উপন্যাস        :        দোলনচাঁপার সুবাস
লেখিকা        :         তাসফিয়া হাসান তুরফা
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

লেখিকা তাসফিয়া হাসান তুরফার “দোলনচাঁপার সুবাস” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি  ২০২৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন। 
Bangla Golpo দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা
দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা

৫৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

দোলনচাঁপার সুবাস || তাসফিয়া হাসান তুরফা (পর্ব - ৫৭)


নিশীথ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দোলাকে বাজারের সামনে নামিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলো। দোলা চলে যেতেই বাইক পুনরায় স্টার্ট করার আগে কি মনে করে হাতঘড়িতে সময় দেখে নিলো। আজ দোলার জন্য বেশ আগেভাগেই বেরিয়েছে ওরা বাসা থেকে। অফিসে যেতে বেশিক্ষণ লাগবেনা! তখনই ওর মাথায় কিছু একটা এলো। আচমকা বাইক ঘুরিয়ে আবারো বাসার পথে রওনা হলো। তবে ওদের এখনকার বাসা নয়, ওর পুরনো বাসার রাস্তায়, ওর নিজের এলাকার রাস্তায়!
আসমা বেগম বসে ছিলেন চুপচাপ। আয়মান সাহেব ও আরেফিন সাহেব মাত্রই বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন কিছুক্ষণ আগে। এখন তার আর বিশেষ কোনো কাজ নেই। ইউনুস সাহেবকে চা দিয়ে এসে নিজেও চুপচাপ চা খেতে খেতে পেপার পড়ছিলেন একান্তে! এমন সময় ফোন বেজে উঠায় পাশ থেকে ফোন বের করতেই নিশীথের নাম চোখে ভাসে তার! ছেলের চোখে ভাসতেই তৎক্ষণাত খুশির আভাস দেখা যায় তার চোখেমুখে! দ্রুতহাতে ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে নিশীথের কণ্ঠ শুনে গদগদ কণ্ঠে বলেন,
---হ্যালো, নিশীথ। কেমন আছিস বাবা? এত সকালে মা-কে মনে পড়লো?
---মাকে তো প্রতিদিন সবসময় মনে পড়ে। আচ্ছা মা, তুমি কি এখন বিজি আছো না ফ্রি?
---আমি তো ফ্রি বসে আছি। তোর বাবারা অফিসের জন্য বেরোলো একটু আগে। আমার আর কি কাজ এখন? পেপার পড়ছিলাম বসে বসে! কেন কি হয়েছে?
---গ্রেট। তবে তো ভালোই হলো। আমি বাসায় আসছি, তোমার আর দাদুর সাথে দেখা করতে। তোমাদের ভীষণ মনে পড়ছে!
---কি? তুই সত্যি বলছিস, বাবা? একা আসছিস নাকি দোলাকেও সাথে নিয়ে আসছিস? জলদি আয়। কি খাবি বল? আমি এক্ষুনি বানাচ্ছি!
---মা, তুমি প্লিজ এত অস্থির হয়োনা। আমি বাইকে আছি, পাঁচ মিনিটে পৌঁছে যাবো। কিছু করতে হবেনা তোমার। বেশিক্ষণ থাকবোনা আমি! রাখছি ফোন।
---কিন্তু নিশীথ আমি...
আসমা বেগম কথা বলার আগেই খেয়াল করলেন ফোন কেটে গেছে। মাথা চাপড়ালেন তিনি। ছেলেটা তার হয়েছে একটা, দেখা যাচ্ছে হুট করে তুফানের মতো এসে হুট করেই চলে যাবে। তাই বলে কি তিনি খালিহাতে যেতে দিতে পারেন ছেলেকে? তাইতো আসমা বেগম চটজলদি বেগুন ভাজা বসিয়ে দিলেন চুলোয়। আরেক পাশে গরুর মাংস গরম করতে দিলেন। আজ আবহাওয়া ঠান্ডা, সকাল সকাল সবার জন্য খিচুড়ি করেছিলেন তিনি। তখনই মনে পড়েছিলো নিশীথের কথা। ছেলেটার খিচুড়ি বড্ড পছন্দ। সাথে বেগুন ভাজা ও গরুর মাংস হলে ওর আর কিচ্ছু লাগেনা! তাই আজ নিশীথকে না খেয়ে তিনি কিছুতেই যেতে দিবেন না। আসমা বেগম চুলোয় বেগুন ভাজছিলেন এমন সময় বাসার কলিংবেল বাজলো। কাজের মেয়েকে বেগুন ভাজা দেখার দায়িত্ব দিয়ে তিনি জলদি হাত ধুয়ে দৌড়ে চলে গেলেন গেট খুলতে। নিশীথ ভেতরে ঢুকেই সবার আগে হাসিমুখে মাকে জড়িয়ে ধরলো। আসমা বেগম ছেলেকে ধরে খুশিতে কাদতে শুরু করলেন। এরই মাঝে রুম থেকে বেরিয়ে এলেন দাদু। চশমা ঠিক করতে করতে বললেন,
---এত সকালে কে এসেছে, বউমা?
---তোমার নাতি এসেছে গো, দাদু!
নিশীথ মাকে ছেড়েই ছুটে গিয়ে দাদুকে জড়িয়ে ধরলো। এতদিন পর নাতিকে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বুড়ো নিজেও! নিশীথকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
---অবশেষে তোর মনে পড়লো দাদুর সাথে দেখা করার কথা?
নিশীথ মলিন হাসলো। এরই মাঝে আসমা বেগম ও ইউনুস সাহেবকে টেনে নিয়ে গেলো ড্রয়িংরুমে। সোফায় বসে দুজনের উদ্দেশ্যে বললো,
---আমি জানি তোমরা আমার এভাবে আসায় ভীষণ অবাক হয়ে গেছো। অবাক হওয়ারই কথা! আমার নিজেরও প্ল্যান ছিলোনা এখানে আসার। তোমাদের গার্ডেনে ডাকতে চেয়েছিলাম কথা বলতে কিন্তু পরে ভাবলাম আমি তো বাইকেই আসছি। তোমরা কেন কষ্ট করে আসতে যাবে, তার চেয়ে আমি নিজেই এসে দেখা করে যাই। এজন্যই মা-কে ফোন দিয়ে শুনলাম বাসায় সবাই আছে কিনা!
নিশীথের কথায় একে-অপরের দিকে চাইলেন আসমা বেগম ও ইউনুস সাহেব। "সবাই" বলতে নিশীথ ঠিক কাকে বুঝিয়েছে তা বুঝতে বেগ পেতে হলোনা তাদের! বরং, বাসায় আয়মান সাহেব নেই শুনেই যে নিশীথ মত পরিবর্তন করে বাসায় ঢুকেছে এটা বেশ বুঝতে পারলেন দুজনেই। তবু সে যে এসেছে তাতেই খুশি তারা। তাই এ বিষয়ে আর মাথা ঘামালোনা কেউ। আসমা বেগম হাসিমুখে বললেন,
---এলি তাও এভাবে হুট করে! কোনোকিছু করার সুযোগই দিলিনা। অন্তত দোলাকে নিয়ে আসতে পারতি? মেয়েটাকে কতদিন দেখিনা!
---দেখা করাবো বলেই তো এসেছি, মা!
নিশীথ হেসে বলে। আসমা বেগম ওর কথার মানে ধরতে পারলেন না। বোকার ন্যায় শুধালেন,
---কিভাবে দেখা করাবি? ওকে তো আনলিই না!
---বলছি, শুনো। আগামী পরশুদিন আমার বাসায় তোমার ও দাদুর দাওয়াত আছে। এ কথা বলার জন্যই আমার এভাবে হুট করে আসা! তোমরা অবশ্যই আসবে কিন্তু। এড্রেস আমি ড্রাইভারকে দিয়ে যাবো, তবু না চিনলে আমায় বলবে। আমি এসে নিয়ে যাবো না হয়!
নিশীথের কথায় খুশি হলেও পরক্ষণে মলিন হয়ে যায় আসমা বেগমের মুখ। ছেলে তার বাসায় দাওয়াত দিতে এসেছে, এতটা দূরত্ব কিভাবে এলো তাদের মাঝে? মায়ের মন খারাপ লক্ষ্য করে নিশীথ। ও রাখঢাক না করে বলে,
---মন খারাপ করোনা, মা। যে পরিস্থিতিতে আমরা আছি এখন কারোই কিছু করার নেই। অনেকদিন ধরেই দোলা বলছিলো তোমাদের বাসায় আনার কথা কিন্তু নতুন বাসা তো বুঝোনা? গোছগাছ করতে টাইম লাগে অনেক। এখনো যদিও সবটা গুছিয়ে উঠতে পারিনি তবু অনেক শখ করে তোমাদের দাওয়াত দিতে এসেছি। পরশুদিন শুক্রবার দুপুরে দোলা ও আমি দুজনেই থাকবো বাসায়। অপেক্ষা করবো তোমাদের জন্য। এসো প্লিজ?
আসমা বেগম শশুড়ের দিকে তাকাতেই ইউনুস সাহেব মাথা নাড়লেন। নাতির উদ্দেশ্যে বললেন,
---সবই তো বুঝলাম, দাদুভাই। আমার নাতবৌ একা পারবে দাওয়াতের কাজ করতে? কেন ওর উপর কষ্ট দিচ্ছিস অযথা? এসবের কোনো দরকারই ছিলোনা। আমরা এমনিই যেয়ে তোদের দেখে আসতাম।
---হ্যাঁ, নিশীথ। আব্বা ঠিক বলেছেন। আমি কাল রাতেও বলছিলাম কিছুদিনের মাঝে তোদের ওখানে যাবো।
---মা, দাদু এখানে কোনো কিন্তু নেই। তোমরা যাবে মানে যাবেই। বাকিটা আমাদের উপর ছেড়ে দাও। আমরা সব ঠিকি ম্যানেজ করে নেবো। দোলা একা কই? আমি আছিনা ওর সাথে? তোমরা একদম চিন্তা করোনা। দোলা এত এক্সাইটেড, ও তো নিজেই বাজার করতে গেছে তোমাদের জন্য। ওকে রেখেই আমি অফিস যাচ্ছিলাম, পরে তো এখানে এলাম!
কথা বলার মাঝেই নিশীথের অফিসের কথা মনে পড়ে। ও জিব কামড়ে ঘড়ি দেখে বলে,
---ওহ শি'ট! কথা বলতে বলতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার লেট হয়ে যাবে অফিসে। মা, দাদু আমি এখন উঠি? অফিসে লেট করলে কেউ একজন কথা শুনাতে কার্পণ্য করবেনা!
নিশীথ তাচ্ছিল্যের সাথে বলে। আসমা বেগম আঁতকে উঠে বললেন,
---সেকি? আমি তোর জন্য খাবার গরম করতে বসিয়েছি। তুই না খেয়ে কোত্থাও যাবিনা! আমি যেতে দিবোইনা তোকে..
---মা, আমার হাতে সময় নেই আজকে বুঝার চে..
---আব্বা, আপনিই ওকে বুঝান? আমি পাচ মিনিটে খাবার নিয়ে আসছি।
বলেই আসমা বেগম দ্রুতপায়ে চলে গেলেন রান্নাঘরে। দাদু নিশীথকে আটকে রাখতে সক্ষম হলেন। অগত্যা নিশীথকে হার মানতে হলো। আসমা বেগম খাবার আনলেন। অবশেষে বহুদিন পর নিশীথ মায়ের হাতে খেলো! মন-পেট দুটোই সমান পরিতৃপ্ত হলো। খাওয়ানো শেষে বিদায় নেবার কালে নিশীথ কি মনে করে পেছন ফিরে তাকালো। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে মা-কে বললো,
---একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
---কি কথা? বল।
---বলছিলাম, দোলা চাচ্ছিলো তোমাদের সাথে বাবাও আমাদের বাসায় আসুক। তুমি বাবাকে বলো, যদি আসতে চায় তবে একসাথে এসো সকলে!
নিশীথের কথায় খুশি হলেন আসমা বেগম। উনিও কথাটা জিজ্ঞেস করবেন করবেন ভাবছিলেন কিন্তু নিশীথ যদি কিছু বলে এ দ্বিধায় এতক্ষণ বলতে পারেননি কথাটা! সুযোগ পেয়ে হাসিমুখে বললেন,
---দোলার ভাবনায় আমি বেশ খুশি হয়েছি, বাবা। আমি তোর বাবাকে অবশ্যই বলবো। আমার বিশ্বাস উনি রাজি হবেন!
---রাজি হলেই ভালো। দোলনচাঁপা খুশি হবে!
নিশীথ চলে যাচ্ছিলো কথাটা বলে। এমন সময় ইউনুস সাহেব পেছন থেকে শুধালেন,
---শুধু দোলনচাঁপাই খুশি হবে? তুই হবিনা?
নিশীথ থমকায় কিছুক্ষণের জন্য। পেছন না ফিরেই জবাব দেয়,
---নিশীথ আর দোলনচাঁপা তো এক-ই, দাদু। ও খুশি মানেই আমি খুশি!
ওর প্রশ্নে আসমা বেগম ও ইউনুস সাহেব দুজনেই হাসেন। কেমন চালাকির সাথে উত্তর দিলো নিশীথ। সরাসরি না বলেও মনের ভাব প্রকাশ করলো ঠিকি। অতঃপর নিশীথ বিদায় নিয়ে চলে যায় অফিসের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে দোলনচাঁপার ফোন আসে। ফোন ধরতেই দোলা বলে,
---অফিস পৌঁছে গেছেন? বাবার সাথে কথা হয়েছে?
---যাইনি এখনো, আমি রাস্তায়। তুমি বাসায় গেছো?
---হ্যাঁ, মাত্র এলাম। কিন্তু আপনি এখনো রাস্তায়!কিভাবে কি? এত জ্যাম নাকি?
---না, জ্যাম ছিলোনা। বাসায় গিয়েছিলাম।
কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে নিশীথ বাইক চালাতে চালাতেই দোলাকে সবটা খুলে বলে। ও বাসায় গিয়ে সরাসরি মা ও দাদুকে প্রস্তাব দিয়ে এসেছে শুনে দোলা ভীষণ খুশি হয়। সাথে জিজ্ঞেস করে,
---খুব ভালো করেছেন! এখন তাহলে অফিস পৌঁছে বাবার সাথেও কথা বলেন সময় করে?
---বাবাকে আবার বলতে যাবো কেন? মা ও দাদুকে বলেছি দ্যাটস এনাফ। ওরাই বাবাকে বলে দেবে
---আশ্চর্য! দাওয়াত দিচ্ছেন আপনি আর বলবে মা ও দাদু? বাবার সাথে কথা আপনিই বলবেন। ব্যস! আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাইনা এ ব্যাপারে!
---তোমার প্রবলেম কি, দোলনচাঁপা? এমন করছো কেন আমার সাথে? তুমি জানো আমি তার সাথে কথা বলিনা তবুও?
---জানি দেখেই তো বলছি। এবার আপনাকেই কথা বলতে হবে।
---আমি তাকে কিছুই বলবোনা। ইটস ফাইনাল!
নিশীথ একগুঁয়ে কণ্ঠে ঘোষণা দেয়। দোলা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে,
---ওকে।
নিশীথ খুশি হয়ে শুধায়,
---সত্যি?
---না। আপনি যদি নিজ থেকে বাবাকে দাওয়াত না দেন, তবে আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই। এটাই ফাইনাল। বাই!
দোলা খুট করে ফোন কেটে দেয়। এবার নিশীথ পড়ে দোটানায়। একদিকে ইগো, একদিকে ভালোবাসা। ও কোনদিকে যাবে? ওর দোলনচাঁপাও বেশ অদ্ভুত! নিশীথের দিক থেকে ব্যাপারটা ভেবে দেখছেনা। এখন যেখানে বাবার সাথে ফরমালিটির বাইরে কোনো কথা অব্দি হয়না, সেখানে ও অফিস যেয়ে বাবাকে কিভাবে নিজের বাসায় আসতে বলবে?

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা তাসফিয়া হাসান তুরফা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন