উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৪২তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৪৩)
আরাফঃনবনিইই।নবনিইইইইই।
নবনিঃশুরু ডাকাডাকি।
নবনি রুমে এসে দেখে আরাফ রেডি।আদ্রিতা আরাফ এর চুল এ চিরুনি নাড়াচ্ছে।যার মানে সে চুল আচড়াচ্ছে।
নবনিঃকি হয়েছে?
আরাফঃমানি ব্যাগ কই?
নবনিঃআপনার ডান পকেটে।
আরাফঃব্ল্যাক কোর্টটা পাচ্ছি না।
নবনিঃব্লু টাতে মানিয়েছে।
আরাফঃচিরুনিটা দেখছি না।
নবনিঃহা হা হা।আপনার মাথায় কি।
আরাফ এতক্ষন খেয়াল করে নেই।এখন দেখে আদ্রিতা চুল আচড়ে দিচ্ছে।আরাফ তাকানে মিষ্টি একটা হাসি দেয়।
আরাফঃভেরি গুড মাই প্রিন্সেস।
নবনি চলে যেতে নেয়।আরাফ টাই এক টানে টা খুলে ফেলে।
আরাফঃনবনি পাখি।
নবনিঃআবার কি?
টাইটা বেধে দাও।
নবনিঃআপনি বাধতে পারেন না?
আরাফঃপারিতো কিন্তু আদ্রিতাকে কোলে নিয়ে কি করে করি?
নবনিঃরোজ একই কথা বলেন।
আরাফঃতুমিও তো প্রতিদিন একই প্রশ্ন করো।
নবনি খুব ভালো করে জানে আরাফ এগুলো ইচ্ছে করে করে।কিন্তু নবনির আরাফ এই পাগলামিগুলো খুব ভালো লাগে যেটা মুখে না স্বীকার করলেও বিরক্ত না হয়ে কাজ গুলো করে দিয়ে বুঝায়।আর আরাফ সেটাতেই বুঝে যায় নবনির ও ভালো লাগে আরাফ এর ব্যাক্তিগত কাজগুলো নিজের হাতে করতে।তাই সেও প্রতিদিন এই কাজ গুলো করায়।
নবনিঃহয়ে গিয়েছে।
আরাফ নবনির কপালে চুমু খেল।তারপর আদ্রিতার কপালে চুমু দিলো।
আরাফঃআব্বু তাড়াতাড়ি এসে পরবে আমার লক্ষীটা।
আদ্রিতাকে নবনি কোলে দিয়ে দেয়।
আরাফঃনবনি।
নবনিঃহুম।
আরাফঃওয়ারদার সাথে কথা হয়?
নবনিঃনা।বাবুদের হওয়ার পর থেকে একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পরেছি।ওকে সময় দেয়া হয় না।আর ও কেন জানি আসে না এখানে।
আরাফঃতো জানো কেন আসে না।বলে দিলে আর হয়ে গেলো?
কথাটা আরাফ কিছুটা উচু স্বরে বলেছে।
আরাফঃআজকে যেয়ে দেখা করে এসো।গাড়ি নিয়ে যেও।নিলয় এর মনটা ও আজকাল খারাপ মনে হয় আমার।তুমি দেখো ওয়ারদা দেখে কিছু জানতে পারো কি না?আমি নিলয় এর সাথে কথা বলবো।
নবনিঃহুম।
নবনির মন খারাপ হয়ে গেলো আরাফ এর ধমকে।
আরাফ~
বিয়ের পর বন্ধুবান্ধবদেরকে ভুলে যাওয়া উচিত না।পরিবার যেমন দরকার তাদেরকেও আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তে দরকার আছে।আর যারা ভুলে যায় তারা কখনো ভালো বন্ধু ছিলোই না আমাদের।এমন অনেক কথা আছে যা স্বামী স্ত্রী মা বাবা ভাই বোনকে বলা সম্ভব না। তা শুধু বন্ধু-বান্ধবদেরকেই বলা যায়।তাদেরকে বলে কষ্টগুলো থেকে দায় মুক্ত হওয়া যায়।ব্যস্ততা জীবনে থাকবেই কিন্তু এটার জন্য একটা ভালো বন্ধু হারিয়ে গেলে সারাজীবন দিয়ে ও ফিরিয়ে আনতে পারবে না। তাই জীবন একটা ভালো বন্ধু টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও সর্ম্পকটা আগের মতো রাখা খুব প্রয়োজন।
আরাফ বেরিয়ে গেলো। আরাফ এর কথাটা নবনির মনে দাগ ছেড়ে গেলো।অনুশোচনা হতে লাগলো।সে দেরি না করে রেডি হতে চলে গেলো।ওয়ারদার কাছে এখনই যেতে হবে।
আরাফ নিচে যেতে মেহরাব এর দেখা পেলো।আসাদ খান এর সাথে খেলছে।আদর চৌধুরী নাস্তা করছেন।নিলীমা চৌধুরী ওষুধ খাচ্ছেন।
আল্লাহ হাফেজ মা বাবারা।নিজেদের খেয়াল রেখো।মেহরাব এর কপালে চুমু খেল।
আরাফঃআসছি আব্বুটা।
মেহরাবঃআ আ আব্বু তা।
আরাফ বেরিয়ে পরলো।
আরাফ নিজের অফিস এ না গিয়ে নিলয়ের অফিসে চলে গেলো।গাড়ি নিলয়ের অফিস এর নিচে পার্ক করে নিলয়কে কল করলো।
আরাফঃহ্যালো।নিচে নাম।
নিলয়ঃনামতে পারবো না রে। অনেক কাজ।
(নিলয় ব্রেক এ আছে।কিন্তু ইচ্ছে করে আরাফ এর সামনে যাবে না।গেলে আরাফ ধরে ফেলবে নিলয় কষ্টে আছে। সে চায় না আরাফকে কিছু জানাতে। অনেক কষ্টের পর আরাফ সুখ পেয়েছে সে চায় না তার কষ্টগুলো শেয়ার করে আরাফকে কষ্ট দিতে।)
আরাফঃঅনেক কাজ না?
নিলয়ঃহুম।
আরাফ কথা বলতে বলতে নিলয় এর কেবিনে এসে পরে। নিলয় খেয়াল করে নেই এখনো।
আরাফঃতাহলে আমি চলে গেলাম। হা?
নিলয়ঃহুম। চলে যা।
আরাফঃকাজ এ নড়তেও পারছিস না।না?
নিলয়ঃহ্যা। না মানে।
আরাফ নিলয়কে জড়িয়ে ধরলো।নিলয় চমকে উঠলো।
নিলয়ঃতুই যাস নাই?
আরাফ ধুম করে পিঠে একটা কিল দিলো।
আরাফঃঅনেক কাজ না?
নিলয়ঃহ্যা।এইতো আর কি!
নিলয় ধরা পরে ভ্যাবলার মতো হাসি দিলো।আরাফ চোখ ছোট ছোট করে তাকালো নিলয়ের দিকে।
আরাফঃএখন এই হাসির ঝুলির পিছনের কষ্টের খোলাসা কর।একটু ব্যস্ত কি হোলাম।। তুই তো আমাকে ভুলেই গেলি।
নিলয়ঃকিসের কষ্ট!! কোনো কষ্ট নাই।আমি বিন্দাস আছি।
আরাফঃতোকে আমার কসম।
নিলয় অসহায় চাহনিতে আরাফ এর দিকে তাকায়।
নবনি মেহরাব আদ্রিতাকে নিয়ে ওয়ারদার বাসায় আছে।গাড়ি থেকে নামার আগে ওয়ারদাকে কল দেয়।
নবনিঃহ্যালো।
ওয়ারদাঃহ্যা।দোস্ত বল।
নবনিঃবাইরে আয়।আমি অপেক্ষা করছি।
ওয়ারদা কথাটা শোনা মাত্রই বাইরে দৌড় লাগালো।
ওয়ারদাঃনবনি এসেছে মানে মেহরাব আদ্রিতাও এসেছে।কতোদিন ধরে তাদেরকে দেখি না।তাদেরকে দেখলে নিজের সন্তান এর অভাবেটা ঘিরে ধরে তাই ওই বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।কিন্তু বাচ্চাগুলোকে অনেক মিস করি।(মনে মনে)
ওয়ারদা বাইরে এসে মেহরাবকে কোলে নেয়।নবনি আদ্রিতাকে কোলে নিয়ে ভিতরে আসে।
নবনিঃজানিস ওরা একটু একটু করে কথা বলতে পারে।
ওয়ারদাঃতাই তাহলে আমাকে কি ডাকবে?চাচি নাকি আন্টি?
নবনিঃমা মনি।
ওয়ারদার কলিজা ধক করে উঠলো।
নবনিঃতুই ওদের মায়ের মতো তাই তোকে মা মনি বলেঅ ডাকবে।আর নিলয় ভাইয়াকে বাবা বলে ডাকবে। আমিতো ওদেরকে এইটাই শিখাবো ভেবে রেখেছি।
ওয়ারদার বুকে কথা গুলো তীর এর মতো বিধে গেল। সে যে মা হতে পারবেনা।এই বাচ্চারাই কি তাকে মা বাবার ডাক শোনাবে!ওয়ারদা মেহরাবকে বুকে জড়িয়ে কেদে দিলো।
নবনিঃকি হয়েছে!দোস্ত? কাদছিস কেন?বল আমাকে?
ওয়ারদাঃআমি আমিই
নবনিঃতুই কি?
ওয়ারদাঃমা হতে পারবো না আমিইইই।
ওয়ারদা অনেক কষ্টে কথাটা উচ্চারণ করলো।
নবনি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলো না।এটা সে কি শুনলো।
আরাফঃদোস্ত এটা কি সত্যিই?
নিলয়ঃহ্যা।এটাই আমার জীবনের কঠিন বাস্তবতা।আমি বাবা হতে পারবো না।ওয়ারদা এটার জন্য নিজেকে দায়ী করে আমি ওকে বোঝাতেই পারছি না। আমরা একে অপরের জন্য যথেষ্ট আমাদের সন্তান লাগবে না।
আরাফঃএটাতো ওকে বোঝালি। নিজেকে কি বুঝাবি?
নিলয় আরাফকে জড়িয়ে ধরলো।
নিলয়ঃআমার ও খুব কষ্ট হয় রে।খুব।আমারও ইচ্ছে হয় আমার ছোট্ট পরিটা ছোট ছোট পায়ে হেটে সারা বাসা মাথা করে রাখবে।আমার বাচ্চা লাগবে কিন্তু আমি এটা কি করে বলি!!কি করে বলবো ওকে এই কথা। ও তো এমনেই সারা রাত দিন কেদে কাটায়।কি করে আমার কষ্ট গুলো ওকে বলি!
আরাফ কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে।
ওয়ারদাঃনিলয় আমাকে কিছু বলে না।কিন্তু আমি জানি সে ভালো নেই।আমি কি করবো বল!আমার কি করার আছে?
নবনিঃতুই চল আমার সাথে।
ওয়ারদাঃকোথায়?
নবনিঃচল বলছি।
ওয়ারদা আদ্রিতাকে কোলে নেয়। আর নবনি মেহরাবকে কোলে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পরে।
আরাফঃসব কিছুর সমাধান আছে।এভাবে ভেংগে কেন পরেছিস দোস্ত।তুই তো এমন নয় নিলয়।
নিলয়ঃনিলয় এমন নাই হতে পারে কিন্তু একজন না হওয়া বাবা এমনই রে।
আরাফঃচল আমার সাথে।
নিলয়ঃকই!
আরাফঃচলতো।
নিলয়কে কিছু বলতে না দিয়েই টেনে নিয়ে বেরিয়ে পরলো।
আরাফ নিলয়কে নিয়ে হাসপাতালে গেল।হাসপাতালে ঢুকতেই আদ্রিতার কান্নার আওয়াজ পেলো।
আরাফঃনিলয় তুই টেস্ট গুলো করে আয়।আমি আসতেছি।
নিলয়ঃআচ্ছা।
আরাফ আদ্রিতাকে খুজতে লাগলো।নবনিকে কল দেয় নবনি কল ধরে না।আরাফ এর বুক ধকধক করতে লাগলো।আদ্রিতা হাসপাতালে কেন থাকবে।কিন্তু সে ঠিকই শুনেছে।আওয়াজটা আদ্রিতার কান্নারই ছিল।সে নিজের মেয়ের কান্নার আওয়াজ চিনতে ভুল করতে পারে না।এদিকে ফোন বেজেই যাচ্ছে নবনি ধরছে না।রাগে আরাফ এর মাথা চরচর করছে।
নবনি এক হাতে মেহরাব আর এক হাতে আদ্রিতাকে ধরে রেখেছে তাই ফোনটা ধরতে পারছে না।আর আদ্রিতা ক্ষুদায় কান্না করছে।ওয়ারদা ভিতরে কিছু টেস্ট করাচ্ছে।মেহরাব আ আব্বু তা আ আব্বু তা করছে।
নবনিঃএখানে তোমার আব্বু কি করে আসবে।মেহরাব।
নবনি পিছনে ঘুরে দেখে মেহরাব দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছে।নবনি পিছনে ঘুরতেই ছো মেরে আদ্রিতাকে নিয়ে নিলো।আদ্রিতা আরাফ এর কোলে গিয়ে চুপ হয়ে গেলো।
আরাফঃকান্না করছিল কেন!!
নবনিঃহাপাচ্ছেন কেন!
নবনি ব্যাগ থেকে পানি বের করে দিলো। আরাফ পানির বোতলটা ছুড়ে ফেলে দিলো।
আরাফঃI ask u something. Damn it!
নবনি ধমকে কেপে উঠলো।নবনিকে ধমক দেয়ায় মেহরাব কাদতে লাগলো।
নবনিঃকিছু হয় নি।বাবা।কাদে না।
আরাফ মেহরাব এর কান্না দেখে শান্ত গলায় বললো~
আরাফঃবকি নাই তো। তোমার আম্মুকে।কিছু বলি নেই।
মেহরাব কিছুটা শান্ত হলো।নবনির চোখে পানি ছলছল করছে।
নবনিঃক্ষুদায় কান্না করছে।
আরাফঃতাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন!! বাসায় যেয়ে খাওয়াচ্ছো না কেন!??
নবনিঃওয়ারদার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।ও ভিতরে।
আরাফঃএখনই যাবা তুমি।যাও বাসায়।
নবনিঃকিন্তু ওয়ারদা?
আরাফ এর চোখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে।রগগুলো ও ফুটে উঠেছে।আরাফ আদ্রিতাকে নিয়ে বেরিয়ে পরলো।নবনিও পিছন পিছন গেলো।গাড়িতে আদ্রিতাকে বসিয়ে নবনিকে উঠতে বলে।নবনি চুপচাপ গাড়িতে উঠে পড়ে।
আরাফঃবাসায় যেয়ে ওদেরকে খাওয়াবা।তারপর তুমি খেয়ে নিবে।আমি এখানটা দেখছি।
নবনি চলে গেলো।আরাফ ওয়ারদার কেবিন এর বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলো।
আরাফঃএকটু বেশিই রেগে গেলাম।নবনির ছলছল চোখ গুলো পানি বুকে লাগছে।কিন্তু কি করতাম পাগলের মতো আদ্রিতাকে খুজতেছিলাম।আদ্রিতার কান্নার আওয়াজে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।পাগলের মতো পুরো হাসপাতালে খুজেছি আমার মেয়েটাকে।তার উপর নবনি কল ধরছিলো না।যাও খুজে পেলাম এসে শুনি বাচ্চাদের না খাওয়ায় রেখেছিল।তাই একটু বেশি রাগ করে ফেলি।বাসায় যেয়ে বউ এর রাগ ভাংগাতে হবে। বউটা দিব্যি অভিমান করেছে আমার সাথে।তার চোখে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম আমি।
আরাফ একা বিড়বিড় করছিলো নিলয় এসে দাড়ালো।
নিলয়ঃভুত টুত ধরছে নাকি?বিড়বিড় করছিস কেন?
আরাফঃআর ভুতের নাম নিস না।বস এখানে।
নিলয়ঃতুই এখানে কি করছিস?আমি সারা হাসপাতাল খুজছিলাম।
আরাফঃতোর বউকে পাহাড়া দিচ্ছি।বস তুইও পাহাড়া দে।
নিলয় আরাফ এর পাশে বসলো।
নিলয়ঃআমার বউকে কেন পাহাড়া দিবি?
আরাফঃআমি যেমন তোরে এখানে নিয়ে এসেছি নবনি ও ওয়ারদাকে নিয়ে এসেছিল।
নিলয়ঃতাহলে ভাবি কই!?
আরাফঃবাসায় গেছে।তুই অফ যা আমার কথার উত্তর দে।ডাক্টার কি বলেছে?
নিলয়ঃকালকে রিপোর্ট আসবে।কালকে আসতে বলেছে।
ওয়ারদা বেরিয়ে আসলো।
আরাফঃডাক্টার কি বলেছে?
ওয়ারদাঃকালকে রিপোর্ট দিবে।
আরাফঃতাহলে তোরা বাসায় যা।আমিও বাসায় যাই।আল্লাহই জানে কপালে কি আছে!
ওয়ারদাঃনবনি কোথায় ভাইয়া?আপনারা এখানে কি করছেন?
আরাফঃতুই বুঝা আমি গেলাম।
আরাফ দৌড় দিলো।নিলয় ওয়ারদা কিছুই বুঝলো না।তারা আরাফ এর যাওয়ার পথে চেয়ে রইলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
৪৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন