উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০৯)
আদ্রিতাঃকি করে বুঝলেন আমি এসেছি?
আরিয়ানঃযে পারফিউম ইউজ করেছেন সেটা আমিই কিনে দিয়েছিলাম।পুরো রুম বেলি ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করছো।
আদ্রিতাঃওহ।চোখ কেন বন্ধ করে রেখেছেন?চোখ খুলে কথা বলুন।
আরিয়ানঃআমি এখন কথা বলার মুড এ নেই।আপনি প্লিজ চলে যান।
আদ্রিতা আরিয়ান পাশে এসে বসলো।
আদ্রিতাঃআপনি জানেন আমাকে কোনো কিছু না করতে আমার তা আরো বেশি করে করতে ইচ্ছে করে।
আরিয়ানঃহুম। জানি।
আদ্রিতাঃজানার পর ও বোকামী করলেন।আমাকে যেতে বললেন?
আরিয়ানঃহ্যা।কারন আমি চাই না আপনি যান।
আরিয়ান মাথাটা আদ্রিতার কোলে রেখে চোখ খুললো।আদ্রিতা চমকে গেলো।আরিয়ান এর চোখ গুলো লাল টকটকে হয়ে আছে।মুখ থেকে বাজে স্মেল আসছে।
আদ্রিতাঃআপনি ড্রিংক করেছেন। ডাক্টার সাহেব?
আরিয়ান মুচকি হাসলো।নেশা তো আমার সেদিনই ধরে যায় যেদিন আপনার ভীতু চেহারাটা দেখি।কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি এই নেশা কাটিয়ে উঠতে পারছি না। আদ্রিতা।আপনি জানেন আমি মা বাবাকে অনেক বুঝিয়েছি যে আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।কিন্তু তারা রেগে বেড়িয়ে গেলো।যার জন্য বিয়েতে রাজী হয়েছিলাম সে ও কিছু করতে পারবে না।
সারাজীবন শুধু দিয়েই গেলাম সবাইকে।এখন যখন আমি কিছু চাচ্ছি সবাই আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।তাই আমিও অন্ধকার এ তলিয়ে গেলাম।
আরিয়ান দুচোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরলো।আদ্রিতা হাত দিয়ে পানিটা মুছে দিলো।
আরিয়ান আদ্রিতার হাতটা ধরে চুমু খেলো।ভালোবাসি আদ্রিতা।খুব ভালোবাসি আপনাকে।অনেক ভালোবাসি।আমি অন্য কাউকে আমার জীবনে আনতে পারবো না।আপনি আসবেন আমার জীবনে?আমি সবার সাথে লড়ে যাবো।এক বার হ্যা বলেন।আদ্রিতা।
আদ্রিতাঃআপনি এখন নেশায় উল্টোপাল্টা বলছেন ডাক্টার সাহেব।উঠুন লেবু পানি করে আনি আপনার জন্য।আপনার নেশা নামাতে হবে।
আরিয়ানঃআপনার মুখে ডাক্টার সাহেব নামটা অনেক মানিয়েছে আদ্রিতা।আপনি সারাজীবন আমাকে এই নামে ডাকবেন?ডাকবেন না বলেন?
আদ্রিতা আরিয়ান দিকে তাকিয়ে ঘোরে চলে গেলো।
আদ্রিতাঃআরিয়ানকে ছোট্ট শিশুর মতো মনে হচ্ছে।নেশায় মানুষ সব ম্যাচিউরিটি ছুড়ে ফেলে বাচ্চাদের লেবাস ধারন করে। মনের ভিতরে যা আছে সবকিছু বলে ফেলে।নেশা ঘোর কাটলে সব ভুলে যাবেন আরিয়ান।
আরিয়ান কথা বলতে বলতে আদ্রিতার কোলেই ঘুমিয়ে পড়ে। আদ্রিতা আরিয়ানকে কোল থেকে নামিয়ে বালিশে রাখে।
আদ্রিতাঃআরিয়ান এর প্রতি এক অদৃশ্য মায়া জড়িয়ে পরছি আমি।লোকটার চোখ এর পানি আমাকে আজ এই অনুভূতির সাথে পরিচিত করালো।এতোদিন না বুঝলেও এখন মনে হচ্ছে আমিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছি।কি যে হচ্ছে এই বিয়েতে।মেহরাব ভাই নূরকে ভালোবেসেও কিছু করতে পারবেনা।আমাকে আর আদ্রিয়ানকেও বাবা আটকে রেখেছে।নূর ভাবী ভাইয়ার জন্য দাড়াতে পারছে না।আর এখানে আরিয়ান চেষ্টা করেও বিয়ে ভাংগতে পারছে না।চারপাশে শুধু জটই লেগে আছে।আল্লাহ কোনো ম্যাজিকে করে এইসব জট খুলে দাও।
আদ্রিতা আরিয়ান এর মাথায় হাত বুলিয়ে বেরিয়ে গেলো।
হলুদ এর সব আয়োজন হয়ে গিয়েছে।মেহরাব সব কিছু নিজে ডিজাইন করিয়েছে।এখন সবাই রেডি হতে গিয়েছে।
আরাফ পুরো রুম অগোছালো করে ফেলেছে।কি পরবে বুঝতে পারছে না।নবনি অলরেডি রেডি হয়ে গিয়েছে।
আরাফঃনিজে তো রেডি হয়ে গেলে আমার কোনো খেয়াল আছে?নাকি ভুলেই গিয়েছো আমাকে?
নবনিঃআপনার সাথে এতো বছর সংসার করে এতোটুকতো আমি জানি যে আপনি সব কাপড় এলোমেলো না করা পর্যন্ত কোনো কিছু পড়বেন না।
আরাফঃএকটা কাপড় ও নাই আমার নবনি পাখি।
নবনি আলমারি থেকে হলুদ রংয়ের পাঞ্জাবি বের করে আরাফ এর হাতে দিলো।
নবনিঃচুপচাপ এটা পড়েন।কয় দিন পর ছেলে মেয়ে বিয়ে দিবে এখন ও বাচ্চামো যায় না।
আরাফ নবনিকে আয়নার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। নবনি আয়নার সামনে দাঁড়ানো ছিলো।
আরাফঃআয়নায় দেখো তো নবনি পাখি।আরাফাত চৌধুরী কি বুড়ো হয়ে গিয়েছে?
নবনি মুচকি হাসলো।
নবনিঃনা।মোটেও না।আপনি আজও একদম আগের মতোই আছেন।মেহরাব এর সমবয়সীই তো আপনি।
আরাফঃএটা আবার বেশি বেশি হয়ে গেলো না?
নবনি খিল খিল করে হেসে দিলো।
আরাফ নবনির গালে টুক করে চুমু খেলো।তারপর গালের খোচা খোচা দাড়িগুলো নবনির গালে ঘষলো।
নবনিঃভালোবাসি আরাফ পাখি।
আরাফঃভালোবাসি আরাফাত চৌধুরীর নবনি পাখি।
নবনিঃআরাফ।
আরাফঃহুম।
নবনিঃনূর এর বিয়ে কি ঠিক ছেলের সাথে হচ্ছে?
আরাফঃহুম।নূর এর বাবা নূরকে যার সাথে বিয়ে দুবে সে ভুল হতে পারে না।
নবনিঃএমনই যাতে হয়।
আরাফঃচলো বের হতে হবে।
নবনিঃহুম।
আরাফ নবনি নিচে নেমে সবাইকে ডাক দেয়।
আরাফঃমেহরাব আদ্রিতা আদ্রিয়ান কই নামো।
মেহরাব ডাকার সাথে সাথেই নামে।মেহরাব গোল্ডেন কালার এর পাঞ্জাবি আর গলায় গোলাপি ওড়না পড়েছে।
মেহরানঃআমি তো রেডি বাকিরা কই?
নবনিঃতুমি তো আমার ছেলে। আর ওই দুইটা আরাফাত চৌধুরীর।
আরাফঃকি বোঝাতে চাও তুমিই?
নবনি সোফায় যেয়ে বসলো।মেহরাব ফোন টিপতে লাগলো।
নবনিঃকি আর বলবো।দেখেন আপনার ছেলে মেয়ে কত বছর পর আসে।দেখেন যেয়ে আদ্রিয়ান জামা খুজে পাচ্ছে না।আর আদ্রিতা রেডি না হয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে।
মেহরাবঃহা হা হা।
আরাফঃজ্বি না।আমি ওদেরকে পাচ মিনিট এ নিয়ে আসছি দাঁড়াও।
মেহরাবঃআম্মু চলো আমরা চলে যাই।ওখানে ওয়ারদা মামনি একা।আর মেহমান সব এসে পরেছে।
নবনিঃহ্যা রে।চল চলে যাই।এরা বাপ ছেলে মেয়ে পাক্কা ১ ঘন্টা পর নামবো।আমরা এতোক্ষন বসে মশা মারার থেকে ভালো চলে যাই।
মেহরাব নবনি বেড়িয়ে পড়ে।
আরাফ আদ্রিতা রুমে যেয়ে দেখে সে ল্যাপটপ এ অফিসে কাজ করছে।আরাফ দেয়ালে মাথা ঠুকলো।
আদ্রিতাঃআর এ আর এ করছোটা কি?
আরাফঃতোদের কি আমার মতোই হতে হলো??কত কথা শুনতে হয় আমার তোর মায়ের কাছে জানিস?
আদ্রিতাঃআমি আবার কি করলাম?
আরাফঃরেডি হও নাই কেন?
আদ্রিতাঃওহ।একটু কাজ ছিলো। ভাবলাম শেষ করে নেই।
আরাফঃরেডি হও।হলুদ আজকেই।তাড়াতাড়ি করো।
আদ্রিতাঃহুম।
আরাফঃপাচ মিনিট এ রেডি হবা। আমি আসছি।
আরাফ চলে গেলো।
আদ্রিতাঃপাচ মিনিট এ রেডি হবো লাইক সিরিয়াসলি?? পাচ মিনিট তো আমার ড্রেস ডিসাইড করতে চলে যাবে।ভাগ্যিস আরিয়ান অনেক গুলো ড্রেস কিনে দিয়েছে।না হলে এখন কি পরবো ভাবতে ভাবতেই আমি শেষ হয়ে যেতাম।
আদ্রিতা একটা গোলাপি ড্রেস নিয়ে রেডি হতে চলে গেলো।
আরাফঃআসবো?
আদ্রিয়ানঃতাড়াতাড়ি আসো।কি পরবো আমিইই?আমার তো কোনো সুন্দর পাঞ্জাবি নাই।মেয়েরা ক্রাশ খাবে না আনার উপর।সব ক্রাশ তুমি আর মেহরাব ভাইয়া লুটে নিবে।
আরাফঃএতো গুলোর মধ্যে তুই একটা পাঞ্জাবি পাচ্ছিস না?এই না এই টা নীলটা পর।
কখনোই না। তুমি জানো না আমি ব্রাজিল।জীবনেও আজেন্টিনার টা পড়ব না।
তাইলে হলুদ পড়।
আদ্রিয়ান ২০ টা হলুদ পাঞ্জাবি বের করে এনে আরাফ এর সামনে রাখলো।এখান থেকে কোনটা পড়বো?
আরাফ ধপ করে বেডে বসে পড়লো।
আরাফঃআর নাই?
আদ্রিয়ানঃআসে তো।কিন্তু এগুলো আমার ফেভারিট।
আরাফঃইয়া আল্লাহ।এখন বুঝলাম আমি নবনিকে কতো জ্বালাই।(মনে মনে)
আদ্রিয়ানঃআচ্ছা।আমি রেডি হয়ে আসি।তুমি ঘড়ি পারফিউম জুতা সানগ্লাস এগুলো ডিসাইড করো।
আরাফঃকিহহহহ!!
আদ্রিয়ানঃকি আবার?নিজে তো সুন্দর ঘড়ি জুতা পারফিউম সবই পরেছো।আমি পরবো না?
আরাফঃআর এ বাপ আমার। এগুলো সব তোর মা বের করে রেখেছিলো।আমি নিজেরটাই তো ডিসাইড করতে পারি না।তোরটা কি করবো!!
আদ্রিয়ানঃতাইলে আমাকেও বিয়ে করিয়ে দাও।
আদ্রিতাঃশখ কতো!!
আরাফ আদ্রিয়ান পেছনে আদ্রিতাকে লেহেংগা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে।
আদ্রিয়ানঃতুমি রেডি ও হয়ে গেছো
আরাফঃমাশআল্লাহ আমার মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে।
আদ্রিতাঃআমারতো রেডি হতে বেশী সময় লাগে না। আর আম্মু আমাকে কল দিয়ে বললো আদ্রিয়ানকে হেল্প করতে।
আরাফঃতোর আম্মু কোথায়?
আদ্রিতাঃচলে গিয়েছে।
আরাফঃতোদের জন্য আমার বউ আমাকে রেখে চলে গেলো, ধুর ভাল্লাগেনা।
আদ্রিতাঃতুমি যেয়ে গাড়ি বের করো। আমি আদ্রিয়ানকে নিয়ে আসছি।
আরাফঃতাড়াতাড়ি করবি।ওখানে কে না কে আমার একমাত্র বউয়ের উপর লাইন মারে।
আদ্রিতাঃ😒
আদ্রিয়ানঃ😑
আরাফঃকি??রেডি হ জলদি।
মেহরাব ভিতরে প্রবেশ করতে গিয়ে তিথির সাথে ধাক্কা খায়।তিথি হা করে মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে আছে।
মেহরাবঃকি রে?কি দেখিস?
তিথিঃতোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।ভাইয়া।
মেহরাব মুচকি হাসলো।
মেহরাবঃতোকেও পরি লাগছে।
তিথি মেহরাব এর মুখে সুনাম শুনে লুচির মতো ফুলে গেলো।
নবনিঃতিথি। বিথি তানভীর কোথায়?
তিথিঃআসছে।আদ্রিয়ান আসে নাই?
নবনিঃওদের একটু দেরি হবে।
মেহরাব ভিতরে যেতেই ওয়ারদার সাথে দেখা।
ওয়ারদাঃমেহরাব।নূর সেই কবের থেকে রুমে বসে আছে।আল্লাহই জানে কি করছে।সবাই এসে পরেছে।আরিয়ান ও রাস্তায়।মেয়েটা কতো জেদী তুমি তো জানোই।কারো কথাই শুনে না।তুমি একটু দেখো তো। তোমাকে তো ভয় পায়।
মেহরাবঃআচ্ছা। আমি দেখছি।
মেহরাব নূর এর রুমে প্রবেশ করতেই থমকে যায়।নূর কে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।গোলাপি আর নীল কালার এর লেহেঙ্গা গোলাপি ওড়না চুল গুলো খোপা করা ঠোঁট এ হাল্কা গোলাপি লিপস্টিক কপালে ফুল এর বানানো টিকলি।
মেহরাবঃমাশআল্লাহ।
নূর মেহরাব এর কাছে এসে চুটকি বাজায়।
নূরঃকি দেখেন?
মেহরাবঃতোমাকে।
নূরঃআমাকে?
মেহরাবঃনা মানে।তুমি এতো সুন্দর করে সেজেছো কেন?মানুষ নজর দিবে না?
নূরঃআপনি এতো সুন্দর করে সেজেছেন। কেন?মেয়েরা নজর দিবে না?
মেহরাবঃকতো দিন আর সিংগেল থাকবো।এখন যদি কোনো মেয়ে নজর দিয়ে আমাকে সিংগেল থেকে মিংগেল করে।
নূর রেগে মেহরাব চুল ধরে টান দিলো।
মেহরাবঃদিলে তো জেল করা চুল গুলো নষ্ট করে দিতে।এখন আমাকে কেমন দেখাবে?
নূরঃআপনাকেতো অগোছালো চুলেই বেশি ভালো লাগে।আমার সাথে ম্যাচ করে পরেছেন কেন?মানুষতো আপনাকে আমার বর ভাববে।
মেহরাবঃমানুষ সবসময় ভুলটাই ভাবে।
মেহরাব চুল ব্রাশ করে ঠিক করতে লাগলো।
নূরঃদাড়ান।আমি আসছি।
নূর জেল নিয়ে ফিরে আসলো।মেহরাব এর চুলে জেল দিয়ে চুল গুলো সেট করে দিতে লাগলো।
মেহরাবঃজেল কই পেলে?মেয়েরাও জেল ব্যবহার করে?
নূরঃআপনি এতো বুদ্ধি কই রাখেন?বাবার এটা।
মেহরাবঃওহ।
নূরঃএখন চুপচাপ দাড়ান। আমাকে ঠিক করতে দিন।এতো লম্বা কেন হতে গেলেন।
মেহরাব নূর এর কোমড় ধরে উঁচু করল।
মেহরাবঃএইবার ঠিক করো।
নূরঃনামান আমাকে।
মেহরাব বেড এর উপর নূরকে বসিয়ে নিজে হাটু গেড়ে ফ্লোরে বসে পড়লো।
নূর এইবার মেহরাব এর চুল গুলো সুন্দর করে ঠিক করতে লাগলো।আর মেহরাব নূরকে মন ভরে দেখতে লাগলো।
নূরঃহয়ে গিয়েছে চলেন।
মেহরাবঃকেমন লাগছে আমাকে?
নূরঃআমার থেকে কম সুন্দর।
মেহরাবঃবললেই হলো।
নূরঃহি হি হি।
মেহরাবঃচলো নিচে।তোমার হবু বর। এসে পরেছে।
নূর এর মনটা নিমিষেই খারাপ হয়ে গেলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন