উপন্যাস       :         কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা        :         আনআমতা হাসান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান

11111111111111111111111111111111111

এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ৪৬)

কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ৪৭)

সকাল বেলা। ফুরফুরে মন নিয়ে ছাদে উঠছে কুহু। ছাদে পা দেওয়ার আগেই তার ফুরফুরে মেজাজটা অগ্নি রূপ ধারণ করল। সামনের দৃশ্যটি দেখে। সবুজ রঙের একটা থ্রিপিস গায়ে উজ্জ্বল ফর্সাবর্ণের একটা মেয়ে, বয়স কতো হবে চৌদ্দ কি পনেরো বছর ছাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ছাদের ডানপাশে কাব্যের জিম রুমের দিকে। যেখানে বর্তমানে কাব্য স্লিভলেস কালো টি-শার্ট আর থ্রি কোয়াটার কালো টাউজার পরে জীম সাইকেল চালাচ্ছে। রাগে দপাদপ পা ফেলে মেয়েটার কাছে যায় সে। মেয়েটা এতো মনোযোগ সহকারে কাব্যকে দেখছে যে, কুহু যে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই। আসলে, জীবনে প্রথম সে কোন সিক্সপেক বডিওয়ালা লোক দেখেছে। তার আসেপাশের লোকগুলো হয় মোটা ভুড়িওয়ালা, না হয় কচুর লতির মতো চিকন। টিভিতে ছাড়া এমন বডিওয়ালা লোক সে রাস্তাঘাটেও দেখেনি। তাই কিশোরী মেয়েটা সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে। দেখতে দেখতে হঠাৎ তার ছোট মস্তিষ্কে একটা ভয়ানোক বুদ্ধি আসে। এই লোকটাকে বিয়ে করলে কেমন হয়? লম্বা এই লোকের কোলে চড়ে অনায়াসে সারাদিন ঘুরতে পারবে। ছোটবেলা থেকেই তার মানুষের কোলে চ'ড়ে ঘুরতে ভালো লাগে। কিন্তু বড় আর ওজন হয়ে যাওয়ার বাবা ভাইয়া কেউ তাকে কোলে নেয় না। এই লোক তার বর হলে সে সারাদিন তার বরের কোলে চ'ড়ে ঘুরবে। কি মজা হবে। কিন্তু লোকটার মুখ তো দেখতে পাচ্ছি না। স্বচ্ছ গ্লাসের দেয়াল ভেদ করে শুধু পিছনের দিক দেখা যাচ্ছে। দেখতে যদি খারাপ হয় তখন? গায়ের রংটাও তো কালো। এখন কি হবে? পরক্ষণে কিছু একটা মনে হতেই নিজেই নিজেকে মনে মনে বকে। আরে গাদি এটা কোন সমস্যা হল! প্লাস্টিক সার্জারি করে নিলেই তো হলো। আর গায়ের রং এর জন্য এখন কত ক্রিম পাওয়া যায়। কনিজ আপুও তো ফর্সা হওয়ার ক্রিম দিয়ে, তার থেকে বেশি ফর্সা হয়ে গিয়েছে। সেও এই লোকটাকে ক্রিম লাগিয়ে ফর্সা করে নিবে। কুহু রাগী কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- এই মেয়ে কে তুমি? এখানে কি করছো?

মেয়েটি চমকে গিয়ে পাশে তাকাতেই কুহুকে দেখে অবাক হয়ে যায়। মনে মনে ভাবে, সে কি ঠিক দেখছে? তার সামনে কি কোন মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে? নাকি সে স্বপ্নে কোন পরি দেখছে? নিজেই নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ তর্জনী আঙুল চেপে ধরে। নাহ সে ব্যথা পাচ্ছে। তার মানে সে যা দেখছে তাই বাস্তব। বাস্তবেই তার সামনে লাল রঙের সেলোয়ার-কামিজ পরে দাঁড়িয়ে আছে একটা পরিমেয়ে। হ্যাঁ, এ কোন সাধারণ মেয়ে হতেই পারে না। মেয়েটা যেমন ফর্সা, তেমন লম্বা। ওয়েটও মাশাল্লাহ। ইশ এই মেয়ে যদি তার ভাবী হতো তাহলে কতো ভালো হতো। সবার কাছে বড়াই করে সে বলতো, দেখ দেখ আমার ভাবী পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী নারী। আচ্ছা তার ভাইয়ের সাথে এই পরিমেয়েটাকে মানাবে তো? তার ভাইয়ের হাইট পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। তার হাইট পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। পরিমেয়েটা তার থেকে লম্বা। তাহলে কতো হবে? পাঁচ ফুট চার বা পাঁচ। হুম্ম হাইটে ঠিক আছে। ওয়েটটা একটু কম আছে তার ভাইয়ের। প্রবলেম নেই। ভাইকে বলবে এক সপ্তাহ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেশি বেশি করে খেতে বলবে। তাহলেই হয়ে যাবে। মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললো, আহা সকাল সকাল ছাদে এসে খুব ভালো তো হলো। নিজের বর আর ভাইয়ের বউ পেয়ে গেল। কুহু আবারও রাগী কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে, কথা কানে যায় না? কে তুমি?

মেয়েটা মুখটাকে ভার করে আবার ভাবতে লাগলো, পরিমেয়েটা এতো রাগী কেন? পরক্ষনেই আবার ভাবলো আরে ভাবীরা তো মায়ের মতোই হয়। ভালোবাসবে আবার একটু রাগ দেখাবে। সে খুব ভদ্র ভাবে উত্তর দিল
- জ্বি আমি দশ তলার আজিজ সাহেবের মেয়ে প্রিতি।
কুহু মনে করতে চেস্ট করলো আজিজ সাহেব কে? তার মনে পরেনি। কিন্তু তার এটা মনে পরে কালকে নতুন একজন ভাড়াটিয়া এসেছে দশতলায়। হয়তো তার নামই আজিজ। কুহু সিউর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করল
- কালকে যে নতুন এসেছে?
মেয়েটা উপর নিচে মাথা নাড়ায়। কুহু আবার জিজ্ঞেস করল
- তা কোন ক্লাসে পর তুমি?
মেয়েটা শান্ত কন্ঠে উত্তর দিল
- ক্লাস এইটে।
কুহু বিরক্তের সাথে বললো
- ক্লাস এইটে পড়া মেয়ে দরজায় যে বড় বড় করে লেখা আছে, ভাড়াটিয়াদের ছাদে উঠা নিষেধ। তা পড়তে পারনি।
মেয়েটি অপরাধীর কন্ঠে বললো
- সরি, আপু আমি খেয়াল করিনি।
কুহু কিছুটা শান্ত কন্ঠে বললো
- নতুন তাই কিছু বললাম না। আর যেন ছাদে না দেখি। যাও।
মেয়ে মাথা নেড়ে চুপচাপ নিচে যেতে যেতে ভাবছে, "এই ছাদে ভড়িটিয়ারা উঠতে পারে না। তার মানে তারা দুইজন ভাইবোন। আহা কি সুন্দর আমরাও দুই ভাইবোন তারাও।" মুখে লজ্জা মিশ্রিত হাসির রেখা নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলো।


- বাচ্চা মেয়েটামে এভাবে না বললেও পারতে।
কাব্যের কন্ঠস্বর শুনে পিছনে তাকায় কুহু। গলায় সাদা তোয়ালে ঝুলিয়ে রেখে তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য। তোয়ালে দিয়ে মাথা মোছার ফলে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। কানের কাছের ঘাম মোছা হয়নি। বিন্দু বিন্দু ঘাম এখনো জমে আছে। কালো টি-শার্টটা ঘামে ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। হাতে পায়ের পশমে বিন্দু বিন্দু ঘাম চিকচিক করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। কুহুর শীতল হয়ে যাওয়া মেজাজটা আবার বিগড়ে গেল। মেয়েটা তার কাব্যকে এই অবস্থায় দেখে গিয়েছে ভেবে। রাগে দাতে দাত চেপে বললো
- কেন মেয়েটাকে নিজের বডিটা আরও দেখানোর সখ ছিল নাকি। থাকলে বল ডেকে দেই।
- ছিঃ ছিঃ কি বলছো এসব। মেয়েটা ছোট দেখে আমি বলছিলাম।
- শোন মেয়েটা ছোট না, টিনেজার। আর এসোব টিনেজার মেয়েরা অনেক ডেঞ্জারাস হয়। এদের চোখে রঙিন চশমা থাকে। তারা সব কিছুই রঙিন দেখে। তাদের সব কিছুই ভালো লাগে। তারা সবার উপরেই ক্রাশ খেয়ে যায়। এমনকি রাস্তার ভিক্ষুকদের দেখলেও তাদের মনে প্রেম জাগে।
কুহুর কথা শুনে কাব্য হেসে দিল। কাব্যর হাসি দেখে কুহু বললো
- হাসবে না, এটা সত্য কথা।
কাব্য ঠোঁটে হাসির রেখা ঝুলিয়ে রেখেই জিজ্ঞেস করল
- আচ্ছা। তোমার এইজ জানি কতো কুহু?
- কি! তুমি আমার এইজ ভুলে গিয়েছ!
- না আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই। বল না কত?
- নাইন্টিন।
কথাটা বলেই কুহু বুঝতে পারলো কাব্য ঠিক কি উদ্দেশ্যে তাকে তার বয়স জিজ্ঞেস করেছে। তাই ভাব নিয়ে আবার বললো
- কিন্তু আমি টিনেজার হলেও ম্যাচিউর।
- আচ্ছা তাই!
- জ্বি তাই।

বলেই কুহু ছাদের বাম সাইডের কর্ণারের দিকে চলে যায়। সেখানে পানির ট্যাপের অপজিট পাশের দেয়ালের সাথে ঝুলিয়ে রাখা পাইপ নিয়ে, তার একপ্রান্ত ট্যাপের সাথে লাগিয়ে ট্যাপ ছেড়ে দেয়। অন্যপ্রান্ত টেনে নিয়ে গাছে পানি দিতে থাকে। পাঁচ কাঠা জায়গার উপর বানানো এই বাড়ির ছাদের ডানপাশে দুইটা রুম আর একটা বাথরুম আছে। রুম দুটোর একটা কাব্যের জিম রুম আর অপরটাতে ছাদে পার্টি করার বিভিন্ন যন্তপাতি। যেমন কতোগুলো কার্পেট, অনেক গুলো কুশন, বারবিকিউ মেশিন, ঝাড়ু, লাইট, মোম, মেস, একটা পানি খাওয়ার জগ, দুইটা গ্লাস আর আটটা প্লেট আছে। আর বামপাশে একশারি করে দশটা সিমেন্টের বড় বড় টপ বানানো। এই টপগুলোতে সাদা গোলাপ, বেলি, সাদা জবা, গন্ধরাজ, সাদা বাগান বিলাস, টগর ফুল, লেবু, পেয়ারা, মরিচ, পেঁপে গাছ লাগানো। সবগুলো গাছই কুহুর লাগানো। কাব্য সাদা রং প্রিয়। তাই সব সাদা ফুলের গাছ লাগিয়েছে সে। কাব্য কাগজি লেবু পছন্দ করে, তাই সে লেবু গাছ লাগিয়েছে। কিরণ পেয়ারা খেতে ভালোবাসে, তাই সে গাছ লাগিয়েছে। তাদের বাবারা দুই বন্ধুই পেঁপে পাগল, তাই সে পেঁপে গাছ লাগিয়েছে। রান্নার ক্ষেত্রে মরিচ জিনিসটা অনেক প্রয়োজনীয়, তাই সে মরিচ গাছ লাগিয়েছে। তার প্রিয় ফল আম, কিন্তু নিচে দেয়াল ঘেসে তাদের একটা আম গাছ আছে দেখে সে আর ছাদে আম গাছ লাগায়নি। কাব্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গাছগুলো দেখছিল। হঠাৎ কুহুকে জিজ্ঞেস করলো
- তোমার বাগানের সব গাছের ফুল সাদা কেন?

কাব্যের কথা শুনে কুহু পাশ ফিরে কাব্যের দিকে তাকায়। তারপর গাছগুলোর দিকে তাকায়। সব গাছেই সাদা ফুল। বিষয়টা সে এতোদিন খেয়াল করেনি। কাব্যর পছন্দ সাদা দেখে সে সাদা ফুলগুলো লাগিয়েছে। কিন্তু ফল আর সবজির গাছ গুলো সে মোটেও সাদা ফুল দেখে লাগায়নি। কিন্তু ভাগ্য ,,,,,। কুহুর উত্তরের অপেক্ষা না করেই কাব্য আবার বললো
- তোমার এই বাগানের মতো পৃথিবীতে কালো নামের কোন রঙের অস্তিত্ব না থাকলে খুব ভালো হতো। তাহলে অন্তত কালো মানুষদের তাদের গায়ের রং নিয়ে মানুষের কটুকথা শুনতে হতো না।

কথাটা কানে যেতেই কুহু চমকে তাকায় কাব্যের দিকে। কাব্য একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সদ্যস্নান করা ধবধবে সাদা বেলি ফুলের দিকে। কাব্যের পিছনের দিকের চুলগুলো ঘাড়ের উপর পর্যন্ত লম্বা হলেও, সামনের দিকের চুলগুলো বেশ বড় চার কি পাঁচ ইঞ্চি লম্বা। সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে এলোমেলো চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে। কানের পাশের ছোট ছোট চুলগুলো বিন্দু বিন্দু ঘামের সাথে লেপ্টে থাকার ফলে এই শীতল বাতাসের তালে তালে উড়তে পারছেনা। তবে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে, নিজেদের এই জলবন্ধন থেকে বের করে বাতাশের তালে তাল মেলাতে। সকালের মিষ্টি রোদও থেমে নেই। তাড়াও আপ্রাণ চেষ্টা করছে, তাদের নিজের তাপে এই কৃষ্ণমানবের শরীরের সব ঘামের বিন্দুগুলো শুষে নিতে। কিন্তু যাকে ঘিরে প্রাকৃতিক এতো আয়োজন, তার কোন হেলদোল নেই। সে মত্ত তার কষ্ট বিলাসে। আচ্ছা, এই লোকটা কেন বুঝেনা তার খুশিতে তার কুহুরানী যেমন দ্বিগুণ খুশি হয়। ঠিক তেমনি তার কষ্টে হাজারগুন কষ্টও পায়। না সে আর চুপ থাকবে না। অনেক হয়েছে, সে এবার বলবে। তার মনের সব কথা সরাসরিই কাব্যকে বলবে। তবে সাধারণ ভাবে না, খুব ঘটা কাব্যকে নিজের ভালোবাসার কথা জানাবে সে। হঠাৎ বাতাসের বেগ বাড়ায় ছাদের লোহার দরজাটা নিজেকে না সামলাতে পেরে, জোড়ে গিয়ে ধাক্কা খায় দরজার লোহার ফ্রেমের সাথে। লোহার দরজার বেসুরে ঠকঠক শব্দে ভাবনার সুতো কাটে কুহুর। হাতের থাকা পাইপের দিকে চোখ পরতেই দেখে পাইপ থেকে পানি পরে গোলাপ গাছের টপ ভরে, পানি নিচে পড়ছে। তাড়াহুড়ো করে অন্যদিকে দিকে পানির পাইপ ঘুরাতেই কাব্যর কন্ঠ কানে আসে তার
- কুহু কি করছো ভিজে যাচ্ছি তো।

কুহু মাথা ঘুড়িয়ে দেখে পাইপের সব পানি গিয়ে পড়ছে তার দেখে দুই তিন হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কাব্যের উপর। কুহুর মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যাই। সে ইচ্ছে করেই এবার কাব্যকে আরও ভিজিয়ে দিতে থাকে। কাব্য না করলেও শোনে না। মনে মনে ভাবতে থাকে, কাব্য এখন তাকে ধরার চেষ্টা করবে। সে দৌড় দিবে। কাব্যও তার পিছু নিবে। তাকে দৌড়ে ধরার চেষ্টা করবে। দুজনে দৌড়ানোর মধ্যে হঠাৎ সে পরে যাবে। ফিল্মর নায়কদের মতো কাব্য ঝপ করে এসে তাকে খপ করে ধরবে। কাব্যর একহাত তার পিঠে অন্য হাত তার কমরে থাকবে। আহা কি সিন। আগে জানলে কিরণকে সাথে করে নিয়ে আসতো এই দৃশ্যর ফটোশুট করার জন্য। কিন্তু কাব্য তার ভাবনায় একবালতি পানি ঢেলে দিয়ে গিয়ে ফট করে পাইপের কল বন্ধ করে দেয়। বিরক্তিতে কটমট করতে করতে বিরবির করে কুহু বললো
- নিরামিষ একটা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।

চলবে ...


এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ৪৮)


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন