উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

৫২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫৩)

আদ্রিয়ান সারা রাত বাসায় আসে নাই।একটু পরই ফজরের আযান দিবে।মেহরাব ও বাসায় নেই।নূরকে ছোট্ট একটা মেসেজ দিয়েছিলো ফ্যাক্টরিতে ঝামেলা হয়েছে তা নিয়ে ব্যস্ত।বাসায় ফিরতে ফিরতে সকাল হবে।
নূর আদ্রিতা আরিয়ান সারা রাত জেগে অপেক্ষা করছে এই ভাবে যে আদ্রিয়ান হয়তো তিথিকে নিয়েই ফিরবে।মিরার চোখেও একফোটা ঘুম নেই।
মিরাঃসারারাত বাইক চালিয়ে খুজছে।সকালে তো নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।একটা কথাও শুনে না এই লোক।নিজের প্রতি একটুও মায়া নেই।সব মায়া ওই তিথির উপর।ওকে তো আমার দেখলেই থাপড়াইতে ইচ্ছে করে।এতগুলো জীবন নিয়ে খেলছে এতো দিন।না জানি কি করে আবার।ওর মাথায় আবার কোন ভূত চাপে কে জানে?
উফফ।পাগল হয়ে যাবো আমি এর চিন্তায়।তারউপর মাথায় আরেক চিন্তা ভর করছে।আব্বু বাংলাদেশ আসছেন আমাকে নিতে।উনাকে আদ্রিয়ান এর কথা কি করে বলি আমি।উনি কি মানবেন?এই ঝামেলা শেষ না হলে কি করে বলবো আদ্রিয়ান অবিবাহিত।
আর দুনিয়ার কাছেতো ও বিবাহিতই।আমাকে বিয়ে করলে আমি ২য় স্ত্রী হবো।আব্বু কি আর এটা মেনে নিবেন?

কেমনে কি করি।কিছুই বুঝতে পারছি না।
মিরার চিন্তার ইতি ঘটে আদ্রিয়ান এর বাইকের শব্দে।মিরা দ্রুত নিচে নেমে আসে।আদ্রিয়ান খালি হাতে বাসায় ফিরে।
আদ্রিতাঃপাস নাই ওকে?
আদ্রিয়ান মুখ বেজার করে ছোট্ট একটা উত্তর দেয়।
আদ্রিয়ানঃনা।
কথাটা বলেই রুমে চলে যায়।সবাই যে যার মতো ঘুমাতে চলে যায়।মিরা আদ্রিয়ান এর রুমের দিকে পা বাড়ায়।
মিরাঃআসবো?


আদ্রিয়ানঃপ্লিজ একা ছেড়ে দাও।ভাল্লাগছে না আমার।
মিরা তবুও আদ্রিয়ান এর পাশে যেয়ে বসে।আদ্রিয়ান খুবই বিধস্ত মনে হচ্ছে।চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে।পরনে সেই ভেজা শার্টটা।
মিরাঃযাওয়ার সময় শার্টটাও চেঞ্জ করেন নাই?
আদ্রিয়ান এর দৃষ্টি স্থির জমিনের দিকে।মিরা আদ্রিয়ান এর কাধে হাত রেখে প্রশ্নটা আবারো করতে যেয়ে চমকে উঠে।সাথে সাথে আদ্রিয়ান এর কপালে হাত রাখে।আদ্রিয়ান গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে।

মিরা সাথে সাথে থার্মোমিটার নিয়ে আসে।জ্বর মাপতেই দেখে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর।আদ্রিয়ান এর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।মিরা আদ্রিয়ানকে ফ্লোর থেকে উঠিয়ে বিছানায় শোয়ায়।
জ্বলপট্টি আনতে গেলে আদ্রিয়ান হাত চেপে ধরে।
আদ্রিয়ানঃএতো ব্যস্ত হচ্ছো কেন?আমি ঠিক আছি।
মিরাঃহ্যা।দেখছি তো কত ভালো আছেন।কি দরকার ছিলো ভেজা অবস্থায় বেড়িয়ে যাওয়ার।যাবেন ভালো কথা চেঞ্জ করে যেতেন।
ভেজা অবস্থায় বাইক চালিয়েছেন শার্টটা গায়েই শুকিয়ে গেলো।
মিরা কথা বলতে বলতে আদ্রিয়ান এর শার্ট চেঞ্জ করে টি শার্ট পড়িয়ে দেয়।
মিরাঃখাবার নিয়ে আসি।খেয়ে ওষুধ খেয়ে নেন।জ্বর নামাতে হবে তো।অনেক জ্বর।গা পুড়ে যাচ্ছে।

আদ্রিয়ানঃআই এম ফাইন।
কথাটা বলতে বলতে আদ্রিয়ান সেন্স হারায়।মিরা পানির ছিটিয়ে আদ্রিয়ান এর জ্ঞান ফিরায়।আদ্রিয়ান চোখ খুলে মুচকি হাসে।আজকে এই হাসিটা ও খুব মলিন দেখাচ্ছে।
মিরাঃকষ্ট হচ্ছে ক্যাপ্টেন? 
আদ্রিয়ানঃউহুম।তুমি থাকতে আমার কিসের কষ্ট?
মিরা সাইড টেবিলে রাখা ফলের ঝুড়ি থেকে আপেল কেটে আদ্রিয়ান এর মুখে দেয়।
মিরাঃখাবার তো আনতে দিলেন না।এটা খেয়ে ওষুধ খান।
আদ্রিয়ানঃহুম।


আদ্রিয়ান চোখ লেগে আসছে।মিরা ওষুধ খাওয়াতেই আদ্রিয়ান বিছানায় শুয়ে পড়ে।মিরা  গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেয়।তারপর জলপট্টি দিতে শুরু করে।
আদ্রিয়ানঃএত কিছু করে কি লাভ?আমারতো গায়ে না বুকে ব্যাথা করছে।
মিরাঃঅনেক ব্যাথা করছে?ডাক্টার ডাকবো?
আদ্রিয়ানঃমিরা নামক ওষুধটা আমার বুকে লেপে দিলেই সব ব্যাথা কমে যেতো।
মিরাঃএটা কেমন দুষ্টুমি? আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।এই জ্বরের ঘোরেও দুষ্ট বুদ্ধি কমে না?
আদ্রিয়ানঃআমি তো বলছিলাম আমাকে এক থাকতে দাও।দিলে কই?আমি তো আগেই জানতাম আমার জ্বর আসবে যখন ভিজিয়ে দিয়েছিলে।
এইজন্যই বলছিলাম একা থাকতে দাও।কিন্তু তুমি তো এক নাম্বারের জেদী।যা নিষেধ করবো তাই করবে।এই বার জ্বরের ঘোরে উল্টাপাল্টা করলে আমি জানি না।
আদ্রিয়ান চোখ বুঝে মিরাকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।মিরা আদ্রিয়ান এর উত্তপ্ত গায়ের উষ্ণতা সহ্য করতে পারছে না।তবুও কিছু বলছে না।
আদ্রিয়ানঃভালোবাসি মায়াবীনি।

দুটো শব্দ মিরার মনে উথাল পাতাল শুরু করে দেয়।বুকটা ঢিপঢিপ শব্দ করতে শুরু করলো।নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে।মিরা খুশি হবে কি না তাও বুঝতে পারছে না।কারন মন যদিও বলছে আদ্রিয়ান মায়াবীনি শুধু মিরাকেই বলে তবুও মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে তিথিকেও তো বলতে পারে।
মিরাঃএটাকি আমাকে বলেছেন?নাকি তিথিকে জ্বরের ঘোরে এগুলো বলছেন?
আদ্রিয়ানঃকোন জ্বরই আদ্রিয়ান চৌধুরীকে আয়ত্তে আনতে পারবে না।এটা শুধু মিরা নামক জীবই পেরেছে।
আমার মায়বিনী।বলে মিরার কপালে চুমু খেলো।মিরা ফ্রিজ হয়ে গেলো।কি বলবে কি ভাববে কিছুই বুঝতে পারছে না।
আদ্রিয়ানঃআমার উপর কি অভিমান জমে আছে ছিচকাদুনি।

মিরা ক্ষেপে গেলো।
মিরাঃখবরদার এসব নামে ডাকবেন না।
আদ্রিয়ানঃআচ্ছা।অভিমানীনি।
মিরাঃকি শুরু করলেন বলুন তো?জ্বরে মাথা টাথা গেলো নাকি।
আদ্রিয়ানঃশিইসসসসস।
আদ্রিয়ান মিরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।


আদ্রিয়ানঃসত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলো তোমাকে।আদ্রিয়ান চৌধুরী কিন্তু কখনোই নিজের মনের কথা কাউকে বলে নাই।তোমাকে বলেছে।কারন তুমি আদ্রিয়ান এর ছিচকাদুনি।
মিরা হেসে দিলো আদ্রিয়ান এর আবলতাবল কথা শুনে।আদ্রিয়ান একদম বাচ্চা সুলভ আচরন করছে।

মিরাঃআমাকে ভালোবাসলে তিথিকে খুজতে গিয়েছিলেন কেন?
আদ্রিয়ানঃতানভীর বাবাই আর বিথি মনির একমাত্র মেয়ে তিথি।উনারা গ্রামে এই ভরসায় থাকেন যে তিথি এখানে সেফ আসে ভালো আছে।কোনোদিন যদি উনারা এসে আমাকে প্রশ্ন করে ~ আমার মেয়ে কোথায়? কি উত্তর দিবো আমি?কই ও?
খারাপ আমার তোমার কাছে কিন্তু কোনো মা বাবার কাছে তার ছেলে মেয়ে খারাপ হয় না।দায়িত্ববোধ থেকে গিয়েছিলাম।আর কিছুই না।
মিরাঃকষ্ট হচ্ছে না ওর জন্য?

আদ্রিয়ানঃভালোবাসা তো সেইদিনই মরে গিয়েছিলো যেদিন জানতে পারলাম আমার ভাতিজীর হত্যাকারী ও।
তবুও এতো বছরের সম্পর্কে মায়ার রেশ রয়ে গিয়েছিলো।সেই মায়া কাটিয়ে উঠা একদমই সহজ ছিলো না।কিন্তু আমার জীবনে মায়াবিনী আসার পর থেকে সব মায়া ছুটে গেলো।এখন শুধু তোমার মায়াই কাজ করে।আদ্রিয়ান এর উপর।
মিরাঃজ্বরের মধ্যেও এত সুস্পষ্ট গুছিয়ে কথা কি করে বলছেন?
আদ্রিয়ানঃএই জ্বরে কিছু হবে না আমার।আমারতো তোমার জ্বর উঠছে মাথায়।এটা নামাও।
মিরাঃউফফ।আপনি ফ্লার্ট করছেন।
আদ্রিয়ানঃফ্লার্ট?সেটা আবার কি?খায় না মাথায় দেয়?
মিরাঃঘুমায়।

মিরা এতক্ষন আধশোয়া হয়ে কথা বলার মাঝে মাঝে জ্বলপট্টি দিচ্ছিলো।আদ্রিয়ান এর শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা নেমে আসছে।ওষুধ ও কাজ করা শুরু করছে।
আদ্রিয়ান ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে।মিরা আদ্রিয়ানকে জ্বর আর ঘুমের ওষুধ দুটোই দিয়েছিলো।
আদ্রিয়ান মিরার কোমর জড়িয়ে ধরে গভীর নিদ্রায় তলিয়ে যায়।মিরা আদ্রিয়ান এর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ঘুমিয়ে পড়ে।


সকাল ৮টায় মিরার ঘুম ভেঙে যায়।চোখ খুলে দেখে আদ্রিয়ান জ্বরে কুকাচ্ছে।শরীর তাপমাত্রা আবারো বেড়ে গেলো।মিরা বিছানা থেকে উঠে নাস্তা নিতে গেলো আদ্রিয়ান এর জন্য।মেহরাব সেইসময় বাসায় ফিরছে।পথে মিরার সাথে দেখা।
মেহরাবঃগুড মর্নিং শালিকা।
মিরাঃমর্নিং গুড,হচ্ছে কই?
মেহরাবঃকেন কি হয়েছে?
মেহরাবঃরাত থেকে আদ্রিয়ান এর অনেক জ্বর।
মেহরাবঃWhat!!আর এটা তুমি আমাকে এখন বলছো?
মেহরাব আদ্রিয়ান এর রুমে ছুটে যায়।পথে আরিয়ানকে ফোন দেয়।আরিয়ান সকালে ঘুমিয়েছে বলে বহু কষ্টে চোখ খুলে ফোনটা কানে দেয়।
আরিয়ানঃহ্যালো?

মেহরাবঃহাতুড়ে ডাক্টার। আদ্রিয়ান এর রুমে আয়।ওর অনেক জ্বর।
আরিয়ানঃআসতেসি।২মিনিট। 
আরিয়ান ধরপড়িয়ে উঠে গেলো।আরিয়ান এইভাবে উঠায় আদ্রিতার ঘুম ভেঙে যায়।
আদ্রিতাঃকি হলো?তিথি আসছে?
আরিয়ানঃনা।মেডিকেল থেকে এমাজেন্সি কল এসেছিলো।যেতে হবে।
আদ্রিতাঃএখন?রাতে ঘুমান নাই।অন্য ডাক্টারকে যেতে বলেন।
আরিয়ানঃসমস্যা নেই।এসে পড়বো তাড়াতাড়ি। তুমি ঘুমাও।
আদ্রিতাঃসাবধানে যেয়েন। আল্লাহ হাফেজ।
আরিয়ান এর ফোনটা আবারো বাজছে।আরিয়ান চট করে বেড়িয়ে ফোনটা রিসিভ করে।
মেহরাবঃশালা।আদ্রিয়ান রুমটাকি লন্ডনে?তোর আসতে আসতে দিন পার হচ্ছে। 
আরিয়ানঃআরে শালাবাবু।আসছি তো। তোর বোনটা তো এমনিতেই ঘন্টাখানিক আগে ঘুমিয়েছে। ওরে আদ্রিয়ান এর কথা বললে সব ছেড়ে উঠে চলে আসতো।তাই লুকিয়ে এসেছি।

মেহরাবঃসারা রাত কি লুডু খেলেছিস?
আরিয়ানঃআমার বউটা তোর বোন।একটুতো লাজ লজ্জা রাখ দোস্ত।
আর তুই কি জানিস না তিথিকে পাওয়া যাচ্ছে না।সারা রাত আমরা খুজছি ওকে।আর তুই সকালে এসে আমাদের ঝাড়াচ্ছিস।আমারতো মনে হয়। ছোট শালাবাবুর তিথির জন্যই জ্বর আসছে।


আরিয়ান কথা বলতে বলতে আদ্রিয়ান এর রুমের কাছে চলে আসে।কল কেটে আদ্রিয়ানকে দেখতে শুরু করে।মেহরাব আদ্রিয়ান এর মাথার কাছে বসে কিছু একটা ভাবছে।
আরিয়ানঃরাত থেকে জ্বর।ইঞ্জেকশন দিয়ে দিয়েছি।একটু পরই নেমে যাবে।
তুই এতো চুপচাপ কেন?কি ভাবছিস?
মেহরাবঃতিথি রাত থেকে নাই?
আরিয়ানঃনা।মে বি সকাল থেকে।আমরা সন্ধ্যা সময়   জানতে পারি।তারপর আদ্রিয়ান সারা রাত খুজে ওকে।
মেহরাবঃওহ।

আরিয়ানঃতুই কই ছিলি বলতো?সেই কখন থেকে নেহা কল করে যাচ্ছে।ধরছিস না।
মেহরাবঃনেহা না নূর।
আরিয়ানঃমানে?
মিরা নাস্তা নিয়ে দরজায় এসে দাড়ালো।
মিরাঃআসবো জিজু?
মেহরাবঃহুম।
আরিয়ানঃমেহরাব।তোকে কি জিজ্ঞেস করছি?
মেহরাবঃমানে তোকে মিরা বোঝাবে।আমি নূর এর কাছে যাই।সারা রাত আমার বউ টেনশনে পার করছে।আসছি আমি।

মিরা আদ্রিয়ান এর খেয়াল রেখো।আর ওকে খাওয়ানো হলে তুমি ও খেয়ে নিও।
মিরাঃহুম।
আরিয়ানঃকি হচ্ছে আমাকে একটু বলবে?
মিরাঃবলছি।
মেহরাব নূর এর রুমে এসে দেখে নূর ঘুমিয়ে আছে।মেহরাব নূরের পাশে শুয়ে নূরের গায়ে কম্বল টেনে দেয়।
নূর চোখ খুলে মেহরাবকে দেখে আবারো চোখ বুঝে নেয়।
মেহরাবঃনূরপাখি কি রাগ করেছে?


নূরঃএকটা কল ও রিসিভ করেন নাই মেহের।রাত থেকে কয়টা কল দিয়েছি।হিসাব আছে?
মেহরাবঃফ্যাক্টরিতে সমস্যা হয়েছিলো।ভেজালে ছিলাম।
নূরঃআর আমি যদি মরে যেতাম তখনওতো খবর পেতেন না।
মেহরাবঃনূররররররর!!বেশি বলে ফেলছো।
মেহরাব উল্টো ঘুরে ঘুমিয়ে পড়ে।নূর অন্য পাশ ঘুরে যায়।কিছুক্ষন পর নূরের চোখে লেগে যায়।মেহরাব ঘুরে নূরকে জড়িয়ে ধরে।
মেহরাবঃএত রাগ দেখালে হবে? পাখি।আমি যা করি যেভাবেই করি তোমাদের ভালোর জন্যইতো করি।
সব ঠিক করে দিবো ইনশাআল্লাহ।
মেহরাব নূরের কপালে চুমু খেয়ে শুয়ে পড়ে।

আরিয়ান সব শুনে থ হয়ে যায়।পুরো ব্যাপারটা শুনে খুশিও হতে পারছে না যে নূর ফিরে এসেছে। কারন নূর মেহরাবের প্রথম সন্তানের নির্মম হত্যার কথা শুনে গা শিউরে উঠছে।কেউ কতটা নিষ্ঠুর হলে এমন কাজ করতে পারে।এখন আর তিথির প্রতি এক ফোটা মায়া কাজ করছে না।ইচ্ছে করছে নিজ হাতে তাকে মেরে ফেলি।প্রান থেকে প্রিয় বন্ধুর জীবন তছনছ করে দিয়ে চলে গেলো এই মেয়ে।
এর কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
মিরাঃভাইয়া।
আরিয়ানঃহুম।
আরিয়ান এতক্ষন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলো।
মিরাঃঘুমিয়ে পড়েন।সারা রাত ঘুমান নাই।
আরিয়ানঃতুমি ঘুমিয়েছো?
মিরাঃহুম।


আরিয়ানঃতোমার চোখই বলছে কত ঘুমিয়েছো।
ধন্যবার আদ্রিয়ান এর জীবনে আসার জন্য।এই পরিবারের জান আটকে আছে আদ্রিয়ান এর মধ্যে।
জানো যে জিনিস যত বেশি আদর পায় কষ্টের ঝোক ওই জিনিসটার প্রতি সব থেকে বেশি থাকে।দেখে রেখো ওকে।
আসছি আমি।
মিরাঃজ্বি ভাইয়া।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন