উপন্যাস : রোদেলা আকাশে বৃষ্টি
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “রোদেলা আকাশে বৃষ্টি” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান |
০২ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান (পর্ব - ০৩)
মাথায় পেঁচানো সাদা আর গোলাপি চেকের গামছাটা খুলতেই আধভেজা চুলগুলো বাঁধন মুক্ত হয়ে পিঠে ছড়িয়ে পরে। হাতের গামছাটা বারান্দার রশিতে মেলতে মেলতে বাহিরের দিকে তাকায় অনল। বাহিরে তাকাতেই চোখে পড়ে নীল আকাশের বুকে ভেসে চলছে সাদা সাদা তুলোর ন্যায় মেঘগুলো। কি অপরূপ দৃশ্য। মুগ্ধ নয়নে কিছুক্ষণ দেখতে থাকে অনল। হঠাৎ মাথা আসে দৃশ্যটা ক্যামেরা বন্ধি করলে কেমন হয়। এতো সুন্দর দৃশ্য শুধু নিজের স্মৃতির পাতায় না রেখে, ক্যামেরা মেমরিতে রাখলে সবাইকে দেখাতে পারবে। ছুটে চলে যায় রুমে। বেড সাইট টেবিলের উপরে চার্জে থাকা ফোনটা খুলে হাতা নিয়ে আবার বারান্দায় দিকে পা বাড়ায় সে। বারান্দায় গিয়ে ফোনের পাওয়ার বাটন চেপে লক না খুলে ক্যামেরা ওপেন করে। ভিডিও স্টার্ট করতেই পিছন থেকে কেউ, "জানু" বলে জড়িয়ে ধরে। যার ফলে হাতে থাকা ফোনটা নিচে পরে যার। নিচে পড়া ফোনটার দিকে তাকিয়ে, বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে ফেলল অনল। ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকিয়ে কঠিন কন্ঠে বলল
- কি করলি এটা।
অনলকে জড়িয়ে ধরে থাকা বিন্দু তাকে ছেড়ে দিয়ে, সোজা হয়ে দাঁড়ায়। অনলের দিকে তাকিয়ে দাত কেলিয়ে বলল
- সরি জানু। ওভার-এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম তো, তাই নিজেকে সামলাতে পারিনি।
নিচু হয়ে ফোনটা তুলতে তুলতে অনল বলল
- আমার এতো সাধের ফোনটা ভাঙলে তোর ওভার-এক্সাইটেড আমি ছুটাতাম।
ফোন তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল
- তা কি নিয়ে এতো ওভার-এক্সাইটেড তুই?
বিন্দু কিছুটা লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে হাসিখুশি মুখে বলল
- আমি ক্রাশ খেয়েছি জানু।
অলন বিন্দুর কথায় পাত্তা না দিয়ে পুনরায় জিজ্ঞেস করল
- তারপর?
- তারপর আবার কি? আমি ক্রাশ খেয়েছি তাই আমি এক্সাইটেড।
- তা তো তুই ভাতের মতো সকাল বিকাল সারাদিনই খাস। এতে নতুন কি?
- আরে এইবারের ক্রাশ আগের গুলোর মতন কোন নরমাল ক্রাশ না। এই ক্রাশ নিয়ে আমি সিরিয়াস।
- আচ্ছা তা কার উপর এই এবনরমাল ক্রাশ খেয়েছিস শুনি?
বিন্দু উৎফুল্ল কন্ঠে বলল
- ডাক্তার অর্থ মাহবুব।
অনল চোখ দুটো ছোট ছোট করে প্রশ্ন করল
- এ আবার কে?
- আজকে যে চোখের ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি উনি। চল তোকে ছবি দেখাই।
বিন্দু অনলকে হাত ধরে টেনে বিছানায় বসিয়ে হাতে হসপিটালের ফাইল দেয়। অনল ফাইলটা খুলে। হাতের বামপাশে কভারের সাথে স্ট্যাবলার করা কার্ডটায় চোখ বুলয়। যেখানে লেখা আছে -
Dr. Artho Mahbub
MBBS (DMC) DO (DU) FCPS (EYE)
Ophthalmology / Eye Specialist & Surgeon
Afifa Medical College Hospital, Dhaka
সাথে আছে একজন সুদর্শন যুবকের ছবি। ছবিটিতে চোখ বুলিয়ে বিন্দুর দিকে তাকিয়ে অনল প্রশ্ন করল
- এ তো ফর্সা! তোর না শ্যামল কুমার চাই? চোখে চশমাও তো নাই।
- অরে ওটা তো এমনি। মানে শ্যামল কুমার ওয়ার্ডটা শুনতে ভালো লাগে তাই বলতাম। ওসব বাদ দে। বলনা দেখতে কেমন? তোর পছন্দ হয়েছে?
- হুম্ম দেখতে তো ভালোই।
কথাটা বলতে বলতেই অনলের চোখ পরে ফার্স্ট পেইজের শেষের দিকে, সেখানে লেখা -
Suggestion for making an appointment with a psychologist.
অলন কপাল কুচকে জিজ্ঞেস করল
- সাইকোলজিস্ট এর কাছে কেন যেতে বলেছে?
বিন্দু আফসোসের সুরে বলল
- আমার ক্রাশটা হচ্ছে তোর মতো আনরোমান্টিক। আমি যে তার উপর ক্রাশ খেয়ে আসেপাশের সব কিছু ভুলে তার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। তার পাশে বেশিক্ষণ থাকার জন্য তাকে বারবার গ্লাস চেন্স করতে বলেছি। এই সামান্যতম জিনিসটাও সে বুঝেনি। দুনিয়ার সব আনরোমান্টিক মানুষগুলা যে কেন আমার প্রিয়জন হয়।
অনল কোতুহলী চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- কি করেছিআ তুই ডাক্তারের সাথে?
বিন্দু দাত কেলিয়ে হেসে সব বলল। সব শুনে অনল বলল
- দেখিস আবার তোর যন্ত্রণা তোর ক্রাশ না আবার বিয়ের আগেই সন্ন্যাসী হয়ে যায়।
- তাহলে আমিও সন্ন্যাসিনী হয়ে ওনার পিছে পিছে ঘুড়বো। ওনাকে আমি ছাড়ছি না।
🌦️
দিনের চতুর্থ প্রহর। রোদের তাপ কমতে শুরু করেছে তরতর করে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা হাতে ব্যাট বল নিয়ে যাচ্ছে মাঠের দিকে। বারান্দা থেকে নিজের আর নিশিরের শুকনো কাপড় এনে, খাটে বসে ভাঁজ করছে ইতি। কাপড়গুলো ভাঁজ করা শেষে প্রথমে নিজের কাপড়গুলো নিয়ে চার ড্রয়ারের ওয়ারড্রবের উপরের ড্রয়ারে রাখে। নিশিরের কাপড়গুলো রাখার জন্য দ্বিতীয় ড্রয়ার খুলতেই চোখে পরে ড্রয়ারের কর্ণারে রাখা সিগারেটের প্যাকেট। এই প্যাকেট এখানে কেন? সে তো মনে করেছে বেবি হবে জানার পর থেকে নিশির সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। যেহেতু তারপর থেকে নিশিরকে আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে দেখেনি সে। তারমানে সে ভুল ছিল! নিশির এখনো সিগারেট খায়। কিন্তু তার সামনে খায় না। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে সে। মনে পরে যায় প্রথম যেদিন নিশিরকে সিগারেট খেতে দেখেছিল সেদিনের কথা।
আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগের কথা --------
দুপুরবেলা। গ্রামের আঁকাবাকা মাটির রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছে শ্যাম সুন্দরী ইতি। পরনে আকাশী রঙের সেলোয়ার-কামিজ। বাম কাধে কলেজের কালো রঙের ব্যাগ। ডান হাতে গাঢ় লাল রঙের ছাতা। ছাতা মাথায় ধরে হেটে যাচ্ছে বাড়ির দিকে। দুপুর হওয়ার রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা। এই সময়ে মাঠে-ঘাটের বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ হয় মধ্যভোজন করছে, না হয় মধ্যভোজন পরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছে। তাই পরিবেশটা এখন বেশ নীরব। বাড়ির কাছের বড় পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ চোখ পরে পুকুরের পারে নীল টি-শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট পরে দাঁড়িয়ে থাকা, তার গোপনে নীরবে ভালোবাসার মানুষটার দিকে। এক ছুটে চলে যায় মানুষটার কাছে। মানুষটার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কন্ঠে বলল
- আসসালামু আলাইকুম নিশির ভাই। কেমন আছেন?
মেয়েলি কন্ঠস্বর কানে যেতেই পুকুরের দিক থেকে ঘুড়ে পিছনের দিকে তাকায় নিশির। ইতিকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শান্ত কন্ঠে বলল
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
নিশির পিছনে ঘুরতেই তার মুখটা দেখতে পায় সে। এতক্ষণ শুধু পিছনের দিকটাই সে দেখতে পাচ্ছিল। আর তা দেখেই সে চিনে গিয়েছিল। ভালোবাসার মানুষ বলে কথা, যার ভাবনায় সারাদিন মগ্ন থাকে তাকে চিনতে ভুল হয় কিভাবে। সে ভেবেছিল এতোদিন পর তার প্রিয় মানুষটাকে দেখে চোখ জুড়াবে। কিন্তু এ কি অবস্থা তার প্রিয় মানুষটার। উসকো-খুসকো চুল, শুকনো চোখ, দাড়ি-গোঁফ ভর্তি মুখ, হাতে জলন্ত সিগারেট। প্রিয় মানুষটার এমন বিধ্বস্ত রুপ দেখে মনটা তার খারাপ হয়ে গেল। ছোট করে উত্তর দিল
- ভালো।
- কলেজ থেকে ফিরছো? তা তোমার লেখাপড়া কেমন চলছে?
- জ্বি ভালো। কবে এসেছেন আপনি? কাল রাতেও না আমি আপনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আপনাকে তো দেখিনি?
- আজিকে সকালে এসেছি।
- ওহ।
নিশিরের কি হয়েছে তা জানতে ইচ্ছে হলেও প্রশ্নটা কিভাবে করবে তা বুঝতে পারছে না ইতি। নিশির আবার প্রশ্ন করল
- চাচি কেমন আছে?
- ভালো আছে।
কৌতুহল ধমাতে না পেরে ইতি হুট করে প্রশ্ন করল
- আপনি সিগারেট খান কবে থেকে?
- মাস কয়েক ধরে।
নিশিরের ভাবলেশহীন উত্তর। ইতি মলিন কন্ঠে বলল
- আপনি জানেন না সিগারেট খাওয়া সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কেন খাচ্ছেন এসব?
নিশির ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে হাসে। যেই হাসিতে কোন খুশি ছিল না। ছিল একরাশ কষ্ট। আবার ঘুড়ে দাঁড়ায় পুকুরের দিকে। জ্বলন্ত সিগারেটটা পুকুরে পানিতে ছুড়ে ফেলে। নিভে যাওয়া ভাসমান সিগারেটটার দিকে তাকিয়ে ইতিকে বলল
- তোমাকে একটা উপদেশ দেই। কাউকে কখনো ভালোবেসো না। ভালোবাসা এই সিগারেট থেকে বেশি ক্ষতিকারক।
----------------
সে তো আর জানে না। যে সে এই উপদেশ দেওয়ার অনেক আগেই তাকে মন দিয়ে ফেলেছে সে। সেদিন তার কষ্ট হয়েছিল। খুব কষ্ট হয়েছিল। এক তার ভালোবাসার মানুষটার এমন বিধ্বস্ত রুপ দেখে। আর দ্বিতীয়ত তার ভালোবাসার মানুষটার ভালোবাসা না পাওয়ার ফলে। পাশের রুম থেকে ভেসে আসা এক মহিলার কন্ঠে ধ্যান ভাঙে ইতির। মহিলাটা তাকে ডেকে বলল
- ইতি মা এদিকে আয় তো।
চোখের পানি মুছে ড্রয়ার লাগাতে লাগাতে ইতি উঁচু গলায় বলল
- আসছি মা।
দরজা ঠেলে রুমে ডুকলো মিসেস সাবিদা। রুমের মাঝে দাঁড়ানো মেয়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বুলোয়। ফর্সা গায়ে খয়েরী রঙের গাউন। ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপগ্লোস। পিঠ পর্যন্ত লম্বা চুল গুলো মাঝে সিঁথি করা। আর কানে ছোট এক জোড়া টপ। এই সাজ। না আছে মুখে কোন মেকাপ, না আছে চোখে কাজলের ছোঁয়া আর না আছে গলায় কিছু। মেয়ের সাজ দেখে কপাল কুচকে ফেললেন তিনি। চোখে মুখে বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে বলল
- এর থেকে বেশি হলো না।
পাশ থেকে বিন্দু ঠোঁট উল্টে বলল
- নাহ আন্টি জননী। অনেক চেস্টা করেছি। তোমার বান্দরনী মেয়ে বান্দরের মতো লাফালাফি শুরু করে, কিছু দিতে গেলে।
- কি তুই আমাকে বান্দর বললি! দাড়া তুই।
বলেই অনল বিন্দুকে ধরতে যায়। আর বিন্দু দৌড়ে গিয়ে মিসেস সাবিদার পিছনে লুকায়। মিসেস সাবিদা অনলকে চোখ রাঙিয়ে বলল
- তুই ওকে দৌড়াচ্ছিস কেন? ও ভুল কি বলছে।
অনল মুখ কুচকে বলল
- মা আমার সাজতে ভালো লাগে না।
মিসেস সাবিদা বিরক্তি নিয়ে বলল
- ভালো কিছুই তো তোদের ভাই-বোনের ভালো লাগে না।
বিন্দু মিসেস সাবিদার পিছন থেকে সামনে স্নিগ্ধার কাছে এসে বলল
- আচ্ছা বাদ দেও এই বান্দররের কথা। ওকে আপাতত আর কিছু বলোনা। শেষে দেখা যাবে বিয়ে ক্যান্সেল বলে বসে থাকবে। তার চেয়ে বল তো আমাদের বার্বি ডলকে কেমন লাগছে।
ফর্সা গায়ে সাদা, গোলাপি গাউন। কমোর ছুঁই ছুঁই লম্বা চুলগুলো বাম দিকে সিঁথি করে পনিটেল করে বেধে, শেষ প্রান্তে কার্লি করা। কানে আর গলায় ড্রেসের সাথে মেচিং জুয়েলারি। ঠোঁট হালকা গোলাপি লিপস্টিক। মিসেস সাবিদা স্নিগ্ধার গালে হাত রেখে বলল
- মাশাল্লাহ, খুব সুন্দর লাগছে।
স্নিগ্ধা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল।
- হুম। আমার লক্ষী বার্বিকে যা দেই, চুপচাপ তাই দেয়।
কথাটা বলতে বলতে বিন্দু আড় চোখে অনলের দিকে তাকায়। অলন বুঝতে পারে বিন্দু তাকে খোঁচা দিয়ে কথাটা বলেছে। তাই সে চোখ দুটো ছোট ছোট করে বিন্দুর দিকে তাকিয়ে কিছু বলবে তার আগেই, মিসেস সাবিদা বলল
- আচ্ছা সাজতে না হয় ভালো লাগে। অন্তত গলায় কিছু একটা পরাতি।
বিন্দু কিছু বলার আগেই অনল বলল
- গলায় কিছু পরলে আমার মনে হয় কেউ আমার গলায় ফাঁসির দড়ি দিয়েছে।
মিসেস সাবিদা রেগে গিয়ে বলল
- তোর মতো মেয়ের গলায় গরুর রশি দেওয়া দরকার।
পিছন থেকে মিসেস সাইদা বলল
- কি শুরু করেছ ভাবি। পাএপক্ষ নিচে বসে আছে। তাড়াতাড়ি চল।
মিসেস সাবিদা আর কথা না বাড়িয়ে বলল
- হুম্ম চল।
প্রথমে মিসেস সাবিদা পরে সাইদা তারপর অনল আর বিন্দু। আর সবার শেষে স্নিগ্ধা। সিঁড়ি দিয়ে নেমে ড্রয়িং রুমে আসে। একটা সিঙ্গেল সোফায় বসে আছে মিষ্টার যাবেদ। বড় সোফায় পাশাপাশি বসে আছে ৫০-৫৫ বছরের একজন ভদ্রমহিলা আর ৬০-৬৫ বছরের একজন ভদ্রলোক। অন্য একটা সিঙ্গেল সোফাতে বসে আছে ঘটক। এক সাইডে দাঁড়িয়ে আছে অলক। ভদ্রমহিলা অনলকে দেখে বলল, - বউমাকে আমার পাশে বসাও।
বিন্দু অনলকে ভদ্রমহিলার পাশে বসিয়ে তার পাশে দাঁড়ায়। ভদ্রমহিলা বিন্দুর গালে হাত দিয়ে মিষ্টি হেসে বলল
- মাশাল্লাহ। এই না হলে আমার ছেলের ,,,,,,
উহু উহু।
শব্দ করে উঠে তার পাশে বসা ভদ্রলোকটি। সবাই তার দিকে তাকালে ভদ্রলোকটি বলল
- মেয়ে আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে। আপনাদের যদি ছেলে পছন্দ হয় তাহলে আমরা আজকেই আংটি পরিয়ে বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে চাই।
মিষ্টার যাবেদ হাসিমুখে বলল
- আমাদের ছেলে পছন্দ হয়েছে।
ভদ্রলোকটি খুশি হয়ে বলল
- আলহামদুলিল্লাহ।
ভদ্রমহিলা পার্স থেকে আংটির বক্স বের করে, তা থেকে একটা ডায়মন্ডের আংটি বের করে অনলের অনামিকা আঙুলে পরিয়ে দেয়।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
০৪ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন