উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৫১তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫২)
নবনি অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় আদর চৌধুরির কাছে আসে।আদর চৌধুরী মেহরাব আদ্রিতাকে মাত্র ঘুম পাড়িয়ে হাটাহাটা করছিলেন।
নবনি তার রুমে প্রবেশ করে।
নবনিঃবাবা।আপনি কি ব্যস্ত?
আদর চৌধুরীঃনা মা।বলো কিছু বলবে?
নবনিঃআপনাকে এখন কিছুই বলতে পারবো না। আমি যেটা ভাবছি সেটা যদি না হয় তাহলে আপনার মন ভেংগে যাবে।(মনে মনে)
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে মা?কি বলবে বলো?
নবনিঃআমার সাথে একটু বাইরে যেতে হবে আপনাকে।আমাকে এখন কোনো প্রশ্ন করবেন না প্লিজ।আমি সবকিছু বলবো আপনাকে কিন্তু এখন চলুন। প্লিজ।প্লিজ।প্লিজ।
আদর চৌধুরীঃআচ্ছা আচ্ছা। চলো।
নবনি আদর চৌধুরীকে নিয়ে হাসপাতালে আসে।
আদর চৌধুরীঃহাসপাতালে কেন?সব ঠিক আছে? তুমি ঠিক আছো?
নবনিঃআপনি অস্থির হবেন না।আমি ঠিক আছি। আপনার রক্ত পরীক্ষা করাতে এসেছি।
আদর চৌধুরীঃআমার আবার কি হলো?আমিতো ঠিক আছি।
নবনিঃহ্যা।আপনি একটু ধৈয্য ধরেন।রিপোর্ট আসলে আমি সব বলে দিবো।
আদর চৌধুরী আর কিছু বললেন না।আদর চৌধুরীর ব্লাড স্যাম্পাল আর নবনির আনা ব্লাড স্যাম্পাল পরীক্ষা করা হয়।আদর চৌধুরী নার্সকে টাকা দিয়ে রিপোর্ট এখনই আনতে বলে।কিছুক্ষণের মধ্যে রিপোর্ট এসে পরে।
নবনি রিপোর্ট নিয়ে গাড়িতে এসে বসে। আর আদর চৌধুরী নবনির পাশের সিটে বসে গাড়ী ড্রাইভ করছে।
নবনি বিসমিল্লাহ বলে কাগজটা খুলে।কাগজের লেখাগুলো পড়ে নবনির চোখে পানি এসে পড়ে।আদর চৌধুরী ঘাবড়ে যান নবনির কান্না দেখে।
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে?তুমি কান্না করছো কেন?আমার কি কঠিন কোনো রোগ ধরা পরেছে।
নবনিঃনা বাবা এমন কিছু না।আমি আপনার ডিএনএ আরাফ এর ডিএনএর সাথে টেস্ট করিয়েছি।আজকে সকালে আরাফ এসেছিলেন অফিসে। আমি তাকে দেখি নেই কিন্তু আমি কন্ঠ শুনেছি। সে ছিলো সেখানে।
আমি তানভীরকে বলায় তানভীর বলে সে শুনে নেই।কিন্তু এটা কি করে সম্ভব যে আমি শুনলে ও কেন শুনবে না।
আদর চৌধুরীঃতুমি ওকে এই কথা বলো নি?
নবনিঃবলেছি।সে বলে আমার নাকি হ্যালুয়েশেনেশন হয়েছে।আমি ওর কথা বিশ্বাস না করে চেক করেছিলাম স্টোর রুম।সেখানে রক্তের দাগ পাই।তার মানে সেখানে কেউ ছিল।যার তাজা রক্ত ফ্লোরে পাই।আমি সেটা কালেক্ট করে আপনার ডিএনএর সাথে ম্যাচ করি আর মিলে যায়।
আদর চৌধুরীঃতার মানে সেখানে আরাফ ছিলো?
নবনিঃহ্যা।আমি তানভীর এর বলা হ্যালুয়েশনেশন ভেবে আপনাকে কিছু জানাই নাই।শুধু শুধু মিথ্যা আশা করতেন।কিন্তু এখন সব ক্লিয়ার আরাফ অফিসেই আছে।
আদর চৌধুরীঃআমি আরাফকে সারা বাংলাদেশ খুজছি আর সে আমার নিজের অফিসে লুকিয়ে আছে।
নবনিঃহ্যা।
আদর চৌধুরীঃএখন কি করবে?
নবনিঃতানভীরকে টাইট দিবো।ওর কত বড় সাহস আমার সাথে মিথ্যা বলে!
আদর চৌধুরীঃটাইট দিয়ে কোনো লাভ হবে না।আরাফ এর সাথে আছে মানে এটার থেকে তুমি কিছুই পাবে না।এখন ওরে কিছু বলা মানে আরাফকে সর্তক করে দেয়া।
নবনিঃতাহলে?
আদর চৌধুরীঃআরাফ চালাক হলে আমি তার বাপ।ওরে এখন আমি খেলা দেখাচ্ছি।তুমি এক কাজ করো আগে তানভীরকে নিজের থেকে দূর করো নাহলে ও সব কথা আরাফকে পাচার করবে।আর আমি তোমাকে নিউ পিএ দিয়ে দিচ্ছি।সে তানভীরকে নজরে রাখবে। আর তুমি আরাফকে খুজে বের করবে।আমিও দেখি এখন ওই পালিয়ে যায় কই!!
নবনিঃআচ্ছা বাবা।এখন বুঝতে পেরেছি আরাফ এতো বুদ্ধিমান কি করে।হি হি হি।
আদর চৌধুরীঃও বুদ্ধিমান কারন তার শরীরে রক্তটা আমার। কিন্তু তুমি বুদ্ধিমতি হবে কারন আমি তোমাকে গাইড করবো।
আর আমার বউমা এমনিও ওই হতচ্ছারা থেকে বেশি বুদ্ধিমতি। এই জন্যইতো ওর এতো চেষ্টার পর ও তুমি ওকে ধরে ফেলেছো।
নবনিঃহিহিহি।
কথা বলতে বলতে আদর চৌধুরী আর নবনি বাসায় এসে পড়ে।
নবনিঃআচ্ছা বাবা। আপনি বাসায় যান। আমি অফিসে এ যাই।
আদর চৌধুরীঃনবনিই।
নবনিঃহ্যা বাবা।বলেন।
আদর চৌধুরীঃআমি জানি না আরাফ কেন এমন করছে কিন্তু এটা জানি যে ছেলেটা আমার বিপদে আছে। তাই এমন পথ বেছে নিয়েছে।তুমি আরাফ এর বেচে থাকার ব্যাপারটা কারো সাথে শেয়ার করো না।
নবনিঃমাকে তো বলতে হবে।উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন!
আদর চৌধুরীঃনা।কাউকেইইই না।এটা তোমার আর আমার মাঝেই থাকবে।আর কাউকে বলবে না তুমি।এটা যদি কাউকে বলো হতে পারে শত্রুরা তা জেনে যাবে।এমনটা হলে আরাফ এর জীবন আর প্লান দুইটাই ঝুঁকির মুখে পরবে।আরাফ যাই করুক না কেন আমার এতটুকু বিশ্বাস আছে সে আমাদের খারাপ কিছু করবে না।তাকে তার কাজ করতে দাও।আমরা শুধু সে কি কাজ করছে সেটাই জানবো ওকে বাধা দিবো না।আশা করি বুঝতে পেরেছো?
নবনিঃআচ্ছা বাবা।এমনি হবে।
আদর চৌধুরীঃনিজের খেয়াল রেখো।আর সাবধানে করো যা করবে।আরাফ ও যাতে টের না পায় আমরা তার ব্যাপারে জানি।
নবনিঃআচ্ছা।আল্লাহ হাফেজ।বাবা। আপনি সাবধানে যান।
আদর চৌধুরী বাসায় চলে যায়।নবনি ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্ট্রাট দেয়।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
৫৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন