উপন্যাস       :        প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১২ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত Bangla Golpo - Kobiyal
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত

1111111111111111111111

০৬ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত (পর্ব - ০৭)

প্রচন্ড পেট ব্যাথায় নীল হয়ে বিছানায় পড়ে আছে পাখি।দুপুরে রান্না করতে পারে নি।তাই কিছু খাওয়াও হয় নি।প্রত্যেক মাসেই পিরিয়ডের সময় এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় ওর।এজন্য ব্যাথার ঔষধ খেতে হয় কিন্তু এই বাসায় ব্যাথার ঔষধ কোথায় সেটা পাখি জানে না ।আবার স্যানিটারি ন্যাপকিন নেই।এসব যে শয়নকে ফোন করে বলবে তাও পারছে না লজ্জায়।স্বাভাবিক স্বামী,স্ত্রীর সম্পর্কে হলে হয়তো বলা যেত কিন্তু এখন কিভাবে বলবে?এদিকে সকালে মহিলাটি'র বলা কথায় মানসিক ভাবেও বেশ যন্ত্রণায় আছে আর শারীরিক ভাবে তো বলাই বাহুল্য।

প্রতিদিনের মত আজও অফিস থেকে ফিরলো শয়ন।ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুমে এসেও পাখির দেখা পেলো না।স্বাভাবিকভাবে তো প্রতিদিনই না বলতেই কফি নিয়ে হাজির হয়ে যায়।আজ কি হলো?খানিকটা চিন্তিত গলায় শয়ন পাখিকে ডাক দিলো।কিন্তু কোনো সাড়া এলো না পাখির।দু তিনবার ডাকার পরও যখন সাড়া পাওয়া গেলো না তখন শয়ন পাখির রুমের দিকে এগুলো।রুমে ঢুকেই ওর মুখোমুখি হয়ে গেলো।পেটে দু'হাত চেপে কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে।কষ্টের ছাপ চোখে,মুখে স্পষ্ট।খুব অগোছালো লাগছে ওকে।শয়ন পাখিকে ধরে খাটে বসালো।কোমল স্বরে জিজ্ঞেস করলো,'কি হয়েছে আপনার?আপনি কি অসুস্থ?'

পাখি দাঁতে দাঁত খিঁচে উত্তর দিলো,'নাহ!ঠিকাছি আমি।'
শয়ন এবার একটু বিরক্ত হলো।বলল,'হ্যাঁ দেখতেই পাচ্ছি কতটা ঠিক আছেন।
পাখি কিছু না বললেও বিছানায় র/ক্তের দাগ দেখে সব বুঝতে পারলো শয়ন।পাখিকে বলল,'শুয়ে থাকুন।আমি আসছি।'
'কোথায় যাবেন?'

শয়ন যেতে যেতেই উত্তর দিলো,'আসছি তো বললাম।আপনি শুয়ে থাকুন।'
শয়ন ঔষধ আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে বেরিয়ে গেলো।আধঘন্টা পর সবকিছু নিয়ে ফিরে এসে পাখিকে প্যাকেট'টা দিয়ে বলল,'এখানে সবকিছু আছে।ঔষধ খেয়ে রেস্ট করবেন।ওঠার প্রয়োজন নেই।'

বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো শয়ন।কিচেনে গিয়ে গরম পানি করে হট ওয়াটার ব্যাগে ভরলো সাথে এক বাটি গরম স্যুপ করে পাখির ঘরে নিয়ে আসলো।ব্যাগটা দিয়ে বলল,'এটা পেটের ওপর দিয়ে রাখুন ভালো লাগবে আর স্যুপটা গরম গরম খেয়ে ফেলুন।'

পাখি ব্যাগটা পেটে ওপর রেখে আস্তে আস্তে স্যুপ খেতে লাগলো।শয়ন তখন কিছুটা রোষিত গলায় বলল,'সারাদিন এত কষ্ট করার পারও আমাকে একবারও ফোন করেন নি কেন?'
পাখি কিছু বলল না।শয়ন আবারও কিছুটা অনুরোধের স্বরে বলল,'কোনো সমস্যা হলে প্লিজ আমাকে জানাবেন।আমি কিচেনে আছি।'
এবার পাখি ক্ষীণ স্বরে বলল,'আপনার রান্না করতে হবে না।আমার ব্যাথা একটু পরই সেরে যাবে।তখন আমি রান্না করে ফেলবো।'

শয়ন এবার কড়া সুরে বলল,'বিছানা থেকে যেন এক পা ও না নামে।আমি অমানুষ না যে অসুস্থ হওয়ার পর কাউকে দিয়ে রান্না করাবো।প্লিজ আমাকে ছোটো করবেন এসব বলে।রেস্ট নিন।আমি আছি।'

কথাগুলো বলে শয়ন কিচেনে চলে গেলো।আর পাখি বিছানায় শুয়ে ভাবছিলো এই ছেলেটা এত ভালো কেন?যদি সত্যি সত্যিই স্ত্রী হতো তাহলে কি করতো?নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য বড্ড আফসোস হয় ওর।জীবনটা এমন না হলেই কি হতো না?

রাতের রান্নাটা নিজেই করেছিলো শয়ন এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠে নাস্তা এনে দিয়েছিলো আর দুপুরের জন্য অর্ডার দিয়ে রেখেছিলো।এত যত্নে পাখির ভিষণ সুখ অনুভব হলো কিন্তু সাথে দুঃখও কারণ এটা ক্ষণস্থায়ী।অফিসে যাওয়ার সময় শয়ন বলল,'আজ ক্লাসে যেতে হবে না।রেস্ট নিন।আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করবেন।'
পাখি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো।

শয়ন অফিসে যাওয়ার পর পাখি ওর ঘরে গেলো বই আনতে।সেলফে বিভিন্ন লেখকের বই দেখতে দেখতে হঠাৎই সিডনি শেলডনের একটা বইয়ে একটা মেয়ের ছবি দেখতে পেলো।মেয়েটা ভিষণ সুন্দরী।ছবিটা দেখেই কেনো যেনো কষ্ট অনুভব হলো ওর।মেয়েটার সাথে নিজের স্বামীর যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছিলো এটা ছবিটার পেছনে লেখা কিছু কথা দেখেই বুঝলো পাখি।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন