উপন্যাস         :         শরম 
লেখিকা          :         তসলিমা নাসরিন
গ্রন্থ               :         শরম 
প্রকাশকাল      :       

জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'। ১৯৯৩ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম ছয় মাসেই বইটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বৈধ কপি বিক্রি হয়। এরপর ধর্মীয় মৌলিবাদিদের একতরফা বিতর্কের মুখে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি লেখার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। 

পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসের নায়কের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেখা হয়েছিলো লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই অনুভূতিকে পুজি করে তিনি লিখলেন নতুন উপন্যাস 'শরম'। এ উপন্যাসটি কবিয়াল পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো।
শরম || তসলিমা নাসরিন
শরম || তসলিমা নাসরিন

11111111111111111111111111111

১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শরম || তসলিমা নাসরিন (পর্ব - ২০)

বেনেপুকুর লেনে জুলেখাকে তার মামার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে সুরঞ্জন জাননগর রোডে তার বাড়িতে গিয়ে কিছু না খেয়ে শুয়ে পড়ে। কিরণময়ী বলেন, - নিশ্চয়ই তসলিমার বাড়িতে খেয়ে এসেছিস।
সুরঞ্জন কোনও উত্তর দেয় না।
আজ জুলেখা বলেছে, স্ট্রেঞ্জ।
- স্ট্রেঞ্জ কেন? সুরঞ্জন জিজ্ঞেস করলো।
- কী রকম যেন? লেখা পড়ে কিন্তু এরকম মনে হয় না। জুলেখা ধীরে, ঠোঁট উল্টে উল্টে বলে।
- কী মনে হয়?
- না, এরকম না। একেবারে সাধারণ উনি, তাই না। ব্যবহারটাও যেন কেমন। হঠাৎ করে ঘরের ভেতর ঢুকে গেলেন। বেরোচ্ছেন না। গেস্টদের বসিয়ে রেখে.. তুমি কী বল? ঠিক করেছেন? 
সুরঞ্জন মাথা নেড়ে বলে, - হয়তো কাজ ছিল। লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমাদের যে সময় দিয়েছে, তাই তো বেশি।
- শোনো বাবু, তুমি একটু বেশি তসলিমা তসলিমা জপো। আমার ভাল্লাগে না।

সুরঞ্জন ভাবতে বসে আসলেই কি তসলিমা জপে। না সে জপে না। সে কিছুই করে না তসলিমার জন্য। একটা মেয়ে এখানে এই কলকাতা শহরে কলকাতাকে ভালোবেসে থাকছে। তার এই ভালোবাসার মূল্য কি কলকাতা দিচ্ছে? না দিচ্ছে না। ভালোবাসা নিজেও তো প্রকাশ করেনি একবারও। মায়াকে এত দেখার ইচ্ছে, অথচ মায়া তো বিগড়ে আছে। কেউ কি কিছু করতে পারছে তসলিমার জন্য? সে তো মানুষকে ভালোবেসেই যাচ্ছে। যারা দেয়, দেয় আর দেয়, মানুষ ভুলে যায় যে তারা শুধু দেওয়ার মানুষই নয়, পেতেও তাদের ভালো লাগে। তসলিমাকে কিছু দিতে ইচ্ছে হয় সুরঞ্জনের। কী দেবে, ভেবে পায় না। সুরঞ্জন আর কীইবা দিতে পারে, দেওয়ার তার আর আছে কী! জীবনটা অদ্ভুতরকম বদলে গেছে।

এই জীবনটা তার নতুন জীবন। এই জীবনের সঙ্গে তার আগের জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই।বাংলাদেশে একটা জীবন ছিল তার, স্বপ্নময় একটা জীবন। সেই জীবনে শিক্ষিত সচেতন আদর্শবাদী মানুষেরা ছিল তার চারপাশের মানুষ। শ্রেণীসংগ্রাম, শ্রেণীশত্রু বিলোপ, প্রলেটারিয়েটের ক্ষমতা দখল, সমাজতন্ত্র এসব শব্দ এখন হাস্যকর লাগে শুনতে, কিন্তু এগুলোর সংজ্ঞা তত্ত্ব ও তথ্য সুরঞ্জনকে একটা অর্থপূর্ণ জীবন দিয়েছিল। এসবের মধ্যে থেকে নিজেকে মনে হত জীবনটা খুব জরুরি। খুব মূল্যবান। কিন্তু এ দেশে আসার পর থেকে তার চলাচল অন্য স্তরে। কঠোর বাস্তবতা। কুৎসিত দারিদ্র। কঠিন জীবন। এখানে সুরঞ্জনকে কেউ চেনে না। যে কোনওদিকেই সে যেতে পারে। যা কিছুই করতে পারে। সোনাগাছিতে রাতের পর রাত কাটাতে পারে, খালাসিটোলায় মদ গিলে পড়ে থাকতে পারে, কেউ তাকে তুলে আনারও নেই, ছি ছি করারও নেই। সুরঞ্জনের এই জীবনটা নিয়ে আবেগের তিল পরিমাণ কিছু নেই। সুদেষ্ণাকে বিয়ে করা কলেজে পড়ানো সেই সময়টায় নতুন করে স্বপ্ন গড়ার ইচ্ছেটা তখনও ভেঙে পড়েনি। তারপর তো সব ভাঙলো, আবার যে কে সেই! স্বপ্নহীনতা গ্রাস করে ফেলেছে তাকে। কী করছে, কেন করছে, তার হিসেব রাখছে না। রাজনীতির ছেলে সে, আর রাজনীতি থেকেই কিনা সম্পূর্ণ মন উঠেছে। মুসলিম মৌলবাদী আর হিন্দু মৌলবাদী দলে সে এখন কোনও পার্থক্য দেখে না। কোনও রাজনৈতিক দলই তার ভেতরে কোনও আগ্রহ সৃষ্টি করে না। মাওবাদীদের নিয়ে একটা সময় বেশ উত্তেজিত ছিল সে। কিন্তু সেই উত্তেজনাও উবে যায়। মানুষ হত্যা করে যতই সে অতিবাম হোক, বিশ্বাস করে না কিছু হবে। রাজনীতির ছেলে জানে না কখন ধীরে ধীরে রাজনীতিকে ছুট্টি দিয়ে দিয়েছে। জীবন যখন অর্থহীন হয়ে ওঠে, জগত যখন অর্থহীন, তখন কোনও কিছুর প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হয় না। শুধু জীবনটা হেলে দুলে কাটিয়ে দেয়। অতীত বলে কিছু থাকে না, ভবিষ্যত বলেও না। কেবল বর্তমানটাই যাপন করে। জুলেখাকে সে যাপন করছে। রাতে বাড়ি ফেরে কিরণময়ী আছে বলে, তা না হলে হয়তো কোথাও কোনওখানে কাটিয়ে দিত। কোনওভাবে কাটিয়ে দেওয়াই যখন কথা। এরকম হতাশা সুরঞ্জনকে সেই বাংলাদেশ থেকে গ্রাস করে ছিল, এখনও ছাড়েনি। ভেবেছিল দেশ ছাড়ার পরই বুঝি জীবন ভীষণ নিরাপদ হয়ে উঠবে, সুখ শান্তি স্বস্তি সব এসে ঘিরে ধরবে, নতুন একটি সম্ভাবনাময় স্বপ্নময় জমকালো জীবন হাতের মুঠোয় এসে বসবে। ওপারেতে সকল সুখ আমার বিশ্বাস, এই আশায় বা ভরসায় সুরঞ্জন দেশ ছাড়ার পর প্রথম ধাক্কাটা সে খায় চার লাখ টাকা মার যাওয়ায়। শংকর ঘোষকে কী বিশ্বাসই না করতো সুরঞ্জন, তার বাবা মা। আর সেই লোকটাই কি না দিব্যি টাকাটা ফেরত না দিয়ে পা নাচিয়ে গেল। আত্মীয়ের বাড়ির দুর্ব্যবহার তার দ্বিতীয় ধাক্কা। পার্টি অফিসে থেকে টাকা না দেওয়া ধাককা। মায়ার শরীরে আত্মীয়ের হাত ধাককা। সব ভুলে সে ঘর সংসার করবে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে, মা বোনকে নিরাপত্তা দেবে, কিন্তু সুদেষ্ণার অমন কিরণময়ী আর মায়ার মতো নিরীহ দুটো মানুষকে সহ্য করতে না পারা আরেকটা বড় ধাককা। সুদেষ্ণার ৪৯৮ (ক) মামলা আরেকটা ধাককা। উঠে বারবারই সে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছে কিরণময়ীর জন্য, মায়ার জন্য। অপদার্থের জীবন সে যাপন করছিল, করছিল। কিন্তু তাতেও সম্পূর্ণ হয়নি ষোলোকলা। নিজেই নিজেকে সবচেয়ে বড় ধাককাটি দিল এরপর। মায়ার মতোই নিরীহ এক মেয়েকে তুলে এনে মস্তানি করলো, আর তার ফলে তাকে দেখতে হল লোকের ভয়াবহ নির্লজ্জতা, নির্মমতা। তারই তো অবয়ব তারা। তাদের মুখে নিজের মুখটিই সে দেখতে পেয়েছে। এবং নিজেকে সে ঘৃণা করেছে। সুরঞ্জন জগতের কাউকে আর এত ঘৃণা করে না, যত ঘৃণা সে নিজেকে করে।

কী দেবে সে লজ্জার লেখিকাকে। কিছুই না। কিছু দেবার যোগ্যতা তার নেই। প্রেম থাকলে জুলেখাকে সে সরিয়ে নিয়ে আসতো ওই দুঃসহ জীবন থেকে। সব দুঃসহবাসের কারণ তো সে নিজে। সে যদি তুলে নিয়ে না আসতো জুলেখাকে মহব্বতের বাড়ি থেকে, একের পর এক দুর্ঘটনাগুলো ঘটতো না। সুরঞ্জন বোঝে যে প্রেম যেহেতু নেই আর তার মধ্যে, জুলেখাকে নিয়ে যা সে করছে, সবই তার পাপের প্রায়শ্চিত্য। একদিন জুলেখা বুঝবে, আজ না বুঝলেও। সেদিন জুলেখাও, সুরঞ্জন জানে যে তাকে ত্যাগ করবে। যে মায়া আজ তার মায়ার জন্য, ধীরে ধীরে একই রকম মায়া তার জন্মেছে জুলেখার জন্য। দুজনকে বুকে জড়িয়ে রাখতে চায় সে, দুবাহুতে দুজনকে টেনে। কিন্তু মায়া তো তা হতে দেবে না।

সুরঞ্জনের মতো অকর্মণ্য আর অপদার্থকে তিনটে প্রাণী ভালোবাসে, কিরণময়ী, মায়া, জুলেখা। এর মধ্যে সে যোগ করলো আরেকজনকে, তসলিমা। জুলেখা তাকে ছেড়ে কোনওদিন হয়তো চলে যাবে। কিন্তু তসলিমার সৃষ্টি সে, সৃষ্টি ছেড়ে স্রষ্টা যদিও যায়, খুব দূরে কোথাও যেতে পারে না। -এসব সুরঞ্জনের সারারাতের না ঘুমোনো ভাবনা। ভোরবেলা বিছানা ছেড়ে জানালার কাছে পাখিদের কিচির মিচির শুনতে শুনতে তার মনে হয়, সে তো কারও রচিত নয়, সৃষ্ট নয়। সে তো রক্তমাংসের মানুষ। তার তো অস্তিত্ব আছে। মাঝে মাঝে অবশ্য মনে হত, তার বোধহয় নেই সেটি। লজ্জা পড়ে, লজ্জায় সুরঞ্জন যা যা করেছে, বাস্তবের সুরঞ্জন মোটেও তা করেনি জেনেও মনে হয়েছে হয়তো করেছে। যেমন, লজ্জায় সবাই শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে। অথচ সুরঞ্জনের পরিবারের কেউই ও ভাষায় কথা বলতো না, বলতো আঞ্চলিক বাংলায়। ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আঞ্চলিক বাংলায় শুধু যতীন চক্রবর্তী, কবীর চৌধুরী, সাইদুর রহমান বইয়ের ভাষায় কথা বলতেন।

লজ্জার ১৪৩ পৃষ্ঠায় আছে সুধাময় বলছে, রাত করে ঘরে ফিরছিস। কাল হাবিব এসেছিল, ভোলায় নাকি খুব খারাপ অবস্থা। হাজার হাজার লোক খোলা আকাশের নিচে বসে আছে, বাড়িঘর নেই। মেয়েদের নাকি রেপ করছে। সুরঞ্জন বলছে, এসব কি নতুন খবর? সুধাময় বললো, নতুনই তো। এসব কি আগে কখনও ঘটেছে? তাই তো তোকে নিয়ে ভয় সুরঞ্জন। সুরঞ্জন উত্তর দিল, আমাকে নিয়েই ভয়? কেন তোমাদের জন্য ভয় নেই? তোমরা হিন্দু নও? সুধাময় বলল, আমাদের আর কি করবে? সুরঞ্জনের উত্তর, তোমাদের মুণ্ডু বুড়িগঙ্গায় ভাসিয় দেবে। এখনও চেননি এদেশের মানুষকে। হিন্দু পেলে ওরা নাস্তা করবে, বুড়ো ছেলে মানবে না। আসলে, সুরঞ্জন জানে কথাগুলো ঠিক এ ভাষায় ছিল না। ছিল এরকম -রাত কইরা ঘরে ফিরস। কালকে হাবিব আইছিল, ভোলায় নাকি খুব খারাপ অবস্থা। হাজার হাজার লোক খোলা আকাশের নিচে বইসা আছে। বাড়িঘর কিচ্ছু নাই। মেয়েদের নাকি সমানে ধইরা ধইরা নিতাছে .. ..।
- এইসব কি নতুন খবর?
- নতুনই তো। এইসব কি আগে কখনও ঘটছে? তাই তো তর কথা ভাইবা ডর লাগে।
- ডর আমার লাইগ্যা ক্যান? তুমগর লাইগ্যা লাগে না ডর?
- তুমরা কি হিন্দু না নাকি?
- আমগোরে আর কী করবো?
- কী করবো? তুমগর কল্লাডা বুড়িগঙ্গায় ভাসাইয়া দিব। অহনও চিনো না এই দেশের মানুষগরে। হিন্দু পাইলে ওরা নাস্তা করবো, কিছু মানবো না।

ঢাকার ভাষায় এখন তার কথা বলা হয় না, কলকাতার ভাষায় বলতে বলতে অভ্যেস হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে কিরণময়ীর সঙ্গে ও-ভাষায় কথা বলে। মায়া তো বলতেই চায় না। জুলেখা এ দেশি মেয়ে, ও তো জানেই না ঢাকার, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষা। আর বন্ধু যারা আছে, তারা কলকাতার ভাষাতেই বলে। বন্ধুই বা আর কজন আছে তার!

বেলঘরিয়ার বন্ধুদের সুরঞ্জন ত্যাগ করেছে। ঢাকার জীবনের সঙ্গে কলকাতার জীবনের যেমন তফাৎ, বেলঘরিয়ার জীবনের সঙ্গে পার্ক সার্কাসের জীবনেরও সেরকম তফাৎ। এক জীবনে কতগুলো জীবন যে সুরঞ্জন যাপন করছে। তার মতো সাধারণ ছেলেকে লজ্জায় অসাধারণ বানানো হয়েছিল। কিন্তু নিজে সে জানে কী রকম সাধারণ সে। কী রকম যে কেউ। বেগবাগানে, বেনেপাড়ায়, তাঁতিবাগানে তার নতুন বন্ধু গড়ে উঠেছে। আফতাব, হাকিম, এনামুল, সোবহান, সাধনের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, এদের মানসিকতা বেলঘরিয়ার বন্ধুদের মন মানসিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত। কিছু না কিছু করছে সে, রক্তদান শিবির করা, একটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র করা, বয়স্কদের একটা ইস্কুল করা, সব বিষয়ে তাল দিচ্ছে। সবসময়ই উত্তেজক নয় সবকিছু। হতাশাও গ্রাস করে রাখে এদের। সুরঞ্জন হতাশার মাস্টার। তার কথাই হল, জীবনে কিছুই হল না, কিছু হবেও না। আশাটাশা বাদ গিয়ে গাঁজায় টান দেওয়া অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। কী হল না জানতে চাইলে বলে সে কী যে হওয়ার ছিল তাও তো জানি না। পার্ক স্ট্রিট মল্লিক বাজার মোড়ে চায়ের দোকান, মদের দোকান, মডার্ন ফার্মেসি এগুলোয় সন্ধেবেলা আড্ডা দেওয়া এখন নেশার মতো। এর আগেও আড্ডাবাজি কম করেনি সুরঞ্জন। বেলঘরিয়ায় তো দলই গড়ে উঠেছিল বড়সড়। ফিডার রোডে সন্ধেবেলা ওদের জমজমাট আড্ডা বসতো। মদ খাওয়াটা ছিল ওদের নিত্য রাতের ঘটনা। মদে না কুলোলে স্টেশনে গিয়ে গাঁজার খোঁজ করা মাত্র জুটে যায়। গৌতম, রূপক, মানস, তন্ময়, জয়দেব, অচিন্ত্য -এরা ছিল তার সঙ্গী। সোবহানের সঙ্গে কিছুদিন সুরঞ্জনকে ঘুরতে দেখার পর শুরু হল সমালোচনা, এর বাড়ি কোথায়?
- ফিডার রোডে।
- নাম কী?
- সোবহান।


চলবে.......

২১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ: 
জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল অবদি চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে লেখালেখি নয়তো চাকুরি ছাড়তে বললে তিনি লেখালেখি ছাড়েন নি। বরং সরকারি চিকিৎসকের চাকুরিটিই ছেড়ে দেন তিনি। তখন এই লেখিকাকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিলো পুরো দেশ। বেশ কিছু মামলাও হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। শেষে এককথায় বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন নারীমুক্তির অন্যতম অগ্রপথিক তসলিমা নাসরিন। এরপর তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন