উপন্যাস : রোদেলা আকাশে বৃষ্টি
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “রোদেলা আকাশে বৃষ্টি” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান |
০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান (পর্ব - ০৪)
বহু বছর আগের কথা। তখন মানুষ আর পশুপাখির মতো গাছেরাও হেটে চলে বেড়াত। কথা বলত। একদিন দুপুর বেলা। বেশ রোদ। কেউ কোথাও নেই। একা একা একটা আঙুর গাছ ছাতা মাথায় দিয়ে হেলে দুলে পথ দিয়ে হেটে হেটে টিফিন করতে যাচ্ছিল। যেতে যেতে গুন গুন করে গানও গাইছিল। এমন সময় রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে একটা শিয়াল বেরিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে আঙুর গাছকে দেখেই সাঁ করে ফের ঝোপের ভিতরে ঢুকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। আঙুর গাছটা শিয়ালটাকে দেখেই গাছের ডাল দিয়ে পা জড়িয়ে কাছে টেনে নিয়ে খপ করে ঘাড় চেপে ধরল। আর শিয়ালটা ধরা পড়ে চেচাতে চেচাতে বলল
- ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও, আমি নয়, আমি নয়, ওটা অন্য শিয়াল।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। চোখ কট মট করে গাছটা শিয়ালকে ধমকে বলল
- চুপ, একটাও কথা নয়। চিরকাল আঙুর ফল টক বলে বলে আমার নাম খারাপ করে দিয়েছিস তুই। সেই কবে থেকে মানুষ আমাদের ফল তুলে কথা শোনায়! বহু দিন ধরে তোকে খুঁজছি। আজ তোকে দেখে নেব আমি!
ধমক খেয়ে শিয়ালটা কেমন আমতা আমতা করে বলল
- আজ নয়, আজ নয়, আজ আমাকে কিছু বোলো না। আজ আমার বিয়ে। এখন আমি টোপোর কিনতে যাচ্ছি।
এই শুনে আঙুর গাছটা মুচকি হেসে বলল
- যা ভাগ! তবে আমিও অভিশাপ দিলাম, এখন থেকে চিরকাল তোদের বিয়েতে রোদের মধ্যেই বৃষ্টি হবে।
সেই থেকে লোকে বলে এসেছে, রোদে রোদে বৃষ্টি হয়, খ্যাঁক শিয়ালের বিয়ে হয়।
[ শিয়াল আর আঙুর গাছের গল্পটা গুগল থেকে নেওয়া।]
মা'র কাছে বারবার বায়না করে এই গল্পটা শুনতো সে। এই গল্পটা ছিল তার সব থেকে প্রিয় গল্প। সাথে গ্রীষ্মের রোদের মধ্যে হঠাৎ আকাশ থেকে মুক্তার মতো ঝড়ে পড়া বৃষ্টিও তার বড্ড প্রিয়। যদিও এর নাম সান সাওয়ার বা সৌর ঝরনা। কিন্তু সে এটার নাম দিয়েছে, "রোদেলা আকাশে বৃষ্টি।" পরিবেশটা তার খুব পছন্দের হলেও তার বর্তমান পরিস্থিতিটা তার মোটেও পছন্দের না। তার কারণ তার সামনে বসে থাকা বয়স একএিশের যুবকটা। তার পূর্ণ বিশ্বাসে এই ঘটক বেটা এক জগ পানি ঢেলে কোথা থেকে যেন এক সপ্তাহের মধ্যে তার বর্ণনা মতো ছেলে খুজে এনেছে। ছেলে শ্যামবর্ণের। উচ্চতা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি। বয়স একএিশ। পেশায় এ.এ কোম্পানির ম্যানেজার। ছোট ফ্যামিলি। বাবা-মা আর ছেলে। সব শুনে আর ছেলের ভদ্র একটা ছবি দেখে সে রাজি হয়ে যায়। তাই শুক্রবার ছেলের বাবা-মা এসে আংটি পরিয়ে, একমাস পর বিয়ের ডেট ফিক্সড করে যায়। ছেলের নাকি কি জরুরী কাজ ছিল তাই শুক্রবার আসতে পারেনি। এটা শুনে তো সে খুব খুশি হয়েছিল। এমন কাজ পাগল ছেলেই তো সে চায়। এখন আফসোস হচ্ছে। প্রচুর আফসোস হচ্ছে। কেন যে সে বিয়েতে রাজী হয়েছিল। আর তার দোষই বা কোথায়, সে কি আর তখন জানতো এই ছেলেটা এত অভদ্র। সাধারণত বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে দেখা করতে আসলে, ছেলেরা আগে এসে বসে থাকে। এখানে উল্টো। তার আসার দশ মিনিট পর ছেলে এসেছে। সে যখন বাহিরের দিকে তাকিয়ে বসে বসে রাগে কটমট করছিল। তখনই এসে তার ঠিক সামনের চেয়ারটায় ধপাস করে বসে পরে। কথা নাই বার্তা নাই। সে কি খাবে তাকে না জিজ্ঞেস করেই ওয়েটারকে ডেকে দুই কাপ ব্লাক কফি ওর্ডার করে। সে কপাল কুঁচকে তাকালে ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে হেসে বলে
- সার্থক এই প্রেমিক। প্রেমিকার মুগ্ধ নয়নে আবদ্ধ হতে পেরে।
- হোয়াট! কে আপনার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে?
সে রেগে জিজ্ঞেস করতেই। প্রবাহ বুকের বাম পাশে ডান হাত রেখে বলে
- আহা কি দৃষ্টি অগ্নিকন্যা আমি ভস্ম হয়ে গেলাম তোমার রূপে।
তার একটা খুব বিরক্তিকর স্বভাব হচ্ছে সে বেশি রাগলে কথা বলতে পারে না। তার মুখ অটোমেটিক অফ হয়ে যায়। এখনো তাই হয়েছে। ছেলেটা তার বর্ণনা মতো হয়েও যেন হলো না। এই যেমন, ছেলেটা তার বর্ণনার মতোই শ্যামবর্ণের। কিন্তু কোন সুন্দর ছেলেদের থেকে কোন অংশেই কম অ্যাট্রাক্টিভ না। আশেপাশের সব মেয়েরা ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন এই ছেলে পৃথিবীর সব থেকে সুদর্শন যুবক।
কথা গুলো ভাবছে আর রেস্টুরেন্টের স্বচ্ছ কাচের মধ্যে দিকে রোদেলা আকাশ থেকে পরা মুক্তার দানাগুলোর দিকে তাকিয়ে চামিচ দিয়ে কাপের কফি নাড়ছে।
- আগে বললেই পারতে কফি না ওর্ডার করে তোমার জন্য জুস নিতাম।
মাথা ঘুড়িয়ে ভ্রু কুঁচকে সামনের দিকে তাকায় অনল। অনলের তাকানো দেখে প্রবাহ ঠোঁট দুটো হালকা প্রসারিত করে বলল
- না মানে তুমি যেভাবে কফিকে নাড়িয়ে নাড়িয়ে জুস বানাচ্ছো তাই বলছিলাম আর কি। কি জুস ওর্ডার দিবো? অরেঞ্জ, অ্যাপেল নাকি স্ট্রবেরি?
বিরক্ততে চোখ নামিয়ে নিল অনল। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে তার। কিন্তু কার উপর? তার সামনে বসে থাকা প্রবাহের উপর? নাকি ভুড়িওয়ালা ঘটকের উপর? নাকি তার নিজের উপর?
- আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন কি খাব।
- আমি তো জানতাম তুমি এই কফি হাউজের ব্লাক কফি খুব পছন্দ করো।
- বাহ! আমার সম্পর্কে অনেক খোঁজ খবর নিয়েছেন দেখছি।
- জীবনের প্রথম বিয়ে করতে যাচ্ছি বউ সম্পর্কে খোঁজ তো নিতেই হবে। তুমি চাইলে আমার পিছনে ডিটেকটিভ লাগিয়ে খবর নিতে পারো। আই ডোন্ট হ্যাভ এনি প্রবলেম।
- বিগত দশ মিনিটেই কনভারসেশনেই বুঝা যাচ্ছে আপনি কোন গোয়ালের গরু। এর জন্য ডিটেকটিভের প্রয়োজন নেই।
প্রবাহ মুখে দুঃখী হওয়ার ভান করে বলল
- এভাবে বলতে পারলে অগ্নিকন্যা, বুকে ব্যথা করলো না।
নিজের চুল এখন অনলের নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করছে। কে বলেছিল তাকে এই সব শর্ত দিতে। না সে শর্ত দিত আর না ঘটক বেটা এই অভদ্র, অসভ্য লোকটাকে ধরে নিয়ে আসতো। তার ভাবনার মাঝেই তার পাশ থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ বলে উঠলো
- এক্সকিউজ মি।
অনল প্রবাহ দুজন মেয়েটার দিকে তাকালো। মেয়েটা সাদা কলেজ ড্রেস পরা। বয়স সতেরো কিংবা আঠারো হবে। চুলগুলো খুব সুন্দর করে স্টাইল করে বাধা। চুল বাধার এই স্টাইলকে কি বলে তা সে জানে না। যে জীবনে চুলে খোপা করতে পারে না, সে স্টাইল করবে কি করে? আর নামই বা জানবে কি করে? তারা তাকাতেই মেয়েটি প্রবাহের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলল
- হায়, আম তিশা ইসলাম।
প্রবাহও মিষ্টি হেসে বলল
- হ্যালো, আম প্রবাহ আহাম্মেদ।
তিশা মেয়েটা এবার মিষ্টি হেসে কোন ভণিতা না করে সোজাসাপটা জিজ্ঞেস করল
- আপনি কি সিঙ্গেল?
অনল অবাক চোখে তাকিয়ে মনে মনে বলল, "আজকালকার ছেলে-মেয়েদের লজ্জা, ভয় বলতে কিছু নেই।" বিরক্ত নিয়ে মুখ ঘুরায় সে। প্রবাহ অনলের দিকে এক নজর তাকিয়ে তিশার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল
- বালিকা বউয়ের সামনে জিজ্ঞেস করছো সিঙ্গেল না কি!
তিশা মেয়েটা অবিশ্বাস্য এর কন্ঠে বলল
- কিন্তু আপনাদের দেখে তো মনে হচ্ছে না যে আপনারা হাসবেন্ড ওয়াইফ।
প্রবাহ আবার এক নজর অনলের দিকে তাকালো। সে বিরক্ত নিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে কফি কাপে চুমুক দিচ্ছে। প্রবাহ ইশারা করে তিশাকে তার দিকে একটু এগিয়ে আসতে বলে। তিশা তার আরও একটু কাছে এসে দাঁড়ায়। প্রবাহ নিজের কন্ঠস্বর নিচু করে, কিন্তু এতোটাও নিচু না যে অনল শুনতে পাবে না। অনল যাতে শুনতে পায় ততটুকু আওয়াজে ফিসফিস করে বলল
- আমার বউ কিন্তু হ্যাব্বি রাগী। ওই যে কলেজের বয়স্ক ম্যাথ টিচার্স গুলো যেমন থাকে না। খিটখিটে মেজাজের।
তিশা মেয়েটা উপর নিচে মাথা নাড়ায়। তাদের কলেজেও এমন একটা বদরাগী ম্যাথ আছে। যে কারনে-অকারনে ক্যাক ক্যাক করে উঠে।
প্রবাহর মুখে সিরিয়াস ভাব ফুটিয়ে বলল
- ঠিক তেমন। তুমি তাড়াতাড়ি এখান থেকে কেটে পড়। তা না হলে রাগ উঠলে আমার বউ এখানেই তোমার ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিবে।
তিশা অনলের দিকে তাকায়। ফর্সা গায়ে বেগুনী রঙের সেলোয়ার-কামিজ। চুলগুলো পেঁচিয়ে কাঁকড়া ব্যান্ড দিয়ে বাধা। চশমা পরা রাগী চোখে প্রবাহের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা ভয় পেয়ে চুপচাপ নিজের টেবিলের দিকে চলে যায়।
অনল রেগে প্রবাহকে জিজ্ঞেস করল
- কে আপনার বউ? আর কে রাগী ম্যাথ টিচার?
প্রবাহ হেসে বলল
- আমার সামনে বসে থাকা রমনীটি।
অনল দ্বিগুণ রেগে দাতে দাত চেপে বলল
- আপনার মতো ছেলেকে আমি কেন? কোন ভদ্র মেয়েই বিয়ে করবে না। অভদ্র লোক কোথাকার।
বলেই রেগে পাশের চেয়ারে থাকা ব্যাগটা নিয়ে হনহন করে বের হয়ে যায় সে। প্রবাহ সেখানেই বসে বিড়বিড় করে বলল
- বিয়ে তো তোমাকে এই অভদ্রকেই করতে হবে অগ্নিকন্যা।
🌦️
ধবধবে সাদা কাচের প্লেটের উপর দুই চামিচ ভাত বেড়ে দিয়ে আর এক চামিচ ভাত দিতে নিলেই হলেই বাদ সাধলো ইতি। খুব শান্ত নম্র কন্ঠে বলল
- মা আর না।
আসলে, নিশির এখনো সিগারেট খায় বিষয়টা জানার পর থেকে তার মনটা ভালো না। আর মন খারাপ নিয়ে কি আর খেতে ভালো লাগে। মিসেস সাবনাজ ইতির কথার কান না দিয়ে, চামিচের ভাতটা প্লেটে দিতে দিতে বলল
- চুপচাপ সবগুলো ভাত খাবি, না হয় মাইর খাবি। কালকে রাতে, আজকে সকালেও এইটুকু ভাত খেয়েছিস। কি ভেবেছিস আমি খেয়াল করিনি।
নিজের প্লেট থেকে ইতির প্লেটে কাটা বাছা ইলিশ মাছ দিতে দিতে মিষ্টার শওকত বলল
- আহা, মেয়েটাকে ভয় না দেখিয়ে সুন্দর করে বলতে পারো না।
তারপর ইতির দিকে তাকিয়ে আদুরে কন্ঠে বলল
- একটু কষ্ট করে আস্তে ধীরে খাও মা। এখন না খেলে হবে। আমি কাটা বেছে দিয়েছি। তুমি তাও একটু দেখে খেও।
ইতি ইলিশ মাছ খেতে খুব পছন্দ করে, কিন্তু এতো কাটা বাছতে ইচ্ছে করে না। তার মা বেঁচে থাকতে তিনিই সব সময় কাটা বেছে দিত। এই কথাটা এই বাসার সবাই জানে, সেই জন্যই মিষ্টার শওকত তাকে কাটা বেছে দিয়েছে। ইতি অপরাধীর কন্ঠে বলল
- বাবা আমি তো বেচে খেতে পারতাম আপনি শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলেন।
মিষ্টার শওকত মাছের ডিম ইতির প্লেটে দিতে দিতে বলল
- মেয়েকে বাবা মাছ বেচে দিব এতে কষ্টের কি আছে। আর তাছাড়া চোখের চশমার পাওয়ারটা ঠিকঠাক আছে কিনা, তাও দেখা হয়ে গেল। এখন তাড়াতাড়ি খাও তো। না হয় ঠান্ডা হয়ে যাবে।
চোখ পিটপিট করে চোখের পানি আটকে ইতি ভাত মাখতে মাখতে ভাবে , "পৃথিবীতে তো আর সবাই সবার ভালোবাসা পায় না। থাকনা কিছু ভালোবাসা অপ্রাপ্তির খাতায় তোলা। সব প্রাপ্তি কি আর সবার হয়। শশুর শাশুড়ির এমন ভালোবাসাই বা আর কয়জন মেয়ে পায়। কতো মেয়ের স্বপ্নের সংসার করা হয় না শশুর শাশুড়ির জন্য। আর সেখানে সে তাদের চোখের মনি। তার হারানো বাবা মা'র অভাব পূরণ করেছে তারা।"
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন