উপন্যাস : আরশি
লেখিকা : মৌসুমি আক্তার মৌ
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা মৌসুমি আক্তার মৌ'র “আরশি” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি তার ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন। এই উপন্যাসে গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে এর কিছুই মিল নেই। এটি মূলত লেখিকার ‘প্রাণস্পর্শী’ উপন্যাসের চরিত্রদের কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।
![]() |
আরশি || মৌসুমি আক্তার মৌ |
1111111111111111111111
১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
আরশি || মৌসুমি আক্তার মৌ (পর্ব - ০২)
বাবা মারা যাওয়া মেয়েটার মাঝে কোনো অস্থিরতা নেই। এক ধ্যানে শুধু তাকিয়ে আছে মৃত বাবার লাশের দিকে। লাশকে কেন্দ্র করে ঘিরে থাকা মানুষগুলো তাকিয়ে আছে আরশির দিকে। তারা বলাবলি করছে– মেয়েটা অধিক শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে। আহিরও তাকিয়ে আছে আরশির দিকে। আহির খেয়াল করল– আরশি ছাদের কোনায় চলে এসেছে; হয়তো এখনি পড়ে যাবে। প্রলয়ের গতিতে ছুটে আরশিদের ছাদে প্রবেশ করল আহির। আরশিকে টেনে ছাদের কোনা থেকে নিয়ে আরশির রুমে নিয়ে গেল। ছাদের দিকে মানুষজন তাকিয়ে আছে। মানুষের সামনে সে আরশিকে কিছু বলতে পারবে না। রুমের মধ্যে গিয়েও আরশি কেমন ধ্যানের মতো তাকিয়ে আছে। আহির তার দুই বাহুতে হাত রেখে বলল, “আরশি, তুমি কাঁদছ না কেন? তোমার বাবা মারা গিয়েছেন। তোমার একমাত্র আপনজন মারা গিয়েছেন; তবুও তুমি কাঁদবে না?”
আরশি চোখ তুলে মলিন চোখে তাকাল আহিরের দিকে। চোখ জুড়ে এক রাশ অসহায়ত্ব। মুখে কোনো কথা নেই। গত একটা বছর আরশি অনুভূতিশূন্য হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড হাসির কোনো কারণ থাকলেও সে হাসে না, চোখের সামনে মর্মান্তিক কোনো ঘটনা ঘটলেও সে কাঁদে না; শুধু এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে। অথচ এই গ্রামের সব থেকে ছটফটে-চঞ্চল মেয়ে ছিল আরশি। সারাদিন ছোটাছুটি করে বেড়িয়েছে, গাল ভরা হাসি থেকেছে। গ্রামের সব মানুষের সাথে নিজে থেকে ডেকে কথা বলেছে। এক বছর আগে হার্ট অ্যাট্যাকে নিজের মায়ের মৃত্যু হয়, তার কিছুদিন পরেই বড়ো বোন গলায় দঁড়ি দিয়ে মারা যায়। এই দুইটা ঘটনা আরশিকে নিশ্চুপ করে তুলেছে আর বাবার মৃত্যু যেন আরও পাথর করে দিয়েছে।একটা পরিবার চোখের সামনে এইভাবে ধ্বংস হয়ে গেল। সবই কি প্রকৃতির নিয়মে ঘটছে না কি গভীর কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে! আরশির এই থম মেরে থাকা আহিরকে ভাবাচ্ছে। আহিরের মাঝে তীব্র ভ'য় বিরাজমান। কেননা কাঁদলে মানুষের ভেতরটা হালকা হয়; কিন্তু এইভাবে চুপচাপ থাকাটা হিতে বিপরিত কিছু হতে পারে। আহির আবারও আরশিকে বলল, “আরশি, নিচে যাবে? বাবার লা'শ দেখবে না শেষ বারের মতো?”
আরশির মুখে কোনো কথা নেই। তাকিয়ে আছে আহিরের দিকে। সেই আগের মতোই।আহির আবার বলল, “চলো, আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি আরশি। বাইরে হাজার মানুষের ভিড়; তোমার বাবাকে দেখতে এসেছে। তুমি যাবে না? কান্নার সুর কি তোমার কানে ভেসে আসছে না?”
আরশি নিরবতা ভেঙে বলল, "ওঁরা কাঁদছে কেন? আমার বাবা ওদের কী হয়?”
"তোমার বাবাকে ওঁরা ভালোবাসে। কয়েক গ্রামের মানুষের ভালোবাসার মানুষ তোমার বাবা। উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।তাই মানুষের কষ্ট হচ্ছে।”
“একজন ভালো মানুষকে মানুষ খু*ন করল কেন? কে মেরেছে আমার বাবাকে, জানেন?আমার আম্মুও ভালো মানুষ ছিল। আপুও ভালো মানুষ ছিল। ওঁরা কেউ বেঁচে নেই। তার মানে– কোনো ভালো মানুষ আর বেঁচে থাকে না। আমিও আর বেঁচে থাকব না, তাই না?”
আহিরের বুকের মাঝে কেমন ছাঁৎ করে উঠল; আরশির মুখে মৃত্যুর কথা শুনে। শরীর কেমন কেঁপে উঠল। সাথে সাথেই আরশিকে জড়িয়ে ধরল। নিজের বুকের সাথে আরশির মাথাটা মিশিয়ে রাখল।আরশির মাথায় নিজের থুতনি ঠেকিয়ে বলল, “আমি তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি আরশি, আর জীবনে মরার কথা বলবে না তুমি। কেউ তোমাকে মারতে পারবে না। আহির চৌধুরীর প্রাণস্পর্শী তুমি। আহির চৌধুরির প্রাণস্পর্শীর দিকে কেউ হাত বাড়ালে সেই হাত আস্ত থাকবে না। আমি প্রয়োজনে হিংস্র থেকে ভয়ানক হিংস্র হব; তবুও তোমাকে আমি ভালো রাখব। ইটস মাই চ্যালেঞ্জ।”
“এসব শুনতে ভালো লাগছে না, ছাড়ুন তো আমাকে।”
“তোমাকে ছাড়ব কীভাবে? তুমি স্বাভাবিক নেই, একদমই স্বাভাবিক নেই। তোমাকে কাঁদতে হবে। চোখের পানি না বেরোলে তুমি স্বাভাবিক হতে পারবে না। চিৎকার দিয়ে কাঁদো প্লিজ।”
আরশি সাথে সাথে হো হো শব্দে অট্টহাসিতে ভুবন কাঁপিয়ে তুলল। রহস্যময় সেই হাসি।আহির ভীষণ অবাক হলো। এই হাসি কোনো স্বাভাবিক হাসি নয়। মেয়েটা কি পা*গ*ল হয়ে গেল? ভ*য়ে আহির আতঙ্কিত হলো। এই মেয়েটাকে তার লাগবেই। এই মেয়েটাকে তার স্বাভাবিক করে তুলতেই হবে।
আহির আবার বলল, “নিজের বাবার মৃত্যুতে কেউ এইভাবে হাসে আরশি? ছিঃ! মানুষ কী বলবে? তুমি কি নির্দয়-নিষ্ঠুর হয়ে গিয়েছ? আমি ম'রে গেলেও তুমি এইভাবে হাসবে?”
“তাহলে আমি কী করব, আপনি ম'রে গেলে কাঁদব?”
“আমি মরব না এত সহজে। তোমাকে ভালো রাখতে হলেও আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।বিকজ– আই লাভ ইউ।”
আরশি খেয়াল করল– তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা। মেঘলা মেয়েটা আরশিকে একটুও সহ্য করতে পারে না। মেঘলার সাথেই আহিরের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। মেঘলা আহিরকে ভালোবাসে।আহিরের মতো সুদর্শন যুবককে কে না ভালোবেসে পারবে। এই ভ্রমানিপুর গ্রামসহ আশেপাশের প্রতিটা মেয়ের স্বপ্নের পুরুষ এই ধবধবে সাদা চামড়ার চাপদাড়িওয়ালা ছেলে আহির। মেঘলারও চরম দূর্বলতা রয়েছে। শুধু মাঝখানে আরশি থাকায় আহিরকে নিজের করে পাচ্ছে না। আরশির চোখও মেঘলার দিকে গেল। মেঘলার দিকে তাকিয়ে ভেতর থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ঘটিয়ে বলল, “ভালোবাসা, তাই না? পুরুষের আবার ভালোবাসা! আমি পুরুষের ভালোবাসাকে ঘৃণা করি।”– বলেই আরশি আহিরকে জোরে ধাক্কা মারল। আহির ধাক্কা খেয়ে খানিকটা দূরে সরে গেল। খেয়াল করল মেঘলা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আহির বুঝতে পারল মেঘলাকে দেখে এই রিয়্যাকশন আরশির। মেঘলারও চোখ দুটো জ্বলে উঠল। আরশির কাছে এগিয়ে এসে বলল, “নিচে বাবার মৃত লাশ পড়ে আছে আর এখানে পরপুরুষের সাথে জড়াজড়ি করছ? ছিঃ! কোন টাইপের মেয়ে তুমি? চোখে এক ফোঁটা পানিও নেই!”
“মৃ' ত্যু আমাকে কষ্ট দেয় না; আপনি হয়তো জানেন না, মেঘলা আপু। এই পৃথিবীর সব মানুষও যদি ম'রে যায় তবুও আমার উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।”
আরশি এবার আহিরের দিকে তাকাল। চোখে-মুখে বিরক্তি নিয়ে বলল, “আপনার হবু বরকে সামলে রাখুন, নইলে পস্তাবেন।”
“তুমি নিজেকে সামলে রাখলেই তো পারো।”
“নিজেকে সামলে রেখেছি বলেই তাকে নিয়ে এটুকু বাড়াবাড়ি করার সাহস পাচ্ছেন। নইলে পারতেন না, আই রিপিট পারতেন না।তার আশেপাশে ঘেঁষতেও পারতেন না।দু'জনেই বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে।আমার ঘুম পাচ্ছে, প্রচুর ঘুম। ঘুমে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে।”
মেঘলা-আহির দুজনেই অবাক হলো। মেয়েটা এসব কী বলছে! তার বাবার লাশ নিচে; অথচ তার ঘুম পাচ্ছে! কী অদ্ভুত না বিষয়টা! মেঘলা এবার আহিরের সামনে গিয়ে বলল, “ও না হয় নির্লজ্জ; কিন্তু আপনি? আপনি কীভাবে মরা বাড়িতে এসে এসব করছেন একটা ঘরের মাঝে? আপনার থেকে এটা আশা করিনি। ভীষণ অবাক হলাম আজ আমি।”
আহির নিজের দাড়িতে হাত বুলিয়ে বুকে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে বেশ গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বলল, “আমিও ভীষণ অবাক হলাম।”
“কেন?”
“তোমার স্পর্ধা দেখে। তুমি কোন সাহসে আরশির সাথে এ ধরনের আচরণ করলে? ইচ্ছা করছে তোমার জিহ্বা টেনে ছিঁ*ড়ে ফেলি। আরশি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো নারীকে স্পর্শ করতে পারব না বলে বেঁচে গেলে।”
“আপনি কি ভুল যাচ্ছেন আমাদের বিয়ের কথাবার্তা চলছে?”
“কে বিয়ে করছে তোমায়? এখন আমার এসব অযাচিত বিষয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না।”
এর মাঝেই আরশির দ্বিতীয় পক্ষের মাকে সবাই ধরে ঘরে নিয়ে এলো। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আরশির চাচা-চাচি-দাদি এবং নিজেদের সকল লোকজন কান্নায় বেসামাল হয়ে পড়েছেন। শুধু আরশির মাঝেই কোনো হেলদোল নেই। মানুষের কান্নার সুর আরশির কাছে বিরক্ত লাগে, হাসির সুরও বিরক্ত লাগে। দুই কানে হাত দিয়ে আরশি ফ্লোরে বসে পড়ল। মেঘলা ওখান থেকে বেরিয়ে গেল। ক্রমশ আরশির ঘরে লোকজন ভরে গেল। বাবাকে হারিয়ে মেয়ের প্রতিক্রিয়া দেখতেই সবাই আরশিকে ঘিরে ধরল। আরশির এমন অস্বাভাবিক আচরণে সবাই বলাবলি করছে মেয়েটা শোকে পা'গ'ল হয়ে গিয়েছে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো। লাশ পোস্ট মর্টেম করে বিকালে দাফন সম্পন্ন করা হলো। কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছিল আরশির বাবার দাফনে।
খুব বড়ো করে লেখা চৌধুরী ভীলা। চৌধুরী বাড়ির মেইন গেইটে সন্ধ্যায় চৌধুরী ভীলায় মানুষের ছড়াছড়ি। আহির চৌধুরীর বাবা আরমান চৌধুরীও একজন বিত্তশালী মানুষ। শওকত গাজীর বিশ্বস্ত বন্ধু ছিলেন। একই জায়গা বাড়ি হওয়ায় দু'জনের সম্পর্ক ছিল ভাই আর বন্ধুর মতো। শওকত গাজীর মৃত্যুতে সব থেকে বেশি ভেঙে পড়েছেন আরমান চৌধুরী। শওকত গাজীর ডানহাত আর বামহাত ছিলেন আরমান চৌধুরী।দারোগাসহ আশেপাশের সব মানুষ আরমান চৌধুরীর কাছে এসে বসেছে তদন্তের জন্য।আরমান চৌধুরী মেনে নিতে পারছেন না তার পরম বন্ধুর এমন সাংঘাতিক মৃত্যু। তরুণ দারোগা তুরাণ পুরো কেসটার দায়ভার নিয়েছে। কেউ কোনভাবে কোনো সমীকরণ মেলাতে পারছে না। যে মানুষকে মানুষ এত ভালোবেসেছে তার এমন শত্রু কে ছিল এটাই সবাইকে ভাবাচ্ছে। বাড়িতে প্রচুর মানুষের ভিড়ের মাঝে এতসময় আহিরও ছিল। শওকত গাজীর ওয়াইফ, মা, ভাই-বোন সবাই আছে; শুধু নেই আরশি।আহির চুপচাপ উঠে গেল। এত আলোচনা তার আর ভালো লাগছে না। বাড়ির বাগানে প্রবেশ করল; পকেট থেকে সিগারেট আর লাইটার বের করল। সিগারেট ধরিয়ে নাক দিয়ে গলগল করে ধোঁয়া ছাড়ল। সাথে সাথে নেত্র সম্মুখে আরশির মুখটা ভেসে উঠল।আহির অর্ধ শেষ হওয়া সিগারেটটা মাটিতে ফেলে দিয়ে জুতা দিয়ে পিষে আগুন নেভাল।
প্রায় দেড় বছর আগের কথা। আহির গ্রামের কয়েকটা ছেলের সাথে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আহিরের পরনে ছিল ব্লু জিন্স, হাতা লম্বা- সাদা গেঞ্জি, গেঞ্জির হাতা গোটানো। আরশি স্কুল থেকে ফিরছিল।আহিরকে দেখেই ভীষণ মুগ্ধ হলো। এক গাল হেসে আহিরকে ডাকল, “এই যে আহির ভাইয়া, শুনছেন?”
“কিছু বলবে আরশি?”
“হ্যাঁ, এদিকে আসুন একটু।”
“আচ্ছা বলো, কী বলবে? এনি প্রব্লেম?”
“আপনি কী হ্যাঁ, আহির বাবু?”
“খানিক আগে ভাইয়া ডাকছিলে আর এখন বাবু!”
“আপনার বন্ধুদের সামনে আপনাকে বাবু ডাকলে ওঁরা আপনাকে খ্যাপাবে সেটা কি খুব ভালো হবে?”
“এই মেয়ে, আমাকে বাবু ডাকবে কেন তুমি?”
“সিরিয়ালে দেখি প্রেম হওয়ার আগে নায়কের নাম ধরে বাবু ডাকে।”
“এই মেয়ে, তোমার মাথা গিয়েছে একদম? যাও বাসায় যাও। ওরা মাইন্ড করবে।”
“করুক, আমিও এখানে থাকব আপনার সাথে। কেরাম খেলা দেখব।”
“ওরা সিগারেট খাচ্ছে ওখানে। সিগারেট খাওয়া ছেলেদের পাশে থাকতে নেই।”
“আচ্ছা, আপনি সিগারেট খান না?”
“না।”
“কেন?”
“ধুমপান কি খুব ভালো জিনিস?”
"না, তবে একটু স্মার্ট স্মার্ট লাগে, এই আর কী!”
“তোমার বাবাকে বলব উইড খাওয়া ছেলে দেখতে তোমার জন্য।”
“উইড কী?”
“নাথিং, তোমার বাবাকে বলব পাক্কা নেশাখোর ছেলে দেখতে তোমার জন্য।”
“নো মানে– না, বুঝেছেন? আমার আপনাকে ভাল্লাগে, ভীষণ ভাল্লাগে; জানেন? খালি দেখতে ইচ্ছা করে।”
“যাও, আগে বাসায় যাও। পুচকে মেয়ে আমার সাথে প্রাঙ্ক করে!”
“যেতে পারি এক শর্তে।”
“'কী শর্ত?”
“আমাকে আজ ঘুরতে নিয়ে যাবেন বিকালে।”
“আচ্ছা যাব; এখন যাও।”
“বারবার যেতে বলেন; যেদিন যাব মেন্টাল হয়ে যাবেন। বুঝেছেন?”
আহির ভাবনার জগৎ থেকে বের হলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। আবারও একটা সিগারেট ধরাল।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মৌসুমি আক্তার মৌ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন