উপন্যাস : রোদেলা আকাশে বৃষ্টি
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “রোদেলা আকাশে বৃষ্টি” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান |
০৬ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
রোদেলা আকাশে বৃষ্টি || আনআমতা হাসান (পর্ব - ০৭)
টিভিতে চলছে রাত নয়টার সময় সংবাদ। হাতে টিভির রিমোট নিয়ে পিঠের নিচে দুটো বালিস দিয়ে আধশোয়া হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে মিষ্টার মুস্তাফা। চোখ দুটো টিভিতে নিবদ্ধ হলেও মাথাতে ঘুরছে তার স্ত্রীর কর্মকাণ্ডের হিসাব। তার স্ত্রীর আরও দুইদিন পর বাসায় আসার কথা ছিল। কিন্তু আজকে বিকেলে এসে পড়েছে। আর কেমন যেন কাচুমাচু করছে। বিশ বছরের সংসার তার সাইদার সাথে। এই বিগত বিশ বছরে সাইদাকে সে হাড়ে হাড়ে চিনে ফেলেছে। নিশ্চয়ই তার সে তাকে এখন এমন কিছু বলতে চায় যা তার পছন্দ হবে না। তাই এমন কাচুমাচু করছে। স্ত্রীর এই কাজটা তার খুব বিরক্ত লাগে। বললে বলবে, না বললে না বলবে। কিন্তু গলায় কথা নিয়ে পাশে বসে থাকার কোন মানে হয়? টিভির দিকে তাকিয়ে তিনি শক্ত কন্ঠে বলল
- তুমি জানো আমি এমন কাচুমাচু করা পছন্দ করিনা। কিছু বলার থাকলে সোজাসুজি বল।
মিসেস সাইদা আমতা-আমতা করে বলল
- একটা কথা বলার ছিল তোমাকে?
- তো বলে ফেল।
- না মানে, অলক বিয়ে কিরতে চায়।
মিষ্টার মুস্তাফা নিজের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলল
- এটা তো ভালো কথা। অবশেষে অলক বিয়ে করতে রাজী হয়েছে। এটা বলতে এতো কাচুমাচু করছিলে কেন?
- আসলে ,,,,,
বলতে গিয়ে থেমে যায় সাইদা। মিষ্টার মুস্তাফা কপাল কুঁচকে প্রশ্ন করল
- আসলে কি?
- আসলে অলক শর্ত দয়েছে তার পছন্দ মতো মেয়েকে ছাড়া সে বিয়ে করবে না।
মিষ্টার মুস্তাফা আবার টিভির দিকে তাকায়। সময় টিভির খবরে বিজ্ঞাপন বিরতি চলছে দেখে রিমোট চেপে অন্য চ্যানেলে দিতে দিতে বলল
- বাহ। এইতো বিয়ে করবে না, করবে না বলে দৌড়াতো। এখন দেখি পছন্দও আছে? তা কে সেই মেয়ে? মেয়ের বাবা মা কি রাজী হয়নি বিয়েতে?
মিসেস সাইদা নিচু কন্ঠে বলল
- মেয়েটা সিগ্ধা।
মিষ্টার মুস্তাফা আবাক চোখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- স্নিগ্ধা! আমাদের মেয়ের কথা বলছো?
- হুম। আমাদের স্নিগ্ধাকে বিয়ে করতে চায় অলক।
- কি! মাথা ঠিক আছে।
- মাথা ঠিকের কি আছে? অলক ভালো ছেলে, নিজেদের ছেলে।
মিসেস সাইদা কথা শেষ হতে না হতেই মিষ্টার মুস্তাফা রাগী কন্ঠে বলল
- তোমাদের ওই আধবুড়ো ছেলের সাথে আমি আমার বাচ্চা মেয়েটার বিয়ের কথা ভাব কিভাবে!
- স্নিগ্ধার তুলনায় বয়সটা একটু বেশি। কিন্তু ,,,,,,
- একটু বেশি! মাএ আঠারো বছর বয়স আমার মেয়ের। আর অলকের বয়স হবে আঠাশ উনত্রিশ হবে।
- আঠাশ বছর।
- দশ বছরের এইজ ডিফারেন্স ওদের।
- তো কি হয়েছে। দেখ এইটুকু এইজ ডিফারেন্স কিছু না। সংসার বয়সের পার্থক্য দিয়ে হয় না। ভালো মানুষ দেখে হয়। অলক খুব ভালো ছেলে। নিজের ভায়ের ছেলে দেখে বলছি না। এমন ছেলে আজকালকার দিনে পাওয়া যায় না। আমি আমার মেয়েকে এই ছেলের সাথেই বিয়ে দিব।
- ভালো ছেলের কি দেশে অভাব পড়েছে, যে এই আধবুড়ো ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে।
- এই থেকে ভালো ছেলে পাবে না।
- খুঁজলেই পাওয়া যাবে।
মিসেস সাইদা রেগে গিয়ে বলল
- আমার মেয়েকে আমি অলকের সাথেই বিয়ে দিব।
মিষ্টার মুস্তাফাও রেগেমেগে বলল
- আমিও দেখবো আমার মেয়েকে তুমি আমার অনুমতি ছাড়া কিভাবে বিয়ে দেও।
🌦️
রাস্তার পাশে সাদা প্রাইভেট কার পার্ক করে, গাড়ি থেকে নামে শ্যামবর্ণ গায়ে গাঢ় নীল রঙের সুট সেট পরা প্রবাহ। রাস্তার পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে ঠোঁট নেড়ে নেড়ে পড়ে
- তুলিস বুটিক হাউস।
নামটা পড়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে কাচের দরজার ঠেলে শো-রুমের ভিতরে ঢুকে প্রবাহ। ভিতরে ঢুকে চারদিকে চোখ বুলতে থাকে সে। পরিষ্কার সাদা চকচকে ঝকঝকে ফ্লোর, দেয়ালে রঙটাও সাদা। পাঁচশো স্কয়ার ফিটের এই শো-রুমে লাইটের সংখ্যা হবে পনেরো থেকে বিশটা। লাইটের আলোতে শো-রুমে থাকা শাড়ি, পাঞ্জাবিগুলো আরও বেশি চকচক করছে। একজন সেলসগার্ল এসে প্রবাহকে বলল
- হ্যালো স্যার।
প্রবাহ সেলসগার্লের দিকে তাকায়। উজ্জ্বল ফর্সা গায়ে হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পরা বয়স বিশ কি বাইশের একটা রোগা পাতলা মেয়ে, গোলাপি রঙের লিপস্টিক দেওয়া ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে প্রবাহ বলল
- হ্যালো।
সেলসগার্লটি উৎসাহ পেয়ে খুশি হয়ে বলল
- স্যার আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি?
- অবশ্যই।
- বলুন আপনি কি দেখতে চান।
প্রবাহ হাতের তর্জনী আঙুল সামনের দিকে তাক করে বলল
- ওই যে কাউন্টারের সামনে যে মেয়েটা আছে তাকে চাই।
মেয়েটা সামনের দিকে তাকায়। সামনের কাউন্টারে তখন তুলি ফ্যাশন হাউসের মালিক দাঁড়িয়ে সুমনের সাথে কথা বলছিল। সেলসগার্ল অবাক হয়ে প্রবাহের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- ম্যামকে?
- হুম।
বলে প্রবাহ অলনের দিকে যেতে থাকে। সেলসগার্লটা সেখানেই দাঁড়িয়ে ভাবতে, আগে তো একে কখনো দেখেনি। তাদের ম্যামের সাথে এই লোকটার সম্পর্কে কি হতে পারে? অনল সুমনকে বলল
- দেখ সুমন আমি চাই তুমি ডিসাইড কর। যেহেতু তোমার সাথে কাজ করবে। তুমি পছন্দ করে নিলে ভালো হবে।
সুমন ছেলেটা খুশি হয়ে বলল
- আচ্ছা ম্যাম।
অনলের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে প্রবাহ বলল
- এমন সদয় তো আমার উপরও হলে পারো অগ্নিকন্যা।
অনল চমকে পিছনে ঘুরে দু'পা পিছনে যায়। সামনের ব্যক্তিটিকে দেখে রাগ আর বিরক্ত হয়ে বলল
- আপনি! আপনি এখানে কি করছেন?
প্রবাহ মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলল
- বউকে দেখতে এসেছি?
অনল আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখে, সুমন আর সেলসগার্ল দু'জন তাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তা দেখে অনল প্রবাহের হাত ধরে তাকে শো-রুমের বাহিরে নিয়ে এসে বলল
- বিয়ে ক্যান্সেলের খবরটা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন। দয়া করে আমাকে আর ডিস্টার্ব করবেন না।
- তোমার ভাই বিয়ে না করলেও তোমার বিয়ে ঠিকই হবে।
অনল অবাক চোখে প্রবাহের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- আপনি কি করে জানলেন?
প্রবাহ মিষ্টি হেসে বলল
- আমি তোমার দ্বায়িত্বশীল বর বলে কথা।
- আচ্ছা দুনিয়াতে কি মেয়ের অভাব পরেছে? আপনি আমার পিছনে কেন পড়ে আছেন?
- মেয়ের অভাব পড়েনি। তবে আমার অগ্নিকন্যা একপিসই আছে। আর আমার যে এই অগ্নিকন্যাকেই চাই।
- প্লিজ আমি আপনাকে রিকোয়েস্ট করছি, আপনি বিয়েটা ক্যান্সেল করে দিন।
- অতি কষ্টের সাথে বলছি বউ সরি। আমি তোমার এই রিকোয়েস্টটা রাখতে পারবো না। তুমি অন্য কোন রিকোয়েস্ট কর। যেমন, বিয়ের ড্রেস কি কালারের পরবে, বাসরঘর কি কি ফুল দিয়ে সাজাবো, হানিমুনে কোথায় যাবো।
অনল আর কোন কথা বলে না। তার রাগ হচ্ছে, খুব রাগ হচ্ছে। কেন যে পাকনামি করে শর্তগুলো দিতে গিয়েছিল। রাগে গটগট করে হেটে কাচের স্বচ্ছ দরজা ঠেলে শো-রুমের ভিতরে ঢুকে যায় সে।
🌦️
নিজের রুম থেকে শুনছে ড্রয়িং রুমে বাবা-মা'র তর্কাতর্কি আর ঠাস ঠুস নিজিসপএ ফেলার শব্দ। তার খুব ভয় হচ্ছে। ছোটবেলা থেকে কখনো বাবা-মা'কে এরকম ঝগড়া করতে দেখেনি সে। কালকে রাতে শুরু হওয়া ঝগড়া আজকে রাতে এসে ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে। আজকে সকালেও সে ঝগড়ার কারণ জানতো না। কিছুক্ষণ আগে সে ড্রয়িংরুমের সোফাতে বসে হোমওয়ার্ক করছিল। আর বাবা তার পাশের সোফাতে বসে কিছু কাগজপএ নিয়ে কাজ করছিল। তখন তার মা রুম থেকে বের হয়ে তাকে কঠিন সরে নিজের রুমে যেতে বলে। সেও লক্ষি মেয়ের মতো বইখাতা নিয়ে নিজের রুমে দিকে পা বাড়ায়। দরজার কাছে আসতেই তার কানে আসে তার বাবার উচ্চস্বরে বলা, "আমার মেয়েকে আমি কখনোই অলকের কাছে বিয়ে দিব না। সেটা তোমার ভাই কেন, তোমার চোদ্দগুষ্টি এসে বললেও না।" তার পা যেন সেখানেই আটকে যায়। তার বিয়ের কথা চলছে অলক ভাইয়ার সাথে। এটা কিভাবে সম্ভব। তারপর ভেসে আসে তার মার বলা কথা। তার মা বলছে, "মেয়ে কি তুমি জন্ম দিয়েছিলে আর একা মানুষ করেছিলে? স্নিগ্ধা আমারও মেয়ে। আমি আমার মেয়েকে অলকের সাথেই বিয়ে দিবো।" এরকম এক কথা দুকথার এক পর্যায়ে ভাঙচুরের শব্দ শুরু হয়। সে আর রুমের বাহিরে দাঁড়ায় না। তারাতাড়ি রুমের ভিতর চলে আসে। ভয় হচ্ছে তার। কি করবে সে এখন? বাবা-মা সামনে গিয়ে তাদের ঝগড়া না করতে বললে শুনবে না। উল্টো সে এখন সেখানে গেলেই তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। পড়ার টেবিলের উপর নিজের সিম বিহীন ফোনটা দেখে ভাবলো অনলকে সব জানাবে। দ্রুত পায়ে মায়ের রুমে গিয়ে বিছানার উপরে রাখা ফোনটা নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে। তারপর কল করে অনলকে। কল রিসিভ হয় না। তিন চার কল করে। কিন্তু কেউ রিসিভ করে। আবার কল করে রিসিভ হয় না। ফোনটা কান থেকে নামিয়ে চোখের সামনে আনতেই দেখে এখন সময় দশটা। মনে পড়ে যাই এই সময় অনল ফোন নিজের রুমে চার্জে রেখে, স্টাডি রুমে বসে বসে নিউ ড্রেসের ডিজাইন করছে। এবার ফোন করে মিসেস সাবিদাকে পর পর দুইবার কল করে বাজতে বাজতে কেটে যায়। ফোন রিসিভ করে না। নিশ্চিত ফোন রুমে রেখে তার আন্টিও অন্য কোন কাজ করছে। আর কোন উপায় না পেয়ে এবার সে ফোন করে অলককে। রিং হতে হতে কেটে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে কল রিসিভ করে অলক বলল
- হ্যালো ফুপি। কেমন আছো?
ফোনের এপাশ থেকে স্নিগ্ধা নম্র কন্ঠে বলল
- ভাইয়া আমি স্নিগ্ধা।
অলক অবাক হয়। এই স্নিগ্ধা তাকে কখনো ফোন করে না। সামনা-সামনি কথা বলতেই যে মেয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে সে ফোন করে তার সাথে কথা বলবে। এটা অভাবনীয়। কোন বিপদ আপদ হয়নি তো? কথাটা ভেবেই অনল অশান্ত কন্ঠে বলল
- সব ঠিক আছে তো স্নিগ্ধা? না মানে, তুমি তো কখনো আমাকে কল করনা তাই বলছিলাম।
স্নিগ্ধা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলল
- না, কিচ্ছু ঠিক নেই ভাইয়া।
অলক অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে?
- ভাইয়া তুমি কেন এমন করলে? কেন আমাকে বিয়ে করবে বললে? জানো এই নিয়ে আব্বু আম্মু বাসায় অনেক ঝগড়া করছে। ভাঙচুরও করছে?
বলতে বলতে স্নিগ্ধা কান্না করে দেয়। অলকের নিজেকে এখন অপরাধী মনে হচ্ছে। খাবার লাগছে বাচ্চা মেয়েটার এমন কান্না শুনে। স্নিগ্ধাকে শান্ত করতে অলক বলল
- প্লিজ শান্ত হও। আমি প্রমিস করছি সব ঠিক করে দিবো। প্লিজ স্নিগ্ধা।
স্নিগ্ধা নাক টেনে টেনে বলল
- প্লিজ অলক ভাইয়া প্লিজ। তুমি সব ঠিক করে দেও। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
- তুমি একদম চিন্তা করো না। কালকের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি এখন নিশ্চিত ঘুমিয়ে যাও। ওকে গুড নাইট।
- গুড নাইট।
বলেই স্নিগ্ধা ফোন কেটে দেয়। আর চিন্তা করে না। অলক ভাইয়া যেহেতু বলেছে, সেহেতু সে নিশ্চিত কিছু করবে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন