উপন্যাস : প্রিয়ন্তিকা
লেখিকা : আভা ইসলাম রাত্রি
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১২ আগস্ট, ২০২২ ইং
লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রির “প্রিয়ন্তিকা” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ১২ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
প্রিয়ন্তিকা || আভা ইসলাম রাত্রি |
1111111111111111111111
২৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
প্রিয়ন্তিকা || আভা ইসলাম রাত্রি (পর্ব - ২৭)
হাবিব বসার ঘরে এলেন। পাঞ্জাবি গুটিয়ে সোফায় বসলেন। মাহতিম একবার প্রিয়ন্তির ঘরের দিকে চেয়ে আবার হাবিবের দিকে চাইল। বুকের ভেতরটা ধরফর করছে তার। প্রিয়ন্তিকা কি রাজি হয়েছে? হাবিব স্যার কি বলেছেন প্রিয়ন্তিকাকে? জীবনের এই দ্বিতীয়বার মাহতিমের নিজেকে বড্ড এলোমেলো লাগছে। নার্ভাস হচ্ছে প্রচন্ড। প্রথমবার হয়েছিল যেদিন প্রিয়ন্তিকে প্রপোজ করেছিল। বদলে থা*প্পড় খেয়ে ফিরে আসলেও, পরবর্তীতে যতবার প্রিয়ন্তির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ঠিক আজকের মত মাহতিমের নার্ভাস লেগেছে। এলোমেলো লেগেছে নিজেকে। হাবিব সবার দিকে চেয়ে বললেন, ' আমি এবং আমার মেয়ে দুইজনেই বিয়েতে রাজি। আমরা কথা এগুতে পারি এখন। '
মাহতিম হাবিব স্যারের কথা শুনে চোখ বড়বড় করে চাইল। খুশির চোটে তার চোখের কোণে পানি জমে গেল। এতদিনের স্বপ্ন....এতদিনের স্বপ্ন এখন মাহতিমের সামনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে। মাহতিমের বাবা বললেন, ' আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে আমরা আগামী বুধবার বিয়ের দিন ধার্য্য করি? তার আগের দিন হলুদ আর মেহেদী। কি বলেন? '
হাবিব চমকে উঠে বলেন, ' আগামী বুধবার মানে তো পরশুর পরের দিন। এত দ্রুত সবকিছু...'
মাহতিম স্যারের অগোচরে বাবার পিঠে হাত রাখে। মাহতিমের বাবা চোখের ইশারায় ছেলেকে আশ্বস্ত করেন। হাবিবের দিকে চেয়ে বলেন, 'মাহতিমের দাদুর ইচ্ছে এটাই। নাতির বিয়ে দ্রুত দেখে যেতে চান। বুঝেনই তো, বয়স্ক মানুষ। কখন কোন বিপদ হয়ে যায়, আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। '
হাবিবের মনের ভেতরের খচখচানি তবুও থামে না। তিনি চিন্তিত স্বরে বলেন, ' তাই বলে এত দ্রুত? আমার মন মানছে না। '
মাহতিম এবার কথা বলে। হাবিবের হাত নিজের হাতের মুঠোয় পুড়ে মৃদু স্বরে বলে, ' স্যার, আমি আপনার মেয়েকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে বেশি পছন্দ করি। ভবিষ্যতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই আমি বিয়ের কাজ শেষ করতে চাইছি। তাছাড়া কদিন আগে, ভার্সিটিতে প্রিয়ন্তিকাকে রে*ইপ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সময়মত এসে বাঁচিয়েছিলাম বলে, প্রিয়ন্তিকা এতবড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। নাহলে...'
মাহতিম চোখ বুজে ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছাড়ে। তারপর আবার বলতে শুরু করে, 'আমি খবর পেয়েছি, প্রিয়ন্তিকার পেছনে সেই ছেলেটাই অনুরাগ নামে কাউকে লাগিয়ে দিয়েছে। প্রিয়ন্তিকার ক্ষ*তি করানোর জন্যে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। একবার আমি বাঁচাতে পেরেছি। তাই বলে, বারবার ভাগ্য আমাদের সহায় হবে না। তাই আমি একটাই অনুরোধ করব, প্রিয়ন্তিকাকে এ কদিন আপনি বাড়ির বাইরে যেতে দেবেন না। বিয়ে অব্দি সে ঘরেই যেন থাকে। বিয়ের পর আমি আমাদের বাসায় একেবারে নিয়ে যাব। প্লিজ স্যার। ট্রাই টু অ্যান্ডারসট্যান্ড। এটা প্রিয়ন্তিকার জীবনের প্রশ্ন। '
হাবিব এসব কথা শুনে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন। সত্য বলতে, তার মেয়ে যে ভার্সিটি পড়তে গিয়ে এতগুলো বিপদের সম্মুখীন হয়েছে সেটা তিনি ঘুর্নাক্ষরেও টের পাননি। মেয়ে চাপা স্বভাবের হওয়ায় নিজের সঙ্গে হওয়া এসব দুর্ঘটনা বরাবরেই লুকিয়ে এসেছে। মেয়ের কাছে তিনি এটা একদমই আশা করেননি। আজ মাহতিম না থাকলে…আঁতকে উঠেন হাবিব।
মাহতিম হাবিবের মুখের অভিব্যক্তি পটু দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে। টোটকা কাজে দিয়েছে ভাবতেই মনটা খুশিতে এলোমেলো হয়ে যায়। মাহতিমের দিকে চেয়ে হাবিব ভেজা কণ্ঠে বলেন, 'তোমার শুকরিয়া আমি কিভাবে আদায় করব ইয়ান, আমার মাথা কাজ করছে না। প্রিয়ন্তি একা একাই চলাফেরা করে সবসময়। তাই আমি মেয়ের সুরক্ষার বিষয়টা বেশি গুরুত্ত দেইনি। সেদিন তুমি ছিলে বলে। নাহলে.. '
হাবিব আর কথা বলতে পারেন না। অত্যন্ত চিন্তায় কেপে উঠে সর্বাঙ্গ। মাহতিম মৃদু হেসে বলে, 'আমি এসে গেছি এবার, স্যার। আপনার মেয়েকে নিয়ে আপনার আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনার মেয়ের রক্ষাকবজ হব আমি। ডোন্ট ওরি। '
হাবিব আশ্বস্ত হোন খানিক। মাহতিনের বাবা কথা তুলেন, ' স্যার, আপনি চাইলে আমরা বিয়ের কথা পাকা হবার চিহ্ন স্বরূপ প্রিয়ন্তি মাকে আমাদের খানদানি আংটি পরিয়ে যেতে চাই। যদি আপনি কিছু মনে না করেন, তবেই এই কাজ করা হবে।'
হাবিব খুশি হোন। খুশিতে ঝলমল হয়ে বলেন, ' অবশ্যই। আমি মেয়েকে ডেকে আনছি। '
হাবিব পুনরায় ভেতরে যান। প্রিয়ন্তি তখন নিজের মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝ*গড়া করছে। ঝ*গড়ার মূল কারণ, মাহতিমের সঙ্গে বিয়ে। সে কিছুতেই এই বিয়ে করবে না। বলা নেই, কথা নেই। বাবা হুট করে একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন। এটা কেমন ধরনের আজব কথা? বাবা কেন তার বিষয়টা বুঝছেন না?
হাবিব এদিকে আসছেন দেখে, প্রিয়ন্তির মা উঠে গিয়ে মেয়ের মুখ চেপে ধরেন। সতর্ক কণ্ঠে বলেন, ' দোহাই লাগে, চুপ কর এবার। তোর বাপ আসছে। এসব চিল্লাপাল্লা শুনলে তোরেসহ আমাকেও কথা শুনাবে। '
প্রিয়ন্তি চোখ রাঙিয়েই থেমে গেল। শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। যত হোক। প্রিয়ন্তি হাবিবকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। ভয়ও পায় একটু। বাবার সামনে গলা উঁচু করা তার স্বভাবের বিপরীত। তাই প্রিয়ন্তি দমে যায়। হাবিব আসেন। প্রিয়ন্তির মায়ের দিকে চেয়ে বলেন, ' শুনো, ওকে দশ মিনিটে শাড়ি পরিয়ে তৈরি করো। ওরা চাইছে আংটি পরিয়ে রাখতে। '
প্রিয়ন্তির মা অসহায় চোখে মেয়ের দিকে তাকান। প্রিয়ন্তির রাগ এবার আকাশচুম্বী হয়ে উঠে। ধপ করে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে। বাবার কথা শুনে রাগে চোখের কোণায় জলও জমে গেছে। প্রিয়ন্তির মা আর কিইবা বলবেন। স্বামির কথা অনুসারে বললেন, ' দিচ্ছি। তুমি ওদের কাছে গিয়ে বসো। '
হাবিব খুশিমনে মেয়ের মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে চোখের জল মুছে আবার বসার ঘরের দিকে যান। বাবা চলে যেতেই প্রিয়ন্তি ধপ করে বিছানায় বসে পরে। দুহাতে মুখ ঢেকে কেঁদে উঠে। প্রিয়ন্তির মা মেয়ের পাশে এসে বসেন। প্রিয়ন্তির কাধে হাত রেখে বলেন, ' মাহতিম ছেলেটা এতটাও খারাপ না, প্রিয়ন্তি। তাকে বিয়ে করতে তুই এত বিশ্রী অনুভব কেন করছিস? '
প্রিয়ন্তি মুখ ঢেকে আগের ন্যায় অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলে, ' জানিনা না। তাকে বিয়ে করতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। আমি বাকি জীবনটা পস্তাতে চাইনা।'
প্রিয়ন্তির মা বলেন, ' তোর বাবা বড়মুখ করে ওদের কথা দিয়েছেন। এখন ওদের সামনে না গেলে তার মুখ ছোট হয়ে যাবে। তোর বাবার এমনিতেই শরীর ভালো না। তোর এসব ধকল সে সহ্য করতে পারবে না। বুঝ প্রিয়ন্তি।'
' তাহলে কি বাবার জন্যে আমি আমার জীবন বলিদান দিয়ে দেব? এটা বলতে চাইছ তুমি, মা? '
প্রিয়ন্তির মা আঁতকে উঠেন। সঙ্গেসঙ্গে বললেন, 'বলিদান কেন হবে? আজ ওদের সামনে যা। ওরা চলে গেলে তারপর শান্ত মাথায় তুই তোর বাবার সঙ্গে কথা বলবি। তোর বাবাকে বুঝানোর চেষ্টা করবি। তারপর দেখ উনি কি বলে। শুধু লক্ষ্মী মেয়ের মত এখন ওদের সামনে যা। সোনা মা আমার। '
অতঃপর প্রিয়ন্তিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তৈরি করে দিলেন প্রিয়ন্তির মা। সাধারণ সুতির শাড়ি, সঙ্গে গলায় একটা চিকন চেইন, ঠোঁটে মিষ্টি রঙের এক লিপস্টিক। প্রিয়ন্তি তৈরি হয়ে ওদের সামনে গেল। প্রিয়ন্তিকে আসতে দেখে মাহতিম সবার অগোচরে প্রিয়ন্তিকে চোখ টিপে দিল। প্রিয়ন্তির রাগ মাথায় চড়ে বসল। চোখ রাঙালো। মাহতিমের মা প্রিয়ন্তিকে দেখে হাত বাড়িয়ে বললেন, 'আসো, মা। আমার পাশে এসে বসো। '
প্রিয়ন্তি ভদ্রতা বজায় রাখতে মাহতিমের মায়ের পাশে এসে বসল। মাহতিমের মা প্রিয়ন্তির মুখের দিকে চেয়ে চমৎকার কণ্ঠে বললেন, 'মেয়ে তো মা শা আল্লাহ। অনেক সুন্দর। পরীর মত মুখখান। আলহামদুলিল্লাহ। '
প্রিয়ন্তি এসব প্রশংসা মুখ বুজে শুনে যায় শুধু। একটু দূরেই মাহতিম তার ভাইয়ের সঙ্গে বসে আছে। মাহতিমের বেহায়া দৃষ্টি প্রিয়ন্তির চোখে-মুখে ঘুরছে। ঠোঁটে লেগে আছে অদ্ভুত এক বাঁকা হাসি। যেন প্রিয়ন্তিকে অর্ধেক পেয়েই সে দুনিয়া উদ্ধার করে নিয়েছে। জয়ী হবার হাসি লেগে আছে তার ঠোঁটের সর্বত্র। প্রিয়ন্তির মাহতিমের এই চাওনি দেখে রাগে গা জ্ব*লে-পুড়ে যাচ্ছে। ছেলেটা কতটা বেহায়া হলে প্রিয়ন্তির বারবার মানা করার পরও তাকে নিয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখতে দেখতে এতদূর এসে যেতে পারে। মাহতিমের বাবা বললেন, ' মাহতিম, প্রিয়ন্তি মায়ের পাশে এসে বসো। আসার সময় তোমার মা একটা আংটি দিয়েছে না তোমাকে। ওটা বের করে পরিয়ে দাও তাকে। '
মাহতিম বলার সঙ্গে সঙ্গে উঠে প্রিয়ন্তির পাশে এসে বসে যায়। পকেট থেকে আংটির বাক্স বের করে। বাক্স থেকে আংটি বের করা হাতে নেয়। প্রিয়ন্তির দিকে হাত বাড়িয়ে বলে, 'হাতটা? '
প্রিয়ন্তি এই কেঁদে দেবে যেন। এমন পরিস্থিতিতে সে কখনোই পরেনি। তাই এই পরিস্থিতিতে সে কি করবে কিছুই ঠাহর করতে পারছে না। প্রিয়ন্তির বাবা মেয়ের হাত তুলে দিলেন মাহতিমে দিকে। মাহতিম প্রিয়ন্তির হাত শক্ত করে ধরে। এত শক্ত করে হাত ধরার ফলে প্রিয়ন্তির মনে হচ্ছে মাহতিম তার হাত ভে*ঙে ফেলতে চাইছে। হাত ইতিমধ্যে ব্য*থা করা শুরু করে দিয়েছে। মাহতিম কি এতদিনের পেছনে ঘুরার প্রতিশোধ এভাবেই নিতে চাইছে? মাহতিম প্রিয়ন্তির আঙ্গুলে আংটি পরিয়ে দেয়। আংটি পরানোর পরও হাত ছাড়ে না। সবার অগোচরে একটা কাগজ প্রিয়ন্তির হাতের মুঠোয় পুড়ে দেয়। প্রিয়ন্তি কাগজ হাতে নিয়ে সঙ্গেসঙ্গে মাহতিমের থেকে হাত ছাড়িয়ে নেয়। ছোট কাগজ থাকায় প্রিয়ন্তি আঙ্গুলের ডগায় কাগজ খুলে দেখে। সেখানে খুব ছোট ছোট অক্ষরে লেখা, 'তোমার দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। চ্যালেঞ্জ করলাম, এই বিয়েটা রুখে দেখাও। অল দ্য বেস্ট, প্রিয়ন্তিকা।
প্রিয়ন্তি সঙ্গেসঙ্গে চোখ গরম করে তাকায় মাহতিমের দিকে। মাহতিম সঙ্গেসঙ্গে চোখ টিপে দেয় প্রিয়ন্তিকে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
২৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। তবে তিনি তার ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, “গল্প লেখে সে, কলমের কালিতে কল্পনার চিত্র আঁকিবুকি করা তার নেশা! অক্ষরের ভাজে লুকায়িত এক কল্পপ্রেয়সী!”
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন