উপন্যাস       :         অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111111111111

১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৮)

কথাটা হজম হলো না দিয়া আহসান এর।
দিয়া আহসানঃতুই কি মজা করছিস?
আহসানঃনা।মা।মজা কেন করবো?এই যে দেখো। আমাদের কাবিননামা।
দিয়া আহসান সেটা ভালো করে দেখলেন।
দিয়াঃএটা তো আসল না।আসলটা কই?
আহসানঃআমরা কোর্ট ম্যারেজ করি নাই মা।আমরা শুধু ধর্মীয়ভাবে বিয়েটা করেছি।
সজীবঃবৌমা কোথায়?
আহসানঃও ওর বাসায় চলে গিয়েছে।মা বাবা।আমরা শুধু হালালভাবে দেখা কথা বলার জন্য বিয়েটে করেছি।পরে তোমরা অনুষ্ঠান করে নিয়ে আসবে।
দিয়াঃআমি তো ওকে আনবো না।
আহসানঃআমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।মা।
দিয়াঃআমি এই বিয়ে মানি না।এই বিয়ের সাক্ষী কোথায়?
আহসানঃসবই আছে।আমরা সঠিক নিয়মেই বিয়েটা করেছি।
দিয়াঃআকাশ শুনছিস ও কি বলছে।
আকাশ নিজের রুমে ছিলো।মায়ের ডাকে বেড়িয়ে আসলো।
আকাশঃকি হয়েছে মা?
দিয়াঃও নাকি সিমরানকে বিয়ে করে ফেলেছে।
আকাশঃকিহ!! 
আহসানঃআমি এতো দিন যখন ভালোবাসতাম তখন তোমরা কিছুই বলো নাই।আজকে যখন বিয়ে করে ফেললাম তোমরা এমন বিহেভ কেন করছো।
আকাশ আহসানকে ঠাস করে থাপ্পড় মেরে দিলো।
আকাশঃতোর সাহস তো কম বড় না।তোর বয়স হয়েছে বিয়ে করার?
আহসানঃভাইয়া তোমরা কেন রেগে যাচ্ছো?আমার কথাটাতো শুনো।
দিয়া আর আকাশ আহসান এর কোনো কথা শুনতে নারাজ।তারা ইচ্ছে মতো কথা শুনাতে লাগলো আহসানকে।এদিকে মিষ্টি সবকিছু শুনে সিমরানকে কল করে।
সিমরানঃহ্যা।আপু। বলো।
মিষ্টিঃতুই আর আহসান বিয়ে করে ফেলেছিস?
সিমরান স্তব্ধ হয়ে গেলো কথাটা শুনে।
সিমরানঃআপু।কি করে জানলো!তার মানে আহসান বলেছে! (মনে মনে)
মিষ্টিঃকথা বলছিস না কেন?সত্যি বল।
সিমরানঃহ্যা।তুমি করে জানলে?
মিষ্টিঃপুরো পরিবার জানে। আহসান সবাইকে বলে দিয়েছে।
সিমরান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।
মিষ্টিঃতুই কি করে পারলি আমাকে ধোকা দিতে? কেন দিলি?
সিমরানঃআমি তোমাকে কই ধোকা দিলাম?
মিষ্টিঃএখানে সবাই বলছে তোকে কখনোই মেনে নিবে না।আর যদি আহসান তোর সাথে থাকে তাহলে ওকে বাসা ছাড়তে হবে।
সিমরানঃউনি কোথায়?
মিষ্টিঃমা বাবার রুমে।সবাই ওখানেই। আমাকে আকাশ বের হতে নিষেধ করেছে।তুই কাজটা ঠিক করলি না। 
মিষ্টি কল রেখে দিলো।
সিমরানঃহারামভাবে প্রেম করলে কারো কোনো যায় আসে না।আর হালাহভাবে বিয়ে করলে সবাই বিরুদ্ধে চলে যায়!এটাই কি দুনিয়া?
আহসান রাত ২ টায় সিমরানকে কল দেয়।
আহসানঃকি করো?
সিমরানঃবাসায় কেন বললেন আহসান?
আহসানঃতোমাকে কে বলেছে এই কথা?
সিমরানঃকেন বললেন?আপনাকেতো আমি নিষেধ করেছিলাম বাসায় বলতে তবুও কেন বললেন?
আহসানঃআমি জানতাম না এমন কিছু হবে।আমি ভেবেছিলাম বিয়ে যেহেতু হয়েই গিয়েছে বাসায়  সবাই মেনে নিবে।
সিমরানঃআপনি এটা কি করলেন?আহসান?এখন যদি আমার বাসা পর্যন্ত কথা আসে আমি কোথায় যাবো?আমার কি হবে?আপনিতো চাকরি করেন না।আমার বাসায় কোনো ভাবেই মেনে নিবে না।
আহসানঃআমি বুঝতে পারি নাই এমন কিছু হবে।
সিমরানঃবাসায় কি অবস্থা এখন?
আহসানঃমা আর ভাইয়া এই বিয়ে মানে না।তারা মেনে নিতে পারবে না তোমাকে। আমি তাদের অনেক বুঝিয়েছি।এখন কিছুটা স্বাভাবিক আছে সবকিছু। তুমি চিন্তা করো না।সময়ের সাথে সাথে সবাই মেনে নিবে।
সিমরান উত্তরে কিছু বললো না।
আহসানঃরাতে খেয়েছো?
সিমরানঃহুম।আপনি?
আহসানঃখুদা নাই।
সিমরানঃকেমন আছেন?
আহসান কোনো উত্তএ দিলো না।
সিমরানঃচোখ বন্ধ করেন।
আহসানঃকরেছি।
সিমরানঃজড়িয়ে ধরেছি।জানজ্বি।আমি সবসময় আপনার সাথে আছি।আপনি আমার কথাটা শুনলে এমন হতো না।আমি জানি আপনার উপর বড় আকারের ঝড় গিয়েছে।আর উনাদের পরিস্থিতিটাও আমি বুঝি।কোনো বাবা মাই এটা মেনে নিতে পারবে না।তাদের ক্ষেত্রেও তাই।ধৈয্য ধরতে হবে।আল্লাহ পরীক্ষা নিচ্ছেন।সব ঠিক হয়ে যাবে।আহসান।আমি আছি তো।আপনাকে কখনো একা থাকতে দিবো না।
আহসান এর নিশ্বাস ভারি হয়ে আসছে।সিমরান স্পষ্ট বুঝতে পারলো আহসান কান্না করছে।
আহসানঃআমি তোমাকে ছাড়তে পারবো না।মা আজকে বলেছে তোমাকে না ছাড়লে বাসার সবাই আমার সাথে সর্ম্পক ভেঙে ফেলবে।
সিমরান এর মনে কথাটা গেথে গেলো।খুব কষ্ট হলো কথাটা শুনে।মনে হলো পৃথিবীতে এর থেকে তেতো বাক্য আর নেই।
সিমরানঃবিয়ের পর নামাজ পড়া হয় নাই।আহসান।
আহসানঃহ্যা।নামাজ তো শুকরিয়া আদায় করার জন্য পড়া হয়।আলাদাও পড়া যাবে।তুমি পড়ে নাও।আমি ও পড়ে নেই।
সিমরানঃআচ্ছা।
সিমরান নামাযে মোনাজাত এর হাত তুললো।
ইয়া আল্লাহ। 
আপনি আমার জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন আমি তাই গ্রহন করবো।আলহামদুলিল্লাহ।জন্ম মৃত্যু বিয়ে তাকদির আপনার কর্তৃক ধার্যকৃত।এর উপর বান্দার হাত নেই।আপনি আমার জন্য যাকে নির্ধারন করেছেন আজ সেই আমার স্বামী।কেউ মানে বা না মানে তাতে আমার কোনো আসে যায় না।আপনি জানেন আমাদের বিয়ের উদ্দেশ্য সৎ ছিলো।আমরা জিনার মতো কঠিন গুনাহ থেকে নিজেদের হিফাজত করেছি।
দুনিয়ার মানুষ প্রেম ভালোবাসাকে খুব সহযে মেনে নেয়।কারন তাদের কাছে মনে হয় এটাই হালাল।বিয়েতো আর করছি না।সামান্য প্রেমই তো।কেউ জানবে না দেখবে না।কিন্তু তার দুনিয়ার মানুষের চিন্তায় এতোটাই বিভোর থাকে যে ভুলে যায় সৃষ্টিকর্তার কথা। তারা ভুলে যায় কেউ না দেখলেও আল্লাহ তায়ালা ঠিকই দেখছেন।তারা ভুলে যায় আল্লাহ তার বান্দাদের ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেন না।
ইয়া আল্লাহ আমি আপনি ছাড়া আর কাউকেই ভয় পাই না।আমরা বিয়েটা আপনাকে ভয় পেয়ে করেছি।আর কেউ না বুঝুক।আপনি সব জানেন বুঝেন।আপনিতো আমাদের মা বাবার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন।আপনি আমাদের আপনার আরশের ছায়াতলে ঢেকে নিন।
আমরা কোনো ভুল করলে ক্ষমা করে দিন।বিয়ের আগে শয়তানের প্ররোচনায় করা সকল গুনাহের জন্য আমি আপনার কাছে হাত দুই হাত তুলে সিজদায় নত হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি।আমাদের ক্ষমা করে দিবেন মহান করুনাময় আল্লাহ তায়ালা।
আমরাতো ভালোবেসেছি।কাউকে ভালোবাসা ইবাদত এর সমতুল্য যদি তা হালাল ভাবে হয়ে থাকে।আপনি আমাদের আপনার রহমতের ছায়ায় কবুল করুন।
আমার স্বামীর উপর আসা বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করুন।আপনি যদি আমাদের বিয়ে কবুল করে থাকেন তাহলে আমাদের সর্ম্পককে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সাহায্য করুন আল্লাহ।আপনি ছাড়া আপনার বান্দার আপন আর কেউই নেই।
আমীন।
মোনাযাত শেষে সিমরান দোয়া পড়তে লাগলো।
বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া~
(দোয়া ইউনুস)
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনাযযলিমিন।
সিমরান মোনাযাত শেষে আহসানকে কল করে।আহসান কিছুক্ষন পর কল ধরে।
আহসানঃনামাযে ছিলাম।
সিমরানঃওহ।আহসান।
আহসানঃহুম।বলো।
সিমরানঃবিয়ের আগে আমরা যে গুনাহ করেছি আল্লাহ তা মাফ করে দিবেন তো?
আহসান মুচকি হাসলো।
আহসানঃক্ষমা চেয়েছো আল্লাহর কাছে?
সিমরানঃহ্যা।
আহসান~
হাদীসে পাকে বর্ণিত শয়তান যখন আল্লাহ তায়ালাকে বলল হে আল্লাহ আমি তোমার বান্দাদেরকে ডান থেকে বাম থেকে আগে থেকে পিছে থেকে প্ররোচনা দিব।(ওয়ালা তাজিদু আকছারাহুম শাকিরিন) তুমি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবে না। তখন ফেরেশতারা খুবই আফসোস করতে লাগল ফেরেশতারা বলতে লাগল হে আল্লাহ আদম সন্তানের জন্য তো খুবই মুশকিল হয়ে গেল। এ শয়তান ডান বাম আগে পিছে থেকে হামলা করতে থাকবে আদম সন্তানের জন্যতো বাঁচার কোন পথই বাকি থাকল না।
 তখন আল্লাহ তায়ালা ফরমালেন হে ফেরেশতা শয়তান ২টি দিকের কথা ভুলে গেছে একটি উপরের দিক একটি নিচের দিক। সুতরাং আমার কোন বান্দা শয়তানের ধোকায় পড়ে যদি গুনাহ করে ফেলে আর তার ২ হাত উপরের দিকে তুলে আমার কাছে ক্ষমা চাই তার হাত উপরের দিক থেকে নিচে নামানোর আগে আগেই আমি আমার সে গুনাহগার বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দিব। তেমনি ভাবে শয়তান নিচের দিক থেকেও আক্রমন করতে পারবে না, তাই যখন আমার কোন বান্দা গুনাহ করে পেরেশান হয়ে ক্ষমার নিয়তে নিচের দিকে আমার বারেগাহে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে, সে নিচে থেকে মাথা উঠানোর আগে আগেই সে বান্দার গুনাহ আমি মাফ করে দিব। 
সিমরানঃসুবহানাল্লাহ।
 শয়তান আল্লাহর ইজ্জতের কসম খেয়ে বলেছিল হে আল্লাহ তোমার ইজ্জতের কসম আমি তোমার বান্দাদের গোমরা করব। 
তখন আল্লাহ শয়তানকে জবাবে বলল হে শয়তান তুমিও শুনে রাখ আমার বান্দারা তাদের বাতাকাজায়ে বশরিয়ত গুনাহ করতে থাকবে আর সে যদি মৃত্যু আসার আগে আগে গুনাহ থেকে তওবা করে ফেলে (ফাবিইজ্জাতি ওয়া জালালি) আমার ইজ্জত ও জালালের কসম আমি আমার বান্দার তামাম গুনাহকে ক্ষমা করে দিব। 
শয়তান প্ররোচিত করতে ১টি কসম খেল আর রহমান মাফ করার জন্য ২ কসম খেল। তাইতো আল্লাহ তায়ালার সকল সিফতের একটি করে নাম কিন্তু রহমতের সিফাতের ২টি নাম  রহমান ও রহিম। আর কোন সিফাত এমন নাই যার ২টি নাম আছে। তিনি এমন করিম আল্লাহ যিনি বান্দাকে মাফ করেই আনন্দিত হন।
সিমরানঃধন্যবাদ আপনাকে।আপনার মতো জীবনসজ্ঞী পেয়ে আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।আলহামদুলিল্লাহ। 
আহসানঃকিন্তু আমার মা বাবা আমার মতো ছেলে পেয়ে কৃতজ্ঞ না।
সিমরানঃআমি আছি তো।উনাদের একসাথে মানিয়ে নিবো।
আহসানঃহুম।
দুইজন এর মাঝে নিরবতা।আহসান বুঝতে পারলো সিমরান এর মন ভীষন খারাপ।আহসান সিমরান মনোযোগ সরানের জন্য দুষ্ট বুদ্ধি বের করলো।
আহসানঃমিস আহসান।আজকে কিন্তু লিগ্যালি আমাদের বাসররাত। 
সিমরানঃঘুম পাচ্ছে আমার।গুড নাইট।
আহসানঃতোমাকে লজ্জা পেলে টমেটো মনে হয়।আর টমেটো মানুষ কি করে জানো?
সিমরানঃসবজিতে দেয়।
আহসানঃখালি কি সবজিতে দেয়?আমি তো লবন ছাড়া এমনিতেই খেয়ে ফেলি।
সিমরানঃনিলর্জ্জ লোক।
সিমরান কল কেটে দিলো।আহসান দীর্ঘশ্বাস নিলো।
আহসানঃতুমি আমার দিনশেষের প্রশান্তি।
আহসান সিমরানকে আবার কল দেয়।
সিমরানঃআবার কি?এতো রাতে কথা বলা যাবে না।
আহসানঃকই যাও?।এখন থেকে আর কোথাও যাবে না।আমি কলে থাকবো সারারাত।মাউথপিস নাকের কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়ো।তোমার নিশ্বাস এর শব্দে ঘুমিয়ে পড়বো।কথা বলতে হবে না।
সিমরান মুচকি হাসলো।
সিমরানঃভালোবাসি জান জি।
আহসানঃঅনেক ভালোবাসি কলিজা।এখন ঘুমাও।
সিমরানঃহুম।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...

১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন