উপন্যাস : ভাগ্যের সীমারেখা
লেখিকা : ফারজানা আক্তার
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা ফারজানা আক্তারের “ভাগ্যের সীমারেখা” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
ভাগ্যের সীমারেখা || ফারজানা আক্তার |
1111111111111111111111
০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
ভাগ্যের সীমারেখা || ফারজানা আক্তার (পর্ব - ০৪)
মুগ্ধতা যেনো কাটছেনা ইহানের। অপলকে তাকিয়ে আছে ইনাইয়ার দিকে। এইদিকে হাতের ফোন বেজেই চলেছে। ইনাইয়ার অস্বস্তি হচ্ছে ইহানকে এভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে। চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে ইনাইয়া ছাঁদ ত্যাগ করলো। ইহান এখনো মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। ভালো লাগার এক আবাস, পুরো ছাঁদ জুড়ে যেনো অন্যরকম খুশবো ছড়িয়ে আছে। ফোনের রিং আবারও বাজতে হুঁশে ফিরে ইহান। ফোনের স্ক্রিনে ভাসছে রিতু নাম। হঠাৎ এই সময়ে রিতুর কল পেয়ে বিরক্ত হয় কিছুটা ইহান। রিতু ইহানের বন্ধু সিদ্ধর বোন। প্রায়ই ইহানদের বাসায় আসা যাওয়া রিতুর। হাশেম আলি আর তার স্ত্রী নাছিমা বেগম সীমা সবাই রিতুকে খুব পছন্দ করে। ইহানেরও পছন্দ কিছুটা। চোখ বন্ধ করে কয়েকটা জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে ফোন রিসিভ করে ইহান।
"কি হয়েছে রিতু? এই ভর দুপুরে কল দিচ্ছো? তোমার ভাই সিদ্ধ সুস্থ আছে?"
"হুম ইহান ভাই আপনার বন্ধু একদম সুস্থ আছে কিন্তু আমি একদমই ভালো নেই।"
"কেনো কী হয়েছে তোমার।"
"অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে আপনার অজান্তে। আপনি তো সবই জানেন, তাই এর একটা সমাধান আপনাকেই করতে হবে।"
"কি হয়েছে বলবে তো আগে।"
"ফোনে বলা যাবেনা। আর কয়েকদিন যাক, সব ঠিক হয় কিনা দেখি তারপর আপনাকে জানাবো।"
"তাহলে কল দিলে কেনো?"
"ঝ'ড় আসার আগে আবহাওয়া যেমন প্রকৃতিকে জানান দেয় তেমনি ভাবে মনে করুন আমিও আপনাকে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখলাম।"
"আচ্ছা।"
বলেই ফোন রেখে দেয় ইহান। হঠাৎ রিতুর হলো টা কী ভাবতে থাকে ইহান। সিদ্ধর বোন বলে ইহানও বোনের চোখে দেখে রিতুকে। আপাতত ইহান রিতুর ব্যাপারটা একদম ভাবতে চাচ্ছেনা। সেই কেশবতির ভাবনা ইহানের কল্পনাজুড়ে। ইহান যেনো স্বপ্নে দেখা পরীকে দেখলো খালি চোখে।
************
আজ শুক্রবার তাই আব্রাহাম বাসায়। মা ভাই আর আফরোজাকে নিয়ে খেতে বসেছে সে। জুম্মার নামায শেষ করে বাবা আর মুরব্বিদের কবর যিয়ারত করতে গিয়ে আব্রাহামের একটু লেট হলো বাসায় ফিরতে। সবাই এতক্ষণ আব্রাহামের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
খেতে খেতে খতিজা খাতুন বলে উঠে আফরোজাকে "এই মেয়ে যাও তো আমার রুম থেকে আমার মোবাইল ফোনটা নিয়ে আসো, আমার ভাই কল দিয়েছে মনে হয়।"
"কিন্তু মা আপনার ফোনে তো রিংটোন বাজতে শুনলাম নাহ।"
"এই মেয়ে তো দেখি বড় বে'য়া'দ'ব। মুখে মুখে তর্ক করে। কি আর করবে, ছোট থেকে একা একা বড় হলে কী আর সঠিক শিক্ষা পাই কেউ? মা বাবা তো জন্ম দিয়েই পালাইছে ম'র'ছে না বাঁচি আছে জানিনা। আবার হলো গার্মেন্টসের মেয়ে। ভালো আর কোত্থেকে হবে।"
খতিজা খাতুনের কথা শেষ হতে না হতেই হাত ধুয়ে অশ্রু চোখে ফোন আনতে চলে যায় আফরোজা।
আব্রাহাম এতক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে মায়ের প্রতিটি কথা শুনছে মন দিয়ে। আফরোজা চলে গেলে আব্রাহাম তার মাকে বললো "মা তুমি না জেনে না বুঝে কোনো কথা বলবেনা আজকের পর আর কখনো। আফরোজার মা বাবা এক দূর্ঘটনায় মা'রা গিয়েছিলেন আমি খোঁজ নিয়েছিলাম। আর শিক্ষার কথা বললে আমি বলবো আগে নিজের ছোট ছেলেকে কতটুকু ভালো শিক্ষা দিতে পেরেছো সেটা চিন্তা করো একবার। আফরোজা আর ইনু না বললেও আমি জানি ও এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেনো নিয়েছে, তবুও আমি কিছু বলিনি ঘরে অশান্তির সৃষ্টি হবে ভেবে। তোমার ছেলেকে বলো আমার বউ আর শালীর দিকে যেনো সে দ্বিতীয়বার বাজে দৃষ্টিতে তাকানোর সাহস যেনো না করে নয়তো আমার থেকে খারাপ আর কেউই হবেনা। আর যেখানে গার্মেন্টস কাজ করার কথা সেখানে আমিও তো একজন গার্মেন্টস কর্মী তাহলে কী আমার চরিত্র নিয়েও তুমি বাজে মন্তব্য করবে মা?
শুনো মা কোনো কাজই ছোট বড় নয়। কোনো নারী-ই ইচ্ছে করে কাজ করতে বাহির হয়না ঘর থেকে। পরিস্থিতি বাধ্য করে নারীকে ঘর থেকে বের হয়ে রোজগার করতে। আব্বু যদি আমরা ছোট থাকতে মা'রা যেতো তাহলে কিন্তু তোমাকেও কোনো না কোনো কাজ করে আমাদের নিয়ে চলতে হতো তাই বলছি আফরোজাকে প্লিজ খোঁচা মে'রে কথা শুনিয়ো না আর। মেয়েটা ছোট থেকে অনেক দুঃখ কষ্ট করে আসছে। একটু মায়ের আদর দিয়ে দেখো মেয়েটাকে, দেখবে তোমার প্রতি ওর সম্মাণ ভালোবাসা দুটোই বে'ড়ে গিয়েছে বহুগুন। সময় থাকতে রত্ন চিনতে শিখো মা, মূল্য দিতে শিখো।"
কথাগুলো বলেই হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো আব্রাহাম। আফরোজা ফোন নিয়ে এসে দেখে আব্রাহাম খাবার রেখেই চলে গেছে। আফরোজাও আর খেলোনা। খতিজা খাতুন আর আসিফ খেয়ে উঠে গেলে আফরোজা সব ধুয়ে মুছে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
আসিফ নিজের রুমে বসে ইনাইয়ার কথা ভাবতে থাকে। ইনাইয়া সেদিন চলে যাওয়ার পর দুই বার এসেছে এই বাসায় কিন্তু একবারো আসিফ বাড়িতে ছিলোনা। আসিফ নিজের বাজে কর্মের জন্য অনুতপ্ত। সে বুঝতে পেরেছে ইনাইয়ার সাথে সে ভুল করেছে কারণ সে এখন একটা মেয়ের প্রেমে মগ্ন। যে মেয়েকে এখনো পর্যন্ত সে দেখেনি। শুধু মেসেঞ্জারে কথা হয় টুকটাক। আসিফ জানেনা মেয়েটা ওকে পছন্দ করে কিনা তবুও মেয়েটির প্রতি সে দূর্বল। আসিফ বুঝতে পেরেছে এক নারীতে আসক্ত হওয়া কতটা শান্তির।
একমাস আগে একটা মেয়েকে জোর করে জড়িয়ে ধরেছিলো আসিফ তার কলেজে। তাকে সেদিন কলেজে অনেক অপমানিত হতে হয় অনেক মা'ই'রও খেতে হয়েছিলো মেয়েটির ভাইয়ের কাছে আর সেদিনই আসিফ বুঝেছে ইনাইয়া চাইলেই তাকে অপমান করতে পারতো সবাইকে বলে তার নামে বদনাম ছড়াতে পারতো কিন্তু তা সে করেনি বরং চুপচাপ নিজেই ঘর ত্যাগ করেছে। ইনাইয়ার থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আসিফ উতলা হয়ে আছে। কখন ইনাইয়া আসবে আবার সেই অপেক্ষা করছে।
আব্রাহাম আফরোজাকে বুকে চেপে ধরে বলে "ক্ষমা করে দিও প্রিয়তমা তোমাকে মায়ের সুখ দিবো বলে প্রমিজ করেছিলাম কিন্তু আমি ব্যার্থ। আমি পারিনি আমার একটা দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতে।"
আফরোজা কোনো কথা বলছেনা। চুপ হয়ে আব্রাহামের বুকের উষ্ণতা অনুভব করছে সে। স্বামীর সুখের চেয়ে আর কোনো সুখ পাওয়ার লোভ এতোটা প্যারা দেয়না কোনো মেয়েকে। স্বামীর সুখেই আফরোজা তার এই একজীবন পাড়ি দিতে চাই।
খতিজা খাতুন যতই খারাপ আচরণ করুক না কেনো আফরোজা বিশ্বাস করে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। একমাস ধরে আসিফের পরিবর্তন আফরোজা লক্ষ করতেছে। আসিফের পরিবর্তনে আফরোজা বেশ অবাকও হচ্ছে বটে।
************
বিকালে শান্তা সবাইকে ট্রিট দিবে বলে তৈরি হতে বলে। ইনাইয়া যাবেনা বলাই খুব রেগে যায় শান্তা। প্রতি শুক্রবার শান্তা এমনই করে, ট্রিট দেওয়ার নামে প্রতি শুক্রবার সে হয় বাহিরে নিয়ে গিয়ে ভালো মন্দ খাইয়ে আনবে নয়তো দুপুর বা রাতের জন্য বিরিয়ানি কিংবা পোলাও মুরগীর রোস্ট ডিম বড় মাছ গরুর গুস্তো খাসির গুস্তো নিয়ে আসবে। বর্ণা রিহা ইনাইয়া বুঝে শান্তা এসব কেনো করে তবুও ওরা কিছু বলেনা। শান্তার যে অনেক কষ্ট হচ্ছে এমন পরিবেশে থাকতে সেটা ওরা তিনজনই বুঝতে পেরেছে। ডুপ্লেক্স বাড়ির মেয়ে এতো ছোট একটা রুমে তিনজনের সঙ্গে বেড শেয়ার করে থাকে এটা যেনো কল্পনাতেও বেমানান। এমন বন্ধুত্ব খুব কমই দেখা যায়।
বর্ণা কিছুটা ব'কা'ঝ'কা করার পর ইনাইয়া তৈরি হয়ে নেয়।
কালো বোরকা আর কালো ছয় ধাপের হিজাবটা পরে নেয় ইনাইয়া। ইনাইয়ার সাথে তিন বান্ধবীও বোরকা পরে নেয়। চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না তিনজনের।
**********
শাহিনের ফোনে কেউ একজন অনবরত কল করেই যাচ্ছে কিন্তু সে ফোন রিসিভ করছেনা। পরে বিরক্ত হয়ে সে ফোনটাও বন্ধ করে দেয়। আজকাল সেই মানুষটাকে শাহিনের বড্ড বেশি বিরক্ত লাগে। অপেক্ষার প্রহর শেষে অপেক্ষাকৃত জিনিসটা পেয়ে গেলে যেমন আগ্রহ কমে যায় তেমনই শাহিনেরও তাকে আর সহ্য হচ্ছে না। ফোনের ওপাশে থাকা মানুষটা হঠাৎ শাহিনের এমন পরিবর্তনে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।
শাহিন বেলকনি থেকে লক্ষ করে চার বান্ধবী বের হয়েছে, এটারই অপেক্ষা ছিলো তার। শাহিন নিজেও শার্টের কলার ঠিক করে বেরিয়ে পরে। সে আগে থেকেই তৈরি হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো ওদের অপেক্ষায়।
ইনাইয়ারা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে। বিকালের ঠান্ডা আমেজটা বেশ মনকারা। মিটিমিটি সূর্যের তাপ। তার সাথে ইনাইয়ার মন খারাপ। ওর একটুও ইচ্ছে করেনি এই বিকাল বেলায় ঘর থেকে বের হতে। তাছাড়া ইহানের কথাটা এখনো ভাবাচ্ছে ইনাইয়াকে। কী অদ্ভুত চাহনি ছিলো। স'র্ব'না'শা এক চাহনি।
ইনাইয়ার ভাবনায় ছেদ পরলো শাহিনের কন্ঠ কর্ণকুহর হতেই। হঠাৎ নিজের সোজাসুজি চেয়ারে শাহিনকে বসে থাকতে দেখে ইনাইয়া ভরকে যায়। শান্তা একটু ঝুঁকে ইনাইয়ার কানে কানে বলে "আমরা পাশের টেবিলে আছি, তুই প্লিজ কোনো ঝামেলা না করে একটু শান্তিতে শোন শাহিনভাই তোকে কি বলতে চাই। তোকে এভাবে না বলে শাহিন ভাইকে এনেছি এখানে তার জন্য ক্ষমা করে দিস বেবি।"
এটা বলেই শান্তা বর্ণা আর রিহাকে নিয়ে একটু পেছনে গিয়ে আরেকটা টেবিলে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে। বর্ণা আর রিহা ভীষণ বিরক্ত শান্তার এমন কাজে।
"তুই আমাদের কিছু না বলে এমন করলি কেনো? আমাদের ইনু পাখি কিন্তু এসবে জড়াতে চাইনা তুই ভালো করে জানিস। "
"তোরা আমার কথা শুনবি আগে?
আমাকে কয়েকদিন ধরেই শাহিন ভাই বিরক্ত করছে শুধু একবার ইনাইয়ার সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আর আমি জানি ইনাইয়া কখনো এই সাদা চামড়ার সাদা বিলাইয়ের সাথে সম্পর্ক করতে রাজি হবেনা কখনো তাই ভাবছি এই সুযোগে একটু অপমান করা যাক বেটাকে। বেটা আজ কয়েকদিন প্রচুর জ্বা'লি'য়ে'ছে আমাকে।
আর একটু কথা বলাতে ভয় কিসের এতো? আমরা তো আছি-ই ইনুর পাশে। ইনু বেবি যখন ওই বেটার প্রপোজাল প্রত্যাখান করবে তখন বেটার চেহারার অবস্থা কেমন হবে ভেবে দেখ একবার।"
বর্ণা রিহা আর কিছু না বলে চাতক পাখির মতো ইনাইয়াদের দিকে তাকিয়ে আছে।
শাহিন ইনাইয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারছেনা, আজ প্রথম কোনো মেয়ের সামনে শাহিন এতোটা নার্ভাস।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা ফারজানা আক্তারের ডাক নাম ফারজু। তিনি তার জন্মস্থান চট্টগ্রামেই বসবাস করেন। তিনি ২০০০ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহন করেন। শখের বশে হাতে কলম তুলে নিলেও এরমধ্যেই তার বেশ কিছু উপন্যাস পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। এরমধ্যে 'মধুবালা' অন্যতম।ফারজানা আক্তার নিজের সম্পর্কে তার সোশ্যাল একাউন্টে লিখেছেন, "আমার সম্পর্কে কী আর বলব, আমি নিজেও আমাকে বুঝিনা.. আর অন্য কেউ কীভাবে বুঝবে। নতুন নতুন বন্ধুত্ব করতে খুব ভালো লাগে আমার। তাই কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে তাকে কখনো খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনা। আমি বন্ধু নির্বাচন করতে পারিনা, মানুষ চিনতে সবসময় ভুল করি। আর তাই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঠকেও যাই। আমি একটু না বরং অনেক বেশি রাগী এন্ড জেদি। একটুতেই রেগে যাই আমি, কিন্তু যত দ্রুত রেগে যাই আমি তার থেকে বেশি দ্রুত রাগ কমেও যায় আমার। আর এই দিক দিয়ে তো আমি আমাকে মোটেও বুঝিনা। আমি অনেক মিশুক প্রকৃতির মেয়ে ছিলাম। খুব অল্প সময়ে সবার সাথে মিশে যেতে পারতাম কিন্তু এখন পরিস্থিতি আমাকে বদলে দিয়েছে। এখন চাইলেও সহজে কারো সাথে মিশতে পারিনা। আমার প্রিয় রং আকাশি নীল, সোনালি এবং কালো।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন