উপন্যাস : অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111111111111
১৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৭)
আহসান সিমরানকে নিয়ে রিকশায় উঠলো।
আহসানঃএখন কোথায় যাবে জানপাখি?
সিমরানঃনিরিবিলি কোথাও?
আহসানঃআচ্ছা।চলো।
আহসান সিমরানকে নিয়ে এক কাছের বন্ধুর বাসায় আসে।বাসার ছাদ সব সময় খালি থাকে।প্রায়ই বন্ধুরা এখানে আড্ডা দেয় বলে চাবি পকেটই থাকে।আহসান তার বন্ধুকে কল করে জানিয়ে দিলো।তার পর ছাদের গেটে ঝুলানো তালাটা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ে।
ছাদটা গাছগাছালি দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো।রাতে অন্ধকারেও চাঁদের আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়ে আছে।কালো আকশে বিদ্যামান চিকচিক করা তারাগুলোও আজ সিমরাহসানকে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন এক জীবন জন্য।
আহসানঃকেমন লাগলো? জানপাখি?
সিমরানঃঅনেক সুন্দর। অনেক অনেক।
আহসান সিমরান এর চেহারা থেকে নিকাবটা আস্তে করে খুলে ফেলে।
মানুষ বাসররাতে বউ এর ঘোমটা তুলে আর আমি নিকাব তুলি।আমরা কত ইউনিক ভাবতে পারছো?
সিমরানঃহুম।সিমরাহসান সবার থেকে আলাদা।
আহসান সিমরান এর থুতনি ধরে মুখটা উঁচু করলো।
মাশআল্লাহ। আমার বউটাকে কত নিখুঁত করে বানিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।কোনো সাজ ছাড়াই মায়াবী মনে হয়।আমার মায়াবতী।❤️
সিমরান লজ্জা পেয়ে চোখ নিচে নামিয়ে নিলো।
আহসান মুচকি হাসলো।
সিমরানঃআজকে গান শুনাবেন না?
আহসানঃআজ যে তুমি জীবন দিয়ে দিতে বললেও সেই আবদারটা রাখবো।
আহসান সিমরান এর কপালে ঠোঁট ছোয়ালো।
আহসান~
Mai jitna tomhe dekhu
Dil ye na Vare
Mai jitna tomhe sochu
Dil ye na vare
En Akho Mai Chalak Ta Hai
Mera Pyar Tera Pyar
Kahi Tujhme Dharak Ta Hai
Mera pyar Ter প্যার
Mai jitna tomhe dekhu
Dil ye na Vare
Mai jitna tomhe sochu
Dil ye na vare
আহসান সিমরান এর হাত ধরে।সিমরান এর হাত ঠান্ডা বরফ হয়ে আছে।আহসান বুঝতে পারে সিমরান এর শীত করছে।
আহসান সিমরানকে জড়িয়ে নিলো নিজের অস্তিত্বের মাঝে।আহসান এর বুকের গভীর উষ্ণতা সিমরান এর শরীরের তাপমাত্রাকে উত্তপ্ত করে তুলে।সিমরান ছোট্ট শিশুর মতো গুটিসুটি মেরে আহসান এর বুকে মিশে রইলো।
Thorasa mera hai Thora Tomhara
Mila jula sa khab hamara
Ek mithi dhun sunayi De rahi hai Aj Kal
Has ke sare gaam hamare
Dega khusiyo mai badal
Mera pyar Tera Pyar
Mera pyar tera pyar❤️
সিমরানঃআপনার পরিবার যদি আমাকে না নেয় আমাকে ছেড়ে দিবেন?
আহসান সিমরানকে আরো গভীরভাবে জড়িয়ে নিলো।
আহসানঃতোমাকে ছাড়লে আমার নিশ্বাস নেয়া ছাড়তে হবে।
আমি আজকে মা বাবাকে বলে দিবো তোমার কথা।বলে দিবো যে আমি তোমাকে বিয়ে করে ফেলেছি।
সিমরানঃনা।এমন কিছু করবেন না।এমনটা করলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে।মা বাবা কষ্ট পাবে।আমরা বিয়েটা আল্লাহর ভয়ে করেছি।এটা আপনি আর আমি জানি। অন্যরা তা বুঝবে না।আপনি এটা আমাদের মাঝেই থাকতে দিন।এখন জানানো ঠিক হবে না।আপনার চাকরি নেই যে কোনো সমস্য হলে আমরা আলাদা থাকতে পারবো।বলবেন না আপনি কাউকে।বিয়ের ব্যাপারটা গোপনই থাকতে দিন প্লিজ।
আহসানঃএকদিন না একদিনতো বলতে হবেই।তাহলে আজকেই কেন না?
সিমরানঃকেন বলতে হবে?বলেন তো?না বললেই বা কি!!আমাদের পরিবার আমাদের বিয়ে দিবে তাহলে উনারাও খুশি থাকবে আমরাও। এখন কিছু বললে আমার পরিবার এ জানাজানি হবে। আমার পরিবার এ জানাজানি হলে আমাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দিতে পারে।
আর আমরা কোর্ট ম্যারেজ করি নাই।আমাদের কাছে কোনো প্রমান নেই।ওই সাক্ষী গুলো ছাড়া।কোনো ভাবে কোনো প্রবলেম হলে আমরা লিগেল কোনো ডকুমেন্টস দেখাতে পারবো না।
যা করবেন বুঝে শুনে করবেন।
আহসানঃঠিক আছে।আমি কাউকে বলবো না।
সিমরানঃআচ্ছা।চলুন বাসায়।আম্মু আমাকে খুজবে। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
আহসানঃতুমি কি বলে এসেছো যে আম্মু আজকে তোমাকে খুজে নাই?
সিমরানঃবলছিলাম।ফ্রেন্ড এর বোনের বিয়ে। আর আম্মু খুব ব্যস্ত।আমাদের বাসায় উঠবো আমরা। আম্মু সব গোছগাছ করছে।
আহসানঃও বাসায় চলে যাচ্ছো?
সিমরানঃহুম।
আহসানঃআচ্ছা তাহলে তো সমস্যা নেই। আমরা খাওয়া দাওয়া করে চলে যাবো বাসায়।
সিমরানঃখাওয়া দাওয়া!!
আহসানঃতো নিজের বিয়ের বিরিয়ানি খাবে না?
সিমরানঃথাক অন্য দিন!
আহসানঃনা আজকেই।অনেক ক্ষুদা লেগেছে চলো।
আহসান জোর করেই সিমরানকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আসলো।তারপর রাইস উইথ ব্রোস্ট চিকেন অর্ডার করলো।
খাবার আসতেই আহসান প্লেট টান দিয়ে নিয়ে হাত দিয়ে খাবার নাড়তে লাগলো।তারপর ফু দিয়ে একটু ঠান্ডা করে লোকমাটা সিমরান এর মুখের সামনে তুলে ধরলো।
সিমরানঃআপনি খান। আমি খাচ্ছি।
আহসানঃহা করো জলদি।না হলে জোর করে মুখে ঠুসে দিবো।
সিমরান হা করতেই আহসান খাবারটা মুখে তুলে দিলো।সিমরান খেতে লাগলো।
আহসানঃএই ফড়িং বউ। তুমি কি জানো না। স্বামী স্ত্রী একই প্লেটে খাওয়া সুন্নত।আর স্ত্রী কে খাওয়ায় দিলো অনেক সওয়াব হও।
সিমরানঃওহ। আমি জানতাম না।
আহসানঃজানবে কি করে!খালি তো জানো আমাকে শাসাতে।আমি তোমাকে একটা বই কিনে দিবো।কিভাবে স্বামীকে খুশি করতে হয়।পড়বে আর সব মুখস্থ করে ফেলবে।
সিমরানঃকথা কম বলে এখনি নিজেও খান।তাড়াতাড়ি।
আহসানঃহুম।আমাকে তো আর কেউ খাওয়ায় দিবে না।আমি নিজেই খাই। আর কি করবো।
সিমরান হেসে চামচ দিয়ে খাওয়ায়া দিলো।
খাবার শেষে আহসান হাত ধুইতে যাবে। তখন সিমরান হাত ধরে আটকালো।
আহসানঃকি হলো?
সিমরান আহসান এর ডান হাতে কাছে এনে আংগুলে লেগে থাকা খাবারগুলো চেটে খেলো।
আহসানঃবাহ বাহ!এতোক্ষনতো আমার হতে খেতেই চাচ্ছিলে না।এখন আংগুল চেটে খাচ্ছো!!
সিমরানঃআমি জানি নবীজীও খাওয়া শেষে আংগুল চেটে খেতেন।তাই এটাও সুন্নত।
আপনি এমনটা না করেই হাত ধুইতে চলে যাচ্ছিলেন তাই আমিই করলাম।
আহসানঃযাক। নতুন কিছু শিখলাম।
এখন থেকে খাওয়া শেষে আমি ও আংগুল চেটে পুটে খাবো।
সিমরানঃআচ্ছা।এখন তাড়াতাড়ি করেন। আমার দেরী হচ্ছেতো।
আহসানঃহ্যা। হ্যা।আমি হাত ধুয়ে আসি। তারপর চলো।
আহসান সিমরানকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে নিজের বাসায় চলে আসলো।এসেই মিষ্টি তার বাবার মুখে গুজে দিলো।
সজীব আহসানঃমিষ্টিটা তো খুব মজা।কে দিলো রে?
আহসানঃমা তুমি ও খাও।পঞ্চ মিষ্টি এটা।খুব মজা আর সুস্বাদু।
আহসান আকাশ আর মিষ্টি কে মিষ্টি দিয়ে আসলো।
দিয়া আহসান মিষ্টি টা মাত্র মুখে দিলে আর আহসান বলে উঠলো মা আমি বিয়ে করে ফেলেছি।
সবাই কথাটা শুনে হা হয়ে গেলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
১৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন