উপন্যাস       :         অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111111111111

১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২০)

আহসান বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছে।
আহসানঃআমি বুঝি না মার সমস্যাটা কি সিমরান এর সাথে। শুরু থেকে তার সাথে লেগে পরে আছেন।বাসায় থাকতেই ইচ্ছে করে না।
আহসান এর ফোনটা বেজে উঠলো।কল ধরতেই সিমরান এর কন্ঠ ভেসে আসে।
সিমরানঃকি করো?
আহসানঃহাটতেসি।
সিমরানঃহাটছি মানে?কোথাও যাচ্ছো?
আহসানঃআমার তো আর যাওয়ার জায়গা নেই। তাই রাস্তায়ই হাটছি।
সিমরানঃকিছু হয়েছে?
আহসানঃনা।
সিমরানঃকোথায় এখন? 
আহসানঃলালবাগ।
সিমরানঃএতদূর হেটে গিয়েছো?
আহসানঃহ্যা।
সিমরানঃআমি আসছি।লোকেশন পাঠাও।
আহসানঃকোনো দরকার নাই।
আহসান কল কেটে দিলো।
আহসানঃআমার নিজেরই যাওয়ার জায়গা নেই। আবার উনাকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবো।ধ্যাত।
সিমরান এর ফোনে আহসান এর লোকেশন শেয়ার করা ছিলো।সেখান থেকে লোকেশন পেয়ে গেলো।

তারপর পারভীন বেগম এর কাছে গেলো।
সিমরানঃআম্মু।
পারভীনঃহুম।বল।
সিমরানঃএকটু রাইতার বাসায় যেতে হবে।
পারভীনঃকেন?
সিমরানঃবই আনতে।
পারভীনঃতাড়াতাড়ি এসে পরবি।
সিমরানঃআচ্ছা।
সিমরান রেডি হয়ে আহসান এ লোকেশন এ চলে আসলো।
আহসান এখনো সিমরানকে খেয়াল করে নাই।সে এক ধ্যানে হাটছে।
সিমরানঃভাউউউউ।
অন্য ধ্যানে ছিলো বলে আহসান ভয়ে ছিটকে মেইন রোডে পড়তে নিয়েছিলো সিমরান হাত ধরে টান দেয়।
সিমরানঃআহারে ভয় পেয়ে গেলো আমার জ্বান টা। থু থু থু।
রাগে আহসান চোখগুলো লাল রক্তবর্ণ ধারণ করে।
আহসানঃতুমি এখানে কি করে আসলে?
সিমরানঃসেটা কথা না কথা হলো এভাবেই রাস্তায় রাস্তায় ঘোরার মানে টা কি?কি সমস্যা হা?

আহসান কোনো উত্তর দিলো না।চুপচাপ থেকে রাগ নিয়ন্ত্রন করছে।সিমরান আহসান এর হাত ধরে হাটতে লাগলো।
সিমরানঃআচ্ছা বলতে হবে না।চলেন একসাথে হাটি।
আহসানঃকি করে আসলে?
সিমরানঃরিকশায় করে।
আহসানঃফোনের লোকেশনটা অফ করে দিতাম যদি আগে জানতাম তুমি এমন কিছু করবে।
সিমরানঃকরতেন সাহস থাকলে।তারপর আমি কি করতাম দেখতেন খালি।
আহসানঃআমার পকেটে দশ টাকাও নেই।
সিমরানঃআজকে বিনা টাকায় ঘুরে দেখিয়ে দিবো যে সব বউরা টাকা টাকা করে না।
আহসানঃতুমি আমাকে কেন এতো ভালোবাসো?
সিমরানঃজানিনা। শুধু জানি ভালোবাসি।
আহসান মলিন হাসলো।
সিমরানঃবাসায় আবারো আমাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছে?
আহসানঃভালো লাগছে না।
সিমরান আহসান এর হাতটা শক্ত করে ধরলো।
সিমরানঃআমি আছি তো।
আহসানঃতুমি আছো বলেই আমি টিকে আছি।
সিমরানঃহইসে হইসে। পাম মারতে হবে না।
আহসানঃআমি পাম মারসি?
সিমরানঃতা নয়তো কি!!
আহসানঃভালো কথার ভাত নাই!!
সিমরানঃহা হা হা।
আহসানও মুচকি হাসলো।
রাস্তায় লাগানো গাছ গুলো থেকে আহসান একটা গাদা ফুল ছিড়ে নিলো।তারপর তা সিমরান এর কানের পাশে গুজে দিলো।
আহসানঃগাছ থেকে বেশি আমার বউয়ের কানে মানাচ্ছে।
সিমরান এর ঠোঁট গুলো প্রসারিত হয়ে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠলো।
আহসান সিমরানকে নিয়ে রাস্তার পাশে থাকা উঁচু বেঞ্চে বসলো।তারপর মাটি থেকে ঘাস ছিড়ে নিলো।ঘাসটাকে সিমরান এর রিং ফিংগার এ গিট দিলো।
আহসানঃআজকে শুধু এতটুকুই দিতে পারবো।
সিমরান মাটি থেকে আর একটা ঘাস ছিড়ে নিয়ে আহসান এর বাম হাতে রিং ফিংগার এ পড়িয়ে দিলো।

সিমরানঃডাইমন্ড রিং থেকেও আমার কাছে এটাই বেশি দামী।আর খুব প্রিয়।আমার স্বামী ভালোবেসে দিয়েছে।আর কি লাগে!
 সিমরান আহসান এর হাতটা নিজের হাতে মুঠিতে নিয়ে আংগুল গুলো দিয়ে খেলা করছে। আর মুচকি মুচকি হাসছে।
আহসানঃকি করছো?
সিমরানঃতোমার হাতটা না অনেক সুন্দর। আমার খুব খুব খুব ভালো লাগে।তোমার মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় তোমার হাত গুলো।ধরলে মনে হয় আমি পৃথিবীর সব থেকে সেফ জায়গায় আছি।কোনো বিপদ আমাকে ছুইতে পারবে না।
আহসান শুধু হাসলো।কিছুই বললো না।
কিছুক্ষন পর হুট কর সিমরান রেগে গেলো।
আহসানঃকি হলো?
সিমরানঃস্বপ্নে তুমি ওই মেয়ের সাথে কি করছিলে?ওই সময় কলে ছিলাম বলে কিছু বলি নাই।এই বার তোমার খবরই আছে।
সিমরান পাশ থেকে একটা গাছের ডাল হাত তুলে নিলো।
সিমরানঃএইবার বলো!! ওই মেয়েটা কে হ্যা?ওর হাত ধরে হাটছিলে কেন?হ্যা।
আহসানঃকোন মেয়ে?
সিমরানঃওই যে সকালে স্বপ্নে দেখলাম যে।মেয়েটা সাদা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছিলো।তুমি ওর হাত বুকের সাথে লাগিয়ে হাটছিলে।
আহসানঃধুরো যা তো।যত্তসব আজাইরা ফাউ আলাপ।স্বপ্নে দেখছে নিজে এখন আমাকে জবাবদিহি করা হচ্ছে।

সিমরানঃতাহলে আমি তোমাকে কেন দেখলাম ওই মেয়েটার সাথে?কে ওই মেয়ে?
আহসানঃও ওই মেয়ের কথা বলছো?হ্যা ওই মেয়েটা না যে সাদা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছিলো?ওকে নিয়ে তো তোমার স্বপ্নের ঘুরতে গিয়েছিলাম। যা তুমি দেখে ফেলেছো!!
সিমরান গাছের ডালটা আহসান এর গলা বরাবর চাকুর মতো ধরলো।
সিমরানঃএকদম শেষ করে ফেলবো।
আহসানঃহ্যা।হ্যা।মেরেই ফেলোনা আমাকে।আমাকে মারলেই তো শান্তি। কি সুন্দর। জামাইকে গাছের ডাল দিয়ে পিটাচ্ছো।
সিমরান ডালটা নামিয়ে ফেলে।আর এক দিকে ঘুরে মন খারাপ করে বসে থাকে।
আহসান সিমরান এর গালে চুমু খায়।সিমরান পুরো ফ্রিজ হয়ে যায়।
আহসানঃএসব উল্টাপাল্টা ভাববে না বুঝলে?আমি তুমি ছাড়া আর কোন মেয়ের দিকেই তাকাই না।
সিমরানঃসত্যিই!
সিমরান এর চোখে পানি টলটল করছে।
আহসানঃহ্যা।লক্ষী।আমি শুধুই তোমার।
সিমরান খিল খিল করে হেসে দিলো।

Thoda sa mera hai thoda tumhara
Mila-jula sa yeh khwaab humaara
Ek meethi dhunn sunaayi
de rahi hai aaj kaal
Hans ke saare gham humaare
dega khushiyon mein badal
Mera pyar tera pyar
Mera pyar tera pyar
Main jitna tumhe dekhun
Mann yeh na bhare
Main jitna tumhe sochun
Mann yeh na bhare
Inn aankhon mein chhalakta hai
Mera pyar tera pyar
Kahin tujh mein dhadakta hai
Mera pyar tera pyar
Mera pyar tera pyar
Mera pyar tera pyar
Main jitna tumhe dekhun
Mann yeh naa bhare
Main jitna tumhe sochun
Mann yeh naa bhare

সিমরান হারিয়ে গেলো আহসান এর কন্ঠের মাঝে।
আহসানঃকি হলো?
সিমরানঃএতো সুন্দর গলা তোমার। গান শিখো নাই কেন?
আহসানঃইচ্ছে ছিল।গিটার ও বাজাতে পারি টুকটাক। কিন্তু মা দেয় নাই শিখতে।পচ্ছন্দ করেন না গান বাজনা।
সিমরানঃগানটা কে প্রফেশন বানালে অনেক ফেমাস হতে পারতে আজকে।খালি গলায় ও তোমার ভয়েস মারাত্নক সুন্দর।
আহসান হাসলো।
আহসানঃএখন চলো বাসায় দিয়ে আসি।আম্মু টেনশন করবে তোমার জন্য।
সিমরানঃআমি যেতে পারবো।তুমিও বাসায় যাও।মা তোমার জন্য এতক্ষনে পাগল হয়ে গিয়েছেন হয়তো।
আহসানঃহুম যাবো।আগে তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি তারপর।
সিমরানঃআমি একা যেতে পারবো তো।
আহসানঃস্বামীর কথাতো শুনবে না।আমাকে তো দামই দাও না।আমার কথার কোনো মূল্য আছে না কি।
সিমরানঃআরে। আরে।থামেন।আর ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে হবে না।
আহসানঃআমি ইমোশনাল ব্লাক মেইল করি?
সিমরানঃনা না।আমি করি।
আহসানঃ😒
সিমরানঃহা হা হা।
আহসান সিমরানকে বাসায় দিয়ে চলে গেলো।
সিমরান বাসায় যেয়ে ফুরফুরে মনে ফেসবুক চালাতে লাগলো।তখনই নোটিফিকেশন আসলো মেসেঞ্জার থেকে।সিমরান সেটাতে ঢুকে দেখে মিষ্টি সিমরান এর নিক নেম ক্লিয়ার করে ফেলেছে।সিমরান ও মিষ্টির নিকনেম ক্লিয়ার করে ফেলে।
তখন মিষ্টি ম্যাসেজ করে~
মিষ্টিঃদেবরতো পেয়ে গেসোত।ভাবীর নিকনেমতো ক্লিয়ার করবিই।
একটা মানুষ আর কত লিমিট ক্রস করবে।
সিমরানঃ🙂 
মিষ্টিঃতোর থেকে ধোকা ছাড়া কিছুই আশা করি নেই।
সিমরানঃ🙂
মিষ্টিঃযাক তোকে এসব বলে লাভ নাই।যার মনে খারাবি তাকে আর কি বা বলার আছে।
যার সাহস এতো বড়।আমার সাথে এগুলো চলবে না।আমাকে কলিজা দেখাবি না।সিরিয়াসলি হেট করি তোকে।
সিমরানঃতো করো। আমি কি মানা করছি করতে?
মিষ্টিঃএটাই তোর আস্পর্ধা। যে বোন বলে ধোকা দেয় সে যে কি তা আমার জানা আছে।
সিমরানঃআল্লাহ তোমাকে হেদায়েত দান করুক।
মিষ্টিঃতুই নিজে সীমা লংঘনকারী।
সিমরানঃআর কিছু বলবে?বলে খুশি হলে বলে ফেলো।
মিষ্টিঃআমার মন খুশি হবে ধোকা খায়া।😂😂
সিমরানঃএতো কিছুতো বললে। এইবার কষ্ট করে এটাও বলে ফেলো।আমি তোমাকে কি ধোকা দিলাম?
মিষ্টিঃতেজ কি মেয়ের!ঝাল দেখিয়ে কথা বলে।তোর মতো ভালো মানুষ আর একটাও হয় না।

সিমরানঃতুমিই নিজেই আমাকে ভাল বলছো আবার নিজেই আমাকে খারাপ বলছো।তুমি আগে নিজে শিউর হও আমি ভালো নাকি খারাপ?তুমি কি মেসেজ দিয়েছো কথা শোনাতে?
মিষ্টিঃহ্যা।আমার সামনেও আসবি না। সোশাল।মিডিয়াতে ও না বাস্তবেও না।সামনে আসলে কথা শুনতে হবে।একদম দূর হয়ে যাবি। 
সিমরানঃAs your Wish.
মিষ্টিঃএতো ভাব কেন শুনি?
সিমরানঃভাব কই!! আমি তো কিছুই বললাম না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব তুমিই বলছো।
মিষ্টিঃনিক নেম কেন ক্লিয়ার করলি?
সিমরানঃতুমিও তো করছো?
মিষ্টিঃতোর মতো মেয়েকে আর কি বা বলবো।
সিমরানঃআমার মতো মেয়েই এককালে তোমার বোন ছিল।যাকে ছোট করে কথা বলার একটা সুযোগ ও তুমি ছাড়ো নাই।
মিষ্টিঃএমন বোন আমার লাগবে না।Only blood is real.আর ছোট আছিস ছোট হতে ভালো লাগে না।এতো কিসের ইগো!?আমার সাথে ধক দেখিয়ে কথা বলবি না।একদম তোর মার কাছে বলে দিবো।

সিমরানঃ🙂
সিমরান ফোনটা অফ করে দিলো।
মিষ্টিঃএরপর মনে হয়না ও কখনো আর এই বাসায় আসতে চাইবে।হা হা হা।আমার পথের কাটা কি করে তুলতে হয় তা আমি ভালো করে জানি।(মনে মনে)
সিমরান ফোন বন্ধ করে নামাজে কাদতে লাগলো।
সিমরানঃইয়া আল্লাহ।আমার জীবনটা এমন কেন হয়ে গেলো!!বিয়ে করে কি আমি খুব বেশি অন্যায় করে ফেলেছি।হারাম সর্ম্পকই কি ভালো ছিলো?
মিষ্টি আপু আমাকে কতটা আঘাত দিয়ে কথা বললো।উনি কি ভুলে গিয়েছেন। উনি নিজেকে বাচাতে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন।আমি তো তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম।আজ যদি আমি ভুল ও করে থাকি উনি আমাকে বোঝাতে পারতেন। উনি এতোটা খারাপ আচরন কেন করলেন।আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি তার ব্যবহারে।
ইয়া আল্লাহ আমার সহায় হও।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...

২১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন