উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
২৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২৮)
নবনি ডায়রির পাতা পড়তে শুরু করে।
আমি এগুলো আগে জানতাম না তাই লিখতে পারি নাই।একটু আগেই কিছু জ্বীন আমাকে মারতে এসেছিলো।কিন্তু মারার আগে কিছু কথা বলেছে।আমি খুব কষ্টে জীবন বাচিয়ে লুকিয়ে পড়েছি।আমি জানি ওরা আমাকে কিছুক্ষণ এর মধ্যেই খুজে ফেলবে।তার আগে আমি তোমাদের আরো কিছু কথা জানাতে চাই।
তোমাদের ছেলের ঢাল হবে তার স্ত্রী।ছেলেকে সঠিক মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ো।কারন তোমার ছেলের স্ত্রী একমাত্র তার শত্রুদের হত্যা করতে পারবে।নিয়তি এমন লিখাই লিখেছে।
কিন্তু তার জন্য এটা করা মোটেও সহজ হবে না।তাকে কঠিন পরীক্ষার ভিতর দিয়ে যেয়ে প্রমান করতে হবে তার সবটা তোমার ছেলেকে ঘিরে।
আর যদি সে এই কাজ না করে তাহলে বুঝে নিবে ভুল পাত্রী খুজেছিলে তোমরা।তোমাদের দোষের জন্য তোমার ছেলেকে মাষুল দিতে হবে।
ডায়রিটায় আর কিছুই লিখা নাই।
নবনিঃনূর!!নূর মারবে মেহরাব এর শত্রুদের?!
আরিয়ানঃহ্যা। এটা তো হতেই পারে।মেহরাব এর উপর বিপদ আসলে নূর তাকে বাচাবে এটাই কি স্বাভাবিক না?
আদ্রিতাঃনা।স্বাভাবিক না।কারণ দাদুভাই কিন্তু এটাও লিখেছে নূর এটা না ও করতে পারে।আর নূর এর জন্য এটা করা কঠিন হবে।কিন্তু কেন কঠিন হবে?!!
নবনিঃসব থেকে বড় কথা এই পৃষ্ঠাটাকে আমাদের কাছ থেকে লুকানো হয়েছিলো।এর আগে আমরা এই পেজ পাই নাই।
যে লুকিয়েছে সে চাই না আমরা মেহরাব এর বিয়ের সময় যাচাই বাচাই করে ওর জন্য স্ত্রী খুজি।আর আরাফতো কোনো কিছু না ভেবেই নূরকে মেহরাব এর জীবনে এনেছে।নূর কি ভুল পাত্রি মেহরাব এর জন্য?
তোমরা ভুলো না তিথিও কিন্তু মেহরাব এর জীবনে আসতে চলেছিলো।তিথিও মেহরাব এর জন্য সঠিক পাত্রি হতে পারে।
আরিয়ানঃসব প্রশ্নের উত্তর এর জন্য আমাদের সেখানে যেতে হবে।
নবনিঃকি করে যাবো আমরা?
আদ্রিতাঃআম্মু ভাইয়ার কাছে যে পাওয়ার আছে তা তো আমার কাছেও আছে।
আমি চেষ্টা করে দেখছি।
পরি কিছু বলার আগেই একজন আরাফ এর মাথায় বাড়ি মারে।আরাফ এর মাথা থেকে গল গল করে রক্ত পড়তে লাগে।
আরাফ পিছনে ঘুরে লোকটাকে দেখে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে।
আরাফঃতুইই?!!
_হ্যা আমি।আমিই পরির সাথে সব কিছুতে জড়িত ছিলাম।আর কি বললি?আমার সন্তাকে মারবি?হা হা হা।তোর শেষ দিন এসে পড়েছে আরাফাত চৌধুরী। তোকে আমি তিল তিল করে মারার জন্য এতোদিন বাচিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু আর না।এইবার তুই শান্তিতে উপরে যেয়ে তিল তিল করে মর।
আরাফঃকেন করলি আমার সাথে এমন?বল।কেন?
_আচ্ছা মরার আগে তোকে সবটা বলেই দেই।বলার পর তোর চোখে যে পানি গুলো ঝড়বে সেগুলো আমি দেখতে চাই রে।খুব করে দেখতে চাই।
আরাফ তাচ্ছিল্যময় হাসি দিলো।
_এই হাসি বেশিক্ষন টিকবে না রে।
আরাফঃআরাফাত চৌধুরীর হাসি তোর মতো ঠকবাজ কেড়ে নিতে পারবে না।
_আমি কেড়ে নিয়ে দেখাচ্ছি তাহলে শুন।
ছোটোবেলা থেকে আমার খুব হিংসে হতো তোকে ঘিরে।কারন তুই সব সময় আমার প্রিয় জিনিস আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতি।আমি কোনো মেয়েকে পচ্ছন্দ করলে জানতে পারতাম ওই মেয়ে আগে থেকেই তোকে পচ্ছন্দ করতো।
সবসময় সব কাজে তুই ফার্স্ট হইতি আর আমি সেকেন্ড।তখন মনে হতো তুই না থাকলেই আমি ফাস্ট হইতাম।তারপর ও সব মানিয়ে নেই আমি।
কিন্তু মানিয়ে নিতে পারি নেই সেইদিন যেইদিন তোকে আর্মী হেড আর আমাকে তোর অধীনে দায়িত্ব দেয়া হলো।তবুও ভেবেছিলাম তুই তো আমার বন্ধুই। তোকে দেয়া আমাকে দেয়া একই।
কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য এখানে শেষ হলো না।আল্লাহও আমাকে ঠকালেন।তোর ঘরে জন্ম নিলো ফুটফুটে দুটো সন্তান আর আমি থাকলাম সন্তানবিহীন।
ওয়ারদা নিজেকে নিয়ে এতোটা ভেঙে পড়লো যে একটা বার দেখলো না আমি কি করে আছি বাচ্চা ছাড়া।যেখানে সব দোষ ওর ছিলো।
আরাফঃএটাতে ওর দোষ ছিলো না।ও তো আর ইচ্ছে করে এমন করে নাই।আমার সাথে তোর হিংসে ছিলো বুঝলাম।কিন্তু তুই ওয়ারদাকে কেন ঠকালি নিলয়?
নিলয়ঃহ্যা।ঠকিয়েছি।কারন আমি মানুষ। আমিও কষ্ট পাই।কিন্তু ও তো শুধু নিজের কষ্টেই মেতে থাকতো।
চিকিৎসা চলাকালীন ওয়ারদার সাথে আমার শারীরিক সর্ম্পক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।আমি আরো ভেঙে পড়ি।
ওয়ারদা কাছ থেকে আমি শারীরিক মানসিক কোনো সুখই পাচ্ছিলাম না।ওকে আমি কোনো দিনই বুঝাতে পারি নাই বাচ্চা ছাড়াও জীবন চলে।ও বাচ্চা বাচ্চা করে স্বামীকেই হারিয়ে ফেলে।ওর আর আমার সর্ম্পকে মরিচীকা ধরতে শুরু করে।
আর এই সময়টাতে আমার জীবনে পরি আসে।
যেদিন আমরা তোর বড় দাদুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম সেদিন ওয়ারদা ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।আর আমি সারা রাত এদিক ওদিক হাটাহাটি করে কাটাই।
তোর মনে আছে তোর সাথে আমার দেখাও হয়েছিলো?
আমি তোকে বলেছিলাম ফোনে কথা বলছি।কিন্তু আমি ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরছিলাম।
নিলয় দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে আবারো বলতে শুরু করে।
সেদিন তুই চলে যাওয়ার পর আমি আবারো এসেছিলাম সেখানে হাটাহাটি করার জন্য।তখনই আমি একটা কাগজ পাই।সেটা ছিলো ডায়রির শেষ পাতা।যা তোর হাত থেকে পড়ে গিয়েছিলো।
আরাফ এর মনে পড়ে যায় সেদিন নবনির সাথে ধাক্কা লেগে নবনি পড়ে যেতে নিলে আরাফ ধরে ফেলেছিলো।আর তখনই হয়তো শেষ পাতাটা কোথাও পড়ে যায়।
পরি~
বাকিটা আমি বলি।আমি সেখানে গিয়েছিলাম মেহরাব আদ্রিতাকে চুরি করতে।কিন্তু তাদের পাশে কোরয়ান ছিলো বলে আমি তাদের নিতে পারি নাই।আসার সময় আমার নিলয়ের সাথে দেখা হয়।
নিলয়কে দেখেই আমি ওর ভিতরটা পড়ে ফেলেছিলাম।জানি না কিন্তু তখন আমার নিলয়ের প্রতি মায়া সৃষ্ট হয়।আমি নিলয়ের কাছে যাই।কথা বলি।নিলয় তখন এতোটা সেন্সলেস ছিলো যে আমাকে ওয়ারদা ভেবে শারীরিক সর্ম্পকে জড়িত হয়।আমিও তোমাকে আর ভাইয়াকে হারানোর বিরহ কাটিয়ে উঠতে পারি নাই।তাই কিছুক্ষনের জন্য সব ভুলে যেয়ে নিলয়ের ডাকে সাড়া দেই।
পরেরদিন সকালে নিলয়ের পকেট থেকে আমি ডায়রির শেষ অংশটা পাই।যেখানে লিখা ছিলো তোমার ছেলের স্ত্রী আমার মৃত্যুর কারন হবে।তখনই আমি ভেবে নেই তোমার ছেলের স্ত্রী যদি আমার মেয়ে হয় তাহলে সে নিজের মাকে হত্যা করতে পারবে না।আর নিলয়ই একমাত্র মাধ্যম ছিলো আমার মেয়েকে তোমার ছেলের আশেপাশে রাখার যাতে ওদের মধ্যে প্রেম সংগঠিত হয়।তাই নিলয় আর আমার বাচ্চাকে দুনিয়ায় আনার সিধান্ত নেই।
নিলয়ের জ্ঞান ফেরার পর ও কিছুক্ষনের জন্য অনুতপ্ত হয় কিন্তু আমি ওকে বলি আমাদের সর্ম্পক দুনিয়া থেকে গোপন থাকবে কারন আমি একজন পরি।আমার গোপন রাখার উদ্দেশ্য ছিলো যাতে তুমি কখনোই না জানতে পারো আমার আর নিলয়ের সর্ম্পক।জানলে যে আমার মেয়েকে মেহরাব এর আশেপাশে আসতে দিতে না।
আর নিলয় ভাবে দুনিয়া থেকে আড়ালে যদি ও আমার মাঝে একটু শান্তি খুজে পায় তাতে ক্ষতি কি।
সেদিন থেকে নিলয় আর আমার সর্ম্পক গড়ে উঠে।ও লুকিয়ে রাজপ্রাসাদে আসতো রাত কাটিতে চলে যেতো। আর বাসায় বলতো বিজনেস টুরে যাচ্ছে।
এতো কিছুর পর আমার উদ্দেশ্য হাসিল হলো আমি প্রেগন্যান্ট হইলাম।কিন্তু এতে বাধ সাধলো ওয়ারদা।ওয়ারদাও তখনই প্রেগন্যান্ট হলো।
ওয়ারদার প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে নিলয় আমার কাছ থেকে দূরে সরতে শুরু করে।ওয়ারদার প্রতি তার প্রেম আবারো জেগে উঠে।
আরাফঃএই প্রেম সেই প্রেম না পরী।নিলয় এই বার তোমাকেও ঠকিয়েছিলো।কারন ওয়ারদা প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে সে ওয়ারদার কাছে শারিরীক সুখ পেতে শুরু করে তখন সে তোমার কাছে কেনই বা আসবে?!!
পরী রেগে নিলয়ের দিকে তাকায়।নিলয় মাথা নিচু করে নেয়।কারন আরাফ এর বলা সকল কথা সত্যিই ছিলো।
পরিঃকিন্তু আমি তো আর মানুষ নই যে আমাকে কেউ ঠকাবে আর আমি ঝড়ে পড়বো।নিলয়ের সাথে প্রেম আমার অনেক পড়ে হয়েছিলো কিন্তু ওর সাথে সর্ম্পক গড়ার উদ্দেশ্যটা তো আমার এটা ছিলো না।
তাই আমি আমার উদ্দেশ্যটাই হাসিল করলাম।ওয়ারদার মরা বাচ্চাকে সরিয়ে আমার বাচ্চাকে দিলাম।নিলয় আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে আবারো ফিরে আসলো।আর ওয়ারদা মরা বাচ্চা জন্ম দেয়ায় তার প্রতি আবারো ঘৃনা জন্মালো।
আরাফঃ হা হা হা।তোমার প্রেমিককে বলবে না যে ওয়ারদা মরা বাচ্চা জন্ম দেয় নাই।তুমি ওকে হত্যা করেছিলে?
নিলয়ঃকিহ!!!!তুমি আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলেছিলে?
পরিঃহ্যা।তা নয়তো কি!!তোমার বাচ্চাকে না মারলে আমি নূরকে কি করে ওই বাসায় রাখতাম?
নিলয়ঃআমি তোমার সব কথা শুনেছিলাম। আর তুমি আমার সাথে এমন করলে?
পরিঃবাচ্চা এক্সচেঞ্জ এরপর আমি তোমাকে সবটা বলে দিয়েছিলাম নিলয়।আর তুমি মেনেও নিয়েছিলে।
নিলয়ঃহ্যা। আমি মেনে নিয়েছিলাম কারন ততদিনে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আর তুমি আর আমি দুইজনই আরাফ এর বিপক্ষে ছিলাম তাই একসাথে ওর ক্ষতি করতে রাজি হইলাম।কিন্তু তুমি আমাকে বাচ্চা মারার কথাটা বলো নাই!!
পরিঃবাকি কিছু তো বলেছিলাম।তাই না!আর বাচ্চার প্রতি তুমি দুর্বল ছিলে বলেই বলতে পারি নাই।
আর তুমিও তো মেহরাবকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছলে।কত বড় রিস্ক নিলে তুমি যদি মেহরাব ফিরে নূরকে ভালো না বাসতো?
নিলয়ঃআরে না।আমিই আগেই দেখেছি মেহরাব নূর এর জন্য পাগল।আর আমি এই সুযোগটাই কাজে লাগালাম।ইচ্ছে করেই মেহরাবকে বাধ্য করলাম যাতে ও বিদেশে চলে যায়।আর আমি আরাফ এর চোখে সন্তান হারানোর কষ্ট দেখতে পারি।যেমনটা আমি পেয়েছিলাম।
পরিঃআমি তো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম।যদি মেহরাব নূর থেকে দূরে সরে আসতো আমাদের পুরো প্ল্যানটা ভেস্তে যেতো।
নিলয়ঃযেতো না।আমাকে আরাফ এর অধীনে কাজ করতে দেয়া হলেও আমি একজন আর্মী অফিসার।
আরাফ এর কাছে মনে হলো মেহরাব নূর এর বিয়েটা ওর মাস্টার প্ল্যান ছিলো।কিন্তু সেটাতো আমার লিখা কাহিনি ছিলো।মেহরাব নূর আরাফ এরা সবাইতো আমার হাতের পুতুল ছিলো।আমি ওদেরকে আমার ইচ্ছেমতো নাচিয়েছি।
ইচ্ছে করেই মেহরাব এর ২২ বছর হওয়ার ঠিক আগেই বিয়েটা রাখি।ইচ্ছে করেই আরিয়ান এর সাথে নূর এর বিয়ে দেই কারন আমি জানতাম আরিয়ান মেহরাব এর বন্ধু।
কি আরাফ তোর কি মনে হয় মেয়ে বিয়ে দেয়ার আগে তুইই শুধু ছেলের খোজ নিলি?
আমি খোজ নিয়ে তারপর বিয়ে ঠিক করেছিলাম।আর তোকে ইচ্ছে করেই চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম।আর তুই বোকার মতো তাই করলি যা আমি চাইলাম।নূর এর সাথে মেহরাব এর বিয়ে দিয়ে দিলি।
অবশেষে আমরা সফল হইলাম।কালকে মেহরাব শয়তান রাজ্যের সিংহাসনে বসবে। আর নূর রানী।
পরি আর নিলয় উচ্চশব্দে হাসতে লাগলো।
আরাফঃতোমরা দুইজনই স্বার্থ হাসিলে এতোটা নিচে নেমে গিয়েছো যে তোমাদের জাহান্নামে ও জায়গা হবে না।
পরিঃতা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।তুমি ভাবো তোমার ছেলের কি হবে!!কারন আমাদের আর কেউই আটকাতে পারবে না।
আরাফ জোরে জোরে হেসে দিলো।
হা হা হা।হা হা হা।
নিলয়ঃপাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?
আরাফঃনা রে দোস্ত।বলছিলাম না আমার মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারবি না।দেখ তুই আমাকে কাদানোর জায়গা আরো হাসানোর মতো কাজ করেছিস।
পরিঃকেন হাসছো তুমি আরাফ?
আরাফঃওরে আমার মাস্টার মাইন্ড রে।
আচ্ছা নিলয় তুই জানিস তুই সেকেন্ড হইতি কেন?দাড়া আমি বলি~
এই যে দেখ তোদের প্ল্যান অনুযায়ী তোরা নূরকে আমার কাছে রেখেছিলি যাতে আমি যদি কখনো জানতেও পারি নূর তোদের মেয়ে তার ক্ষতি না করতে পারি।
কিন্তু তোরা এটা একবারো ভাবলি না যে নূর এর প্রতি আমাদের টান থাকলে নূর এর মনেও আমাদের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে।
ঠিক সেভাবেই তোরা এটা ভাবলি মেহরাব নূর এর জন্য পাগল হবে কিন্তু এটা ভাবলি না যে নূর ও মেহরাব এর জন্য পাগল হবে।
মেহরাব যদি নূর এর জন্য তোদের ক্ষমা করতে পারে তাহলে নূর মেহরাব এর জন্য তোদের শাস্তি ও দিতে পারবে।
পরিঃপারবে না।নূর নিজের মাকে কখনো হত্যা করবে না।
নিলয়ঃআর হত্যা এখন তুই হবি আমার হাতে।
আরাফঃমারবি আমাকে? মার!!মেরে ফেল।কিন্তু
তুই কয়টা আরাফাত চৌধুরীকে মারবি?
নূর মেহরাব আদ্রিয়ান তিথি আদ্রিতা সবার মাঝে আরাফাত চৌধুরী মিশে আছে।এদের যাকেই দেখবি আমাকে পাবি তোরা।
তোদের রক্ত ঠিকই আছে কিন্তু শিক্ষা আমার আর নবনির।এদের ইসলামিক বাস্তবিক সামাজিক পারিবারিক সকল শিক্ষা আমি আর নবনি নিজ হাতে দিয়েছি।
আফসোস তোদের এত কষ্টের করা প্ল্যান ফ্লোপ। তোদের সব কিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু নূরকে আমার কাছে রাখার সিধান্তটাতেই ভুল করে বসলি।
আমি চোখ বন্ধ করে বলবো নূর তোদের কাল হয়ে আসবে।তোদের এই নিচ ষড়যন্ত্রের কারনে তোরা নিজ সন্তানের হাতে হত্যা হবি।
নিলয় পাশে থাকা ফুলদানি দিয়ে আরাফ এর মাথায় আবারো আঘাত করে।
আরাফ এখনো হাসছে।
কি রে পারলি না তো আমার হাসি কেড়ে নিতে?!!
নিলয় আরাফকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।
আরাফ এর চোখের সামনে নবনির চেহারা ভেসে উঠে।
আরাফঃআমার বুঝি তোমার সাথে শেষ দেখাটা আর হচ্ছে না নবনি পাখি।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
২৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন