উপন্যাস : আম্বরি
লেখিকা : সামিয়া খান প্রিয়া
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা সামিয়া খান প্রিয়ার “আম্বরি” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
আম্বরি || সামিয়া খান প্রিয়া |
1111111111111111111111
০৬ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
আম্বরি || সামিয়া খান প্রিয়া (পর্ব - ০৭)
"কোনো মেয়ের জন্য অন্য একটা মেয়ের ধ র্ষ ণের স্বাক্ষী হওয়ার থেকে বড় অ ভি শা প অন্য কিছুতে নেই হয়তো।তাও যদি সে খালাতো বোন ও জীবনের সবথেকে কাছের বান্ধুবী হয়।রিচি ও মেহরী দুজনে জন্ম থেকে সব এক ছিল।মা ভিন্ন হলে কী হবে?একই সময়ে,একই হসপিটালে জন্ম নিয়েছিল দুজনে।দুটো বাচ্চা পেয়ে পরিবারের মানুষ খুব আদর করতো।আমি তো আরো খুশি ছিলাম।মেহরী বোন হলেও রিচি আমার জন্য ছোট বোনের সমান ছিল।আমি একই কাপড় পরাতাম দুই পুতুলকে।দুজনকে দেখতেও কিছুটা আপন বোনের মতো লাগতো। এজন্য সকলে জমজ বোন বলে ভাবতো।তখন আমরা রাঙামাটিতে থাকতাম খালার সঙ্গেই পাশাপাশি ফ্ল্যাটে।সময় যেতে থাকলো দুটো বাচ্চা একত্রে বড় হতে থাকলো।মেহরী ও রিচি একে অপরকে বেস্ট ফ্রেন্ড বলে দাবী করতো।তবে পার্থক্য ছিল দুজনের মধ্য।এই যেমন মেহরী চঞ্চল, খেতে ভালোবাসতো,কৌতুহলী,অজানাকে জানার স্পৃহা বেশী।অন্যদিকে রিচি শান্ত,কিছুটা মেজাজী,খাওয়ার প্রতি প্রচন্ড অনীহা,ছেলেদের থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতো।মানে কিছুটা ইন্ট্রোভার্ট টাইপের।
তখন দুজনে স্কুলে পড়াশোনা করছে।বৃষ্টির সময় ছিল।স্কুলে পরীক্ষা ছিল বিধায় পাঠিয়েছিলাম।কে জানতো ওই দিন এমনটা হবে।এলাকায় মাস্টার নামে একটা লোক ছিল।খুব ভদ্র স্বভাবে।এমনকি তার তিন ছেলের সুনামও কম হতো না।কিন্তু চেহারার আড়ালে জা'নো'য়া'র লুকিয়ে ছিল।পরীক্ষা শেষে বৃষ্টি নামায় দুটো মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে আসছিলো দেখে মাস্টারের বড় ছেলে নিজের বাইকে ওদের উঠে আসতে বলে।রিচি মানা করলেও মেহরী রাজী হয়ে যায়।ওইযে আমার বোন সহজে সকলকে বিশ্বাস করে নেয়।মাস্টারের ছেলে বাইকটা বাসার দিকে না নিয়ে অন্য একটা গুদাম ঘরের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।এটাও বুঝেনি দুজনে।তাদের এটা ওটা বলে ভেতরে নিয়ে গিয়ে তৎক্ষনাৎ দরজা আঁটকে দেয়।এরপরের ঘটনা আমি বর্ণনা করতে পারবো না তাবিয়া।একদম না।কীভাবে বলবো আমার ফুলের মতো বোন রিচি সেদিন পালাক্রমে লা'ল'সা'র স্বীকার হয়েছিল।"
স্পর্শিয়া কান্নায় ভেঙে পড়লো।ফর্সা মুখটা দেখতে বেশ লাগছে।কিন্তু মনের যন্ত্রণা ব্যক্ত করতে পারছেনা।স্পর্শিয়ার নিশ্বাস উঠে এলে তাবিয়া এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে শান্ত সুরে বলল,
"আর বলতে হবেনা আপু।প্লিজ শান্ত হোন।"
স্পর্শিয়া বিরোধাভাস করে বলল,
"পুরোটা শুনতে হবে।তা নয় বিষয়টা বুঝবেনা।আর না বুঝলে রাফসানের অন্যায় কীভাবে জানবে?"
পাশে রিয়া থমথমে মুখে বসে আছে।নিজ ভাইয়ের নাম শুনে একবার তাবিয়ার পানে তাঁকালো।চোখের ইশারায় তাকে চুপচাপ থাকতে বলল তাবিয়া।স্পর্শিয়া নিজেকে ধাতস্থ করে বলতে আরম্ভ করলো, "যখন গুদাম ঘরে আঁটকা পড়লো তখন নিজেদের বিপদ বুঝতে পারলো দুটো মেয়ে।আমি এটাই বুঝিনা পৃথিবীর সব মেয়ে বি প দে পড়ে এরপর সেটার গভীরতা কেন বুঝে।হয়তো যা ঘটার তা ঘটবে এই শর্তে।মাস্টারের ছেলে তাদের রেখে কিছু সময়ের জন্য বাহিরে চলে যায়।নিজের অন্য দুই ভাই ও বাবাকে ডাকতে।মেহরী আর রিচি খুব চেষ্টা করে বের হওয়ার জন্য।নির্জন জায়গা এরমধ্যে বৃষ্টি।তাই কেও শুনতে পায়না।পাশের এক কোণায় ড্রাম ব্যতীত লুকানোর মতো কিছু ছিলনা।ছোট্ট এক জানালা দিয়ে বের হওয়ার অনেক বেশী চেষ্টা করে দুজনে।ফলাফল শূন্য।রিচি তৎক্ষনাৎ বুদ্ধি বের করলো।জানালা খুলে রেখে দুজনে ড্রামে লুকিয়ে পড়বে।তাতে মাস্টারের ছেলে ফিরে এলে মনে করবে পালিয়েছে।কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আর কী।ড্রাম দুজনের লুকানোর জন্য যথেষ্ট ছিলনা।দুটো মেয়ে একে অপরকে খুব ভালোবাসতো।তাই কেউ একা ড্রামের ভেতর ঢুকতে চায়নি।এক পর্যায়ে তুমুল তর্ক সৃষ্টি হয়।আর রিচি পাশ থেকে হাতুড়ি নিয়ে মেহরীর মাথায় আ ঘা ত করে।খুব জোরে না হলেও নিস্তেজ হয়ে যায় মেহরী।সেই সুযোগটাকে ব্যবহার করে তাকে ড্রামে ভরে নিজে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে।মাস্টার ও তার ছেলেরা স্বভাবে জ ঘ ন্য ছিল।এমন অনেক মেয়ের সঙ্গে তারা এই কাজ করেছে।ফিরে এসে মেহরীকে না পেলেও রিচি তো ছিল।ধরে নিয়ে কেবল পালিয়েছে মেহরী।রিচির সুযোগ হয়নি।এমনিও সকলকের কাছে সব জানাজানি হয়ে যাবে।তাই খুঁজতে গেলো না।তাছাড়া নেশা করে এসেছিল।মাথা খাঁটাতে পারছিলো না কেউ।"
লম্বা শ্বাস ছেড়ে পুনরায় বলতে লাগলো স্পর্শিয়া।
"কতোক্ষণ জ্ঞান ছিলনা মেহরীর তা সে জানেনা।তবে ধীরে ধীরে চোখ খুলে ড্রামের ভেতর ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে বি'ভ'ৎ'স দৃশ্য দেখে শিওরে উঠে।ততোক্ষণে রিচি ব্যাথায়,যন্ত্রণা,অপমানে গোঙাচ্ছে।মেহরী ভয় পেয়ে নিজের মুখ চেপে ধরলো।সারাটা বিকেল ও সন্ধ্যা রিচিকে পালাক্রমে ধ র্ষ ণ করেছে ওই অমানুষগুলো।কিন্তু অসহায় মেহরী কিছুই করতে পারেনি।
বৃষ্টি কমলে রিচিকে রেখে চলে যায় ওরা।মেহরীর তখন বের হওয়ার বিন্দুমাত্র শক্তি ছিলনা।একদম নিস্তেজ হয়ে পড়ে ছিল।বারংবার মাস্টারের মুখ থেকে বলা সেই কথাটি মনে হচ্ছিলো রিচি ম'রে'ছে।পরবর্তীতে আর কিছু মনে নেই ওর।পরের দিন বিকেলে দুজনকে খুঁজে পাই আমরা।একজন মৃ'ত অবস্থায় অন্যজন অ'র্ধ'মৃ'ত অবস্থায়।"
স্পর্শিয়ার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেলো।তাবিয়া উদাস হয়ে বাহিরের পানে তাঁকালো।গর্জে বৃষ্টির বেগ বেড়ে যাচ্ছে।উষ্ণ শ্বাস ফেলে বলল,
"আপু আপনি তো আজ বাসায় থাকবেন।বাকীটা পরে শুনবো।রিয়া থাক এখানে।আপুকে সঙ্গ দে। আমি দেখছি রান্নাঘরে কিছু আছে কীনা।এই ফ্ল্যাটে তো বেশী আসা হয়না।আচ্ছা মেহরী কোথায় এখন?"
স্পর্শিয়া ছোট্ট করে জবাব দিলো,
"রাঙামাটি।ও এখন নিজের মধ্যে রিচি হয়ে উঠেছে।মেহরীর অস্তুিত্বও নেই সেখানে।"
(*****)
বৃষ্টি বেড়ে চলেছে আপন গতিতে।গায়ে রেইনকোট জড়িয়ে দুরুদুরু বুকে নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মেহরী।বৃষ্টি না থাকলেও বোঝা যেতো তার কপালে ঈষৎ ঘামের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।একটা কলেজ ড্রেস পরা মেয়েকে এদিক দিয়েই গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছে।পুলিশকে কতোবার বলল অথচ ভ্রুক্ষেপ করলো না।অগ্যতা হাতে ছোট্ট একটা কাটারি নিয়ে নিজেই এসেছে।তার মনে চলছে পাঁচ বছর আগের দৃশ্য।সে মনে করে সেই দিন মেহরীকে ধ'র্ষ'ণ করেছিল মাস্টার ও তার ছেলেরা।পরবর্তীতে রিচি নিজেকে মেহরী হিসেবে সকলের সামনে উপস্থাপন করে।এবং সেদিন মাথায় আঘাত লাগার ফলে মাঝেমধ্যে মাসের পর মাসের ঘটনা মনে থাকেনা তার।রিচির জান ছিল মেহরী।সেদিন তাকে বাঁ'চা'তে না পারলে কী হবে?আজ এই মেয়েটাকে রক্ষা করবে।অথচ পাঁচ বছর আগেও রিচি নিজেকে শে'ষ করে তার প্রাণপ্রিয় মেহরীকে বাঁচিয়েছিল।এজন্যই হয়তো মেহরীর মধ্যে আজও বেঁচে আছে।
অনেকটা পথ হাঁটার পর পুরাতন একটা বিল্ডিং সামনে পেলো মেহরী।মনে সাহস আর হাতে করে কাটারী ও মরিচের গুড়া নিয়ে ঢুকে পড়লো ভেতরে।পরিচিত এক কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে চমকে উঠলো।প্রচন্ড ঘৃণায় দরজা ঠেলে সামনের সোফায় এরোনকে দেখে জ্ব'লে উঠলো।চিল্লিয়ে বলল,
"এই আপনার সংযম এরোন?ছিঃ একটা বাচ্চা মেয়েকে এভাবে ধরে আনলেন।"
দৌড়ে এসে মেহরী মেয়েটিকে জাপটে ধরলো।এরোন উষ্ণ শ্বাস ফেলে বিরবির করে 'নায়িকা কোধাকার' বলে ভর্ৎসনা করলো।তবে মুখে কাফি এর উদ্দেশ্যে বলল,
"দেখো কাফি এই হলো তোমার ভাষ্যমতে বাচ্চা।রেইনকোটের ভেতর এতো বড় মেয়েকে তুমি বাচ্চা ভেবে কতো বড় ভুল করলে।এজন্য বাহিরের লোকদেরও সরিয়ে দিলে।যাতে অনায়াসে ঢুকতে পারে।আর পান্ডাটা ঢুকেও গেলো।"
তাদের কথার মধ্যে কলেজ ড্রেস পরা মেয়েটি প্রচন্ড ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল,
"আপু উনারা মাফিয়া।আমি নিজের কানে অ'বৈ'ধ অস্ত্র পাচার করার কাহিনী শুনেছি।"
মেহরী অবিশ্বাসের চোখে এরোনের পানে তাঁকালো।সে জানতো ছেলেটির নানা মাফিয়া।কিন্তু কখনো ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি এই স্বল্প আলাপী,সুন্দর পুরুষটি নিজেও একজন মাফিয়া?অবশ্য র'ক্তে'র দোষ বলে কথা আছে।তবে বেশী ভাবতে পারলো না।গু'লি'র আওয়াজে চমকে উঠলো।পাশে থাকা অচেনা মেয়েটি ততোক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।মেহরী চিৎকার করে উঠলো।এরোন তৎক্ষনাৎ নিজের বলিষ্ঠ হাত দিয়ে তাকে কাঁধে তুলে নিলো।ভেজা রেনকোটে পিছলে যাচ্ছে সে।দুহাত দিয়ে অ'শ্রা'ব্য ভাষায় গালি দিতে দিতে এরোনের পিঠে মারতে লাগলো।মেহরীর দুচোখ ভরে ঘৃণার জল চলে এলো।রাফসানের মুখটা ভেসে এলো মুখের সামনে। এখন নিশ্চয় তারও সময় শেষ হয়ে যাবে।হাতের কা'টা'রী,মরিচের গুড়া কই রাখলো এই অল্প সময় বুঝতে পারছেনা।বের হওয়ার আগে কাফিকে চোখের ইশারায় কিছু বলল এরোন।
নিচে পড়ে থাকা ক্লান্ত মেয়েটিকে এক মনে দেখলো ক্ষাণিকটা সময় কাফি।কান্না করার ফলে বেশ স্নিগ্ধ লাগছে।মুখের সামনে হাত নিয়ে দেখলো শ্বাস ভালোমতন চলছে।মনে মনে এরোনের গু'লি চালানোর প্রশংসায় মুখর হয়ে উঠলো কাফি।নিজের সাথে বলতে লাগলো,
"গাঁধা মেয়ে।খেয়ালও করলো না যে গু লি শরীরের ভেতর ঢুকেছে কীনা।তার আগেই অ''জ্ঞা'ন।এই সাহস নিয়ে গিয়েছিল আমাদের পুলিশের হাতে দিতে।"
(***)
অন্ধকার হয়ে এসেছে।বৃষ্টির বেগ আরো বেড়ে গিয়েছে।ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যুৎ চমকানোর আলোতে মেহরী দেখতে পেলো এরোন তাকে ছাদে নিয়ে এসেছে।গা থেকে রেনকোটটা টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেললো এরোন।বৃষ্টি এসে তাদের ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।মেহরীর নিজেকে কেমন হালকা লাগছে।পুরোদস্তর অনুভূতিশূন্য।জোরে জোরে উষ্ণ শ্বাস ফেলছে দুটো মানুষ।মেহরীর কপালে নিজের কপাল ঠেকালো এরোন।বৃষ্টির হিমকে ছাপিয়ে এরোনের উষ্ণতা মেহরীর শরীরের আনাচকানাচে ছুটে যেতে লাগলো।কেমন দ ম ব ন্ধ করা পরিবেশ।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
লেখিকা সামিয়া খান প্রিয়ার বাস বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায়। শখের বশে লিখালিখি করলেও ইতোমধ্যে তার বেশ কয়েকটি বই এবং ইবুক প্রকাশিত হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পাঠকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।তরুণ এই লেখিকা সম্পর্কে এর বেশি কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন