উপন্যাস       :         অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111111111111

২০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২১)

সিমরান~
আজকে বেড়াতে গিয়েছিলাম।অনেক দিন পর একটু সাজগোছ করেছি।এসে আহসানকে মেসেজ করলাম।

রাতঃ৮ঃ৩০।
আমার জন্য ১০ মিনিট সময় হবে?
মেসেজ এর রিপ্লাই আসলো না।আমি মন খারাপ করে অপেক্ষা করতে লাগলাম।৩০ মিনিট অপেক্ষার করেও কোনো রিপ্লাই আসলো না।আমি ড্রেস চেঞ্জ করে ফেললাম।তখন টুং করে মেসেজ এর শব্দ আসলো।
আহসান~
হ্যা অবশ্যই।
কই গো?
কি করো জানজ্বি?

একটার পর একটা কল দিচ্ছে।আমি কল কেটে মেসেজ করলাম কল করবেন না।এখন কথা বললেই ঝগড়া লাগবে।
এতোক্ষন আসলো না যেই ড্রেসটা চেঞ্জ করে ফেললাম তখনই মেসেজ করলো। মেজাজটাই বিগড়ে গেলো।আবারো রিপ্লাই করলাম।
সিমরান~
মরে গেসি।
আহসান~ কি হলো জ্বান জ্বি?
সিমরান~ কিছু না।যা করছিলে করো।Thank u...
আহসান~welcome. 
একতো রাগ উঠায়।তারপর না মানিয়ে উলটো রাগ বাড়িয়ে দেয়।এটিটিউড এর দোকান।আমি আর মেসেজই দিবো না।ফোন রেখে টিভি দেখতে লাগলাম।

রাত~১১ঃ৩০
আহসান এর মেসেজ আসলো।
আহসান~কি করো জ্বান জী?
মেসেজ দেখে রিপ্লাই করবো না করবো না ভেবে করেই ফেললাম।
~তোমার কি!! কই থাকো সারাদিন?অনেক ব্যস্ত থাকে আজকাল।ব্যস্ত থাকলে বলে দাও।অনেএএএএক ব্যস্ত তুমি।হুদাই মেসেজ দিয়ে এক্সপেকটেশন রাখবো না।
আহসান~অনেএএক ব্যস্ত আমি।
সিমরানঃআরেকটা বিয়ে করছো যে এতো ব্যস্ত?সংসার করছো আমার সতীন এর সাথে?
আহসানঃহ্যা।বিয়ে করেছি।
সিমরানঃতাহলে আমাকে মেসেজ দিচ্ছো কেন?যাও ওই বউয়ের কাছে।এখন ওই বউ কোথায়?
আহসানঃআমার পাশেই শুয়ে আছে।
সিমরানঃভালো।
শরীরটা জ্বলে গেলো কথা শুনে।অনেক রাগ উঠছে দিলাম ব্লক করে।ব্লক করে দিয়ে কান্না করলাম কতক্ষন। কাদতে কাদতে একটা সময় ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরের দিন আর কথা হয় নাই।ফোনে ডিরেক্ট কল আসলো আহসান এর। 
ধরতেই বললো
 আমার ভার্সিটি থেকে আসতে আসতে সন্ধ্যা ৬ টা বাজবে।সব টিউশনি শেষ করে রেডি থেকো।বলেই কল কাট করে দিলো।আমি সারাদিন ভাবলাম যাবো কি যাবো না।ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে গেলো।

আহসান মেসেজ করলো।
_তোমার বাসার নিচে অপেক্ষা করছি।না আসলে আমি উপরে চলে আসবো।
নিরুপায় হয়ে রেডি হয়ে বের হলাম।আম্মুকে বলেছিলাম টিউশনি আছে।তাই আম্মু কিছু বলে নাই।
রাস্তায় হাটতে হাটতেই আহসানকে কল করলাম।
_কই আপনি?
_তোমার বাসার কাছেই তো। গলির মুখে।
_কই দেখি না তো।
_তুমি কই?
_বাসায়।
_বাসায় বসে দেখবে আমাকে?না বের হলে দেখবে কি করে।
_আচ্ছা দাড়ান। আমি আসছি।
_হুম।

কলটা কেটেই আহসান এর সামনে যেয়ে দাড়ালাম।আহসান চমকে উঠলো আমাকে দেখে।আমার খুব হাসি পেলো।মজাও লাগলো ব্যাপারটা।উনি হয়তো আশা করেছিলেন কল কাটার পর কম হলেও ১০ মিনিট লাগবে আমার আসতে।কিন্তু কল রাখার সাথে সাথেই যে আমাকে সামনে পাবে ভাবে নাই বেচারা।

আমাকে কিছু না বলে একটা রিকশা ঠিক করলো।তারপর আমরা রিকশায় উঠে পড়লাম।
পুরোটা রাস্তায় উনি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।কিন্তু আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম।কারন আমি রেগে আছি।আমি কেন তাকাবো!!উনি এবার আমার চোখ গুলো অনুসরণ করে যে দিকে তাকিয়ে ছিলাম সেদিকে তাকালেন।ঠিক সেই সময় আমার চোখ যেই দিকে ছিলো সে দিকে কিছু ছেলে হাটছিলো।আহসান সেটা দেখে আমার দিকে তাকাতেই আমি তাৎক্ষণিক তার দিকে তাকাই।উনি আবার এটা না ভেবে বসে পাশে স্বামী রেখে অন্য ছেলেদের দেখছি।ইয়া আল্লাহ।চলতি রিকশায় কখনো স্বামীর সাথে এভাবে রাগ প্রকাশ করতে নেই।

উনার দিকে তাকানোতে উনি কিছুটা স্বস্তি পেলেন। এখনো ও দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার আবার উলটা রাগ ভাংগাতে হতো। আল্লাহ বাচিয়েছে।
রিকশাটা বিকাশ এর বাসার সামনে এসে থামলো।বিকাশ উনার সেই ফ্রেন্ড যার বাসার ছাদে বিয়ের দিন এসেছিলাম।আজকেও হয়তো ছাদেই নিয়ে যাবেন।আমি তো চুপপি মেরে আছি এখনো মুখ খুলছি না।

ছাদে যেয়ে দুইজনই একটু দূরত্ব রেখে বসে পড়লাম।আমি ফোনটা বের করে ফ্রেন্ড দের চ্যাট করছি।উনার দিকে তাকাচ্ছিও না।
আহসানঃএখানে কি ফোন চালাতে আসছো?
সিমরানঃতো কি করবো?
আহসানঃফোন চালানোর থাকলে তো বাসায়ই চালাতে পারতে।এখানে কেন এসেছো। বাসায় তো ওয়াইফাই ছিলোই।
সিমরানঃএখানে বাতাস খেতে এসেছি।দেখেছেন ছাদে কি মিষ্টি বাতাস?
আহসানঃখাও তাইলে বাতাসই খাও।
সিমরানঃহুম খাচ্ছি।

আমিও আবারো ফোন চালাচ্ছি।আহসান ফোনটা কেড়ে নিলো।
আহসানঃবাতাস খেতে এসেছো বাতাস খাও।ফোন  চালাবে না একদম। 
কি আর করার বসে বসে বাতাস খাই।আহসান আমার হাতটা টেনে নিজের হাতের মাঝে লক করে নিলো।আমি এখন ও কিছুই বললাম না।
আহসানঃকালকে এমন করলে কেন?হুট করে রেগে গেলে কেন?
এখন বলবে এমনেই।তোমার এমনি এমনি রাগারাগি করতে ভালো লাগে তাই না?সব আমার আদর পাওয়ার জন্য করো।বুঝি তো।
সিমরানঃআপনি কি আর রাগ ভাংগাতে পারেন!কালকে রাগ করেছি মানিয়েছিলেন আমাকে?
আহসানঃকি করে মানাবো?তুমি মানানোর সুযোগ দাও? কল দিলে বলো এখন দিবেন না।কথা বললে ঝগড়া লাগবে।যদি সুযোগই না দাও তাহলে কি করে মানাবো?
সিমরানঃজানি না।

আহসান এইবার আমাকে তার বুকের মাঝে আবদ্ধ করে নিলেন।
আহসানঃতুমি আমাকে একটুও আদর করো না।
সিমরানঃতাতে কি?তোমার আর একটা বউ আছে না তার থেকে আদর নিয়ে নিবে।
আহসানঃওই বউ ও আদর করে না।
সিমরানঃতাহলে আর একটা বিয়ে করো। ইসলামে চারটা বিয়ে জায়েজ।
আহসান এইবার আমাকে বুক থেকে সরিয়ে গালে হাল্কা করে ঘুষি দিলেন।
আহসান~একটা দিবো ধরে।অনেক সাহস বেড়েছে?বিয়ে বিয়ে করছো কেন!!হা?আমাকে কি ওই রকম পুরুষ মনে হয় যে চাহিদা পূরন এর জন্য ১০ টা বিয়ে করবে। হা?
আমি বলছি আমার আরো বউ লাগবে?আমার জন্য তুমি একাই যথেষ্ট।বুঝেছো?
আহসান এর কথাগুলো মনের কোনে গড়া রাগ এর পাহাড়টা নিমিষেই ভেঙে চুরমার করে দিলো।এই মানুষটা এমন কেন!

পুরুষবাদী সমাজে যেখানে পুরুষেরা একের অধিক স্ত্রী রাখতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে সেখানে অনুমতি দেয়া সত্ত্বেও আমার স্বামী আমার অধিকার অন্য কাউকে দিতে নারাজ।এমন মানুষের সাথে কি আর রাগ ধরে রাখা যায়?
আমি আহসান এর বুকে ভিতর ঢুকে পড়ি।তার হ্রদয়ের এর প্রতিটি স্পন্দন এর শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি।
সিমরানঃতোমার হ্রদয় ধুক ধুক শব্দ করে।
আহসানঃতোমার হ্রদয়ও ধুক ধুক করেই শব্দ করে।
সিমরানঃতুমি কি করে জানলে?তুমি তো কখনো শুনো নাই।
আহসানঃআচ্ছা।তাহলে দাও শুনে বলি।
সিমরানঃনাআয়ায়ায়া।No.
আহসানঃভীতুর ডিম।আমি কি খেয়ে ফেলবো তোমাকে?
সিমরানঃহুম।

রাত গভীর হচ্ছে বলে শীত ও বেড়ে যাচ্ছে।আমার হাত পা ঠান্ডা বরফ হয়ে আসছে।কিন্তু আহসান এর হাত গরম।আমি তার হাতে মাঝে দুই হাত রেখে আমার হাত গরম করছি।
সিমরানঃআচ্ছা।বলো তো তোমার শরিরে কোন দুইটা অংশ আমার খুব প্রিয়?
আহসানঃহাত আর গাল? ঠিক আছে?
সিমরানঃহি হি হি।হুম।তোমার গালের খোচা খোচা দাড়ি আর হাত দুইটা আমার খুব ভালো লাগে।

আহসানঃহ্যা।এই দুইটা জিনিস কেটে রেখে দাও তুমি বাকি সব ফেলে দেই।হা?
আমি আহসান এর দাড়িগুলোর সাথে গাল ঘষলাম।
আহসানঃব্যাথা পাচ্ছো না?ধার হয়ে আছে তো।
সিমরানঃউহুম।ব্যাথা লাগছে না।
আহসান তবুও শুনলো না।আমাকে সরিয়ে দিলো।
আহসানঃএখন বুঝতে পারছো না।একটু পরই গাল জ্বলবে।
আমি এইবার আহসান এর হাতে ঠোঁট ঘষতে লাগলাম।
আহসান আমার কাধে মাথা রাখলো।

আহসানঃপিঠ ব্যাথা হয়ে গিয়েছে বাস জার্নি করে।৪ ঘন্টা জ্যামে বসে ছিলাম।
আহসান আমার কাধে মাথা রাখায় উনার চুলের ঘ্রান নাকে লাগছে।
ছেলেরা বলে মেয়েদের চুলে নাকি অনেক সুবাস। কিন্তু তারা কি জানে তাদের গায়ে আর চুলেও পারফিউম বিহীন মিষ্টি সুবাস আলতো করে জড়িয়ে থাকে।এই ঘ্রানটা অনুধাবন করার ক্ষমতা একজন স্ত্রী ব্যতিত আর কারো নেই।এটা শুধু স্ত্রীরাই অনুধাবন করতে পারে।
সিমরানঃচশমাটা ভেঙে যাবে তো।
আহসানঃওহ।আগেই বললেই পারতে চশমার জন্য আদর করতে পারছো না।তাহলে আগেই খুলে ফেলতাম।
আহসান চশমাটা খুলে পাশে রেখে দিলো।আর আমার ঘাড়ে ঠোঁট ছোয়ালো।আমি চোখ দুটো খিচে বন্ধ করে নিলাম।
আমার দিকে তাকিয়ে সরে আসলো।
আহসানঃএতো ভয় পাও কেন আমাকে?আমি কি খেয়ে ফেলবো তোমাকে?
সিমরানঃআমার সুড়সুড়ি লাগে।সত্যি তোমার দাড়ির ঘষায় আমার সারা গা ঝিম ঝিম করে উঠে।

আহসান মুচকি হেসে আমাকে আলতো করে জড়িয়ে  নিলো।
আহসানঃজানো স্বামী আদর করতে চাইলে তাকে আদর করতে দিতে হয়।এভাবে বাধা দিতে হয় না।
সিমরানঃআর আদর করতে যেয়ে যদি আমি প্রগন্যান্ট হয়ে যাই তখন?আমরা সেই রকম পরিস্থিতেতে নেই যে বাচ্চাকে লালন পালন করতে পারবো আর নিজেদের ভুলের জন্য নিষ্পাপ প্রান এর ক্ষতি করার মতো মা আমি হতে পারবো না।তার জন্য যদি আমাদের ধৈয্য ধরতে হয় তাই হবে।
আহসানঃআদর করলেই কি মানুষ প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়?
সিমরানঃআমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না।

আহসান আর কিছুই বললো না।কিছুক্ষন পর ফোনটা বেজে উঠলো।আহসান এর আম্মু কল দিয়েছে বাসায় যাওয়ার জন্য।আহসান কথা বলে কল রেখে দিলো।
আহসানঃচলো তাহলে উঠি?দেরি করলে আম্মু মারবে।
সিমরানঃতুমি এখনো বাচ্চা?
আহসানঃনা।কিন্তু আম্মুর কাছে তো আমি এখনো বাচ্চা। কোথাও গেলে ২ ঘন্টার জায়গায় তিন ঘন্টা লাগলে আম্মু কেদে কেটে বাড়ি মাথায় তুলে নেয়।
আমি মুচকি হাসলাম। 

সব মায়ের কাছেই তার সন্তান বাচ্চা।আর খুব আদরের।এই যে একটু আগে আমিও তো নিজের আগে আমার না আসা সন্তান এর কথা ভেবেছিলাম।যেই সন্তান আমার গর্ভেই আসে নাই তাকে নিয়ে আমার এতো চিন্তা আর আহসানকে তো উনার আম্মু লালন পালন করে এতো বড় করেছেন।

আচ্ছা কখনো যদি উনার তার আম্মু আর আমার মাঝে একজনকে বেছে নিতে হয় তখন তিনি কি করবেন?
আহসানঃআরো থাকবে?
সিমরানঃ না চলুন।
রাস্তায় এসে হাটছি আর রিকশা খুজছি।আহসান এর দিকে তাকাতেই মনে হয় এই রকম ছেলেকেই মেয়েরা গল্পের নায়ক হিসেবে খুজে।লম্বা,ঠোঁট গোলাপি চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা,গায়ে কালো জ্যাকেট, সুন্দর করে  শেপ করা খোচা খোচা দাড়ি।
মেয়েরা ইনাকে গল্পের নায়ক ভাববে কি না আমি জানি না কিন্তু আমার চোখে প্রতিটা গল্পের নায়ক হিসেবে আহসানকে মানায়।
সিমরানঃদুপুরে কিছু খেয়েছিলে?

আহসানঃহুম।১০ টাকা দিয়ে একটা বাটার বন কিনে খেয়েছিলাম।
সিমরানঃএখন ৮ঃ৩০ বাজে।এই একটা রুটির উপর এতোক্ষন যাবত টিকে আছো?
আজকে দেখা না করলেই পারতে।বাসায় যেয়ে ভাত খেয়ে নিতে এতক্ষনে।
আহসান মুখের হাসি বজায় রেখে উত্তর দিলো~
তোমাকে দেখে পেট ভরে গিয়েছে।

আহসান একটা রিকশা ঠিক করলো ৭০ টাকা ভাড়া।তারপর আমাকে নিয়ে উঠে পড়লো।
আমি রিকশায় উঠে ভাবছি।আমাকে রিকশায় করে নিয়ে আসা আর যাওয়া যাবত আহসান এর ১১০ টাকা খরচ হয়েছে।আর উনি ১০ টাকার রুটি খেয়ে এতোক্ষন যাবত টিকে আছে।যার মানে উনার কাছে বেশি টাকা ছিলো না তাই উনি দুপুরে শুধু একটা রুটি খেয়েছেন।
সব হিসাব নিকাশ করে যা বুঝলাম মানুষটা টাকা বাচাতে সকাল থেকে রাত ১০ টাকা খরচ করেছে অথচ আমার যাতে কষ্ট না হয় তাই সেই কষ্ট করে বাচানো টাকা দিয়ে রিকশায় করে নিয়ে আসলেন দিয়ে আসছেন।

যেই মানুষ পকেটে কম টাকা রেখেও স্ত্রীকে বিলাসিতার জীবন দিতে পারে সেই মানুষ বড়লোক থাকলে আমাকে রানী করে রাখতেন কোনো সন্দেহ নেই।
কথাটা ভাবতে ভাবতে চোখটা ভেজা অনুভব হলো।

পথ শেষ হয়ে আসছে বলে আহসান আমার হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন।
আহসানঃইশহহ। হাতটা আবারো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।বেশি করে খাওয়া দাওয়া করবে বুঝলে?শরীরে একটু রক্ত নেই।

সিমরানঃহুম।
আহসানঃরাস্তায় ভুট্টা কোথাও দেখলাম না।তুমি আমার কাছে ভুট্টা খেয়ে চেয়েছিলে।পেলে নিয়ে দিতাম।
সিমরানঃআমার এখন আর ইচ্ছে করছে না।
আহসানঃতবুও।আচ্ছা কালকে কোথাও দেখকে নিয়ে আসবো নি।
আমি আমার পাশে বসে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে শুকর আলহামদুলিল্লাহ বললাম।
রিকশা আমার বাড়ির কাছাকাছি আসতেই আমি নেমে পড়লাম।
আহসানঃআল্লাহ হাফেয। সাবধানে যেও।
সিমরানঃহুম।আল্লাহ হাফেয।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...

২২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন