উপন্যাস       :         কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা        :         আনআমতা হাসান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান


৭৫তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ৭৬)

অভ্রদের বাসায় ড্রায়নিং রুম ছাড়াও, তাদের বিশাল বড় রান্নাঘরে আরও একটা ছয় চেয়ারের ড্রায়নিং টেবিল আছে। সেই ড্রায়নিং টেবিলের উপর নিজ হাতে ভাজা বেগুনের উপর পোড়া শুকনা মরিচ দিয়ে সাজাচ্ছে তূবা। তূবার পাশে ড্রায়নিং টেবিলের একটা চেয়ার টেনে তাতে বসে মিসেস মিতালী। তূবার দিকে তাকিয়ে মুখে নকল রাগ ঝুলিয়ে বললো
- তোকে অভ্র ঘুমাতে বলে গিয়েছে। এখন যদি এসে দেখে না, যে তুই ঘুম রেখে বুড়িদের মতো রান্না নিয়ে বসেছিস। তাহলে কিন্তু তোর সাথে সাথে আমাকেও বকবে।

কালকে তার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এতোদিন তূবা অনেক পরিশ্রম করেছে। দিনরাত এক করে পড়েছে মেয়েটা। আবার কিছুদিন পর থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই অভ্র তাকে আজকে দিনটা বিশ্রাম নিতে বলেছে। সকাল সকাল উঠতে না করেছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। অভ্র জগিং করতে বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে সে। পাঁচ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। মিসেস মিতালীরও ডায়বেটিস আছে। তাই তিনি সকালে বাগানে তিরিশ মিনিট হাটেন। এর মধ্যে কাজের লোক সব কিছু ধুয়ে কেটে রেডি করে রাখে। তিনি শুধু এসে রান্নাটা করেন। আজকেও তারা সব ধুয়ে টুয়ে রেডি করছিল তখনই তূবা রান্না ঘরে ঢুকে। আর কাজের লোকদের সাহায্য নিয়ে সবজির ভুনা খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, ডিম ভুনা, ইলিশ মাছ ভাজা আর সালাদ করে। রান্না করতে তার খুব ভালো লাগে। আর তা যদি হয় প্রিয় মানুষদের জন্য তাহলে তো এর থেকে আনন্দের কিছু আর তূবার কাছে হয়ই না। কতদিন ধরে সে তার প্রিয়জনদের জন্য রান্না করেনি। বিশ্রাম সে সারাদিনই নিতে পারিবে। টেবিলের উপর একটা প্লেটের রাখা বাটার মাখা পাউরুটিটা দেখিয়ে বললো
- এই যে পাউরুটিতে বাটার মেখে রেখেছি। উনি আসলেই আমি খাওয়া শুরু করে দিব আর বলবো আমি খেতে উঠেছি। বেশ, হয়ে গেল।


মিসেস মিতালী চোখ দুটো ছোট ছোট করে বললো
- কোনটা তোর হাতের রান্না আর কোনটা আমার হাতের রান্না তা কি অভ্র বুঝবে না।
তূবা সাজানো শেষ হলে তূবা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বললো
- বলবে আমি খেতে খেতে একটু সাহায্য করেছি যাস্ট।
তখনি মেইন দরজায় লাগানো ঝুনঝুনির শব্দ হয়। এটা তূবাই লাগিয়েছে যাতে অভ্র বাসায় এলে সে বুঝতে পারে। সেই শব্দ কানে যেতেই মিসেস মিতালী বললো
- ওই যা গিয়ে বল এবার কি কি বলবি।
তূবা হাতে পাউরুটি প্লেটটা হাতে নিতে নিতে মিসেস মিতালীকে বললো
- মা তুমি খিচুড়িটা দেখ।

কথাটা বলে আর এক সেকেন্ডে না দাঁড়িয়ে দৌড়ে ডাইনিং রুমের ডাইনিং টেবিলের গিয়ে বসে খাওয়া শুরু করে দেয়। কিন্তু দরজা খুলে অভ্র আসে না। মিষ্টার আসাদও আসে না। দরজা খুলে আসে মিসেস সাহানা। বাসায় ঢুকে ড্রয়িং রুমে আসতেই তার চোখ পড়ে ডাইনিং রুমে ডাইনিং টেবিলে বসে থাকা তূবার উপর। রাগ আরও বেড়ে যায় তার। রাগে চিল্লিয়ে ডাকে
- আসাদ, আসাদ।

মিসেস সাহানার চিৎকার শুনে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসে মিসেস মিতালী। এতো সকালে মিসেস সাহানাকে এখানে এসে এভাবে চিল্লাতে দেখে মিসেস মিতালী অবাক হয়। সে জানে মিসেস সাহানা একটু রাগী, তাকেও বেশি পছন্দ করে না। এর আগেও অনেকবার মিসেস সাহানা তার সাথে আর মিষ্টার আসাদের সাথে রাগ দেখালেও এতো রাগ কখনোই দেখায়নি। মিসেস মিতালী শান্ত কন্ঠে বললো
- আপা আপনার ভাই তো হাটতে গিয়েছে।


মিসেস মিতালীর দিকে তাকিয়ে মিসেস সাহানা রাগী কন্ঠে বললো
- এই সব কিছু তোমার বুদ্ধিতে হয়েছে না। তাই না!
মিসেস সাহানা ঠিক কিসের কথা বলছে তা মিসেস মিতালী আর তূবা বুঝতে পারে না। 
দুজনই কৌতুহলী চোখে মিসেস সাহানার দিকে তাকায়। মিসেস সাহানা রাগী কন্ঠেই পুনরায় বললো
- প্রথমে তো আমার ভাইয়ের মাথাটা খেয়ে, ভাইয়টাকে বিয়ে করেছ। এখন আবার নিজের বোনের অকর্মার ঢেঁকি মেয়েটাকে বিয়ে করিয়েছ আমাদের অভ্রকে! কতো ভালো একটা মেয়ের সাথে অভ্রের বিয়ের কথা বলেছিলাম। তাকে রেখে নিজের বোনের এই ঢংগি মেয়েকে বিয়ে করিয়েছ। বড় দুটো হলেও একটা কথা ছিল। সে দুটো ব্রিলিয়ান্ট ছিল। কিন্তু তাদের না করিয়ে করিয়েছ এই মেয়েকে। মা হিসেবে তো তোমার বোনের মেয়ের আগে নিজের ছেলের কথা চিন্তা করা উচিত ছিল। তা না করে তুমি বোনের কথা ভেবে বোনের যে মেয়েকে ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিতে পারবে না, তাকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে এলে। কি যোগ্যতা আছে এই মেয়ের আমাদের অভ্রের মতো একজন বিলিয়ান্ট ডাক্তারের বউ হওয়ার।

তূবার মুখটা কালো হয়ে যায়। কষ্টের সাথে সাথে নিজের উপর রাগও হচ্ছে তার, আজকে তার জন্য তার খালামনিকে কথা শুনতে হচ্ছে তাই। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার বছর না পেরোতেই ছোট মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না জসিম ভূইয়া। কিন্তু মেয়ের অন্য আসাদের পাগলামি দেখে এক প্রকার বাদ্য হয়েই আসাদের সাথে ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয় সে। মিসেস মিতালীর সাথে মিষ্টার আসাদের কোন প্রেমের সম্পর্কও ছিল না। মিষ্টার আসাদের এক তরফা ভালোবাসা আর পাগলামি থেকেই তাদের বিয়ে। বিয়ের পর এবাড়িতে আসার পর থেকে তাকে সবাই ভালোবাসালেও মিষ্টার আসাদের বড় বোন মিসেস সাহানা তাকে খুব একটা পছন্দ করতো না। কারণ মিসেস মিতালীর বাবার অর্থ-সম্পত্তি তাদের থেকে কম ছিল। মিসেস মিতালীর শিক্ষাগত যোগ্যতাও আহামরি কিছু ছিল না। তাই নানান সময় তাকে অপমান করতো। তার শশুড়-শাশুড়ি মেয়েকে না করতো। কিন্তু তাদের কথা মিসেস সাহানা কানে তুলতো না। মিষ্টার আসাদ তার একমাএ বড় বোনকে কিছু বলতে পারতো না দেখে, মিসেস মিতালীর কাছে ক্ষমা চাইতো। যেখানে বাসার সবাই তাকে এতো ভালোবাসে সেখানে মাঝে মাঝে এই বাসায় আসা মিসেস সাহানার কথায় সে কিছু মনে করতো না। সব সময় চুপ করেই থাকতো। কিন্তু আজ যখন তার মিসেস সাহানা তূবাকে এমন করে অপমান করল, তখন আর তার পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব হলো না। তার সাথে মিষ্টার আসাদের বিয়ে হয়েছিল যেমন মিষ্টার আসাদের জন্য। ঠিক তেমনি তূবার সাথে অভ্রের বিয়ে হয়েছে অভ্রের জন্য। ছোট থেকেই তূবাকে অভ্র নিজের মতো করে বড় করেছে। কারো সাথে চলতে দেয়নি, নিজেও তূবা ছাড়া অন্য কোন মেয়ের সাথে তেমন ভাবে চলেনি। অভ্র নিজেই তূবার গন্ডিটা তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। সেখানে তূবা কিভাবে তাকে ছাড়া অন্য কারো কথা ভাববে বা অভ্রকে অন্য কারো হতে দেখতে পারবে। আজকে অভ্র যদি তূবাকে দীপ্তি বা তোয়ার মতোই আদর করতো। তাহলে সে কখনোই অভ্রকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইতো না। তাই অকারণে তূবাকে অপমান করাটা সে সয্য করতে পারে না। দৃঢ় কন্ঠে মিসেস সাহানাকে উদ্দেশ্য করে বললো
- আপা ,,,,,,,


- বিয়েটা তো আমার মা কিংবা বাবা করেনি। তারা কোনদিন বলেও। আমি আমার নিজের ইচ্ছেয়, সজ্ঞানে বিয়েটা করেছি। তাই শুধু শুধু মা'র দোষ দিওনা ফুপি।

মিসেস মিতালী কথাটা শেষ করতে পারে না। তার আগেই অভ্রের কন্ঠস্বর ভেসে এলো। মিসেস সাহানা পিছন ঘুরে অভ্রের দিকে তাকায়। মিসেস মিতালী আর তূবাও অভ্রের দিকে তাকায়। ফর্সা গায়ে কালো টি-শার্ট, কালো স্পোর্টস ট্রাউজার আর চোখে চশমা পড়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকছে অভ্র। হেটে এসে একবারে মিসেস সাহানার সামনে দাঁড়ায় সে। কপালে ভাঁজ ফেলে মিসেস সাহান দিকে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল
- আর ঠিক কোন যোগ্যতাটা নেই তূবার! ধনী পরিবারের সুশ্রী মেয়ে ও। দীপ্তি আর তোয়ার মতো গোল্ডেন পাওয়া স্টুডেন্ট না হলেও, একবারে খারাপ স্টুডেন্টও না। ভবিষ্যতে চাইলে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে।

মিসেস সাহানা তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো
- হ্যাঁ টাকা যেহেতু আছে সেহেতু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের সার্টিফিকেট নিতেই পারবে। কিন্তু তাই বলে কি ডলির মতো ডাক্তার হতে পারবে?
অভ্র কপালের ভাঁজ গাঢ় করে বললো
- কেন পারবে না! ও চাইলে, অবশ্যই পারবে।
মিসেস সাহানা তাচ্ছিল্যের স্বরেই পুনরায় বললো
- তাহলে বল ডলির মতো ডাক্তার হতে।


অভ্র দৃঢ় কন্ঠে বললো
- আমি বলবো না। কারণ আমি ওর উপর কোন কিছুই চাপিয়ে দিবো না। ও চাকরি করবে না কি করবে না, ডাক্তারি পড়বে না অন্য কিছু নিয়ে পড়বে সেটা সম্পূর্ণ ওর ইচ্ছা। ওর যা ভালো লাগে ও তাই করবে। 
মিসেস সাহানা মুখে বিরক্তি ভাব ফুটিয়ে বললো
- পারবে না সেটা বল। ডলির মতো ভালো ডাক্তার হওয়া তো দূরের কথা। কোন চাকরি যোগাড়ও করতে পারবে না এই মেয়ে।
অভ্র শান্ত কন্ঠে মিসেস সাহানাকে প্রশ্ন করল
- একটা মেয়ে কখন কাজ করে ফুপি?

প্রশ্ন করে উত্তরের অপেক্ষা না করে, অভ্র নিজেই উত্তর দিল
- যদি মেয়েটার প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্বপ্ন থাকে বা তার ফ্যামিলির আর্থিক কোন সমস্যা থাকে তখন। কিন্তু তূবার এই দুটোর কোনটাই নেই। তূবা একজন হোমমেকার হতে চায়। নিজের সংসার সামলাতে চায়, সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে চায়। যা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের কাজ। যার পারিশ্রমিক টাকা দিয়ে চুকানো যায় না। চুকাতে হয় সম্মান আর ভালোবাসা দিয়ে। আর আল্লাহর রহমতে আমাদের যথেষ্ট অর্থ সম্পদ আছে। শুধু তূবা কেন, চাইলে আমাদের ফুল ফ্যামিলি বসে বসে খেতে পারবে। আর আমাদের সম্পদ না থাকলেও বাবার সম্পদ দিয়ে তূবা দিব্বি বিলাসী জীবন যাপন করতে পারবে। তার বাবারও না থাকলেও তাকে করার জন্য তার তিনটে বোন আর একটা ভাই আছে। অভাবের জন্য চাকরি ওকে কখনোই করতে হবে না।

এতোটুকু কথা বলে থামে অভ্র। মিসেস সাহানার দিকে আরও একপা এগিয়ে গিয়ে বললো
- আর একটা কথা ফুপি, তুমি আমার নিজের আপন ফুপি দেখে আমি তোমাকে ভালো করে বুঝিয়েছি। কিন্তু এই কথাগুলো যদি তূবার ফ্যামিলির কারো কানে যায়, তাহলে তারা তোমাদের ফ্যামিলিকে একরাতের মধ্যে রাস্তায় নামিয়ে ছাড়বে।


মিসেস সাহানা ভয় পেয়ে যায়। দীপ্তির জন্য তার বান্ধবীর ছেলের বিয়ের প্রস্তাব এনেই সে বুঝতে পেরেছে যে দীপ্তি আর চন্দ্রা ঠিক কি পরিমাণ ভয়ানক মেয়ে। মুখটা চুপসে যায় মিসেস সাহানার। তা দেখে অভ্র হালকা হেসে বললো
- ভয় পেওনা। তূবা আর মা তো কখনোই তোমার বিরুদ্ধে কারো কাছে নালিশ করবে না। আর বাবাও তার বড় বোনকে কিছু বলবে না। তবে কি জানতো, আমি না বাবার মতো এতো ভালো মানুষ না। একবার ছাড় দিব, দুইবার ছাড় দিব। কিন্তু তৃতীয়বারের মাথায় আর ছাড় পারে না।
কথাটা বলেই কারো দিকে না তাকিয়ে, রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় সে।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৭৭তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন