উপন্যাস : প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১২ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত |
1111111111111111111111
৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত (পর্ব - ০৬)
শয়ন যাওয়ার পর কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে নিজের জন্য নাস্তা বানিয়েছিলো পাখি।নাস্তা সেরে উঠেই দারোয়ান বাজার নিয়ে হাজির।পাখি বাজারের সবকিছু গুছিয়ে নিজেও রেডি হয়ে গেলো কোচিং এ যাওয়ার জন্য।
ফারজানা বেগম নিজের কথায় অনড়।শয়ন মা'কে কোনোভাবেই বোঝাতে পারলো না।সারাদিন তিনি মুখভার করে রইলেন।দুপুরে খাবারও খান নি।মায়ের এমন ব্যাবহারে শয়ন অস্থির হয়ে গেলো।বারবার কথা বলার চেষ্টা করেও বলতে পারলো না।
সন্ধ্যায় শয়ন রওনা হওয়ার সময় শয়নের বড় ভাবি শ্বাশুড়ির ঘরের সামনে গিয়ে উচ্চস্বরে ডেকে বললেন,'আম্মা,শয়ন তো চলে যাচ্ছে!'
'চইলা যাক।আমি ওর মুখও দেখবো না।'
'আম্মা রাগ কইরেন না বাইরে আসেন।শয়ন অনেক মন খারাপ করে রাখছে।'
'ওরে বলো ও যদি আমার কথা মানে তাইলে আমি আসমু।'
বাইরে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলো শয়ন।তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,'মা আমি আসছি।আল্লাহ হাফেজ।'
ফারজানা বেগম শুনেও কিছু বললেন না।শয়নও আর দাঁড়ালো না।রওনা হয়ে গেলো।
পাখির সন্ধ্যা থেকে বারবার মন চাইছিলো শয়নকে ফোন করতে কিন্তু কেন যেনো করতে পারছিলো না।নাম্বার ডায়াল করেও কেটে দিচ্ছিলো।এদিকে ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বারোটা বেজে গেলো তবুও দেখা নেই।যদিও শয়ন বলেছিলো ওর জন্য অপেক্ষা করতে না কিন্তু পাখির অপেক্ষা করতে ভালো লাগছিলো।শেষমেশ বারোটা দশে নিজের সাথে যুদ্ধ করে ফোন দিয়েই দিলো পাখি।দু'বার রিং হওয়ার পর রিসিভ হলো।পাখিই প্রথম বলল,'কোথায় আছেন আপনি?'
'কাছাকাছিই আছি।দশমিনিট লাগবে হয়তো।'
'আচ্ছা,আসুন।'
ফোন রেখে পাখি দৌড়ে কিচেনে চলে গেলো খাবার গরম করতে।সবকিছু গরম করতে করতেই শয়ন চলে এলো।বাসায় এসে ক্লান্ত শরীরে সেফায় বসলো।পাখি কিচেন থেকে এসে বলল,'আপনি খেয়েছেন?'
'না,সময় পাই নি।'
'আচ্ছা,আমি খাবার গরম করেছি।ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নেবেন।'
'আপনি এখনো ঘুমান নি কেন?আপনাকে তো বলেছিলাম আমার জন্য অপেক্ষা করতে না।'
পাখি আমতা আমতা করে কথা ঘুরিয়ে ফেললো।বলল,'আপনি আর বসে থাকবেন না।খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।কাল তো আবার অফিস আছে।'
শয়ন পাখির কথায় সম্মতি দিয়ে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে খেতে খেতে পাখিকে জিজ্ঞেস করলো,'আপনি খেয়েছেন?'
'না মানে হ্যাঁ।'মুখ দিয়ে ভূল করে সত্যি কথা বের হয়ে গেলো পাখির।শয়ন হালকা রেগে বলল,'খান নি কেন?'
পাখি কাচুমাচু গলায় উত্তর দিলো,'একা খেতে ভালো লাগে না।'
শয়ন আর বকা দিলো না।শুধু শান্ত কন্ঠে বলল,'খেতে বসুন।'
দু'জনেই খেয়ে নিলো।খাওয়া শেষে শয়ন ঘুমাতে চলে গেলো।ঘুমে চোখে ভেঙে আসছে।পাখিও সবকিছু গুছিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো।বিছানায় শুয়ে ভাবছিলো আজ বাড়িতে কি হয়েছিল?শয়ন আসার পর থেকেই ওকে কেমন যেনো লাগছিলো?খুব চিন্তা হচ্ছে পাখির।শয়ন তো নিজ থেকে কিছু বললও না।আর বলবে বলেও মনে হচ্ছে না।
আজ শয়ন একটু তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো অফিসের জন্য।একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন আছে।আর পাখির আজকে ক্লাস নেই সে নাস্তা খেয়ে পড়তে বসলো।হঠাৎ একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো পাখির নাম্বারে।পাখি প্রথমে ভাবলো ধরবে না।কিন্তু পরে কি মনে করে ধরলো।ওপাশ থেকে একটা মহিলা গলা পাওয়া গেলো।এই গলাটা অপরিচিত।আগে কখনো শোনে নি পাখি।মহিলাটা বলল,'পাখি বলছো?'
'জ্বি,কিন্তু আপনি কে?'
'আমি কে সেটা তোমার জানার দরকার নেই।তুমি শুধু জেনে রাখো তোমার সামনে বিপদ।'
'কি বলছেন আপনি?'
'তোমার শ্বাশুড়ি ভালো মানুষ না।তাই খেয়াল রেখো নিজের সংসারের।'
কথাটা বলেই ফোন কেটে দিলো আগন্তুকঃ মহিলাটি আর সাথে দিয়ে গেলো একরাশ দুশ্চিন্তা।কি ইঙ্গিত করলো মহিলাটি?কাল বাড়িতে কি হয়েছিলো?কিভাবে জানবে পাখি?সেই নাম্বারে আবার ফোন দিয়েও লাভ হলো না।নাম্বার বন্ধ হয়ে গেলো।
এদিকে ফারজানা বেগম গ্রামের নামকরা এক ঘটককে ধরলেন ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে সাথে কঠিন কঠিন শর্ত জুড়ে দিলেন।তিনি মনে মনে ভাবলেন পাত্রী পছন্দ হলে ছেলেকে যেকোনো ভাবেই বাড়িতে এনে বিয়ে দিয়েই ছাড়বেন এরপর ওই বেয়াদব মেয়ে কিভাবে তার ছেলের জীবনে থাকবে তিনিও দেখবেন।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৭ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন