রম্যগল্প : পেত্নী
লেখিকা : ফারজানা আক্তার
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা ফারজানা আক্তারের “পেত্নী” শিরোনামের এই রম্যগল্পটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য গল্পটি হুবহু তুলে ধরা হলো। লেখিকা মজার এই গল্পটি ২০২২ সালের ১৫ই ডিসেম্বরে লিখেছেন।
![]() |
পেত্নী || ফারজানা আক্তার |
1111111111111111111111
পেত্নী || ফারজানা আক্তার
ভর দুপুর, ভাত খাওয়ার পর জামাল মিয়ার প্রচুর বাথরুম পেয়েছে। কোনোরকম ভাতের হাতটা ধুয়ে একটু পানি খেয়ে ভুঁ দূর দিলো বাথরুমের দিকে, রুবিনা বেগম জামাল মিয়ার মা হা হয়ে ছেলের কান্ডকারখানা দেখছে। বাথরুমে গিয়ে দেখে দরজা খুলছেনা কারণ বাথরুমে আগে থেকে কেউ একজন আছে। জামাল মিয়া দুই হাতে পেট চেপে ধরে বাহিরের দিকে দিলো দূর, তার পেঁছনেই রহিম মিয়া জামাল মিয়ার বাবা বের হয়ে পেঁছন থেকে ছেলেকে ডেকে বলে বের হয়েছি আমি, এই ভরদুপুরে বাহিরে যাসনে বাবা।
কিন্তু কার কথা কে শুনে। জামাল এক দূরে গিয়ে ঘন জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে বসে গেলো বাথরুম করতে। হঠাৎ কোথায় থেকে যেন একটা গাছের ডালে করে চড়ে কালো কুচকুচে একটা মহিলা এসে তাকিয়ে আছে জামাল মিয়ার দিকে। ভয়ে জামাল মিয়ার বাথরুম বন্ধ হয়ে গেলো, আবার ভাবলো আমার মতো হয়তো বাথরুম করতে আসছে, কিন্তু মেয়েটা এতো কুচকুচে কালো কেনো। মেয়েটা জামাল মিয়ার দিকে তাকিয়ে বিশ্রী ভাবে হাসছে। দাঁতগুলোও কি জগন্য কালো। জামাল মিয়ে বলে এই মেয়ে লজ্জা করছেনা?হাসছো কেন? ভুতনি কোথাকার।
এমন সময় জামাল মিয়া দেখে পাশের রাস্তা দিয়ে এক চাচা আসতেছে, চাচাকে দেখেই জামাল মিয়া একটু জোরেই ডাক দিলো চাচা বলে। চাচাকে ডাক দেওয়ার সাথে সাথেই কুচকুচে কালো মহিলাটি ডাল ধরে চলে গেলো জঙ্গলের অন্যপাশে। এই সুযোগে জামাল মিয়া ভুৃঁ দূরে চলে আসলো বাড়িতে।
বাসায় এসেই বাবাকে সব বলল জামাল মিয়া। বাবা সব শুনে বলল ওরে গদ্ধব এজন্যই তো তোরে কইলাম এই ভরদুপুরে বাহিরে যাসনে, কিন্তু তুই আমার কথা না শুনেই চলে গেলি,,
ওটা কোনো মহিলা ছিলোনা রে গাধা, ওটা পেত্নী ছিলো পেত্নী।
তাহলে এটা সত্যি সত্যিই ভুতনি....
এটা বলেই জামাল মিয়া জ্ঞান হারায়......
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
- সমাপ্ত -
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা ফারজানা আক্তারের ডাক নাম ফারজু। তিনি তার জন্মস্থান চট্টগ্রামেই বসবাস করেন। তিনি ২০০০ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহন করেন। নিজের সম্পর্কে তিনি তার সোশ্যাল একাউন্টে লিখেছেন, "আমার সম্পর্কে কী আর বলব, আমি নিজেও আমাকে বুঝিনা.. আর অন্য কেউ কীভাবে বুঝবে। নতুন নতুন বন্ধুত্ব করতে খুব ভালো লাগে আমার। তাই কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে তাকে কখনো খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনা। আমি বন্ধু নির্বাচন করতে পারিনা, মানুষ চিনতে সবসময় ভুল করি। আর তাই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঠকেও যাই। আমি একটু না বরং অনেক বেশি রাগী এন্ড জেদি। একটুতেই রেগে যাই আমি, কিন্তু যত দ্রুত রেগে যাই আমি তার থেকে বেশি দ্রুত রাগ কমেও যায় আমার। আর এই দিক দিয়ে তো আমি আমাকে মোটেও বুঝিনা। আমি অনেক মিশুক প্রকৃতির মেয়ে ছিলাম। খুব অল্প সময়ে সবার সাথে মিশে যেতে পারতাম কিন্তু এখন পরিস্থিতি আমাকে বদলে দিয়েছে। এখন চাইলেও সহজে কারো সাথে মিশতে পারিনা। আমার প্রিয় রং আকাশি নীল, সোনালি এবং কালো।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন