কালকে থেকে ম্যাথের সব সাবজেক্ট পড়াবো। বিকেল পাঁচটায় রেডি থেকো।
দোলা মাথা তুলতে তুলতে বলল
- আচ্ছা।
বলেই স্যারের দিকে তাকিতেই অবাক হয়ে যায় দোলা। এও কি সম্ভব! পৃথিবীতে এতো মানুষ থাকতে যার সামনে সে কোনদিন পড়তে চায় না, সেই তার রাগী নতুন টিচার হয়ে এলো। পৃথিবীটা এতো ছোট কেন? বিজ্ঞানীদের উচিত সব কাজ বাদ দিয়ে পৃথিবীটাকে কমপ্লেন খাইয়ে একটু বড় করা।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ০৫)
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন