উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৫০তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫১)
কোথায় আপনি আরাফ? কোথায় খুজবো আপনাকে!!
নবনির কেবিন এর ভিতর গিটার এর সুর ভাসছে।যে সুরটা শোনা যাচ্ছে সেটা নবনির খুব পরিচিত সুর। নবনি সুরটা কোথা থেকে আসছে খুজতে লাগলো।
Dil ibadat kar rahe hai
Dharkane meri sun
Tujhko mai kar lu hasil lagi hai ye hi dhun
Zindigi k shak se lu
Kuch hasi pal mai chun
Tujh ko mai kar lu hasil lagi hai ye dhun
নবনি ছুটে বাইরে চলে আসলো।আরাফ এর কন্ঠ আরো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।নবনি চারপাশে পাগলের মতো আরাফকে খুজতে লাগলো।অফিস এখনো কেউ আসে নেই।খালি অফিসে আরাফ এর কন্ঠ এক দেয়াল থেকে আর এক দেয়াল বাড়ি খেয়ে ছড়িয়ে পরছে।নবনি আরাফকে খুজে পাচ্ছে না।
Zo bhi jitne pal ziyo
Unhe tere sang jiyu
Jo bhi kal ho ab mera
Use tera sang ziyu
Jo bhi sase mai varu
Unhe tere sang varu
Chahe jo ho rasta
Use tere sang chalu
নবনিঃআরায়ায়ায়াফ।আমি জানি আপনি আছেন।আররায়ায়াফ।কেন এমন করছেন!!আমার সামনে আসেন আরাফ।প্লিজ আসেন।।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।খুব কষ্ট হচ্ছে।বুকে বা পাশটা ব্যাথা করছে আরাফফফ।আপনার নবনি পাখি ব্যাথা পাচ্ছে। সামনে আসেন না আরাফফফ।একটু দেখবো। অনেক দিন ধরে দেখি না।আসেন নায়ায়া।আররায়ায়ায়াফ।প্লিজ আসেন।
নবনি স্টোর রুমের দিকে এগিয়ে গেলো আরাফ এর খোজে।
Tujhe tujh se tor lu
Kahi khudse jor lu
. Mere zismo jaan mai aaa
Tere khusbu or lu
Dil Ibadat kar raha hai
Dharkane meri sun
Tujhko mai kar lu
Hasil lagi hai yehi dhun.....
নবনি স্টোর রুমের গেটটা খুললো।আর পিছন থেকে একটা ডাক আসলো।নবনি গেটটা খুলতে পারলো না।
তানভীরঃম্যাম।
নবনিঃতানভীর। তুমি শুনেছো?আরাফ আরাফ এসেছিলেন।আমি তার গানের কন্ঠ শুনেছি।আরাফ ছিল এখানে।
নবনি ফ্লোরে বসে পড়লো।
উনি কেন আমার সাথে দেখা করলেন না?কেন এমন করলেন!কেন আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন? আমি আমি কি অন্যায় করেছি।
নবনির কাদতে কাদতে হিচকি উঠে গেলো।
তানভীর পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো নবনির সামনে।
তানভীরঃম্যাম।পানি খান।একটু শান্ত হোন ম্যাম।প্লিজ।
নবনি পানি খেতে খেতে তানভীর এমন একটা কথা বললো নবনির বিষম উঠে গেলো।
তানভীরঃআমি এখানে কোনো গানের কন্ঠ শুনি নেই ম্যাম। আপনার হ্যালিউশেনেশন হয়েছে।আরাফ স্যার এখানে কি করে আসবে?
নবনিঃযাও এখানে থেকে।
তানভীরঃম্যাম আপনি?
নবনিঃযাও বলছি।
তানভীর যেতেই নবনি স্টোর রুমে ঢুকে আরাফকে খুজতে থাকে কিন্তু পায় না।
নবনিঃনা। এটা হ্যালুশেনেশন হতে পারে না।আমি আরাফকে ফিল করেছি। আরাফ ছিল এখানে। অবশ্যই ছিল।
নবনি বের হয়ে আসতে নিলে রক্তের ফোটা দেখতে পায়।
নবনিঃটাটকা রক্ত।তার মানে আরাফ এখানে ছিল!ইয়েস। আরাফ এরই রক্ত এটা।আর লুকাতে পারবেন না।আরাফ।এতোদিন পেরেছিলেন কারন আমি ভাবতাম আপনাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।আমি আসামীর পিছনে ছুটেছি। কিন্তু আমার আসামি যে আমার নিজের স্বামী।এই বার আপনি কই লুকাবেন।
নবনির রক্তটুকু একটা কাচের শিশিতে নিয়ে নিলো।
তারপর অফিস থেকে বের হয়ে গেলো।
অফিসে ~
সালাম তানভীরকে একটা ঘুষা মারলো পিঠে তানভীর বেচারা আকড়ে গেলো।সালাম এর হাতের মারে।
তানভীরঃকি করছেন স্যার।আমি আপনাকে বাচালাম আর আপনি আমাকেই মারছেন?
সালামঃতোমার হ্যালিউশনেশন এর কথাটা পানি খাওয়ার সময়ই বলতে হলো?আমার বউ এর হিচকি উঠে গিয়েছিল।তোমার কথা শুনে।
তানভীরঃআমার জন্য হিচকি উঠেছিল আর আপনি! আপনি তার চোখের পানির কারন।আপনার জন্য উনার আজকে এই অবস্থা।নবনিতা ম্যাম কত ভালো। আর উনার কপালে আপনার মতো জল্লাদ স্বামী জুটেছে।
আরাফঃআমি জল্লাদ!!
তানভীরঃহ্যা।তা নয়তো কি!
আরাফ দাত কটমট করে বলল~
আরাফঃবেশি বলে ফেলছো তুমি।
তানভীরঃনা।আজকেতো আমি বলবোই। আমার চাকরি গেলে যাক।না খেয়ে থাকবো আমি।তাও এই অন্যায় আর হতে দিবো না।আপনি নবনিতা ম্যাম এর সাথে অন্যায় করছেন স্যার।সে আপনার জন্য কতটা পাগল সেটা আপনি জানেন না।আমি আদর স্যার থেকে শুনেছি ম্যাম এতো দিন খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
আপনি কেন তার থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন তা আমি জানি না।কিন্তু যখন আড়াল করেই রেখেছেন তাহলে কি দরকার ছিলো আজকে উনার সামনে যাওয়ার!কি সুন্দর উনার সামনে যেয়ে গান জুড়ে দিয়েছিলেন।ম্যাম কতো কষ্ট পাচ্ছিলো।আর আপনি স্টোর রুমে দাঁড়িয়ে মজা নিচ্ছিলেন?
আর সব কথা বাদই দিলাম কিন্তু আপনিতো আজকে ধরাই পড়ে যেতেন।যদি ধরাই পড়তে চান তাহলে সরাসরি কেনো যাচ্ছেন না। এভাবে করার মানে কি??
আরাফ পানির গ্লাসটা তানভীর এর দিকে এগিয়ে দিলো।
আরাফঃপানি খাও।হাপিয়ে গিয়েছো।
তানভীর ঢকঢক করে এক চুমুকে পুরোটা পানি সাবাড় করলো।
আরাফ চেয়ারটাতে পায়ের উপর পা রেখে আরাম করে বসলো।তানভীর আরাফকে যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে।
তানভীরঃআপনি এমন একটা পরিস্থিতিতে এতো শান্ত কি করে?
আরাফঃবসো তানভীর।
তানভীর আরাফ এর পাশের চেয়ারটাতে বসলো।
আরাফঃআমি নবনি পাখির অবস্থা দেখে মোটেও মজা নিচ্ছে না তানভীর। নবনি যখন পাগলের মতো পুরো অফিসে আমাকে খুজতেছিল।তখন আমার চোখ দিয়ে পানি পরছিল। কিন্তু সেটা সবার আড়ালে।
নবনি যতটা কষ্ট পেয়েছে তার থেকে দ্বিগুন কষ্ট আমক পেয়েছি। কোনটা শুনবে তুমি বলো।
১৫ দিন পরিবার থেকে দূরে ছিলাম আমার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিলো।নবনির কাছে তো আমার বাবা সন্তান ছিল।কিন্তু আমি। আমি তো পুরোই একা।
যেদিন নবনিকে অফিস এ আসতে দেখি।বাবার নামে মিথ্যা কথা বলে সাথে সাথে নবনির কেবিনে কফি নিয়ে হাজির হই।একটা পলক দেখার জন্য।সেখানে যেয়ে নবনির চোখগুলো দেখতে পাই শুধু।ওর চোখগুলোর নিচে কালো দাগ দেখে আমার বুক ছ্যাত করে উঠে।আমি সেখানে নবনিকে দেখে মনকে শান্ত করতে গেলেও আমার মন আরো ব্যাকুল হয়ে পড়ে নবনির জন্য।
তাই রাতে আধারে নিজের বাসাতে নিজের বউকে দেখতে চোরের মতো যাই।বুঝতে পারছো আমি কতটা অসহায়?
না বুঝতে পারলে আরো শুনো।নবনির পাশে থাকা আমার সন্তানগুলোর চেহারা দেখে আমি আরো এক দফা অসহায় হয়ে পড়ি।আমার ছেলে মেয়েটার চেহারা শুকিয়ে এতটুকু হয়ে গিয়েছে।আমি তাদেরকে কোলেও নিতে পারি নাই।আমার ইচ্ছে করছিল আমার সন্তানদের আমার বুকে জড়িয়ে নেই।কিন্তু কি করে নিতাম নবনি যদি উঠে পরতো!
আর আজকে আমি নবনির কেবিন এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখনই নবনির কন্ঠ শুনি। সে তার আরাফকে ডাক দিচ্ছিল।আমার নবনি ডিপ্রেশন নামক রোগে ডুবে যাচ্ছিল। আমার চোখের সামনে।তাই আমি তাকে আমার অস্তিত্ব এর জানান দেই।যাতে ও ভেংগে না পরে।এই সময় গুলো নবনির দাঁড়িয়ে থাকাটা অনেক জরুরি তাই আমার গানটা গাইতে হয়।
তোমার কাছে সেটা গান।কিন্তু আরাফ নবনির জন্য এটা শুধু একটা গান না।এটা আমাদের মাঝে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে।এটা নবনিকে সাহস দিবে কঠিন পথগুলো একা হাটার।এতে নবনির মাঝে আমায় ঘিরে থাকা অস্তিত্বটা পুনরায় জীবিত হবে।
তানভীরঃতাহলে ম্যামকে হ্যালুয়েশনের কথা কেন বলতে বললেন?
আরাফঃহ্যা। তোমাকে মেসেজ দিয়ে এটা করতে বলেছিলাম।কারন আমি চাই না নবনি জানুক আমি জীবিত বা তার আশে পাশেই আছি।নবনি জানলে যে উনি ও জেনে যাবেন।
তানভীরঃউনি কে?
আরাফঃসেটা এখন বলা যাবে না।সময় আসলে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।
তানভীরঃসরি স্যার।আই এম এক্সট্রিমলি সরি।
আরাফঃতোমার সরিতো আমি এক্সেপ্ট করছি না।এমন কিছু করো যাতে সরি এক্সেপ্ট করতে পারি।
আরাফ পকেট থেকে পান বের করে মুখে দিলো।
তানভীরঃস্যার। আপনার সাথে পান যায় না।
আরাফঃহা হা হা।আরাফ এর সাথে না গেলেও সালাম এর সাথে যায়।
তানভীরঃপানটা না খেলে হয় না!!
আরাফঃআর এ তুমি জানো না এই পানটা আমাকে নবনির চোখ থেকে বাচিয়েছে।নবনি প্রথমদিনই আমার দিকে যেভাবে তাকিয়েছিল আমিতো ভাবসি এই ধরাই খাবো।পরে এই পান খাওয়া শুরু করি।
কারন নবনি জানে আরাফ আর যাই করুক পান খাবে না।নবনির ধ্যান ধারনার বাইরে আমাদের কাজ করা লাগবে।কারন পুলিশকেও একবার ধোকা দেয়া সম্ভব কিন্তু নিজের বাম পাজরের হাড্ডিকে ধোকা দেয়া এত সোজা না।সে ঠিকই ধরে ফেলবে।তাই ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়।
তানভীরঃআরাফাত চৌধুরী যাকে কি না সবাই ভয় পায় সে নিজের স্ত্রীকে ভয় পায়।হা হা।
আরাফঃএকবার বিয়েটা করো তারপর বুঝবে বউ কি জিনিস।এখনো তো অবিবাহিত তাই বুঝতে পারছো না।
তানভীরঃআমাকে ভয় দেখানো সোজা না স্যার।আমি সবসময় বউ পিটিয়ে সোজা রাখবো।
আরাফঃদেখবো কে কাকে পিটায়।পরে বউ এর হাতে মার খেতে খেতে ভুত হয়ে যাবে। হা হা হা।
তানভীর ফাস্ট এড বক্স নিয়ে আসলো।
তানভীরঃএকই জায়গায় আর কয়বার আঘাত পাবে স্যার।
তানভীর আরাফ এর রক্তাক্ত হাতটা ব্যান্ডেজ করে দেয়।
আরাফঃযত বার কপালে লিখা আসে।আমি একবার নিজেকে শাস্তি দিলাম আর নিয়তি বারবার আমাকে শাস্তি দিচ্ছে।
তানভীরঃআপনি নিজেকে শাস্তি কোনো গুনাহের দিলেন?
আরাফঃনবনিকে স্টোর রুমে ফেলে দিয়েছিলাম। বউটা আমার অনেক ব্যাথা পেয়েছে।
তানভীরঃনিজেই ব্যাথা দেয় আবার নিজেরই দরদ উতলে পড়ে।তানভীর কথাটা মিনমিন করে বলে।
আরাফঃকি বললে?
তানভীরঃবললাম যে ফেললেন কেন ম্যামকে?
আরাফঃতোমার ম্যাম আমার কোলে পড়ে আমার মোটা ফ্রেমের চশমার ভিতর দিয়ে আমার চোখ দেখছিলো।আল্লাহ মাবুদ জানে চিনে ফেলছে কিনা।তার সন্দেহ দূর করার জন্য ফেলে দিয়েছিলাম।
তানভীরঃতার গ্লাস ভেঙে হাতকে শাস্তি দিলেন?
আরাফঃহ্যা।রাতে এই হাতে দিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে যেয়ে ব্যাথা পেয়েছি।আর একটু আগে স্টোর রুমে চুবির খোচা লেগে আবার ব্যাথা পেলাম।
তানভীরঃস্টোর রুমে চুবি?
আরাফঃহ্যা। আজকেই পরিষ্কার করবে।তুমি কেমন পিএ।এসব খেয়াল রাখো না বসের আঘাত লাগতে পারে সেদিকটা দেখবে না?
তানভীরঃস্যার।কোন কোম্পানির বস বউকে খুশি করার জন্য স্টোর রুমে ঢুকে গান গায়?বলেন তো।
আরাফঃবেশি কথা বলো তুমি।
তানভীরঃনা স্যার। আমার জানা ছিল না। তাই আর কি জিজ্ঞেস করলাম।
আরাফঃআমার চাকরিতো ছেড়েই দিয়েছো আর জিজ্ঞেস করে লাভ কি।আমি নতুন পিএ খুজে নিবো।
তানভীরঃনেন তাতে আমার কি!আমি মোটেও বেকার না।আমি এখনও নবনি ম্যাম এর পিএ।
আরাফঃসময় আমার ও আসবে।তোমার পাখা যেগুলো গজিয়েছে নিজ হাতে কুচ কুচ করে কাটবো।
তানভীরঃআমি যাই স্যার। স্টোর রুম পরিষ্কার করতে হবে।
আরাফঃআচ্ছা যাও।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
৫২তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন