উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
২৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২৯)
নবনি আরাফ এর পাশে স্থীর বসে আছে।আদ্রিতা আরাফ এর বুকে মাথা রেখে পাগলামি করছে।আরিয়ান আদ্রিতা কি বলে সান্ত্বনা দিবে সে ভাষা তার জানা নেই।বাবা মা থাকতেও নেই এমন জীবনের পর আরাফ এর মতো বাবার ছায়া পেয়েছিলো।যে তাকে একদম নিজের ছেলের মতোই দেখতো।
আরিয়ান এর মনে পড়ে যায় আরাফ এর বলা শেষ কথাগুলো~
আরিয়ান।আমার মেয়ে যদি এক চিলতি পরিমান কষ্টও পায় তুমি ভাবতেও পারো না আরাফাত চৌধুরী কি জিনিস!!
আরিয়ানঃআজ আমি ভাবতে চাই তুমি কি জিনিস।উঠে আমাকে মারো কাটো যা ইচ্ছে করো।কিন্তু উঠে পড়ো শশুড় আব্বু।
এই যে দেখোনা তোমার মেয়ে কাদছে ওকে আমি কি দিয়ে সান্ত্বনা দিবো।আমি তো তোমার আকাশ থেকে শুধু চাঁদ নিয়ে গিয়েছিলাম।তাই বলে তুমি পুরো আকাশটাই নিয়ে চলে যাবে।আমাদেরকে কে ছায়া দিবে শশুড় আব্বু? (মনে মনে)
আদ্রিতা আরাফ এর বুক আকড়ে ধরে রেখেছে।
আদ্রিতাঃআব্বু।উঠো দেখো আমি জানি তুমি আমাদের সাথে দুষ্টুমি করছে।দেখো ভালো হচ্ছে না কিন্তু। উঠো বলছি।
উঠো না আব্বু।আদ্রিতার ওড়না দিয়ে আরাফ এর চেহারার কপালের রক্তগুলো মুছে দিলো।
আব্বু শুনোনা।তুমি তো জানোই আমি তোমার গান না শুনলে ঘুমাতে পারি না।তোমার চেহারা না দেখলে আমার সকাল হয় না।আমি পারবো না তো তোমাকে ছাড়া থাকতে। শুনছো না?আমি কিন্তু রেগে যাবো আর কথা বলবো না।আব্বুউউউউউউ।
আরিয়ান আদ্রিতাকে আরাফ এর কাছ থেকে সরিয়ে আনতে নিলে আদ্রিতা আরাফকে আরো আকড়ে ধরে।
আদ্রিতাঃসব আপনার জন্য হয়েছে।আমি বিয়ে করতে চাই নাই। আব্বু জোর করে আমাকে আপনার কাছে দিয়েছিলো।এখন বুঝেছি আব্বু এমন কেন করলো।
তুমি আমাকে আর আদর করতে চাও না তাই না? এজন্যইতো আরিয়ান এর কাছে দিয়ে চলে গিয়েছো।আব্বু। আমার লক্ষী আব্বু।এমন করে না।উঠো না।
আরিয়ান জোর করে আদ্রিতাকে সরিয়া আনলো আরাফ এর কাছ থেকে।নূর কাদতে কাদতে জ্ঞান হারিয়েছে।মেহরাব এর চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। যেন চোখ থেকে পানি না রক্ত ঝড়ছে।
মেহরাবঃআমি আদ্রিয়ানকে কি জবাব দিবো?আব্বু।তুমি কেন এমন করলে?আমাদের সবার জীবন গুছিয়ে দিয়ে চলে গেলে!!তোমার কাজ কি শেষ?
তুমি বুড়ো হতে চাও না তাই না।তাইতো দাদু হওয়ার আগেই চলে গিয়েছো।
যে যার মতো আরাফকে হারানোর শোকে পাগল হয়ে আছে।শুধু একটা মানুষের চোখ নবনির উপর।মেহরাব প্রথম থেকে চুপ চাপ হয়ে থাকা নবনিকে দেখছে।
মেহরাবঃএটা কোন তুফানের আগের শান্তি। এই বাচ্চাদের কপালে কি আরো কষ্ট আসতে চলেছে।নবনিতার আরাফের প্রতি ভালোবাসা দেখেতো আমি পর্যন্ত জীবন দিয়ে দিলাম।সেই নবনিতা আজকে এতো চুপচাপ কেন!?নবনিতার পুরো অস্তিত্বটাই তো আরাফ।নবনিতা কি করে এটা সামাল দিবে।উনার এতো ধৈয্য নেই যে আরাফকে হারিয়ে টিকে থাকতে পারবে।
না নবনিতাকে চুপচাপ থাকতে দেয়া যাবে না।নবনিতা বাচ্চাদের সামনে কাদতে পারবে না।আমার নবনিতাকে আরাফ এর সাথে একা ছাড়তে হবে।ওকে ওর কষ্টগুলো বের করার সু্যোগ করে দিতে হবে।
মেহরাবঃমেহরাব আরিয়ান আদ্রিতা নূরকে নিয়ে বাইরে যাও।নবনিতা আরাফকে একা ছেড়ে দাও।
সবাই বের হয়ে গেলো।সবাই যেতেই নবনি আরাফ এর মাথাটা কোলে নিলো।
নবনিঃএতোক্ষন বালিশে কষ্ট হচ্ছিলো তাই না?এই যে আমার কোলে মাথা রেখে দিয়েছি।এবার আমার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুম দেন। কেউ ডিস্টার্ব করবে না।
নবনি কোনো ভাবেই মানতে পারছে না আরাফ নেই।সে এখনও আরাফকে জীবিত কল্পনা করছে।
আরাফ নবনিকে বলছে~
আমাদের ছেলেমেয়েরা বড্ড অবুঝ নবনিপাখি।ওরা একটুও বুঝে না তোমাকে আমার লাগবে।এতোক্ষন ওরা যাচ্ছিলো না বলে আমি তোমার কাছেও আসতে পারছিলাম না।
নবনি মুচকি হেসে আরাফ এর গালের সাথে গাল ঘষে।
নবনিঃআমি তো বুঝি।আপনার কি লাগবে!কোনটা আপনাকে কষ্ট দেয়।কোনটা আপনাকে পোড়ায়।
আরাফঃট্রেনে তোমার চোখগুলো দেখে যে প্রেমে পড়লাম আর উঠে অন্য দিকে দেখাই হয় নাই।তোমার মাঝে পুরো জীবনটা কেটে গেলো।দেখতে দেখতে ২২ টা বছর তোমার সাথে কাটালাম।কিন্তু দেখো না সময়টা চোখের পলকে চলে গেলো।এই তো কিছুদিন আগে শশুড় ফাদার এর পা ধরে মানিয়ে তোমাকে আমার করেছিলাম।কিছুদিন আগেইতো আদ্রিতা কান্না করছে বলে তোমাকে বকা দিয়েছিলাম।আর কিছু দিন আগেই মেহরাবকে বিয়ে দিলাম।
নবনিঃআরাফ।
আরাফঃহুম।
নবনিঃআপনাকে নিলয়ের আঘাত মারে নাই বিশ্বাসঘাতকতা মেরেছে তাই না?
কল্পনায় থাকা আরাফ এর চোখটা ছলছল করে উঠলো।
আরাফঃতুমি আমাকে বড্ড বুঝো নবনিপাখি।আর কেউই আমাকে এভাবে বুঝে না।
নবনি আরাফ এর চোখের পানিটা মুছে দিলো।
নবনিঃঅনেক কষ্ট হয়েছে তাই না আরাফপাখি?অনেক ভেঙেছেন আপনি ভিতর থেকে যখন নিলয়কে এমন রূপে দেখেছেন।আপনিতো নিলয়কে ভাইয়ের চোখে দেখেছেন সবসময়।
আরাফঃজানো নবনিপাখি?যখন নিলয় আমার মাথায় প্রথমবার আঘাত করো তখন আমি ততটা ব্যাথা পাই নাই যতটা ও আমাকে ঘৃণা করে বলায় পেয়েছি।ও আমাকে কেনো ঘৃনা করলো? আমাকে একটাবার বলে দেখতো আমি চাকরি ছেড়ে দিতাম।তুমি বলো আরাফাত চৌধুরীকে কি ঘৃনা করা যায়?
জানো যখন ও ওয়ারদাকে ঠকানোর কথাটা বললো না আমার কলিজা ছিড়ে গেলো।ওয়ারদার দায়িত্বতো আমি ওকে দিয়েছিলাম।আমি একজন ভুল মানুষের কাছে ওয়ারদাকে তুলে দিয়েছিলাম।তখনই ইচ্ছে করছিলো নিজেই নিজেকে মেরে ফেলি।
নিলয় যখন বার বার আমাকে আঘাত করছিলো তখন চাইলে আমি ওকে পালটা আঘাত করতে পারতাম কিন্তু কি করে করতাম বলো ও তো আমার ভাই।ওকে মারলে তো আমিই ব্যাথা পাবো।কি করে মারতাম ওকে আমি?
আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরে শিশু বাচ্চার মতো কান্না করছে।
আরাফঃআমি অনেক ব্যাথা পেয়েছিলাম নবনি পাখি।অনেক।আমি নিলয়ের বিশ্বাসঘাতকতা মেনে না নিতে পেরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলাম।সেইসময় তোমাকে আমার বড্ড প্রয়োজন ছিলো নবনি পাখি।তুমি থাকলে হয়তো আমি মনের জোড়ে বেচে উঠতাম।
নবনি এইবার কান্নায় ভেঙে পড়ল।
আমাকে ক্ষমা করে দিন আরাফ।আমি ছিলাম না যখন আপনার আমাকে প্রয়োজন ছিলো আমি থাকতে পারি নাই।আমাকে ক্ষমা করে দিন না।আরাফ।আপনি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না।
আরাফ নবনির কপালে চুমু খেলো।চোখের পানি গুলো মুছে দিয়ে বললো।
আরাফঃআমিতো নেই গো নবনি পাখি।তোমার মানতে হবে তোমার আরাফ আর নেই।তোমাকে মেনে নিয়ে বাচতে হবে।
আরাফ এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলো।
নবনি আরাফ এর দেহ জড়িয়ে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
আরাফপাখি। চোখ খুলেন আরাফ পাখি।নবনি আরাফ এর সারা মুখে চুমু খেলো।আরাফ উঠেন না।আপনি এটা কি বললেন?আপনি কেন নাই?কেন থাকবেন না আপনি?
এই আরাফ।নবনি পাখি বলে ডাক দিন।উঠুন আমাকে ডাক দিন।আরায়ায়ায়াফ।আপনার হাত পা ঠান্ডা কেন?শীত করছে?
নবনি ওড়না দিয়ে আরাফকে ঢেকে দিলো।
নবনিঃএখন আর শীত করবে না।আরায়াফ।আমি জানি আপনি বেচে আছেন।আরায়ায়ায়ায়াফ। কথা বলেন না কেনো?কথা বলেন।
নবনির চিৎকারে মেহরাব নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।নবনিঃতোর বাবা কথা বলছে না কেন?মেহরাব।কথা বলতে বল।আরাফ দেখেন আমি আর কখনো আপনার সন্তানের গায়ে হাত উঠাবো না।ওদেরকে ধমকও দিবো না।উঠেন আরাফ।
মেহরাব নবনিকে জড়িয়ে রাখলো বুকে।
মেহরাবঃআম্মু। চলো আমার সাথে।
নবনিঃকই যাবো?কোথায় যাবো আমি?আমি কোথাও যাবো না আরাফকে ছেড়ে।
আরিয়ান নবনির হাতে ঘুমের ইঞ্জেকশন পুশ করে নবনি আরাফ আরাফ করতে করতে চোখ বন্ধ করে নেয়।
আরিয়ানঃআদ্রিতা নবনি আম্মু দুইজনকেই ঘুমের ওষুধ দিয়েছি।ওরা উঠতে উঠতে শশুড় ফাদারকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।তাকে এভাবে বেশীক্ষন রাক্ষতে পারবো না।
মেহরাব আরিয়ান এর গলা জড়িয়ে ধরে।
মেহরাবঃএটা কি হলো দোস্ত।আমি এতজন কি করে সামাল দিবো?আমার চোখের পানি মুছতেই আমার আব্বুকে লাগতো।আর আব্বু আমাকে বড় বানিয়ে দিয়ে চলে গেলো।আদ্রিয়ান ও বাসায় নাই।আমি নূর আদ্রিতা আম্মু তিথি কাকে রেখে কাকে দেখবো।আর আমাকেই বা কে দেখবে?
আরিয়ানঃআমাদের যেতে হবে মেহরাব।
মেহরাব আরাফকে নিয়ে চলে আসলো।সবাই এসে পড়লোও নূর রয়ে যায়।মেহরাব সবাইকে নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে বিষয়টা খেয়াল করে নাই।
নূর পরির মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে।নূর এর পাশে মেহরাবও আছে।পরি নিলয়ের মৃত্যুর কথাটা এখনো জানেনা।সে মেহরাব আর নূরকে দেখে অনেক খুশি হয়।
পরিঃভাই। তুমি জীবিত আছো?এতোদিন কই ছিলে তুমি?
মেহরাবঃসেদিন আমি মারা যায় নাই।তোর আঘাতের পর এক নদীর কিনারায় পড়ে ছিলাম তখন একটা মেয়ে আমাকে উদ্ধার করে।মেয়েটা অসম্ভব সুন্দরি আর নেককার ছিলো।আমাকে খুব সুন্দর করে যত্ন করে সুস্থ করে ও।পরবর্তীতে আমি ওর গুনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেই।আমাদের খুব সুন্দর ছোট্ট একটা সংসার ছিলো।যেখানে অভাব তো ছিলো কিন্তু ভালোবাসার শূন্যতা ছিলো না।ও আমাকে অনেক ভালোবাসতো।তারপর আমাদের ঘর আলো করে এক রাজকুমার এর জন্ম হয়।কিন্তু তাকে কেউ নিয়ে চলে যায়।
তুই বলতে পারবি ও কোথায়?
পরি নিজের শক্তি প্রয়োগ করে দেখে বললো তোমার বাচ্চা আরিয়ান।
মেহরাবঃকিহ!!
পরিঃহ্যা।আরিয়ানকে একটা পরিবার দত্তক নেয়।আমাদের রাজ্যের দাসীই ওকে ওই পরিবার এর কাছে দিয়ে এসেছিলো।
নূরঃআপনাদের হিসাব নিকাশ শেষ হলে এখন আমারটা শুরু করি?
পরিঃহ্যা।বল।তুই তো আমার রাজকন্যা।তোকে বাচানোর জন্য আমি কত কিছুই না করেছি।
নূরঃহ্যা।তাই তো।আচ্ছা। আপনি নিলয়কে খুব ভালোবাসেন তাই না?
পরিঃএভাবে বলবি না।বাবা হয় তোর।আর হ্যা। ভালোবাসিই তো।খুব ভালোবাসি।
নূরঃতাহলে আপনাকে তার কাছে পাঠিয়ে দেই কি বলেন?
পরিঃকই ও?দেখছি না যে?
নূর হাতের পিছনে লুকিয়ে থাকা তালোয়াড় পরির পেটে ঢুকিয়ে দিলো।
পরিঃভাইইইইইইইই।
মেহরাব এর বুকটা ছ্যাত করে উঠলো।
পরি মেহরাব এর বুকে ঢলে পড়লো।
পরিঃভাই। তুমি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে।নূর তোকে তো আমি জন্ম দিয়েছিলাম।
নূরঃএখন কেমন লাগে বিশ্বাসঘাতকতা?যখন আমার বাবার সাথে নিলয়কে দিয়ে করাচ্ছিলে তখন বুঝো নাই?তোমার ব্যাথা ব্যাথা? আর উনারা কি লোহা দিয়ে সৃষ্ট?ব্যাথা পায় না?
নূর এর চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে।
মেহরাবঃআমি তো অনেক চেষ্টা করলাম তোকে ভালো করার। কিন্তু তুই ভালো হলি না পরি।
পরিঃভাই আমি ভালো হয়ে যাবো।আমাকে বাচিয়ে নাও ভাই।
মেহরাবঃআমার কাছে ক্ষমতা থাকলে আমি আরাফকেই বাচিয়ে নিতাম। কিন্তু আমার সব শক্তিতো আমি মেহরাবকে দিয়ে দিয়েছি। ভুলে গেলি?আমার আর কিছুই করার নাই।এগুলো দেখার জন্যই হয়তো আমি এতো দিন বেচে ছিলাম।
পরি ছটপট করতে করতে মারা গেলো।নূর পরির চোখ গুলো বন্ধ করে দিলো।
পরিঃযেমনই ছিলে।ছিলে তো আমার মা।ভালো থেকে ওপারে।
নূর উঠে চলে আসে।একবার ফিরেও তাকায় না সেই অভিশপ্ত রাজ্যের দিকে যা আজ এতকিছু কেড়ে নিলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৩০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন