উপন্যাস : অনন্ত প্রেম
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১১ই জুন, ২০২৪ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “অনন্ত প্রেম” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৪ সালের ১১ই জুন থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত |
৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত (পর্ব - ৫)
'হ্যালো,মুন।'
'আজ ক্লাসে আসবি?'
'আসব তো।'
'তোর ল্যাপটপ'টা আমার আজকের জন্য লাগবে একটু।দিতে পারবি?'
'পারব কিন্তু কেনো?'
'কয়েকটা কোম্পানিতে আবেদন করব।'
'আরে বাহ!জব করবি?
'হ্যাঁ।'
'সমস্যা নেই।নিয়ে যাস।'
সকালে উঠেই দিশা সবচেয়ে কাছের বান্ধবী মুনকে ফোন করলো।গতকাল সারারাত ভেবে ওর মনে হলো এবার নিজের জন্য কিছু একটা করা দরকার।পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে হবে।তা নাহলে কেউ মূল্য দেবে না।
নাস্তা খেতে বলার জন্য দিশার রুমের সামনে এসে নার্গিস ফোনে বলা কথাগুলো শুনতে পেলো।এরপর আর একমুহূর্ত দেরি না করে নিজের ঘরে গিয়ে সায়েম'কে জানালো দিশার পরিকল্পনার কথা।সব শুনে রাগে মাথা গরম হয়ে গেলো ওর।এমনিতেই কালকের ঘটনার জন্য এখন মেজাজ খারাপ হয়ে আছে তারওপর এমন কথা শুনলে কোনোভাবেই মাথা ঠিক থাকে না।এই মেয়েটার সাহস কিভাবে বাড়ছে?না,এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।বিয়ের তারিখটা এগিয়ে আনতে হবে।বিয়ের পর বের করবে সব সাহস।
ভার্সিটির সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে গেট দিয়ে ঢোকার সময়ে দিশার চোখে পড়লো আহাদ'কে।দৃষ্টি ওর দিকেই।মনে হচ্ছে যেন ওর জন্যই অপেক্ষা করছিলো।দিশা এগিয়ে এসে বলল,'আরে,আপনি?এখানে কি করছেন?'
'আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।'
'আমার জন্য!'দিশা অবাকই হলো।
'হ্যাঁ,কিছু কথা ছিলো।সময় হবে?'
'এখনই?'
'সমস্যা না থাকলে এখনই আর নাহলে আপনার যখন সময় হবে তখন।'
'আসলে আমার ক্লাস আছে আর এমনিতেও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ক্লাসে যেতে হবে।আপনার সমস্যা না থাকলে আমরা আজকে সন্ধ্যায় দেখা করতে পারি।'
'সন্ধ্যায়?আপনার সমস্যা হবে না?'
'আমার জীবনটাই সমস্যায় ঘেরা।নতুন কিছু না।'
'আচ্ছা,তাহলে আপনার নাম্বারটা দিন।কোথায় দেখা করব টেক্সট করে দিব।'
'আচ্ছা।'
'এবার তাহলে ক্লাসে যান।দেখা হচ্ছে সন্ধ্যায়।'
আহাদ দিশার নাম্বারটা নিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে।দিশাও ক্যাম্পাসে ঢুকে গেলো।
ক্লাস শেষ করে বের হতেই সায়েমের কল এলো।কথা বলতে ইচ্ছা না থাকলেও রিসিভ করলো।সায়েম বলল,'কোথায় তুমি?'
'ক্লাস শেষ হয়েছে মাত্রই।'
'সোজা বাসায় যাও।'
'আমার টিউশনি আছে।'
'আমি তোকে টিউশনি ছাড়তে বলেছি না?'
'আপনি বললেও আমি শুনব কেন?আপনি বলার কে?'
'তোর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে ভূলে গিয়েছিস?'
'ঠিক হয়েছে।হয়ে যায় নি।'
'হ্যাঁ সেটারই অপেক্ষা।একবার বিয়েটা হোক তারপর তোর এই তেজ আমি কিভাবে বের করি দেখবি।'
দিশা কিছু বলল না।সায়েম থেমে আবারও বলল,'কাল শুক্রবার।আজ থেকেই প্যাকিং শুরু করবে।তোমার জন্য কিছু ড্রেস তোমার বাসায় পাঠিয়েছি।সেগুলো অবশ্যই নেবে।আর কোনোরকম চালাকি করবে না।'
দিশা রাগে ফোন কেটে ফোনটাই বন্ধ করে ফেললো।নিজেকে সময় নিয়ে ধাতস্থ করে চলে গেলো টিউশনিতে।
দিশা লোকেশন অনুযায়ী পৌঁছে গেলো রেস্টুরেন্টে।আহাদও একটু আগেই এসেছে।দিশাকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে আন্তরিক কন্ঠে বলল,'আসতে সমস্যা হয় নি তো?'
'না,না।শুধু একটু জ্যামে পড়েছিলাম।'
'বসুন।কি খাবেন?'
'কোল্ড কফি।'
আহাদ ওয়েটার'কে ডেকে দু'টো কোল্ড কফির অর্ডার দিয়ে দিলো।ওয়েটার যাবার পর দিশা কৌতুহলবশত প্রশ্ন করলো,'আপনি কিভাবে জানলেন আমি কোথায় পড়ি!'
'আপনার হ্যান্ডব্যাগে আপনার আইডি কার্ড ছিলো।'
'ও আচ্ছা।তো আমাকে এত কষ্ট করে খুঁজে বের করার কারণ?'
'বলব।বলার জন্যই ডেকেছি।'
আহাদের কথার মাঝেই ওয়েটার কফি দিয়ে গেলো।কফিতে চুমুক দিয়ে আহাদ বলল,'জানামতে মিস্টার সায়েমকে আপনি পছন্দও করেন না।বিয়েও করতে চান না।'
'হ্যাঁ।'
'আমি আপনাকে এটা থেকে বাঁচাতে পারি।তার বদলে আপনার আমাকে সাহায্য করতে হবে।'
দিশার চোখেমুখে লেপ্টে আছে কৌতুহল।ও বলল,'কি সাহায্য?'
'প্রতিশোধ নিতে সাহায্য করতে হবে।'
'কিসের প্রতিশোধ?'
'একটি জীবন নষ্ট করার প্রতিশোধ!'
সায়েম ভেবেছিলো ড্রেসগুলো ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠাবে কিন্তু পরে মনে হলো নিজেই দিয়ে আসবে।তাই সন্ধ্যার সময় একগাদা শপিং ব্যাগ হাতে চলে আসলে দিশাদের বাসায়।কিন্তু বাসায় এসে দিশাকে না পেয়ে নার্গিসকে জিজ্ঞেস করতেই নার্গিস বলল,'সে কি!দিশা তো বলল ও আপনার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে।'
সায়েমের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।কোনো কথা না বলে বের হয়ে গেলো বাসা থেকে।ও বের হতেই নার্গিস কুটিল হাসলো।ইচ্ছা করেই মিথ্যা বলেছে দিশার সাথে কথাই হয় নি ওর। ।দিশাকে ও আগে থেকেই সহ্য করতে পারতো না আর এখন এত ভালো ঘরে বিয়ে হবে বলে আরও পারছে না!দিশার প্রতি সায়েমের এত আদিখ্যেতা সহ্য হয় না।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
Follow Now Our Google News
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৬ষ্ঠ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন