উপন্যাস       :        অনন্ত প্রেম
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১১ই জুন, ২০২৪ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “অনন্ত প্রেম” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৪ সালের ১১ই জুন থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত

১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত (পর্ব - ১৩)


কেমন করে যেন দু'টো দিন কেটে গেলো।আজ বিয়ে।সবাই ব্যস্ত!সবচেয়ে বেশি মইনুল ইসলাম।তার ছোটো মেয়ের বিয়ে বলে কথা।এদিকে সবকিছুতে থেকেও কোথাও যেন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছে না দিশা।তবে কি নিয়তিতে এটাই ছিলো?
পার্লারের মেয়েরা এসেছে দিশাকে সাজাতে।সায়েম চায় নি দিশা পার্লারে যাক।আজকের দিনে কোনোরকম রিস্ক নিতে চায় না সে।
রুমে এখন কেউ নেই।পার্লারের মেয়েরা নিজেদের কাজ শেষ করে বিদায় নিয়েছে।একটু আগে নার্গিস এসে দেখে গেছে সব কিছু ঠিকঠাক কি না!এরপর দিশার মা এসে দেখে গেছে মেয়েকে।উষা আসবে বরযাত্রীর সাথে।তাই এখন আর কারো আসারই সম্ভবনা নেই।দিশা ফোন হাতে নিয়ে ভাবছে ওই মানুষটাকে একবার ফোন করার কথা।শেষবারের মত একবার কথা বলতে ইচ্ছে করছে ভীষণ।নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে ফোন করলো ও কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া গেলো না।কোনোরকম চোখের পানি আঁটকে ফোনটা বন্ধ করে নিজেকে মনে মনে প্রস্তুত করলো।
বরযাত্রী চলে এসেছে।নার্গিস,উষা আর দিশার দু'একজন বান্ধবী এসেছে দিশাকে স্টেজে নেওয়ার জন্য।সায়েম আর দিশাকে পাশাপাশি বসানো হলো।সায়েমের দৃষ্টি দিশার দিকে।সে ফিসফিসিয়ে বলল,'এইতো আর কিছুক্ষণ!তারপর তুমি আমার।'
দিশা শুনলো,কিছু বলল না।তাকালোও না পর্যন্ত।সায়েম আবারও বলল,'এতদিনের হিসাব আজ রাতে হবে সুইটহার্ট।প্রস্তুত থেকো।'
যে-ই মানুষটার পাশাপাশি বসে থাকতেও এত ঘৃণা লাগছে তার সাথে পুরো জীবনটা কিভাবে কাটাবে?
কবুল বলার জন্য বারবার বলা হচ্ছে দিশাকে।ওর মনে হচ্ছে এইমুহূর্তে কবুল বলার চেয়ে ম'রে যাওয়াটা সবচেয়ে সহজ কিন্তু যারা মৃত্যু চায় তারা কি এত সহজে পায়?দিশা কবুল বলতে যাবে তখনই শোনা গেলো হট্টগোল।হঠাৎই কেমন বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে।আর মিনিটের মধ্যেই স্টেজের সামনে কিছু পুলিশের দেখা পাওয়া গেলো।তারা এসে সরাসরি সায়েমের সামনে দাঁড়ালো।এরেস্ট ওয়ারেন্ট সামনে ধরে বলল,'মিস্টার সায়েম ভূঁইয়া আপনাকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে।'
'কেন?আমার অপরাধ কি?'
সামনে দাড়ানো পুলিশ অফিসারটি হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে বললেন,'কোনটা বলব বলুন তো?নারী পাচার?দুর্নীতি?অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান নাকি ড্রাগস সাপ্লাই?'
সায়েম ভড়কে গেলো।তোতলানো স্বরে বলল,'এ..এসবের প্র..প্রমাণ কি?'
'প্রমাণ আদালতে দেওয়া হবে।এখন চলুন।'
হল ভর্তি লোকের সামনে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে সায়েমকে নিয়ে যাওয়া হলো।ঘটনার আকস্মিকতায় দিশা স্তব্ধ!মাথায় ঘুরছে এসব হলো কি করে?তখনই চোখের সামনে একটা হাস্যোজ্জ্বল মুখের দেখা পাওয়া গেলো।এই হাসির অর্থ 'আমার কথা আমি রেখেছি ম্যাডাম কৃষ্ণলতা।আপনি মুক্ত।'
বিয়ে ভেঙেছে আজ দু'দিন হলো।মইনুল ইসলাম আর ফরিদা বেগম কেউই মুখ দেখাতে পারছেন না মেয়েকে।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করতে গিয়ে এত বড় ভুল কি করে হয়ে গেলো?
গত দু'দিন ঘর থেকে তেমন একটা বের হয় নি দিশা।প্রয়োজন যতটুকু শুধু ততটুকুই।এর বাইরে কারো সাথে কথাও হয় নি।ফোনও বন্ধ ছিলো।আজ বিকেলে ফোন অন করতেই দেখতে পেলো অনেকের মেসেজে,কল।তবে কাঙ্ক্ষিত নাম্বার থেকে শুধুমাত্র একটা মেসেজই এসেছে।
'বউ সাজে এত সুন্দর লাগবে ভাবতে পারি নি।একটাবার কি আপনার দর্শন পাওয়া যায় ম্যাডাম কৃষ্ণলতা?আপনার সকল অভিমান মিটিয়ে দেবো কথা দিচ্ছি।'
এভাবে বলার পর একটা সুযোগ না দিলে সেটা অন্যায় হয়ে যাবে।তাই দিশা ঠিক করলো ও আজ সন্ধ্যায় দেখা করবে।
অফিস থেকে বের হয়ে ফোন চেক করতেই মুখে হাসি ফুটলো আহাদের।এই মেসেজটার জন্যই অপেক্ষা করছিলো দু'টো দিন ধরে।
ওরা দেখা করেছে শহীদ মিনারে।
সেখান থেকে টিএসসির দিকে পা বাড়ায়।আহাদ হাঁটতে হাঁটতে বলে,'চা চলবে?'
'চলবে।'
'আমার ওপর রাগ?'
'না।'
'অভিমান?'
'না।'
'তারমানে হ্যাঁ।মেয়েদের না মানেই হ্যাঁ।'
দিশা হাসতে চেয়েও নিজেকে দমন করে কপট রাগের আভা ফুটিয়ে বলল,'আপনি কে যে আপনার সাথে আমি রাগ,অভিমান করব?'
আহাদ মৃদু হেসে বলল,'নাম নেই তবে আমি হয়তো এমন কেউ যাকে আপনি সবসময় আপনার পাশে পাবেন।'

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন