উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111

৩২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৩৩)

মেহরাব মুচকি হাসতে হাসতে বাসায় প্রবেশ করলো।আদ্রিয়ান আদ্রিতা আরিয়ান তিথি ড্রইংরুম এ বসে গল্প করছিলো।মেহরাবকে এই ভাবে হাসিমুখে আসতে দেখে আরিয়ান প্রশ্ন ছুড়লো তার দিকে।
আরিয়ানঃকি রে? এতো খুশি খুশি কেন?
আদ্রিতাঃআদ্রিয়ান এসে পড়েছে তাই হয়তো।

আদ্রিয়ানঃকি যে বলোনা।আমার জন্য আমাদের মন্ত্রী সাহেবের টাইম আসে নাকি।উনি তো আমাকে এয়ারপোর্টে নিতে গিয়েছেন এটাই অনেক।দেখলে না নামিয়ে দিয়েই চলে গেলো।
তিথি মেহরাব এর দিকে পানির গ্লাস বাড়িয়ে দিলো।মেহরাব সোফায় বসে পানিটা ধীরে সুস্থে ৩ চুমুকে খেলো।আশেপাশের কোনো কথাই যেন তার কানে যাচ্ছে না।
আশমিন মেহরাব এর কোলে ঝাপিয়ে পড়লো।গ্লাসটা হাত থেকে পড়তে পড়তে বাচলো।
মেহরাব আশমিন এর কপালে চুমু দিয়ে কোলে তুলে নিলো।

মেহরাবঃতা কি বলছিলি তোরা।আমি তোরে সময় দেই না তাই না আদ্রিয়ান?তুই যে আসার পর থেকে এই মাত্রই তিথির রুম থেকে বের হইলি তা কি আমি বুঝবো না ভেবেছিস?
আমি এখানে থাকতাম কি আদ্রিতা আরিয়ান এর মতো তোর অপেক্ষা করার জন্য?
তোর জন্য যে আরিয়ান আদ্রিতা ছুটি নিলো তা তো তুই বউ পেয়ে ভুলেই গেলি।
আমার ভাই এতো সময় নাই।মেহরাব চৌধুরীর প্রত্যেকটা সময়ই দামী।

তিথি লজ্জা পেয়ে উঠে চলে গেলো।আদ্রিয়ান মাথা চুলকে মুখটা ফোনে গুজে দিলো।
আদ্রিতাঃভাই আসতেই আমার ভাইটার পিছনে লেগেছিস।তুই আমাকে এটা বল তুই এতো খুশি খুশি হয়ে কই থেকে আসলি?
আদ্রিয়ান এইবার সুযোগ বুঝে মেহরাবকে চেপে ধরলো।
আদ্রিয়ানঃহ্যা।হ্যা। বলো। বলো।এত খুশি তো আমি আসাতেও হও নাই।কি এমন হলো যে তোমার চেহারা থেকে হাসিই সরছে না।

মেহরাবঃরাস্তায় একটা ভীতুর ডিমের সাথে দেখা হয়েছিলো।মেয়েটা উপরে উপরে এতো সাহস দেখায়।কিন্তু ভিতরে ভিতরে ততটাই ভীতু।
আমি শুধু বললাম ওর মাথা কাটা পড়বে ভয়ে চুপসে গেলো। একদম বোকা।ও সত্যিই মনে করলো যে আমি ওকে খুন করবো।
হা হা হা।হা হা হা।

মেহরাব এর হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসলো।সবাই অবাক হয়ে মেহরাব এর হাসিটা দেখছে। আজ ৩ বছর পর মেহরাব প্রান খুলে হেসেছে।
আরিয়ান আদ্রিতার কানে কানে বললো।
আরিয়ানঃমেয়েটা জাদু করে দিয়েছে তোমার ভাইয়ের উপর। পুরানো মেহরাবকে আবারো ফিরিয়ে আনছে সে।
আদ্রিতা কি বলবে বুঝতে পারলো না।

মেহরাবঃজানিস ও একদম আমার নূরপাখির মতো ছিলো। নূর যেমন সবার সামনে সাহস জেদ দেখিয়ে চলতো আর আমি সামনে আসলেই ভয়ে চুপসে যেত ঠিক তেমনি 
মেহরাব কথায় কথায় বলে ফেললো। কিন্তু যখন বুঝতে পারলো সে কি বলছে মুখটা আবারো গম্ভীর হয়ে গেলো।চেহারা কাঠিন্য ফুটে উঠলো।কপালটা  কিঞ্চিত ভাজ করে এক সেকেন্ড ও দেরি না করে নিজের রুমের পথে হাটা ধরলো।

আদ্রিয়ানঃভাইয়া নূর ভাবীর কথা বলতে বলতে এমন রেগে গেলো কেন?
আদ্রিতাঃভাইয়ার সামনে নূর এর নাম নিবি না।এই বাসায় নূর এর নাম উচ্চারণ ও নিষেধ। ভাইয়া নূরকে ঠকবাজ মনে করেন।কারন নূর ভাইয়াকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলো।ভাইয়ার চোখে নূর স্বার্থপর কারন নূর নিজের কষ্ট গুলোই দেখলো ভাইয়ার দিকটা দেখে নাই।ভাইয়া নূরকে ঘৃনা করে।
আদ্রিতা উঠে চলে গেলো।

আদ্রিয়ানঃভাইয়া নূর ভাবীকে ঘৃনা করবে আমি এটা মেনে নিতে পারছি না।
আরিয়ানঃতোমার ভাই শুধু বলে যে ঘৃনা করে কিন্তু আসলে ও ওর ভিতরে থাকা ভালোবাসাটাকে মনে কোনো লুকিয়ে রেখেছে।নিজের কাছেও স্বীকার করে না যে সে এখনো নূরকেই ভালোবাসে।
আর রইলো কথা ঘৃনার ঘৃনা আদ্রিতা করে নূরকে।
আদ্রিয়ানঃআপুনি!!আপুনি কেন ঘৃনা করবে?

আরিয়ানঃতোমার আপু ভাইদের কতো ভালোবাসে তা তো তোমরা জানোই।নূর এর চলে যাওয়ায় মেহরাব এর পাগলামীগুলো নিজের চোখে দেখেছে আদ্রিতা।মেহরাব এর কষ্ট গুলো আদ্রিতার মনে নূর এর প্রতি ঘৃনার জন্ম দেয়।
আদ্রিতাঃআমার অনুপস্থিতিতে কত কিছুই না বদলে গেলো।এখন নূর ভাবীই এই সবকিছু ঠিক করতে পারবে।

আরিয়ানঃতার জন্য নূরকে তো পেতে হবে।আমি অনেক খুজেছি নূরকে। কোথাও পাই নাই।
আদ্রিয়ান রেস্ট নাও।অনেক জার্নি করে এসেছো।আমি আদ্রিতার কাছে যাই।
আসো আশমিন।
আরিয়ান আশমিনকে নিয়ে চলে গেলো।

আদ্রিয়ানঃবুঝছি।আমারই এখন সবকিছু ঠিক করতে হবে।নূর ভাবীকে আমি নিয়ে আসবো এই বাসায়।আর উনি কেন চলে গিয়েছেন এটার রহস্যও বের করবো।কারন আমি জানি নূর ভাবির রাগ এতটা কঠিন না যে ভাইয়াকেই ছেড়েই চলে যাবেন।নিশ্চয়ই এর পিছনে বড় কোনো কারন আছে।আমার তা বের করতেই হবে।
কোথায় তুমি নূর ভাবী?

মেহরাব একঘন্টা যাবত ঝর্নার নিচে দাঁড়িয়ে আছে।চোখের পানি গুলো ঝর্নার পানির সাথে মিশে যাচ্ছে।অনেকক্ষন ঠান্ডা পানির নিচে দাড়িয়ে থাকায় চোখ নাক লাল হয়ে গিয়েছে।মেহরাব এর স্থির দৃষ্টি ফ্লোরে পড়তে থাকা পানির ফোটা গুলোর দিকে।
মেহরাব এর ফোনের এলার্ম বেজে উঠায় ধ্যান ভাংগে।মিটিং এর সময় হয়ে গিয়েছে। মেহরাব বের হয়ে রেডি হয়ে নিলো।সাদা পাঞ্জাবির উপর কালো কুটিটা পড়ে ঘড়ি পড়তে যেয়ে মনে পড়লো ঘড়িতো ফেলে আসছে।অন্য একটা ঘড়ি পড়ে চুল গুলো জেল দিয়ে আচড়ে নিলো।পারফিউম স্প্রে করতে করতে বের হয়ে গেলো।যাওয়ার পথে স্প্রেটা ছুড়ে মারলো বেডে।তারপর গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।

আদ্রিয়ান সব কিছুই নোটিস করলো।
আদ্রিতাঃভাইয়া রুমটার কি অবস্থাটাই না করে রেখেছে।তিথিইই।তিথিইইইই।
তিথি ফোন চালাচ্ছিলো।আদ্রিয়ান এর ডাকে দৌড়ে আসলো।
তিথিঃকি হলো চেচাচ্ছেন কেন?
আদ্রিয়ানঃভাইয়ার রুমের এই অবস্থা কেন?ভাইয়ার না গোছালো রুম পচ্ছন্দ।গুছিয়ে রাখো।
তিথিঃমাথা খারাপ আমার!!মেহরাব ভাই এখন এমন রুমই পচ্ছন্দ করে।উনার রুমে কোনো কিছু ধরতে গেলে বাসায় কেলেংকারী শুরু হয়ে যাবে।
আদ্রিয়ানঃভাইয়া না রুম গুছিয়ে রাখতো?

তিথিঃনূর ভাবির যাওয়ার পর থেকে সব উলটো হয়ে গিয়েছে।আগে যা যা পছন্দ করতো এখন তা তা ঘৃনা করে।
আদ্রিয়ানঃতাই বলে উনি খেটে এসে এমন বিছানায় ঘুমাবেন?
তিথিঃঘুমায় কই?রাতে আসবে কবে ঠিক নাই।২৪ ঘন্টায় ২ ঘন্টাও বাসায় থাকে না।খালি ড্রেসটাই চেঞ্জ করতে আসে।
আদ্রিয়ানঃস্ট্রেঞ্জ।তুমি কি করছিলে?
তিথিঃমোবাইল চালাচ্ছিলাম।আর কি করবো?

আদ্রিয়ানঃযাও আমার জন্য কিছু রান্না করে নিয়ে আসো।সারাদিন কি মোবাইল মোবাইল?জামাইয়ের সেবা করো জান্নাতে যাবে।
তিথিঃ
আমি রান্না করতেই পারি এটা আমার যোগ্যতা, 
কেউ খেতে না পারলে সেটা তার ব্যর্থতা।
তিথি ভেংচি কেটে চলে যেতে নিলে আদ্রিয়ান হাত ধরে ফেলে।
আদ্রিয়ানঃ
আমিও আরেকটা বিয়ে করতে পারি এটা আমার যোগ্যতা, 
কেউ যদি সতীনের ঘর না করতে পারে সেটা তার ব্যর্থতা।
তিথি চোখ বড় বড় করে তাকালো।আদ্রিয়ান চুলে ব্রাশ করে সিটি বাজাতে বাজাতে চলে গেলো।

তিথিঃশখ কতো আরেকটা বিয়ে করার। করাবো তোরে বিয়ে।আপনি করে বলছি বলে পুরানো তিথিকে ভুলেই গিয়েছে।এখনো আগের মতোই রয়ে গিয়েছে।একটু ও বড় হয় নাই।
তিথি বিড়বিড় করতে করতে রান্না করতে চলে গেলো।
তিথি যেতেই আদ্রিয়ান বের হয়ে আসলো।এতক্ষন দেয়ালের পেছনে লুকিয়ে কথাগুলো শুনছিলো। 

আদ্রিয়ানঃবড্ড অলস হয়ে গিয়েছো তিথি পাখি।ডিজাইনার এর কোর্সটাও করলে না।তোমাকেও লাইনে আনতে হবে।
আদ্রিয়ান চৌধুরী ইস ব্যাক।✌️সব কয়টাকে লাইনে আনবো একটা একটা করে।
নেহার বাসা সাজানো শেষ।বারান্দায় ফুলের টব লাগাচ্ছে আর ভাবছে একটা ভালো চাকরিতে ঢুকতে হবে।কতো দিন আর মানুষের কাধে বসে খাবে।
মিরা পিছন থেকে নেহাকে জড়িয়ে ধরলো।
মিরাঃকি ভাবছিস রে?।মেহের জিজুর কথা?
নেহাঃনা রে।একটা ভালো জব দরকার।

মিরাঃতুই কিন্তু এখন একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছিস।আলাদা থাকতে দিলাম। এখন আবার চাকরিও খুজতে হবে?
নেহাঃতুই খুব ভালো করে জানি আমি কারো টাকায় চলা পচ্ছন্দ করি না।সেটা আমার স্বামীর হলেও না।আংকেল থেকে টাকা নিতে আমার আত্মসম্মান এ বাধে।
মিরাঃআমি চাকরি নিয়ে দিবো?
নেহাঃএকদম না।

মিরাঃঠিক আছে আমার মা।কিন্তু তোর তো আগের জীবনের কিছুই মনে নেই।কোনো সার্টিফিকেট ও নেই।চাকরিটা পাবি কি করে?
নেহাঃদেখি।কি করা যায়।
মিরাঃআচ্ছা।কোনো হেল্প লাগলে বলবি কিন্তু। 
নেহাঃহুম।

নেহা ড্রেসিং টেবিল সাজানোর সময় একটা ঘড়ি সাজিয়ে রাখলো।
মিরাঃদোস্ত।এত দামী ঘড়ি কই পাইলি?তুই জানিস মার্কেটে এখনও এই ঘড়ি আসে নাই।আসলে এটার দাম কম হলেও ২০ হাজার টাকা হবে।
নেহাঃমন্ত্রীর কাছে ২০ হাজার টাকার ঘড়ি থাকতেই পারে।
মিরাঃকোন মন্ত্রী?
নেহাঃকে আবার?মেহরাব চৌধুরী। 
মিরাঃও মাই গড!তুই মেহরাব চৌধুরীকে কই পাইলি?
নেহাঃএখন বলিস না তুই ও উনার ফ্যান।

মিরাঃকি যে বলিস না।ফ্যান হতে যাবো কেন আমি তো তার ডাই হার্ট ফ্যান।একদম জীবন দিয়ে দেয়ার মতো। তুই জানিস উনি আজ পর্যন্ত যতগুলো মন্ত্রী এসেছেন তার মধ্যে সব থেকে কম বয়সী।খুব অল্প সময়ে উনি গড়গড় করে সাফল্যের সিড়ি আরোহন করে ফেলেছেন।

নেহাঃএতো সাফল্য দিয়ে কি হবে যখন ব্যবহারেরই ঠিক নেই।উগ্র মানসিকতা অহংকারি লোক উনি।টাকার অহংকারে পা মাটিতেই পড়ে না উনার।আর মানুষ খুন করা তো মনে হয় উনার কাছে শসা কাটার মতো।
মিরাঃকি যে বলিস না তুই।যত্তসব আজেবাজে কথা।মেহরাব একদমই এমন না।হ্যা। উনার স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর উগ্র মেজাজি হয়ে গিয়েছেন কিন্তু মনের ভালো আছে।
নেহাঃএমন আচরন করলেতো স্ত্রী ছেড়ে যাবেই।
মিরাঃওর স্ত্রীই কপাল পোড়া ছিলো তাই এমন স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।আমার স্বামী হলে তো আমি চোখে চোখে রাখতাম।

নেহাঃসজিব ভাইয়া কি এগুলো জানে?
মিরাঃওরে টানছিস কেন?
নেহাঃতা আর কাকে টানবো?কয়দিন পর বিয়ে হয়ে যাবে।এখন অন্যের স্বামীর স্বপ্ন দেখো তুমি!
মিরাঃআমি না দেখতে পারলে তুই তো দেখতেই পারিস। তাই না?
নেহাঃআমি ও বিবাহিত। এক বাচ্চার মা।

মিরাঃবর্তমানে বাচ্চা জামাই কেউই নাই।তো তুই সিংগেলই।আর ডাক্টার আংকেল বলসেন তোর কখনোই অতীত মনে পড়বে না।তাহলে কি তুই সারাজীবন সিংগেলই থাকবি?
নেহাঃআর মিংগেল হওয়ার পর যদি কখনো মনে পড়ে?তখন?আমি মেহেরকে ঠকাতে পারবো না।

মিরাঃইয়া আল্লাহ। এরে একটু আকটু জ্ঞান বুদ্ধি দাও।
নেহাঃতুইই রাখ তোর জ্ঞান বুদ্ধি।আমার লাগবে না।আমার আপাতত চাকরি লাগবে।
মিরাঃমেহরাব ভাইয়ার উপর ট্রাই মার না দোস্ত।আমার উনার মতো একটা দুলাভাই লাগবে।আমি মন্ত্রীর শালী হতে চাই।
নেহাঃআমার চয়েজ এতো খারাপ না।উনি পৃথিবীর শেষ মানুষ হলেও উনার দিকে ফিরে তাকাবো না।

মিরা রেগে থম থম করে চলে গেলো।
নেহা হেসে দিলো মিরার আচরনে। 
নেহাঃকয়দিন পর বিয়ে এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলো বান্ধুবিটা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৩৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন