উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৮)
নূরঃএতক্ষন লাগে আসতে?গেট ধরাই এর টাকা দিন তাড়াতাড়ি। সেই কবের থেকে গেট ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
মেহরাব নূর এর কান্ডে হতাশ।
মেহরাবঃতুমি এখানে কি করে আসতে পারো নূর?ভুলে গিয়েছো তোমার ও আজকেই বিয়ে হয়েছে?আমি সেই কখন থেকে তোমাকে খুজছি। আর তুমি এখানে।
নূরঃআর এ তাড়াতাড়ি টাকা দিন আরিয়ান জিজু।আমার বরমশাই আবার রেগে যাবে।
মেহরাব সত্যিই সত্যিই রেগে চলে গেলো সেখান থেকে।
আরিয়ান পকেট থেকে টাকা বের করে তিথির হাতে দিয়ে দিলো।
আরিয়ানঃনূর ভাবী। তিথির কাছে সব দিয়ে দিয়েছি। আপনি নিয়ে নিয়েন।এখন মেহরাব এর কাছে যান।বেচারা অনেক টেনশনে পড়ে গিয়েছিল।
নূরঃআমি বুঝতে পারি নাই।উনি এতোটা চিন্তিত হয়ে পড়বেন।সরি।
নূর মেহরাব এর রুমের দিকে ছুটে গেলো।
তিথি হাসি মুখে সেখান থেকে গেস্ট রুমে চলে গেলো।আদ্রিয়ান এর কাছে তিথিকে স্বাভাবিক মনে হয় নাই।আদ্রিয়ান তিথির পিছনে যায়।
আরিয়ান আদ্রিতার রুমে প্রবেশ করে।
নূর রুমে প্রবেশ করে দেখে মেহরাব বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।মেহরাব নূরকে দেখেও না দেখার ভান করে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
নূর ও ইগনোর করে একটা গোলাপি শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
মেহরাব শেরওয়ানি চেঞ্জ করে ওয়াইট কালার শার্ট পড়ে বেডে শুয়ে পড়লো।চোখ গুলো বন্ধ করে ঘুমানের চেষ্টা করছে।
নূর কিছুক্ষন পর ভেজা চুলে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।বের হয়ে দেখে মেহরাব চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছে।নূর ইচ্ছে করে চুলের পানি গুলো মেহরাব এর উপর ঝাড়া দিলো।পানির ছিটায় মেহরাব কপাল কুচকে চোখ খুললো।
নূর এর পড়নে স্লিভলেস গোলাপি কালার এর শাড়ি।মুখে ছিটে ছিটে পানির বিন্দু।ঠোঁট গুলো হাল্কা গোলাপি। মেহরাব নেশাক্ত নয়নে নূর এর দিকে তাকিয়ে আছে।
মেহরাবঃদেখছে আমি রেগে আছি।কই আমাকে একটু মানাবে।তা না সব আমার মাথা নষ্ট করার ধান্দা।
নূর মেহরাব এর কথাগুলো শুনে মুচকি মুচকি হাসছে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল গুলো মুছতে লাগলো।মেহরাব হুট করে উঠে এসে নূরকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ গুজলো।
নূরঃকে জানি আমার উপর রেগে ছিলো?
মেহরাবঃরাগ করে থাকতে দিলে কই?
নূরঃআমি আবার কি করলাম?
মেহরাবঃরাগ না ভাংগিয়ে আকৃষ্ট কেন করেছো?হুম?
নূরঃআমি তো কিছুই করি নাই।শুধু শাড়িটা চেঞ্জ করলাম।আপনি এতো কন্ট্রোল লেস কেন?আপনি যে শার্টের উপরে দুটো বোতাম সব সময় খুলে রাখেন।কই আমি কন্ট্রোল হারিয়েছি?
মেহরাবঃতাহলে দেখি তোমার কত কন্ট্রোল নিজের উপর।
মেহরাব নূর এর ঘাড়ে কামড় দিয়ে দিলো।
নূরঃআহহ।রাক্ষস।
মেহরাব বাকা হাসলো।নূরকে ঘুড়িয়ে ঠোঁট গুলো আকড়ে নিলো।নূর মেহরাবকে ধাক্কা দিলো। মেহরাব নূরকে শক্ত করে ধরে রেখেছিলো বলে দু জনেই একসাথে বিছানায় পড়ে গেলো।
মেহরাবঃএতো কন্ট্রোল লেস তুমি?!!সামান্য কিস করায় বিছানায় ফেলে দিলে?
নূর মেহরাব এর বুকে কামড় দিয়ে দিলো।দাত গুলোর ছাপ বসে গিয়েছে বুকে।জায়গাটা নীল রং ধারন করছে।
মেহরাব একটুও শব্দ করলো না।
নূরঃব্যাথা পান নাই?
মেহরাব মুচকি হাসলো।
মেহরাব~
Teri Baahon Mein Mili
Aisi Rahat Si Mujhe
Ho Gayi Jaan-E-Jahaan
Teri Aadat Si Mujhe
Dekhun Main Jab Tujhko Toh
Tab Mera Din Ye Dhale
মেহরাব নূর এর কপালে গালে চুমু খেলো।নূর এর চুলগুলো মেহরাব এর মুখে উপর পড়েছে।মেহরাব না সরিয়ে ঘ্রান নিতে লাগলো।
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehra
Bata Ab Jaayein Toh Jaayein Kahaan
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehra
Bata Ab Jaayein Toh Jaayein kahaaan
নূর যখন মেহরাব এর মাঝে ডুবে গিয়েছে তখনই হুট করে মেহরাব সরে আসে।নূর চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে।
মেহরাবঃএভাবে তাকিয়ে আছো কেন?তোমার অনেক কন্ট্রোল মেনে নিলাম আমি।যাও।
মেহরাবঃনিজের বর ফেলে গেট ধরতে যাওয়া।এইবার আচ্ছা মতো সাইজ করবো তোমাকে নূর চৌধুরী। (মনে মনে)
মেহরাব উঠতে যাবে তখনই নূর কলার ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো।
মেহরাবঃকি?মিস চৌধুরী?
নূরঃভালোবাসি মেহরাব চৌধুরী।
মেহরাব নূর এর দুই গালে হাত রাখলো।
মেহরাব~
Dhul Gaye Dil Ke Saare Gham
Khushi Se Aankhein Hai Ye Nam
Zindagi Mein Tu Meri Jab Se Aa Gaya
Dil Ka Armaan Bana Hai Tu
Meri Pehchaan Bana Hai Tu
Saanson Mein Ruh Ban Ke Tu Samaa Gaya
Jaan Bhi Teri, Dil Bhi Tera
Tujh Se Hai Mera Savera O
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehraa
Bata Ab Jaayein Toh Jaayein Kahaan
নূর মেহরাব এর দিকে নেশা ভরা চোখে তাকায়।
মেহরাব নূর এর চোখের ভাষা পড়তে পারে।নিজ থেকে নূর এর একদম কাছে চলে আসে।
নূর মেহরাব এর আদর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে।দীর্ঘ ৪ বছর অপেক্ষা পর মেহনূর এর ভালোবাসা পূর্নতা পেল।
আদ্রিতা সেই কখন থেকে ল্যাপটপে কাজ করছে।আরিয়ান ফ্রেশ হয়েও এসে পড়েছে।কিন্তু আদ্রিতার কোনো নড়চড় নেই।
আরিয়ান এইবার আদ্রিতাকে ল্যাপটপসহ টেনে নিজের কোলে বসিয়ে নেয়।
আদ্রিতাঃকি করছেন আরিয়ান?ইম্পর্টেন্ট কাজ করছি। ডিলিট হয়ে যাবে তো।
আরিয়ানঃআর আমার ফিলিংসগুলো যে ডিলিট হয়ে যাচ্ছে?আমি ইম্পর্টেন্ট না?
আদ্রিতাঃবিয়েটা করার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কি না?
আরিয়ান মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো।
আরিয়ানঃকি বলতে চাও?তুমি বিয়েতে খুশি না?
আদ্রিতা ল্যাপটপ ভাজ করে সাইডে রেখে আরিয়ান এর দিকে ঘুরে বসলো।
আদ্রিতাঃএমনটা না আরিয়ান যে আমি খুশি না কিন্তু আমি এখনই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।মাত্রই পড়াশোনা শেষ করলাম।কিছুদিন হলো অফিস জয়েন করেছি।আমার ক্যারিয়ার গড়া হয় নেই। এখনিই সংসার শুরু করে দিলে আমি নিজেকে কিভাবে গুছাবো?
আরিয়ানঃআমি আছি তো আদ্রিতা।আমি কখনোই তোমার ক্যারিয়ারে বাধা হবো না।আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।আমাকে বা আমার সংসার নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।আমি এদিকটা সামলে নিবো।তুমি তোমার মতো এগিয়ে যাও।
ড্রেস চেঞ্জ করে এসে তারপর কাজ করো।আমি ঘুমিয়ে পড়ছি।
আরিয়ান শুকনো হাসি দিয়ে আদ্রিতাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলো।
আদ্রিতা বুঝতে পারলো আরিয়ান কষ্ট পেয়েছে।
আদ্রিতাঃআপনি কষ্ট কেন পাচ্ছেন?আরিয়ান?
আরিয়ানঃকষ্ট পাই নাই আদ্রিতা সোনা।
And I am extremly sorry.আব্বু আম্মু মেহরাব আদ্রিয়ান সবার মন জয় করতে করতে তোমাকে জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেলাম তুমি বিয়েতে রাজী কি না।আমাকে ক্ষমা করে দিও।ভুলটা আমার ছিলো।
তুমি যতদিন না চাইবে আমি তোমার কাছে এগোবো না।আর তুমি চাইলে এখানেও থাকতে পারো।কাবিনতো হয়েই গিয়েছে।পরে না হয় ঘরে তুলবো।
আদ্রিতা এবার বুঝতে পারলো সে নিজের কথা ভাবতে যেয়ে আরিয়ান এর দিকটা খেয়ালই করলো না।
আদ্রিতাঃডাক্টার সাহেব?
আরিয়ান হাসলো।
আরিয়ানঃহ্যা।মিস আরিয়ান।বলেন?
আদ্রিতাঃআদর করবেন না আমাকে?
আরিয়ানঃহ্যা। করবো তো। যখন আপনি মন থেকে প্রস্তুত হবেন।আমাকে খুশি করার জন্য না।
কাজ শেষে লাইট বন্ধ করে দিয়ো।গুড নাইট।
আদ্রিতা ল্যাপটপ গুছিয়ে রেখে লাইট অফ করে আরিয়ান এর টিশার্ট এর ভিতরে ঢুকে পড়লো।
আরিয়ানঃকি হচ্ছে।হুম?
আদ্রিতাঃঘুম পাড়ান আমাকে।আমার গান না শুনলে ঘুম আসে না।
আরিয়ান আদ্রিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
আরিয়ান~
dil ye mera mujhe
Hardum ye poochta
Kyun hai mujhe
Tujhse itni wafa
Kyun teri hasrat
Hai har khwahish
Se badhkar mujhe
Kyun naam tera
Hi leti zubaan
Saathi tera bann jaaun
Kyun hai yeh junoon
Har aansun tera pee jaaun
Or de du sukoon
Har din tujhko chaahun
Teri raah takun
Apni baahon mein tujhko
Main salamat rakhun
আদ্রিতা খুব ক্লান্ত ছিলো বলে ঘুমিয়ে পড়ে।
আরিয়ানঃবিয়েটা দেরিতে করতে আমার কোনো সমস্যা ছিলো না আদ্রিতা।কিন্তু আরাফ আব্বুর কথাগুলো শোনার পর তোমাকে একা রাখতে মন মানছিলো না।ভালোবাসি আদ্রিতা।
আরিয়ান আদ্রিতাকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নেয়।
অন্ধকার ছাদে তিথি একা বসে আছে।আকাশ একটু পর পর গর্জন করে উঠছে।হয়তো খুব জোরে বৃষ্টি নামবে।আদ্রিয়ান অনেকক্ষন যাবত তিথিকে বসে থাকতে দেখছে।কিন্তু এগিয়ে যায় নাই।হয়তো তিথি একা সময় কাটাবে বলে এসেছে।সে প্রাইভেসি নষ্ট করতে চায় নাই।কিন্তু অনেকক্ষন যাবত হেলদোল না দেখে আদ্রিয়ান সামনে এগিয়ে গেলো।
তিথি আদ্রিয়ানকে দেখে চমকে উঠলো।
তিথিঃতুই এখানে কি করছিস?
আদ্রিয়ানঃতোমার চোখ গুলো ফোলা কেন তিথি পাখি?কি হয়েছে?
আদ্রিয়ান তিথির চোখে পানি দেখে ব্যাকুল হয়ে পড়ে।তিথি আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরে।আদ্রিয়ান ও তিথি বুকের মাঝে আড়াল করে নেয়।
তিথিঃমেহরাব ভাইয়া আমাকে কেন ঠকালো আদ্রিয়ান?
আদ্রিয়ান চমকে উঠলো।
আদ্রিয়ানঃতুই এটা কি বলছিস তিথি?মেহরাব ভাইয়া তোকে কি করে ঠকালো?
তিথিঃমেহরাব ভাইয়াতো আমাকে ভালোবাসতো তাহলে নূর আপুনিকে কেন বিয়ে করলো?আমি তো ভেবেছিলাম উনি নূর আপুনির বিয়ে ভেঙে গিয়েছে বলেই তাকে বিয়ে করেছেন কিন্তু আজকে নূর আপুনিকে না পাওয়ায় তার চোখে স্পষ্ট ভয় দেখেছিলাম আমি।তার মানে তিনি আগে থেকে নূর আপুনিকেই ভালোবাসতেন।তাহলে আমাকে কেন মনে করালো উনি আমাকে ভালোবাসেন?
আদ্রিয়ানঃভাইয়া তোকে কখনো বলেছে সে তোকে ভালোবাসে?
তিথিঃনা।
আদ্রিয়ানঃতাহলে কি করে বুঝলি?উনি তোকে ভালোবাসেন?
তিথিঃভাইয়া সবসময় আমাকে তোর হাত থেকে বাচাতেন।ব্যাথা পেলে মলম লাগিয়ে দিতেন। অনেক আদর করতেন। যত্ন নিতেন।
আদ্রিয়ানঃএইগুলো তো ভাইয়া আমাকে আর আদ্রিতা আপুনিকেও করতেন।
তিথিঃতার মানে কি আমি ভুল বুঝলাম?
আদ্রিয়ানঃহ্যা।ভাইয়া তোকে সবসময় ছোট বোনের মতো আগলে রেখেছে।ভালোবেসেছেন কিন্তু যেমন আমাকে আর আদ্রিতা আপুকে ভালোবাসেন ঠিক তেমন ভালোবেসেছেন।এর থেকে বেশি কিছুই না।
আমাদের বাসায় সবাই ছোট থেকেই জানে ভাইয়া শুধু নূর ভাবীকে ভালোবাসে।তুই কি করে এটা দেখলি না রে?
তিথিঃআমিই অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম উনার প্রেমে।তাই কোনো কিছুই আমার চোখে পড়লো না।
তিথি ভেঙে পড়লো।তিথির চোখের পানিতে যেন আকাশ ও কেদে দিলো।ঝরঝর করে বৃষ্টি নেমে আসলো পৃথিবীর বুকে।
আদ্রিয়ান তিথিক নিজের মাঝে জড়িয়ে নেয়।কিন্তু তিথি কোনো ভাবেই শান্ত হচ্ছে না।
আদ্রিয়ান চোখ থেকেও পানি পড়তে লাগলো।বৃষ্টির পানির সাথে আদ্রিয়ান এর চোখের পানি মিশে যাচ্ছে।
আদ্রিয়ান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তিথি তাকে না তার ভাইকে ভালোবাসে।
আদ্রিয়ানঃতুই ভাইয়ার চোখে ভালোবাসা খুজলি।অথচ আমার চোখ উপড়ে আসা ভালোবাসা গুলো তোর কাছে ধরা দিলো না।কেন তিথি পাখি?কেন? (মনে মনে)
তিথির অতিরিক্ত কান্না করায় শ্বাসকষ্ট হতে লাগলো।
আদ্রিয়ান তিথিকে শান্ত করতে গান ধরলো।ছোট থাকতে যখন তিথি কোনো কিছু না পেতো তখন এভাবেই কান্না করতে করতে শ্বাসকষ্ট উঠিয়ে ফেলতো।তখন ছোট্ট আদ্রিয়ান আরাফ এর শেখানো গানটা গেয়ে শোনাতো। তিথি খিল খিল করে হেসে দিতো।ভুলেই যেতো যে সে কোনো কিছু না পেয়ে কান্না করছিলো।তবে কি আজ তিথি ভুলতে পারবে মেহরাবকে?
আদ্রিয়ান~
Dil ibadat kar raha hai
Dhadkane meri sun,
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yehi dhun,
Zindgi ki shakh se loon kuch hasin pal le chun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yahi dhun.
Dil Ibadat kar raha hai
Dhadkane meri sun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yehi dhun,
Zindgi ki shakh se loon kuch hasin pal le chun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yahi dhun.
Jo bhi jitne pal jeeyun
Unhe tere sang jeeyu
Jo bhi kal ho ab mera use tere sang jeeyu
Jo bhi saanse main bharoo unhe tere sang bharoo
Chahe jo hona rasta use tere sang chalu.
Dil Ibadat kar raha hai
Dhadkane meri sun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yehi dhun.
তিথির শ্বাসকষ্ট কমে আসলো।আদ্রিয়ান তিথির চোখের পানি গুলো মুছে দিলো।তিথির শীত করছে বলে নিজের জ্যাকেটটা খুলে তিথির গায়ে পড়িয়ে দিলো।
তিথি আদ্রিয়ান এর বুকে মাথা ঠেকিয়ে চোখ গুলো বুঝে নিলো।সারা গায়ের ভর আদ্রিয়ান এর উপর ছেড়ে দিলো।
Mujhko de tu mit jaane
Ab khudse dil mil jaane
Kyu hai yeh itna fasla,
Lamhe yeh phir na aane
Inko tu na le jaane
Tu mujh pe khudko de luta,
Tujhe tujhse tod lun kahi khudse jod lun
Mere jismo jaan main aaj teri khusboo odh loon.
Jo bhi saanse main bharoo unhe tere sang bharoo
Chahe jo hona rasta use tere sang chalu.
Dil Ibadat kar raha hai
Dhadkane meri sun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yehi dhun.
তিথির কাছে মনে হলো আদ্রিয়ান একটু পর পর কেপে উঠছে।তিথি শান্ত হয়ে আদ্রিয়ান এর দিকে তাকায়।
আদ্রিয়ান এর চোখগুলো লাল বর্ন ধারন করেছে।
তিথিঃআদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ানঃহুম।
তিথিঃতোর চোখগুলো লাল কেন?তুই কি কাদছিস?
আদ্রিয়ান মুচকি হাসলো।
আদ্রিয়ানঃচোখে কিছু গিয়েছে রে।চল তোকে রুমে দিয়ে আসি।
তিথিঃআচ্ছা।
আদ্রিয়ান তিথিকে রুমে দিয়ে নিজের রুমে এসে পড়ে। সাইড টেবিল থেকে দুটো ঘুমের ওষুধ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন